বুধবার মালদহের একটি সরকারি স্কুলে হঠাৎই বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটে, তখন ওই স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে বাংলা ক্লাস চলছিল। এরপরে বহু রোমহর্ষক মুহূর্ত দেখেছে গোটা বাংলা। দক্ষিণী সিনেমার কায়দায় ওই বন্দুকবাজকে নিরস্ত্র করে পুলিস। বুধবারের ওই ঘটনার পর ওই স্কুলে মোট ২০৪ জন ছাত্র উপস্থিত হয়। ওই ক্লাসে ৭১ জন ছাত্রের মধ্যে এসেছে মাত্র ১৭ জন।
সূত্রের খবর, গোটা স্কুলে হাজারখানেক পড়ুয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার হাজিরা দিয়েছে ২০৪ জন। এদিন ক্লাস শুরুর আগে প্রার্থনা হওয়ার পরেই হাতে মাইক নিয়ে পড়ুয়াদের আশ্বস্ত করতে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বাগতম সাহাকে। স্কুলের বাইরে পুলিসের কড়া পাহারা। স্কুলে ঢোকার আগে ব্যাগ পরীক্ষা করা হচ্ছে সবার। কিন্তু সে সব তো পরের কথা। অভিভাবকদের বেশিরভাগই বৃহস্পতিবার আর সাহস করে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারেননি। ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া জয়ন্তী বিশ্বাস বলে, 'কাল ক্লাসে ঢোকার আগে লোকটা অনেকক্ষণ মাঠে ঘুরছিল। আমাদের প্রতিভা ম্যাম ওকে ডেকে জিজ্ঞাসাও করেছিল কার সঙ্গে দেখা করবে। তখন লোকটা বলেছিল হেডস্যারের সঙ্গে দেখা করবে। তারপর হঠাৎ বন্দুক নিয়ে আমাদের ঘরেই ঢুকে পড়ে ম্যামকে ধমক দিয়ে বার করে দেয়। প্রথমে ভেবেছিলাম খেলনা বন্দুক। পরে যখন বুঝতে পারি তখন ভয় পেয়েছিলাম।'
আরেক ছাত্র শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, 'ভয়ে ভয়েই স্কুলে এসেছি। বাড়ির সবাই বলছিল আজ আর কিছু হবে না। তাই ক্লাসে এসেছি।' স্কুলের প্রধানশিক্ষক স্বাগতম সাহা জানান, তাঁদের স্কুলে এতদিন কোনও স্থায়ী গার্ড ছিল না। একজন শুধুমাত্র রাতে গেট পাহারা দিতেন। এদিনের ঘটনার পর আর ঝুঁকি নেবেন না তাঁরা। স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। স্থায়ী দারোয়ান রাখা, পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র তৈরি সবদিকেই নজর দেওয়া হবে। পুলিশের সঙ্গেও এব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
টাস্ক হিসেবে পড়ুয়াদের (Students) নিজের মৃত্যুসংবাদ লিখতে দেওয়ার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন এক শিক্ষক (Teacher)। ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লোরিডার একটি স্কুলের। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন এই ‘টাস্ক’ (Task) দিয়ে তিনি কোনও ভুল করেননি।
মঙ্গলবার এই ঘটনাটি প্রকাশ্য়ে আসে। স্কুলের মধ্যে আচমকা বন্দুকবাজের হামলা হলে কীভাবে মোকাবিলা করবে পড়ুয়ারা, এই নিয়ে একটি মক ড্রিল আয়োজন করা হয়েছিল অরল্যান্ডের ড. ফিলিপস হাইস্কুলে। মক ড্রিলের কথা জানার পরই পড়ুয়াদের নিজেদের মৃত্যুসংবাদ লিখতে বলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জেফ্রি কিন। এই খবর জানাজানি হতেই ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমেরিকার স্কুলগুলিতে অনেক সময়ই বন্দুকবাজের হামলার খবর প্রকাশ্যে আসে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই পড়ুয়াদের বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল।
চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেও নিজের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনওরকম অনুতাপ নেই ওই শিক্ষকের। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, মৃত্যুসংবাদ লিখতে বলেছি মানে মৃত্যু নিয়ে ওদের ভয় দেখাতে চাইনি। বরং জীবনের মূল্য কতটা, সেটা বোঝানোর জন্য এই টাস্ক দিয়েছিলাম।
আমেরিকায় (America) একের পর এক বন্দুকবাজের (Gunmen) হামলা। বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বহু। এবার হামলাস্থল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa)পূর্ব কেপ প্রদেশে হামলা চালায় হামলাকারীরা। সূত্রের খবর, জন্মদিনের পার্টি (Birthday Party) চলছিল সে সময়। আচমকা বন্দুকধারীরা ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। সেই হামলায় মারা গিয়েছেন আট জন আর তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সাউথ আফ্রিকান পুলিস সার্ভিস (এসএপিএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই হামলাকারী এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি রবিবার গ্যাকবেরহা, কোয়াজাকেলের একটি বাড়িতে ঘটেছে। হামলার পর বন্দুকধারীরা পালিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরিস্থিতি এবং হামলার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন এসএপিএস।
উল্লেখ্য, গত বছর একইভাবে বন্দুকবাজরা হামলা চালিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। জুলাই মাসে, বন্দুকধারীদের কয়েক ঘণ্টার হামলায় ১৯ জন মারা গিয়েছিলেন। এবারও আরেকবার হামলার ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
ফের আমেরিকায় (America) বন্দুকবাজের হামলা (Shooting)। তিনটি পরপর হামলায় মৃত্যু হয়েছে নয় জনের। গত শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় (Caifornia) চলছিল চাইনিজ লুনার নিউ ইয়ারের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান চলার সময় চলে গুলি। ওই গুলি চালনার ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৬ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার আচমকা আমেরিকার আইওয়া প্রদেশের ডেস মোইনেস শহরের একটি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হানা দেয় বন্দুকবাজরা। স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন দুই ছাত্র-সহ তিন জন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা চলাকালীন ওই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় শিক্ষকের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পর স্কুল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ওই বন্দুকবাজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে একটি গাড়ি আটক করে পুলিস। তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে শহরের কৃষি কেন্দ্রে দুটি পৃথক গুলিতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। তিন দিনের মধ্যে এটি ছিল রাজ্যে দ্বিতীয় হামলা। সূত্রের খবর, একটি স্থান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারজনকে মৃত এবং পঞ্চমজন আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। আরও তিনজনকে কয়েক মাইল দূরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ার (Nigeria) একটি মসজিদে (Mosque Attack) বন্দুকধারীর হামলা। এ হামলায় এক ইমাম-সহ ১২ জন উপাসক নিহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, মসজিদ থেকে আরও আরও কয়েকজনকে অপহরণ করেছে বন্দুকবাজরা। শনিবার স্থানীয় সময় রাতে এশার নামাজের সময় সশস্ত্র দলগুলো হামলা চালিয়েছে বলে খবর।
নাইজেরিয়ার সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা প্রায়ই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে মানুষকে হত্যা অথবা অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে। সংঘবদ্ধ এই গ্যাংয়ের সদস্যরা গ্রামবাসীদের চাষাবাদ ও ফসল কাটার অনুমতির জন্য প্রোটেকশন মানি দাবি করে।
রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ বুহারির নিজ রাজ্য কাটসিনার ফুন্টুয়ার বাসিন্দা লাওয়াল হারুনা ফোনে এই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বন্দুকধারীরা মোটরবাইকে মাইগামজি মসজিদে এসে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। হামলা চালানো শুরুর আগে উপাসকদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
প্রধান ইমাম-সহ প্রায় ১২ জন, যারা রাতের নামাজে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা বন্দুকবাজের আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ফুন্টুয়ার আরেক বাসিন্দা আবদুল্লাহি মহম্মদ বলেছেন, "হামলা চালানোর পর বাকিদের একজায়গায় জড়ো করে ঝোপের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নিরীহ লোকদের যাতে তাড়াতাড়ি ফেরানো যায়, সরকারের কাছে সেই আবেদন করি।"
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের বেশ কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে কাটসিনা রয়েছে। যা প্রতিবেশী নাইজারের সঙ্গে একটি সীমানা ভাগ করে, যা গ্যাংকে দুই দেশের মধ্যে অবাধে চলাচল করতে দেয়।
ফের বন্দুকবাজদের হামলা আমেরিকায় (America)। চলেছে এলোপাথাড়ি গুলি (Shoot)। ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ফিলাডেলফিয়ায় (Philadelphia)।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ফিলাডেলফিয়ার কেনসিংটন এবং অ্যালেঘেনিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বন্দুকবাজের দল। পুলিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই চম্পট দেয় বন্দুকবাজের দল। ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। এখনও অবধি কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিস জানিয়েছে, এখনও আহতদের পরিচয়পত্র জানা যায়নি। এই দুর্ঘটনার পিছনে কী কারণ, কারা রয়েছে, মূল মাস্টারমাইন্ড কে সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন লেখা অবধি ঘটনায় কায়কে গ্রেফতার করা হয়নি।
তবে, এই ঘটনা প্রথম নয়। আমেরিকায় বহুবার এর আগেও বন্দুকবাজের জামলা চলেছিল। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু পরিবার তাঁদের স্বজনকে হারিয়েছেন। ওবামা, ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই এর সমাধান করতে পারছেন না।
রাশিয়ার (Russia) সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুকধারীর হামলা (Gunmen attacked)। নিহত (Death) হয়েছেন ১১ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫। জানা গিয়েছে, শনিবার বেলগোরোড (Belgorod) অঞ্চলে লাইভ-ফায়ার প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
রাশিয়ার প্রচিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলে," দুই বন্দুকধারী সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক। তারা স্বেচ্ছায় বিশেষ সামরিক অভিযানে (ইউক্রেনের বিরুদ্ধে) অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। ওই দুই সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ চলাকালীন সেনাদের উপর গুলি চালায়। হামলার পর তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।"
এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দুই হামলাকারী ইউক্রেনের কাছে একটি সামরিক ফায়ারিং রেঞ্জে গুলি চালায়। এর জেরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জন জখম হয়েছেন। জখম সেনাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।