কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল চলন্ত এসইউভি গাড়ির বনেটের উপর কনে সেজে বসে রিলস বানাচ্ছেন এক মহিলা। আর সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে (Social Media) ছড়িয়ে পড়তেই হইহই পড়ে যায়। এবারে ফের এমন ধরনের এক ভিডিও নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা চোখের আড়াল হয়নি পুলিসের। গাড়ির ছাদে উঠে পুশ-আপ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আবার গাড়ির জানালা দিয়ে আরও তিন জন যুবক মাথা বের করে দিয়ে ঝুলছে, এমনটাও দেখা গেল ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video)। ঘটনাটি গুরুগ্রামের (Gurugram)। এই ভিডিও পুলিসের চোখে পড়তেই সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে গুরুগ্রাম পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম লোকেশ। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করার ফলে তাকে আটক করা হয় ও তার নামে ৬ হাজার ৫০০ টাকার চালান কাটে ট্রাফিক পুলিস। চলন্ত গাড়িতে পুশ-আপ করার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন প্রদীপ দুবে নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী। এরপর এই ভিডিও গুরুগ্রাম পুলিসের নজরে আসতেই ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
গুরুগ্রামের ট্রাফিক পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, 'যে ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছে, তার নামে ৬ হাজার ৫০০ টাকার চালান কাটা হয়েছে। আমরা প্রত্যেককে অনুরোধ করছি এভাবে ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে নিজেদের ও অন্যদের জীবন বিপদে ফেলবেন না।'
গুরুগ্রামে (Gurugram) একটি শপিং মলের বেসমেন্ট (Mall basement) পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়ির মধ্যে ধর্ষণের (Raped) অভিযোগ। ২৭ বছরের এক তরুণীকে মাদক খাইয়ে ওই গাড়িতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা চাকরির ইন্টারভিউ (Interview) নেওয়ার অজুহাতে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ওই মহিলাকে ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীকে মাদকযুক্ত জল খাওয়ানোর পরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিগৃহীতা।
নির্যাতিতা ওই মহিলা থানার দারস্থ হয়ে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, তিনি অনলাইনে একটি চাকরি খুঁজছিলেন এবং তুষার শর্মা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শনিবার সাহারা মলে সাক্ষাৎকারের অজুহাতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি তাঁর নথিপত্র নিয়ে দুপুর ১-টার দিকে মলে পৌঁছন এবং শর্মার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই মহিলাকে মলের বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে মাদক মেশানো জল খেতে দেন। খাওয়ার পরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর অভিযুক্ত তাঁকে গাড়ির ভিতরে ধাক্কা মেরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানান তরুণী। মল পার্কিং এলাকায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পালানোর আগে ওই মহিলাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ঘটনাটি কাউকে বললে তাঁকে মেরে ফেলা হবে।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস ওই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। তুষার শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮, ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। পুলিস মল ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে।
গোটা রাস্তাজুড়ে লম্বা গাড়ির লাইন। বুধবার সকালে যানজটে (Traffic) নাজেহাল দশা গুরুগ্রামবাসীর (Gurgaon)। যানজটে দাঁড়িয়ে এক মহিলা ক্রমাগত হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। আর তাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন অন্য এক গাড়ির চালক। এর ফলে মহিলাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একের পর এক চড় মারেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, শহরের এমডিআই চক এলাকায় যানজটে হর্ন বাজাচ্ছিলেন ওই মহিলা। তখনই ওই গাড়ি চালক তাঁকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। মহিলা বলেন, যানজট মুক্ত হওয়ার পর ওই যুবক গাড়ির গতি বাড়িয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। তারপর ওভারটেক করে তাঁর গাড়ির সামনে নিজের গাড়ি থামান। এর পর মহিলাকে গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে তাঁর গালে চড় কষান বলে অভিযোগ।
এমনকি মহিলাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান অভিযোগকারিণী। বাড়িতে গিয়ে আবার মারধর করা হবে বলেও ওই যুবক ভয় দেখান। এই অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলা। জানা গিয়েছে, মহিলার বাঁ চোখ ও নাকে আঘাত পেয়েছেন। এরপরই থানার দারস্থ হন তিনি। পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৫০৬, ৫০৯ ধারায় সেক্টর ১৮ থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন হাউস অফিসার হরিশ কুমার।
এ যেন কোনও সিনেমার সিন। একটি যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নিজের খেয়ালে। আচমকা একটি স্কুটি করে ছিনতাইবাজরা (Robber) এসে তাঁর রাস্তা আটকাল। এরপর যুবককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমেই ব্যাগ থেকে মোবাইলটি বার করে নিতে যাবে, তখনই বছর ২২-এর ওই যুবক বাধা দেয়। তারপর শুরু হয় অ্যাকশন সিন। ছিনতাইবাজরা ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে না পেরে যুবককে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন এলোপাথারি। আর তাতে গুরুতর আহত হন যুবক। এই ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেছে গুরুগ্রামের (Gurugram) সেক্টর নয় চক এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। আহত অবস্থায় যুবককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাণ সংশয়-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যুবককে বাঁচাতে চিকিৎসকরা কিডনি বাদ দেন। প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন। এরপর পথচারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন, ওই যুবকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয়। ছেলের এমন দুর্ঘটনার কথা শুনে গুরুগ্রামে ছুটে আসেন বাবা। তাঁকে চিকিৎসকরা জানান, আয়ুষের জীবন বাঁচাতে হলে তাঁর বাম দিকের কিডনি বাদ দিতে হবে। সূত্রের খবর, যকৃতেও ভয়ঙ্কর আঘাত পেয়েছেন যুবক। উল্লেখ্য, কাজের সূত্রে কয়েক মাস আগে গুরুগ্রামে এসেছিলেন যুবক। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে এক নাবালক।
প্রয়াত হলেন প্রাক্তন জেডিইউ সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব (Sharad Yadav)। ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে শরদ যাদবের মৃত্যুর খবর দেন তাঁর কন্যা সুহাসিনী যাদব। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্যরা।
বিহারের রাজনীতিতে নিজের স্বকীয় পরিচয় তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই মহান নেতা চিরঘুমের দেশে চলে যান। গুরুগ্রামের ফোর্টিস হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এই সোশ্যালিস্ট নেতা।
শারদ যাদবের মেয়ে টুইটারে বাবার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বাবা আর নেই। ফোর্টিস হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, শরদ যাদবকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেসময় কোনও স্পন্দন ছিল না। প্রটোকল অনুযায়ী তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। রাত ১০টা ১৯ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর পরিবারের প্রতি হাসপাতালের তরফে সমবেদনা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে লিখেছেন, “শরদজির প্রয়াণে গভীরভাবে ব্যথিত। দীর্ঘ জনজীবনে তিনি নিজেকে একজন সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের আমার সমবেদনা।”
শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি টুইটারে লিখেছেন,”শরদ যাদবের মৃত্যুর খবরে আমি ভারাক্রান্ত। একজন দৃঢ়চেতা রাজনীতিবিদ এবং অত্যন্ত সম্মানিত সহকর্মী। তিনি এবং তাঁর কাজ সকলের মধ্যে বেঁচে থাকবে।”
একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে। বলিউডের (Bollywood) ফ্লপ ছবির তালিকায় রয়েছে অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) অভিনীত অনেক ছবিই। অক্ষয় ছবি সংখ্যা বাড়ানোর দৌড়ে নেমেছে বলে শোনা যায় বলি পাড়ায়। এমনকি শোনা যায়, তাঁর একমাত্র লক্ষ্যই পারিশ্রমিক। এমন ধরনের কথায় অক্ষয় খুব একটা কান দেন না। নিজের কাজে অবিচল। তবে লোকচক্ষুর আড়ালে প্রচুর মানবিক কাজ করে চলেছেন তিনি।
বহু মানুষের বিপদে পাশে পেয়েছেন অক্ষয়কে। যেমন এবার তিনি গুরুগ্রামের ২৫ বছর বয়সী আয়ুষীর পাশে দাঁড়ালেন। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার জন্মগতভাবেই হার্টে সমস্যা। হৃৎপিণ্ডের মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ হয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বড় অপারেশনের। প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন বলিউডে খিলাড়ি কুমার। রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেন ১৫ লক্ষ টাকা। যদিও অক্ষয় নিজে এই ধরনের কাজ ক্যামেরার আড়ালে করতে চান।
কিন্তু অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ খুলেছেন রোগীর দাদু। তিনি জানান, অক্ষয় তাঁর নাতনির কথা জানতে পারেন পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর থেকে। অক্ষয়কে নিয়ে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। আয়ুষীর দাদু বলেন, ‘‘হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনই একমাত্র পথ। অক্ষয় কুমারের তরফে সাহায্য পাওয়ার পর এবার আমরা দাতার সন্ধান শুরু করব।’’
এক মহিলা ও অটোচালককে হেলমেট দিয়ে মারধরের (Beaten) অভিযোগ কমল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মহিলা ওই ব্যক্তির বাইকে চাপতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে এভাবে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামে (Gurugram Incident), এমন ঘটনার একটি সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়ানো একটি অটোর সামনে বাইক নিয়ে এসে দাঁড়ান অভিযুক্ত। অটোয় বসা এক মহিলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিছুক্ষণ কথা বলার পর মহিলা অটো থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। তারপরই বাইকচালক দ্রুতগতিতে অটোর পিছনে বাইকটিকে রেখে মহিলার দিকে এগিয়ে যান। সেখানেও দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হঠাতই ওই ব্যক্তি মাথা থেকে হেলমেট খুলে মহিলার মাথা ও মুখ লক্ষ্য করে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন। এই ঘটনা দেখে অটোচালক মহিলাকে বাঁচাতে যান। তাঁকেও মারধর করেন ওই ব্যক্তি। রাস্তায় ওই মহিলার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকেজন চলে আসেন। তারপর দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে গুরুগ্রামের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) মনোজ কে বলেন, “এক মহিলাকে হেলমেট দিয়ে মারধরের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মহিলা ওই ব্যক্তির বাইকে চাপতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।”
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম কমল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
হিন্দু দেবদেবীকে 'অপমান'-এর খেসারত গুণতে হবে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে (Kunal Kamra)। দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বজরঙ দলের (Bajrang Dal) হুমকিতে বাতিল শিল্পীর গুরুগ্রামের (Gurugram) অনুষ্ঠান। যদিও প্রশাসনিকস্তরে এই পদক্ষেপ নয়। আয়োজকরা জানান, বজরঙ দল থেকে এসে তাঁদের সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছে। তাই অশান্তির ভয়ে অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠানের প্রচারমূলক পোস্ট।
এ মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা ছিল। সেই মোতাবেক শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকিট বিতরণও। এদিকে, এই কৌতুকশিল্পী হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করেন। এই অভিযোগে শুক্রবার ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি লিখে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠান বাতিলের দাবি জানায় বজরং দল-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
এদিকে, বজরঙ দলের গুরুগ্রামের নেতা প্রবীণ সাইনি ইংরেজি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'আমরা ওই পানশালায় গিয়ে বলি অনুষ্ঠান বাতিল করতে। এই হাস্যকৌতুক শিল্পী হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করেছেন। আমরা কিছু ভিডিও ওদের দেখাই এবং বলি এই ধরনের শিল্পী, যাঁরা হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত হানেন, তাঁদের গুরুগ্রামে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। হিন্দু দেবদেবীর কোনও অপমান আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা ম্যাজিস্ট্রেটকেও একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। কারণ অনুষ্ঠান হতে দিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।'