জয়নগর, আমডাঙার পর এবার গোসাবা (Gosaba)। রাস্তা নিম্নমানের হওয়ায় প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় লোহার রড দিয়ে মেরে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের রাধানগর এলাকার। পরিবারের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন। জানা গিয়েছে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাকিবুল মোল্লা, আজিজুল মোল্লা, আহম্মদ মোল্লা। মোট ১৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। মূল অভিযুক্তরা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় গ্রেফতার না করায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাধানগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল বুথ সভাপতির নাম মুছাকলি মোল্লা। পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার এবং যে পরিমাণ ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল, তা না দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় মুছা আলিকে। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে গোসাবা হাসপাতালে ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। তৃণমূল বুথ সভাপতি খুনে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিস ও তাদের আজই আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়কের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তার জেরেই এই খুন বলে দাবি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাকিবুল মোল্লা, আজিজুল মোল্লা, আহম্মদ মোল্লা। এরা তিন ভাই। মূল অভিযুক্ত বাকিবুল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ। তার নেতৃত্বেই মুছাকালি মোল্লার ওপর হামলা করা হয়েছে ও বেধড়ক মারধর করে খুন করা হয়েছে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি প্রাক্তন বিধায়কের। এমনকি তাঁর নির্দেশেই অভিযুক্তদের ধরছে না পুলিস। এমন অভিযোগ এলাকার প্রাক্তন প্রধানের।
তিন মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে (Kalbaisakhi Storm) লণ্ডভণ্ড গোসাবার (Gosaba) দয়াপুর গ্রাম। কালবৈশাখীর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাড়িঘর, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টির বেশি বাড়ি। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। উড়ে গিয়েছে খড়ের ছাউনি, অ্যাসবেস্টর। নষ্ট পড়ুয়াদের পাঠ্যবই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পাঠ্যবই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কীভাবে পরীক্ষায় বসবে তারা, সেই উদ্বেগ স্থানীয়দের মনে। ব্লক প্রশাসনের (Block Administration) আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
একইভাবে নববর্ষের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড ফাঁসিদেওয়ার চটহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হেলাগছ এলাকা। বৃষ্টি-ঝড়ের কবলে উপড়ে পড়ল গাছ। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা। সঙ্গে গাছ পড়ে বিপদজনক অবস্থায় এক বাড়ি। বাড়ির উপর গাছ পড়ায় আটকে পড়েন ঘরের বাসিন্দারা। কার্যত প্রাণের ঝুঁকিতে রাত কাটাতে হয় পরিবারের সদস্যদের। এক স্থানীয় বলেন, 'ভোররাতে গাছ ভেঙে একজন আহত হয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা এসে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।'
রাস্তার বেহাল দশা। প্রতিনিয়ত ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। ভোগান্তির মুখে এলাকাবাসী। তবে এই ঘটনার কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও মিলছে না সুরাহা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বিধানসভার অন্তর্গত মসজিদবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত নীলকন্ঠ মোড় থেকে বড় কাছড়ি মন্দির পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন হলেও রাস্তা সংস্কারের দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩ বছর ধরেই রাস্তাটি এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে। এমনকি সামনেই বড়োকাছারির মন্দির এখন পশ্চিমবঙ্গের দর্শনীয় স্থান হয়ে পড়েছে। এমনকি চৈত্রে ২৭-৩০ তারিখ পর্যন্ত লক্ষাধিক সমাগম হয় এই রাস্তার উপর দিয়েই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হয়। কেন্দ্র সরকারের গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের সময়ই এই রাস্তাটি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এই রাস্তাটি কেন সংস্করণ করা হচ্ছে না তা জানা নেই। তবে তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি যাতে তাড়াতাড়ি আনা হয়।
পারিবারিক বিবাদের জেরে কেরোসিন তেল ঢেলে মাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা (Gosaba) থানার বিরাজনগর কলোনি পাড়ায়। মৃত (death) ঐ মহিলার নাম সাবিত্রী বিশ্বাস।
স্থানীয়রা ও মৃত ওই মহিলা আত্মীয়রা জানিয়েছে, মৃতার স্বামী সুকুমার বিশ্বাসকে গ্রামবাসীরা বিগত বছর দশেক গ্রামে প্রবেশ নিষেধ করেছে। মূলত, চরিত্র খারাপ থাকায় সুকুমার বাবুকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হত না। তবে প্রায়দিনই ছেলে ভোলা বিশ্বাসের সঙ্গে তার মায়ের অশান্তি লেগে থাকত। শনিবার সন্ধ্যায় সেই অত্যাচার চরমে ওঠে। ঘটে যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অভিযোগ, প্রথমে মারধর ও মৃত্যু নিশ্চিত করতে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্ত ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। অন্যদিকে, ছেলে ভোলা বিশ্বাস ও তার ঠাকুমা মৃত সাবিত্রী বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে প্রায়ই নির্যাতন করত বলেও অভিযোগ তাঁদের।
শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোসাবা থানার পুলিস (police)। পুলিস দেহটিকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ছেলে ভোলা বিশ্বাসকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। তবে ঘটনার পর গোসাবা থানায় কোনওরকম লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেও পুলিস সূত্রে খবর। তদন্তে নেমেছে পুলিস।