গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে খুশির খবর। অর্থনীতিতে স্নাতক হলেন সৌরভ কন্যা সানা। ইউসিএল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনেই থাকতেন। কনভোকেশনে যোগ দিতে লন্ডন পাড়ি দেন সৌরভ। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মেয়ের সাফল্যের কথা শেয়ার করলেন মহারাজ।
গত বুধবার সকালে ইংল্যান্ড যান সৌরভ। সানার বিশ্ববিদ্যালয়ে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া মেয়ে ও তাঁর পরিবারের ছবি শেয়ার করেন সৌরভ। লেখেন, "অভিনন্দন সানা, আরও অনেক দূর যাওয়া বাকি।"
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্পেন সফরে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ড থেকেই সরাসরি যোগ দিতে পারেন সেই সফরে।
মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার পরই মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। সূত্রের খবর, কলোরাডোতে (Colorado) মার্কিন বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে ওঠেন। এরপর বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নামতে গিয়েই হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে আসেন সেখানে উপস্থিত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। জানা গিয়েছে, তেমন কোনও চোট লাগেনি তাঁর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলোরাডোতে মার্কিন বায়ুসেনা অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর সেখানে গিয়েই ঘটে এই বিপদ। আচমকা হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। এর আগেও একাধিকবার তাঁর সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারমধ্যেই এমন এক কাণ্ড। তবে জানা গিয়েছে, মঞ্চে রাখা এক ব্যাগের সঙ্গে পা লেগেই তিনি পড়ে যান। ফলে সম্পূর্ণ সুস্থ জো বাইডেন। এমনটাই দাবি হোয়াইট হাউসের।
বাইডেন পড়ে যেতেই পাশের থেকে অনেকে ছুটে এলেও তিনি একাই উঠে যান ও হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন যে, ব্যাগে হোঁচট খেয়েই পড়ে যান তিনি। পরে হোয়াইট হাউসের তরফেও বলা হয়, 'প্রেসিডেন্ট একদম সুস্থ রয়েছেন। আসলে তিনি যখন জনতার দিকে হাত নাড়ছিলেন তখন স্টেজে থাকা একটি ব্যাগ পায়ে জড়িয়ে যায়।'
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সব সরকারি এবং বেসরকারি কলেজগুলিতে (College) চালু হবে চার বছরের স্নাতক (Graduation)। এখবর সামনে আসার পর থেকেই অনেকে বলছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নিয়েছে রাজ্য। কারণ সেখানেও চার বছর স্নাতক কোর্সের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আদৌ কি জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিলমোহর দিয়েছে রাজ্য? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেছেন অন্য কথা। তাঁর কথায়, বিভ্রান্তিমূলক খবর ছড়ানো হচ্ছে। এটা রাজ্য সরকারের পৃথক স্টেট এডুকেশন পলিসি। জাতীয় শিক্ষানীতিকে সরকার যে মেনে নেয়নি, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী টুইটে ৪ বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে লেখেন, " রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি মেনে নিয়েছে, এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে। রাজ্য সরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক স্টেট এডুকেশন পলিসি তৈরি করেছে, যেখানে সমস্ত ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা ভাল ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে। কেন এই সিদ্ধান্ত? ব্রাত্য মনে করেন, ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না হলে রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন না। বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। সেসব দিক ভেবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ বছরের স্নাতকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিন টুইটে, বামেদেরও আক্রমণ করেছেন ব্রাত্য। সেইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতির অনেকগুলো দিক তাঁরা বিরোধিতা করেছেন। রাজ্য শিক্ষানীতিতে গ্রহণ করেননি।
তিন বছরের বদলে চার বছরের স্নাতক (Graduation)। অবশেষে জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর বসিয়ে দিল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। নতুন নিয়মে চার বছর পর সরাসরি গবেষণায় সরাসরি যোগ দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সব সরকারি (Goverment) এবং বেসরকারি কলেজে (College) এই নীতি কার্যকর করা হবে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে তা চালু হবে।
গত ২৪ মে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। তার আগেই বুধবার রাজ্যের কলেজগুলিতে চার বছরের স্নাতকের ঘোষণা করল শিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে অভিন্ন পোর্টালে অবশ্য এই বছর ভর্তি প্রক্রিয়া হবে না। শিক্ষা দফতরের এই ঘোষণায়, কলেজগুলি নিজ নিজ পোর্টালেই ভর্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ও জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে।
প্রসূন গুপ্ত: উচ্চ মাধ্যমিকের পর ছাত্রছাত্রীদের নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ থাকে। আগে এই সুযোগ ছিল না। তখন শুধুই জয়েন্ট দিয়ে হয় ডাক্তারি অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগটুকু থাকতো। পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট কোর্স বলতে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ। কিন্তু যুগ বদলের সঙ্গে গত দু দশকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক বিষয়ে টেকনিকাল কোর্সে নানা সুযোগ এসেছে। বেসরকারি কলেজ হয়েছে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ এসেছে আগ্রহী পড়ুয়াদের। বিশ্বয়ানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে কাজেই ইনস্টিটিউট হয়েছে সেই মোতাবেক।
ইতিমধ্যে কয়েক বছর বিশেষ করে করোনাকালে টেকনিকাল কোর্সের প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যুক্তি ছিল কোর্সের পর চাকরি নেই, কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করেছে, যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি তাদেরই হবে, যারা বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করছে। এটা বাস্তব যে সরকারি চাকরি কমছে এবং আরও কমবে। কারণ বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় এবং একাধিক রাজ্য সরকার।
এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিমানবন্দর, সেল-ভেল ইত্যাদি সরকার হাতে রাখতে চাইছে না। সরকারের যুক্তি, তারা দেশ চালাতে এসেছে, ব্যবসা করতে নয়। বিদেশে একমাত্র সেনাবাহিনী সরকারি, বাকি সব বেসরকারি। এমন উদাহরণ খাড়া করা হচ্ছে। কাজেই দক্ষ মানব সম্পদ পেতে টেকনিকাল কোর্স জরুরি।
এ বছর ফের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কোর্স পড়ার চাহিদা বেড়েছে। রাজ্যের এক প্রথমসারির বেসরকারি কলেজ সূত্রে খবর, এবছর প্রচুর ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে। বহু বিভাগে সিট ভরেছে, ম্যানেজমেন্ট কোর্সেও একই অবস্থা। তাদের যুক্তি, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ভালো থাকলে চাহিদা বাড়বেই। অবশেষে কি বাংলার ছাত্রছাত্রীরাও এখন বুঝতে পারছে যে টেকনিকাল বিষয় পড়তেই হবে।