শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের মহাযুদ্ধ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের সকাল থেকেই নির্বাচন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অতি সক্রিয়তা রাজভবনে। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করতে রাজভবনের তরফে চালু করা হয়েছিল পিস রুম। লোকসভা নির্বাচনেও হয়নি তার ব্যাতিক্রম।লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজভবনে চালু হল কন্ট্রোলরুম। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পিসরুম থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেন বঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান স্বয়ং।নির্বাচনের প্রথম দিনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসা এই অশান্তির অভিযোগ শুনে ইলেকশন কমিশনকে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।
নির্বাচনের প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ক্রমশ বাড়াছে উত্তাপ। জমা পড়ছে একের পর এক অভিযোগ। ফোন এবং ই-মেল মারফত বহু অভিযোগ জমা হয়েছে রাজভবনে। ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। কমিশনকে সেই কাজেই সহায়তা করেছে রাজভবনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। কন্ট্রোল রুম থেকে এমনটাই জানালেন সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস।
পোর্টালে জমা হচ্ছে একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগ গ্রহণ করছেন স্বয়ং রাজ্যপাল । তাঁর নির্দেশই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করল সংশ্লিষ্ট দফতর। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলল রাজভবনের কন্ট্রোল রুমে।
লোকসভা নির্বাচনের একদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল হল রাজ্য়পালের। উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করার ঘোষণা করলেন স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানোর জন্যই সফর বাতিল, বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল।
তিনি আরও জানান, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের গতিবিধিতে কেউ বাধা দিতে পারে না। বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর অগ্রাধিকার। তাঁর লক্ষ্য় রাজ্যে সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করা, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। তবে, তিনি কোনওরকম রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াতে চান না। তাই পিস রুমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস রাজ্যপালের।
রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর বিবাদ মঙ্গলবার রাতে দেখেছে দিনহাটাবাসী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। একে অপরের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশ বুধবারও রয়েছে। আজই দুপুরে দিনহাটা পৌঁছবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। তিনি পুলিসের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি নিজেও কোচবিহারে যাচ্ছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে গাড়িতে কোচবিহারের দিনহাটা যাবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপালের দিনহাটা যাওয়া প্রসঙ্গে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি লিখেছে, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় শুনলাম আপনি দিনহাটা আসছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবশ্যই নিয়ে আসবেন। রাজ্যপাল এসে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এমনই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
গতকালের ঘটনায় ৪৫ বিজেপি কর্মী, নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। গতকাল রাতে ঝামেলা মিটলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এলাকায়। পুলিসও ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার এই অভিযোগ করেন উদয়ন গুহ। সমস্ত ঘটনার জন্যই বিজেপিকে দায়ী করল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বিজেপি এলাকায় ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। এমন অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপিও একই অভিযোগ আনছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
ভোট ঘোষণা হয়নি, তার আগেই বঙ্গ সফর করে জনসভা প্রধানমন্ত্রীর। প্রাক্-নির্বাচনী এই জনসভায় পয়লা এবং দোসরা মার্চ আরামবাগ এবং কৃষ্ণনগরে গুচ্ছ কর্মসূচি নরেন্দ্র মোদীর। এবারই প্রথম রাজনৈতিক কাজে বাংলায় রাত্রিবাস প্রধানমন্ত্রীর। পয়লা মার্চ রাজভবনে রাত্রিযাপন করে দোসরা মার্চ কৃষ্ণনগরের জনসভা শেষে রাজ্য ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী। রাজভবনে রাত্রিবাসকালে বিজেপির কোনও প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করবে কি, সেই প্রশ্ন উঠছে। দুই দিনের জনসভায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের কাছে কী বার্তা রাখবেন নরেন্দ্র মোদী, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ওয়াকিবহাল মহল।
রামকৃষ্ণ মিশনের অনুষ্ঠানে এর আগে বাংলায় রাত্রিবাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার রাজনৈতিক কর্মসূচিই পাখির চোখ নরেন্দ্র মোদীর, এমনটাই সূত্রের খবর। বাংলায় যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চলছে, সে আবহে আসতে বাধ্য হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই দাবি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। বাংলার মহিলাদের পাশে থাকতে বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে রাজ্যের প্রচারের জন্য এলো বিশেষ গাড়ি। এই গাড়ি করেই নির্বাচনী রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, পয়লা মার্চেই বঙ্গ বিজেপির জন্য নির্বাচনী রোড ম্যাপ তৈরি করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে বাংলার শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণে কী রণকৌশল বিজেপির, পথ কি বাতলে দেবেন নরেন্দ্র মোদী?
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার একমাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও গ্রেফতার হয়নি মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। কেন এখনও অধরা সন্দেশখালির এই বেতাজ বাদশা? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকদের উপরে হামলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? এমনই সব বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে এবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল, এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ইডি আধিকারিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশও করেছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই সন্দেশখালি কাণ্ড প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। এছাড়াও দিন কয়েক আগেই দিল্লি সফরে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে বাংলার আইন- শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সন্দেশখালির ঘটনা উল্লেখ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এখনও নবান্নের পক্ষ থেকে পেশ করা হয়নি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। আর তাই এবার সন্দেশখালি কাণ্ডের ফের বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের। এখন নবান্নের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চরম ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে দেওয়া হল 'গো ব্যাক' স্লোগান। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে সরব হন TMCP ও AIDSO-এর কর্মী সমর্থকেরা।
বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বহুদিন ধরে আটকে রয়েছে। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় তার দাবি জানান তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিস। একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির পর বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন তাঁরা। যদিও সেই জায়গা থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা। বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে আসেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কনভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন TMCP ও AIDSO-র পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্রনেতা অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড রাজ্যপাল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন।
পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করলেও পুলিসি হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল। পরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান।
শুক্রবার সাতসকালে বেনজির নৈরাজ্য দেখেছে বাংলা। সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে রক্তাক্ত, আক্রান্ত ইডি। মারধর থেকে ভাঙচুর করা হয় সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও। এবার এই ঘটনায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার সকাল ১০টা ১২ মিনিট নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন সুকান্ত। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই সূত্রের খবর।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ইডি আধিকারিকদের উপর হামলায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতারির জন্য রাজ্যের নির্দেশ নেই। মুখ্যমন্ত্রী একসময় পাশে বসিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
এরপরই রোহিঙ্গা যোগের অভিযোগ তুলে NRC লাগুর পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান সুকান্ত।
সন্দেশখালির ঘটনার পরই সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। শনিবার রাজ্য পুলিসের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে রাজভবন। বিষয়টির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান রাজ্যপাল। রাজভবনের পিস রুমেও আসে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল। যা রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজভবন তা বলাই বাহুল্য।
অন্য মেজাজে রাজ্যপাল। ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসী দেখছেন এক অন্যরকম রাজ্যপালকে। যখন যেখানে প্রয়োজন, রাজ্যপাল হাজির হয়েছেন ঘটনাস্থলে। এবার টাটা স্টিলের উদ্যোগে রাজভবনের অনতিদূরে রেড রোডে উদ্বোধন হয় ম্যারাথনের। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে। উদ্বোধন মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল জানান, "ভারত দৌড়চ্ছে, কলকাতা দৌড়চ্ছে, বাংলা দৌড়চ্ছে, দৌড়চ্ছে পুরো পৃথিবী। আমরা সকলে দৌড়চ্ছি একতা, শান্তি,সম্প্রীতির জন্য।” তবে রাজনীতি, খেলাধুলার মধ্যে প্রবেশ করলে গন্ডগোল বাধে, তাই সকলের মধ্যে ‘স্পোর্টসম্যান’ স্পিরিট থাকা প্রয়োজনীয় বলেই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্যপাল এদিন সকালে উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে ধরা দেন একেবারেই অন্য মেজাজে। তিনি যাচ্ছিলেন বলে, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিযোগীদের আটকে দেয়। তবে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল নিজে থেমে যান প্রতিযোগীদের জন্য। বলেন, "প্রতিযোগীরা নয়, আমি থামবো তাদের জন্য।" এরপর প্রতিযোগীদের সঙ্গে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে তাঁকে যেতে দেখা যায় রাজভবনের দিকে।
এর আগেও, মনে আছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে যখন মারামারি, গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়? রাজ্যপাল সশরীরে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। তারপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা হোক কিংবা উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা- সব ক্ষেত্রেই রাজ্যপালকে দেখা গেছে বিপর্যয়গ্রস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। এবার রাজ্যের সর্বোচ্চ নাগরিক হয়েও, ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সাথে একসঙ্গে রাজভবনে ফেরার দৃশ্য চোখে লেগে থাকল রাজ্যবাসীর।
তিলোত্তমায় ভরা হেমন্ত তার উপর রবিবার ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কার্যত উত্তেজনায় ফুটছে ক্রিকেট বিশ্ব। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের টিকিট খৈয়ের মতো উড়ে গিয়েছে, সঙ্গে চলেছে দেদার কালোবাজারিও। কেউ কেউ খুইয়েছেন কয়েক হাজার টাকা। কালোবাজারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সিএবির ৪টি টিকিট ফেরত দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর এমনটাই।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) তাকে ইডেন গার্ডেন্সের এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের সাম্মানিক টিকিট দিয়েছিল। সেই টিকিটই ফিরিয়ে দেন রাজ্যপাল। বদলে রাজভবনে 'জনতা স্টেডিয়াম' খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপালের নিমন্ত্রনে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন অসুস্থতার পর রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছু প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পরে বৈঠকে। একদিকে যখন রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত সেই সময়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে রুটিন চেকআপ সেরে সোজা রাজ ভবনে এলেন তিনি। রাজভবনে বেশ কিছুক্ষন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দুদিনের বিধান সভা অধিবেশন নিয়েও। আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। ওই অধিবেশনে আসতে চলেছে দুটি গুরুত্বপূর্ন বিল। প্রথম, বিধায়ক দের ভাতা বৃদ্ধি এবং জি এস টি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন কে সম্মতি দেওয়া। এই দুটো বিল নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মহালয়ার বিকেল থেকে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতায়। প্রতিপদের সন্ধ্যায় সেই আবহ দেখতেই শহরে বেড়িয়ে পড়লেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ও দক্ষিণের দুটি জায়গা ঘুরে দেখলেন তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি প্রথমে যান উত্তর কলকাতার কুমারটুলিতে। শেষ বেলার ব্যস্ততার মাঝেই মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। জানতে চান তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। কী ভাবে প্রতিমা তৈরি করা হয়, সেই প্রক্রিয়াও জানতে চান রাজ্যপাল।
তাঁর হাতে একটি লক্ষ্মী-গণেশ উপহার হিসাবে দেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে রাজ্যপালের পরের গন্তব্য হয় দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিন। একসময় এই পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, আরও একদিন তিনি শহরের পুজো দেখতে বেরবেন। মূলত একডালিয়ার মণ্ডপে খানিকক্ষণ কাটিয়ে ফের রাজভবনে ফিরে যান রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য মহালয়ার দিন থেকেই রাজ্যের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারও তিনি নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর এবং বেহালার বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কথামত মঙ্গলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ধরনা নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল।
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘বকেয়া’ আদায়ের দাবি নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ রাজভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি বঞ্চিতরাই লিখেছিলেন বলে দাবি। মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় রাজভবনে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে এসে জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মিনিট ২০ বৈঠক হয় দু পক্ষের মধ্যে। তাতে তৃণমূলের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া টাকা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তাঁদের কথা দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও, রাজভবন যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে অবশ্য ২৪ ঘণ্টার কথা উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যপাল বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবন বিবৃতি দিয়েছে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি ধৈর্য ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের বক্তব্য শুনেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এবং বাংলার মানুষের হিতার্থে যা করণীয়, তা করবেন।
রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা এবং তাঁদের দাবি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ভাল হয়েছে, জানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি তৃণমূলের ৩০ জনের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। চিঠিগুলো দিয়ে এসেছি। বৈঠক ভাল হয়েছে।’’
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই সন্ধ্যার বিমানে দিল্লিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। দীর্ঘ ৫ দিন অভিষেকের ধরনার পর সোমবার বিকেলে মিনিট কুড়ির এই বৈঠকের পরই ফের দিল্লিতে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ সন্ধের বিমানেই দিল্লি যাওয়ার কথা তাঁর। একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে অভিষেকদের সঙ্গে এই বৈঠকের পরই রাজ্যপালের এই দিল্লিযাত্রা আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ২০ মিনিট বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এমন অবস্থায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে আলোচনার পরপরই রাজ্যপাল বোসের ফের দিল্লি যাত্রা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেকরা দাবি তুলেছেন, রাজ্যপাল যাতে তাঁদের ইস্যুগুলি নিয়ে কেন্দ্রের থেকে জানতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ২০ লাখ মানুষকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল কি না এবং যদি কাজ করানো হয়ে থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে বা কোন আইনে কেন্দ্র তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে? এই বিষয়টি যাতে রাজ্যপাল বোসও কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিষেক।
৫ দিন নাছোড়বান্দা হয়ে ধরনা করে, অবশেষে ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসে তৃণমূল ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লি থেকে ফেরার পর আজ অর্থাৎ সোমবারই বিকেল ৪ টের সময় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে বোসের সঙ্গে প্রায় মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় অভিষেকের ও প্রতিনিধি দলের।
এদিকে রাজভবন থেকেও আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও জানানো হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল আজ বিকেলে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের ইস্যুতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যপাল তাঁদের কথা খুব ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল বোস এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনবেন বলেও জানানো হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলার মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে যা যা করণীয়, সেই সব করতে চান রাজ্যপাল বোস।