ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছে গল্প শোনা, মায়ের বকার হাত থেকে বাঁচতে ঠাকুমার কাছে লুকোনো- এসব বড় হতেই কোথায় যেন একটা হারিয়ে যায়। যে ঠাকুমা-ঠাকুরদার থেকে শৈশবে গল্প শুনে বড় হওয়া, তাঁদের সময় দেওয়াই যেন এখন ভুলে যান নাতি-নাতনিরা। কর্মব্যস্ততার দিনে সবাই যেন সারাক্ষণই ছুটে বেড়াচ্ছে, ফলে তাঁদের প্রিয় মানুষটাকে সময় দেওয়াই হয়ে ওঠে না। কিন্তু এরই মধ্যে এমন এক ভিডিও (Viral Video) সমাজমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইচ্ছা থাকলে সবই করা সম্ভব। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক ঠাকুমার ইচ্ছাপূরণ করতে, তাঁকে খুশি করতে প্যারিস (Paris) নিয়ে গিয়েছেন এক নাতি। আর এই দেখে নেটদুনিয়ায় সেই নাতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা (Netizens)।
জানা গিয়েছে, সেই নাতি ব্রিটেনের এক ডাক্তার, তাঁর নাম উসামা আহমেদ। তিনি তাঁর ঠাকুমাকে জীবনের সেরা মুহূর্ত দিতে তাঁকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন প্যারিস। সেখানে নিয়ে গিয়ে সেখানকার ফ্রেঞ্চ খাবার থেকে শুরু করে সেখানকার বিভিন্ন জায়গা দেখিয়েছেন তাঁর ঠাকুমাকে। সেখানকার আইফেল টাওয়ারও দেখিয়েছেন তাঁকে। এরপর ঠাকুমাকে দেখা গিয়েছে, বাকি পর্যটরদের মতো প্যারিসে শপিং করতে।
খুব কমজনই থাকেন যাঁরা তাঁদের ঠাকুমা-ঠাকুরদার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। আর তাছাড়াও বর্তমান যুগে বেশিরভাগ যুবক-যুবতীদের দেখা যায়, একা বা সোলো ট্রিপে যেতে। ফলে সেখানে উসামাকে তাঁর ঠাকুমার সঙ্গে ঘুরতে যেতে দেখে নেটিজেনরা আবেগঘন হয়ে পড়েছেন। উসামার শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে প্রায় ২০ মিলিয়নের উপরে ভিউ। কমেন্টও এসেছে অগুনতি। কেউ লিখেছেন, 'আপনি সত্যি একজন ভদ্রলোক।' অন্য একজন লিখেছেন, 'এটাই জীবনের সাফল্যের সংজ্ঞা।'
ফের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ খোদ কলকাতা (Kolkata) শহরে। এবার চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধার ( Grandmother )। অভিযোগ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যে ছটা থেকে উত্তর কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে (Hospital ) পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড না থাকার কারণে, রোগীকে রাতভর পড়ে থাকতে হলো হাসপাতালের মাটিতে। সেই চিত্র ধরা পরল সিএন -এর ক্যামেরায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর চব্বিশ পরগনার জ্যাংরার বাসিন্দা, ৪২ বছর বয়সী কৃষ্ণা শীল, বাড়িতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
রোগীর পরিবারের তরফে, ওই সরকারি হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করার পরে মাটিতেই ফেলে রেখে দেয়, এমনই অভিযোগ উঠে আসলো। তাঁদের অভিযোগ বারবার ডাকার পরেও সারা মেলেনি কোনো চিকিৎসকের। রোগীর পরিবার জানান, হাসপাতালে শয্যা খালি থাকা সত্ত্বেও বেড নেই বলে রোগিনীকে ভর্তি করেনি বলে অভিযোগ, ' মুখ্যমন্ত্রী বলে থাকেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা খুবই ভালো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড থাকে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, ' চিকিৎসা পরিষেবা এতটাই ভালো যে রোগীকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে।' প্রশ্ন থাকছে একটাই ? কবে হুঁশ ফিরবে সরকারের ?
ছাদে কাপড় মেলা নিয়ে বচসা। যার জেরে শাশুড়িকে জুতো পেটা করলেন বৌমা। কামড়ে তুলে নেওয়া হয় হাতের মাংসও। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার। এরপরই থানায় দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (police)।
জানা যায়, সোনারপুর থানা এলাকার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা পুতুল দাস। বাড়িতে রয়েছেন ছেলে ও বৌমা। তবে পারিবারিক অশান্তির কারণে পুতুল দেবী তাঁর একটি ঘরে একাই থাকেন নিজের মত। অভিযোগ, বৌমা রুবি দাস নিত্যদিনই অকথ্য ভাষায় কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। তবুও এতদিন সহ্য করেছেন তিনি। তবে এই সহ্যের সীমা ভাঙে বৃহস্পতিবার। সেদিন ছাদে কাপড় মেলাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদ বাঁধে বৌমার। শুরু হয় ফের অকথ্য ভাষায় অপমান। আর এরপরই এমন ঘটনা, যা কল্পনাও করতে পারেননি পুতুল দেবী। অভিযোগ, এক দু কথা থেকে হঠাৎই তাঁর হাতে কামড়ে দেন বৌমা। শুধু তাই নয়, তাঁর পায়ের জুতো খুলে শাশুড়ির মুখে মারতে শুরু করেন। অথচ ঘটনাস্থলে নির্বাক দাঁড়িয়ে ছেলে। ঘটনার পরই শুক্রবার প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে থানার দ্বারস্থ হন অসহায় পুতুল দেবী। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিস।