সংশোধনাগারের মধ্যেই গ্যাংস্টার আমান সিং-এর উপর চলল গুলি।এই হত্যা মামলায় ধানবাদের মণ্ডল কারাগারের ৭ জন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে সোমবার জেলের আইজি উমাশঙ্কর সিং এবং সিআইডি আইজি অসীম বিক্রান্ত মিম মণ্ডল কারাগারে তদন্ত অভিযান চালানোর জন্য তিনটি ২৪*৭ নজরদারি দল গঠন করেছিলেন।খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও।আর তাতেই ধরা পড়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র।জেল চত্বর থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনার বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কারাগারের মধ্যে অস্ত্র গেলো কীভাবে?
জেলা প্রশাসন সেই কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করেছে। যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।এটিকে গুরুতর ভুল বিবেচনা করে উক্ত ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শ্রেণির অফিসারের নথি বাতিল করা হয়েছে।পাঁচ শ্রেণির অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় কারাগার, ধানবাদে শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার পরিপ্রেক্ষিতে, অন্যান্য কারাগার থেকে ৭টি শ্রেণির অফিসারকে মণ্ডল কারাগারে পোস্টিং করা হয়েছে।
ধানবাদ জেলে, জেলর মোহাম্মদ মুস্তাকিম আনসারিকে অবিলম্বে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাতরা মণ্ডল জেলের জেলারকে মণ্ডল জেল ধানবাদের জেলর পদে পদস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনা জেল সুপারিনটেনডেন্ট, ডিভিশনাল জেল ধানবাদ এবং জেলা প্রশাসক, জেল পরিদর্শক, রাঁচির নির্দেশের আলোকে মোট ২৩ আসামিকে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর জেলা পুলিস আদালতের কাছে অভিযুক্ত সুন্দর মাহাতোর রিমান্ড চেয়েছিল, যার প্রেক্ষিতে আদালত মোট ৫ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হবে।
বন্দুক, পেট্রল বোমা নিয়ে সটান ঢুকে গিয়েছিলেন স্কুলে। শিক্ষিকার অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের দিকে বন্দুক তাক করে হুমকি দিয়েছিলেন মালদহের দেব বল্লভ। বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। কেউ তাঁকে সাহায্য করছে না। তাই এই পথ নিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় সূত্র বলছে, দেবের স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনে চলে গিয়েছেন। ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকেন তিনি। দেবের অবশ্য দাবি, স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ায় দেব বল্লভকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহের মুচিয়া নেমুয়া এলাকার বাসিন্দা দেব। যুবকের প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। দম্পতির এক সন্তান। তবে সে রয়েছে মায়ের অর্থাৎ, দেবের স্ত্রীর হেফাজতে।
দেবের স্ত্রীর নাম রীতা বল্লভ রায়। তাঁর একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রীতা। ভোটেও জিতেছিলেন। মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যও হন। তবে ২০২০ সালে বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেন। দেব মানসিক ভারসাম্যহীন, এই অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন রীতা। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রী আলাদাই থাকেন।
দেবের কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা, জানা যায়নি। তবে মঙ্গলবার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে ঢুকে বন্দুক উঁচিয়ে কাটা কাটা ভাবে দেব যে কথা বলেছেন, তা যোগ করলে দাঁড়ায়, তাঁর স্ত্রীকে কেউ বা কারা ভুল বুঝিয়ে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ভিডিওয় একবার এক তৃণমূলনেত্রীর নামও বলতে শোনা যায় দেবকে। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীকে বলেছে, তোমার স্বামীর মতো এমন বাজে চরিত্রের লোক হয় না। সেই রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমাকে বলেছে, তোমার স্ত্রীর চরিত্র খারাপ। টিএমসির নেতা, আমাদের ওই মৃণালিনীও একই কথা বলেছে।’’
স্কুলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়া বিষয়টিকে মোটেই সহজ ভাবে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে দেবকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আটক করেছে তাতে পুলিসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানান, পড়ুয়াদের পণবন্দি করার চেষ্টা হচ্ছিল। এই ঘটনার পিছনে চক্রান্তের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি আবার ভিন্ন। তিনি জানান, দেব বল্লভের স্ত্রী এক সময় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তার পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তখন থেকে সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। অন্যদিকে, দেবকে পাগল প্রমাণের চেষ্টা হয়। আইনের দ্বারস্থ হয়েও কিছুই করে উঠতে পারেননি দেব। সুকান্তের কটাক্ষ, এর কারণ পুলিস তৃণমূলের হয়ে কাজ করে।
বুধবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে মালদহের প্রত্যন্ত এলাকার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল। এদিন দুপুরে হাতে বন্দুক এবং বোতল বোমা নিয়ে এই স্কুলে হামলা চালান দেব বল্লভ নামে এক ব্যক্তি। সশস্ত্র অবস্থায় ঢুকে পড়ে ভরা ক্লাসরুমে। পড়ুয়াদের পণবন্দি করে শাসাতে থাকে দেব বল্লভ। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে চলা এই রোমহর্ষক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে খুদে পড়ুয়াদের আতঙ্কিত মুখ। হাড়হিম করা এই ঘটনায় 'সুপারম্যান' হিসেবে দেখা গিয়েছে মালদহের ডিএসপি আজহারউদ্দিন খানকে। তিনি উদ্যোগী হয়ে ছুটে এসে নিরস্ত্র করেন অভিযুক্ত বন্দুকবাজকে। 'সুপারহিরো'দের মতো এহেন কাজ করে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নয় এই ডিএসপি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সিএন ডিজিটালের প্রতিনিধি মুন্নী চৌধুরী। একান্ত সাক্ষাৎকারে ঠিক কী বললেন আজহারউদ্দিন খান।
'আমি আমার কর্তব্য করেছি। আল্লাহর রহমত ছিল, বাবা-মায়ের দোয়া ছিল বলেই এই ঝুঁকিটা নিতে পেরেছি।' জীবনবাজি রেখে আজকের গল্পের 'হিরো' মালদহের ডিএসপি (ডিএনটি) আজহারউদ্দিন খান। কীভাবে এই ঘটনার কথা জানতে পারলেন তিনি?
উত্তরে ডিএসপি আজহারউদ্দিন বলেন, ' প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসপি স্যার এবং ডিজি স্যরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এসপি স্যার আমাকে জানিয়েছেন মালদহের স্কুলের এই ঘটনার কথা। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। আমি আইসিকে ফোন করে ঘটনাটি বিস্তারিত জানি। আইসি বলেন, একজন লোক পুরনো মালদহের অন্তর্গত মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে ঢুকে ৭০ জনের মতো পড়ুয়াকে বন্দি করে রেখেছে। তার সঙ্গে বন্দুক এবং বোমা রয়েছে। আমার এসপি অফিস থেকে ওই স্কুলের দূরত্ব ১০ মিনিট। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ি। স্কুলে পৌঁছে জানতে পারি, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিটি পুলিস ইউনিফর্ম পরা কাউকে দেখলেই রেগে যাচ্ছে। এমনকি ইউনিফর্ম পরা কেউ সামনে গেলে গুলি চালিয়ে দেবে বলেও হুমকি দিচ্ছিল। সেকারণে ঘটনাস্থলে যাঁরা (পুলিস) ছিলেন তাঁরা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।'
কীভাবে বাগে আনলেন বন্দুকধারীকে? জবাবে তিনি বলেন, 'এরপর আমি একটা প্ল্যান করি। স্কুলের পিছনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকি। যেহেতু ইউনিফর্ম দেখলেই রেগে যাচ্ছে, তাই আমি আগে এসআই দিলীপ হালদারকে বলি আপনি আগে ভিতরে চলে যান। তারপর আমি ওখানকার একটা স্থানীয় ছেলের থেকে টি-শার্ট নিই। ইউনিফর্ম খুলে সেই টি-শার্ট পরে নিই। আমার জুতোটা খুলে লোকাল একজনের থেকে চপ্পল পরি। বেল্টটাও খুলি। আগেই দেখেছিলাম, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভয় পাচ্ছেন না বন্দুকবাজ। ছবি তুলতে দিচ্ছেন, কথাও বলছেন। আমিও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে মিশে যাই। ক্যামেরা চালু করে পৌঁছে যাই। তখন সে স্কুলের ওই রুমে দরজার সামনে বন্দুক উঁচিয়ে সাংবাদিকদের ইন্টারভিউ দিচ্ছিল। আমাকে দেখে ভাবে আমিও ক্যামেরাম্যান।'
এই অভিযান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'তারপর যখন ওই ব্যক্তি কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, আমি তখন একটু সরে যাই। এসআই দিলীপ বাবুকে পাঁচিলের ওখানে গিয়ে বলি, আপনি একটু একটু করে সরে আসবেন। গেটের ওখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন। আমি যখনই ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব, তখনই আপনারা ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য চলে আসবেন। সেই পরিকল্পনা মতো আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি। অস্ত্রহীন করি ওই বন্দুকবাজকে। তখনই বাকিরা চলে আসেন। সবটা কন্ট্রোলের মধ্যে নেওয়া হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। বাচ্চারা সবাই নিরাপদে বেরিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।'
জীবনবাজি রেখে এমন সাহসিকতার জন্য সকলেই প্রশংসা করছেন। এত বড় ঝুঁকি নিতে গিয়ে একবার ভয় লাগেনি? তখন আজহারউদ্দিন বলছেন, ‘‘আমি আমার কর্তব্য করেছি।’’
আমেরিকার (America) পর এবার জার্মানিতে (Germany) বন্দুকবাজের হামলা (Gunman Attack)। জার্মানির হামবুর্গের গির্জায় এলোপাথাড়ি গুলি চালালো এক বন্দুকবাজ। বৃহস্পতিবারের রাতের এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। গুরুতর জখম আরও কয়েকজন।
হামবুর্গ পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ হামবুর্গের কিংডম হল অফ জেহবাস উইটনেস এলাকার গির্জায় হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে পুলিস। বন্দুকবাজের হামলার খবর পেয়েই গির্জা ঘিরে ফেলে পুলিস ও নিরাপত্তাবাহিনী। হামলাকারীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। এতে একজন হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে হামবুর্গ পুলিস।
জার্মান প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। নির্দেশ না দেওয়া অবধি বাড়ির মধ্যেই থাকার কথা জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
শুক্রবার ব্রাজিলের (Brazil) এসপিরিতো সান্তো (Espirito Santo) প্রদেশের দুটি স্কুলে বন্দুকধারী কিশোরের হামলা (Shooting)। গুলিতে এক শিশু-সহ মৃত্যু (Death) তিনজনের। স্থানীয় পুলিস সূত্রে খবর, আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। রাজ্যের রাজধানী ভিটোরিয়া থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত ছোট শহর আরাক্রুজ টাউনের দু’টি স্কুলে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামরিক পোশাক পরা এক অজ্ঞাত পরিচয় কিশোর স্কুল দুটিতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। একটি বেসরকারি এবং একটি সরকারি স্কুল ছিল। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই বন্দুকবাজ কিশোর। পরে আটক করে পুলিস।
স্থানীয় পুলিস বলেছে যে, তারা প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেছিল যে বন্দুকধারী হামলাকারী স্কুলের একজন প্রাক্তন ছাত্র। তবে এসপিরিতো সান্তোর জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মার্সিও সেলান্তে সাংবাদিকদের বলেছেন যে, সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
এসপিরিতো সান্তোর গভর্নর রেনাতো কাসাগ্রান্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এবং তিনি লেখেন, “আরাক্রুজের দুটি স্কুলে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে এক কিশোর। তাকে আটক করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে তিনদিনের শোকপালন করা হবে। কেন এই হামলা চালানো হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
পাবলিক সিকিউরিটি অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইতিমধ্যে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন আহত ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে আরাক্রুজ থেকে প্রায় ৬০কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি বৃহত্তর শহর সেরাায় নিয়ে যেতে হয়েছিল।
এ যেন একপ্রকার নিত্যদিনের ঘটনা। ফের বন্দুকবাজের হামলার (Gunman Attack) মুখে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের (US) ভার্জিনিয়ার চেসাপিকের (Chesapeake) স্যাম সার্কেলে ওয়ালমার্টের এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে (department store) ঢুকে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। জানা গিয়েছে, অতর্কিত এই হামলার জেরে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিসের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছেন বন্দুকধারী, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
চেসাপিক সিটি পুলিস একটি টুইটে বলেছে , "চেসাপিক পুলিস স্যাম সার্কেলের ওয়ালমার্টে অভিযান চালিয়েছে। আর তাতে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বন্দুকবাজের।"
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯১১ নম্বরে কল করার পর ৪০টিরও বেশি জরুরি যান ঘটনাস্থল বুলেভার্ডের ওয়ালমার্ট আউটলেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওয়ালমার্টের ওই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিল বন্দুকবাজ। ঢুকেই গুলি চালাতে শুরু করে সে। ওই স্টোরে কর্মরত নিরাপত্তা আধিকারিক এবং পুলিস কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখেন, স্টোরের মধ্যে থাকা সকলে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়োদৌড়ি শুরু করেছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
BREAKING🚨: A mass shooting has occurred at a Walmart in Chesapeake, Virginia. Video we've obtained from Walmart employees outside the store show multiple police cars arriving and also employees recounting what happened. pic.twitter.com/dB4X4ii9yE
— Officer Lew (@officer_Lew) November 23, 2022
ভার্জিনিয়া রাজ্যের সেনেটর লুইস লুকাস টুইটারে শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, "আমি একেবারেই শোকস্তব্ধ। একের পর এক বন্দুকবাজের হামলায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সকলে। যতক্ষণ না আমরা আমাদের এই হিংসা মহামারী শেষ করার সমাধান খুঁজে পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি শান্ত হব না।"
রাশিয়ার (Russia) স্কুলে বন্দুকবাজের (Gunman Attack) হামলা। নাশকতার এই ঘটনায় কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু। গুলিবিদ্ধ অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ শিশুও (Child Death)। সোমবার মধ্য রাশিয়ার এক শহরের স্কুলে গুলি চালায় এক বন্দুকবাজ। আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার পরেই আত্মঘাতী ওই বন্দুকবাজ। স্থানীয়রা জানান, বন্দুক নিয়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আচমকা স্কুলে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেন। নিহতদের মধ্যে স্কুলের এক রক্ষীও রয়েছেন।
ঠিক কী কারণে এই হামলা স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার পরেই সুরক্ষার স্বার্থে স্কুলটি খালি করে দেওয়া হয়। বন্দুকবাজের পরিচয় এখনও জানা যায়নি, তদন্তে পুলিস।
এদিকে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের মাটিতে রুশ আগ্রাসন অব্যাহত। তবে এই আগ্রাসন থেকে খুব একটা লাভের গুড় ঘরে তোলেনি মস্কো। উলটে একসময় রুশ সেনার দখলে থাকা এমন অনেক শহর ক্রমেই দখলমুক্ত করছে ইউক্রেনীয় সেনা।
তারপরেও ইউক্রেনে নতুন করে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার পর থেকেই রাশিয়ার সাধারণ মানুষের মনে অসন্তোষ তুঙ্গে। রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। যুদ্ধে যেতে অনিচ্ছুকদের জন্য কঠোর পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় নতুন করে চাঞ্চল্য।