
তিলোত্তমায় ভরা হেমন্ত তার উপর রবিবার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কার্যত উত্তেজনায় ফুটছে ক্রিকেট বিশ্ব। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের টিকিট খৈয়ের মতো উড়ে গিয়েছে, সঙ্গে চলেছে দেদার কালোবাজারিও। কেউ কেউ খুইয়েছেন কয়েক হাজার টাকা। কালোবাজারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সিএবির ৪টি টিকিট ফেরত দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর এমনটাই।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) তাকে ইডেন গার্ডেন্সের এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের সাম্মানিক টিকিট দিয়েছিল। সেই টিকিটই ফিরিয়ে দেন রাজ্যপাল। বদলে রাজভবনে 'জনতা স্টেডিয়াম' খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপালের নিমন্ত্রনে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন অসুস্থতার পর রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছু প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পরে বৈঠকে। একদিকে যখন রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত সেই সময়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে রুটিন চেকআপ সেরে সোজা রাজ ভবনে এলেন তিনি। রাজভবনে বেশ কিছুক্ষন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দুদিনের বিধান সভা অধিবেশন নিয়েও। আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। ওই অধিবেশনে আসতে চলেছে দুটি গুরুত্বপূর্ন বিল। প্রথম, বিধায়ক দের ভাতা বৃদ্ধি এবং জি এস টি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন কে সম্মতি দেওয়া। এই দুটো বিল নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মহালয়ার বিকেল থেকে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতায়। প্রতিপদের সন্ধ্যায় সেই আবহ দেখতেই শহরে বেড়িয়ে পড়লেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ও দক্ষিণের দুটি জায়গা ঘুরে দেখলেন তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে যান উত্তর কলকাতার কুমারটুলিতে। শেষ বেলার ব্যস্ততার মাঝেই মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। জানতে চান তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। কী ভাবে প্রতিমা তৈরি করা হয়, সেই প্রক্রিয়াও জানতে চান রাজ্যপাল।
তাঁর হাতে একটি লক্ষ্মী-গণেশ উপহার হিসাবে দেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে রাজ্যপালের পরের গন্তব্য হয় দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিন। একসময় এই পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, আরও একদিন তিনি শহরের পুজো দেখতে বেরবেন। মূলত একডালিয়ার মণ্ডপে খানিকক্ষণ কাটিয়ে ফের রাজভবনে ফিরে যান রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য মহালয়ার দিন থেকেই রাজ্যের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারও তিনি নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর এবং বেহালার বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কথামত মঙ্গলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ধরনা নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল।
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘বকেয়া’ আদায়ের দাবি নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ রাজভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি বঞ্চিতরাই লিখেছিলেন বলে দাবি। মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় রাজভবনে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে এসে জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মিনিট ২০ বৈঠক হয় দু পক্ষের মধ্যে। তাতে তৃণমূলের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া টাকা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তাঁদের কথা দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও, রাজভবন যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে অবশ্য ২৪ ঘণ্টার কথা উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যপাল বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবন বিবৃতি দিয়েছে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি ধৈর্য ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের বক্তব্য শুনেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এবং বাংলার মানুষের হিতার্থে যা করণীয়, তা করবেন।
রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা এবং তাঁদের দাবি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ভাল হয়েছে, জানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি তৃণমূলের ৩০ জনের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। চিঠিগুলো দিয়ে এসেছি। বৈঠক ভাল হয়েছে।’’
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই সন্ধ্যার বিমানে দিল্লিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। দীর্ঘ ৫ দিন অভিষেকের ধরনার পর সোমবার বিকেলে মিনিট কুড়ির এই বৈঠকের পরই ফের দিল্লিতে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ সন্ধের বিমানেই দিল্লি যাওয়ার কথা তাঁর। একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে অভিষেকদের সঙ্গে এই বৈঠকের পরই রাজ্যপালের এই দিল্লিযাত্রা আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ২০ মিনিট বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এমন অবস্থায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে আলোচনার পরপরই রাজ্যপাল বোসের ফের দিল্লি যাত্রা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেকরা দাবি তুলেছেন, রাজ্যপাল যাতে তাঁদের ইস্যুগুলি নিয়ে কেন্দ্রের থেকে জানতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ২০ লাখ মানুষকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল কি না এবং যদি কাজ করানো হয়ে থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে বা কোন আইনে কেন্দ্র তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে? এই বিষয়টি যাতে রাজ্যপাল বোসও কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিষেক।
৫ দিন নাছোড়বান্দা হয়ে ধরনা করে, অবশেষে ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসে তৃণমূল ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লি থেকে ফেরার পর আজ অর্থাৎ সোমবারই বিকেল ৪ টের সময় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে বোসের সঙ্গে প্রায় মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় অভিষেকের ও প্রতিনিধি দলের।
এদিকে রাজভবন থেকেও আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও জানানো হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল আজ বিকেলে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের ইস্যুতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যপাল তাঁদের কথা খুব ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল বোস এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনবেন বলেও জানানো হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলার মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে যা যা করণীয়, সেই সব করতে চান রাজ্যপাল বোস।
রাজ্যের বকেয়া ইস্যুতে আজ, সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাতে বাংলার শাসক দলের সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তবে কখন রাজ্যপাল অভিষেককে সময় দেবেন, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি। এদিনই দার্জিলিং থেকে কলকাতায় ফিরেছেন সিভি আনন্দ বোস।
কলকাতায় ফিরে প্রাথমিক ভাবে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজভবনের দরজা সবার জন্য খোলা। ভোর ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি আছেন। যে কেউ চাইলে এসে দেখা করতে পারেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য কেউ আগাম সময় চাননি। রাজভবনের উত্তর গেটে ধরনা দিচ্ছেন অভিষেক। সেই পথ এড়িয়ে দক্ষিণ গেট দিয়েই রাজভবনের অন্দরে চলে যান রাজ্যপাল।
রবিবার দুপুর থেকেই রাজভবনের সামনে থেকে অভিষেকের ধরনা সরানোর জন্য নবান্নের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। কী ভাবে ১৪৪ ধারা এড়িয়ে রাজভবনের গেটের সামনে তৃণমূল নেতা ধরনা দিচ্ছেন, তা নিয়েও নবান্নকে প্রশ্ন করে রাজভবন। কারণ, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রাজভবন চত্বরকে ১৪৪ ধারায় আওতায় আনা হয়েছে।
তা নিয়ে রবিবারই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ধরনার চতুর্থদিনে অভিষেকের অভিযোগ, যখন বিজেপি নেতারা রাজভবনে নালিশ করতে যান, রাজভবনের লন, করিডরে ঘোরাঘুরি করেন, গেটের বাইরে জমায়েত করে সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন তো তাঁর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছু মনে হয় না। তাঁদের ধরনার বেলায় কেন এই প্রশ্ন? তাঁরা মানুষের স্বার্থে রাস্তায় রয়েছেন। এর আগে দার্জিলিঙে তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, বাংলার স্বার্থে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনীতি থাকে, তাহলে তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।
এদিনও কলকাতা ফিরে আনন্দ বোস জানান, মানুষের স্বার্থে তিনিও কাজ করছেন। তাই উত্তরবঙ্গে ছুটি কাটাতে নয়, গিয়েছিলেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
আজই কলকাতা নামছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একদিকে রাজ্যপাল ছিলেন দিল্লি সফরে। অন্যদিকে রাজ্য পালের সঙ্গে দেখা করে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে জনসাধারণের চিঠি তারই হাতে তুলে দেবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সেখানেই অর্থাৎ দিল্লির কৃষি ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে কলকাতার রাজভবন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করে অভিষেক। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কলকাতা অভিযানে নেমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনেই ধরনায় বসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তার হাতে চিঠি তুলে দেবেন বলে।
ওদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করতে দার্জিলিং আসার জন্য অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। এরপর তার আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে তিন প্রতিনিধি সহ একটি দল অর্থাৎ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও দুই সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার এই বৈঠকের পরে আজ অর্থাৎ রবিবারে কলকাতা আসতে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। সূত্রের খবর সন্ধ্যা সাতটা দশ মিনিটে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। এ অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যে সাক্ষাৎ তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা রাজনীতি মহলে।
কলকাতায় ফিরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দার্জিলিঙে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে বকেয়া নিয়ে আলোচনা করতে খুব দ্রুতই কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও রাজনৈতিক বাধা থাকে, তা হলে রাজ্যপাল কিছু করতে পারবেন না বলেও দাবি কল্যাণের।
রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে এদিন দার্জিলিং গিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মহুলা মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৈঠক শেষে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল।
এদিকে, বাহাত্তর ঘণ্টা হল রাজভবনের সামনে ধরনায় বসে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পর পাল্টা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই পরিস্থিতে এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করে, তবেই ধরণা মঞ্চ ছাড়ব, এমনই দাবি অভিষেকের। ওদিকে রাজ্যপাল বোস তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন। কিন্তু কলকাতায় নয় দার্জিলিংয়ে। সূত্রের খবর, শনিবার তৃণমূলকে সময় দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতায় নয়, দার্জিলিংয়ের রাজভবনে দেখা করবেন রাজ্যপাল। সেই বার্তা পাওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের তিন সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে গিয়েই দেখা করবেন। কিন্তু মূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কলকাতা ফিরেই দেখা করতে হবে তাঁকে। তা যতদিন না হচ্ছে, ততদিন ধরনা চলবে।
সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূলের ৩ প্রতিনিধি দল যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার ও কল্যাণ ব্যানার্জী যাচ্ছেন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে। ওদিকে সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগ ছিল দিল্লির কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে। সেখানে আটক করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ অন্যান্য সাংসদদেরও। সূত্রের খবর, শনিবার তিনিও কলকাতায় আসছেন একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে।
শুক্রবার অভিষেক রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আপনি যদি মনে করেন, পুজো কাটিয়ে ফিরবেন, তা হলে পুজোতে আমি একা বসে থাকব। আপনারা শুধু পাশে থাকলেই হবে। যে ৫০ লক্ষ মানুষ চিঠি লিখেছেন, তা কলকাতাতেই আমরা রাজ্যপালের কাছে দেব।'
অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম ধাক্কা খেল রাজ্যপাল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল আর কোনোভাবেই উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা নিতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও।
বিচারপতিরা আরও জানান, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের যা যা আপত্তি রয়েছে, তা পরের শুনানিতে আদালতে জানাতে হবে। পাশাপাশি, সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাখা নিয়ে রাজ্য যে আবেদন করেছিল, তাতে এখনই সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও বোসের মধ্যে সংঘাতের ফলে রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। গত ২১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পর গত ১৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে দিল্লি পুলিসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দিল্লি থেকেই কলকাতার রাজভবন অভিযান ঘোষণা করে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না বলে রাজমহলের সামনেই ধরনায় বসলেন তিনি। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল। সে কারণেই তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের জন্যই তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।
যদিও উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্যপাল বোস তৃণমূলের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কর্মীসহ তৃণমূল উচ্চ নেতৃত্ব রাজভবন অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই এই কর্মসূচির জন্য পথে নামে তৃণমূল। এরপর সেই মিছিল রাজভবনে পৌঁছলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে তিনি সেখানে ধরনায় বসছেন এবং সেখান থেকে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না করে যাবেন না।
একদিকে অভিষেকের রাজভবন অভিযান, অন্যদিকে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে পরিদর্শনে রাজ্যপাল। ফলে এ অবস্থায় অভিষেকের রাজভবনে অভিযানে কোনও রকম প্রভাব পড়বে কিনা উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে এঅবস্থায় রাজ্যপালের দেখা পাবেন কি অভিষেক।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ১০০ দিনের বকেয়া টাকা ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলনে দিল্লিতে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংসদদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির মুখার্জিনগর থানা থেকে ছাড়া পেয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ঘোষণা করে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৪০ জনের একটি দল রাজভবন যাবে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে।
ওদিকে রাজ্যপাল এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে ও সিকিম সংলগ্ন এলাকায় ধস ও বন্যা বিধস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যপালের সঙ্গে কি দেখা মিলবে অভিষেকের! সেটাই প্রশ্ন। যদিও অভিষেক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে জমায়েত হয়ে সেখান থেকেই রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেবেন ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। অভিষেক জানান, ১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, সেই বঞ্চিতদের চিঠি তুলে দেওয়া হবে রাজ্যপালের হাতে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না হলে রাজভবন থেকেই ফিরে ঘোষিত হবে পরবর্তী কর্মসূচি, তেমনটাই জানিয়েছিলেন অভিষেক।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। এমনই আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একমাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। এর ফলে একাধিক জেলায় জল ঢুকছে। পাশাপাশি ডিভিসিও জল ছাড়তে শুরু করেছে। ফলে পুজোর আগে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা সহ আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনিয়ে ইতিমধ্য়ে সোমবারই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছে রাজ্য প্রশাসন।
শুধু বাংলায় নয়, পড়শি রাজ্যেও কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে অতিদ্রুত জল ছাড়তে হচ্ছে ডিভিসিকে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এরপর ফের ডিভিসি জল ছাড়লে নতুন করে ভাসতে পারে বাংলার একাধিক জেলা। ফলে গৃহহীণ হওয়ার আশঙ্কা অসংখ্য মানুষের। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক মাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।