তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি যে ফুটবল ভালবাসেন সে কথা সকলেরই জানা। কিন্তু এবার গল্ফের মাঠেও সমান পারদর্শিতা দেখালেন মাহি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গল্ফ খেললেন তিনি। যে ফুটেজ ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাহিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গল্ফ খেলার জন্য। নিউ ইয়র্ক লাগোয়া নিউ জার্সি ট্রাম্প ন্যাশনাল গল্ফ কোর্স বেডমিনিস্টারে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই দুই ব্যক্তিত্ব মুখোমুখি হয়েছিলেন।
ধোনির বন্ধু ব্যবসায়ী হিতেশ সাংভি সেই বিশেষ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজের চিরাচরিত মাগা টুপি পরে ট্রাম্প, অন্যদিকে নয়া লুকে ধোনি হাতে রয়েছে স্টিক। দুজনে মিলে খেলছেন। এমনকি ধোনির টেকনিকের ওপর কড়া নজর রাখতেও দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে।
রক্ষকই কি ভক্ষক? এখন এই প্রশ্ন শহর কলকাতার বাসিন্দাদের মনে। কারণ, ইতিমধ্যেই গল্ফগ্রিন থানার আজাদগড়ে (Golf Green) এক যুবকের রহস্যমৃত্যতে উঠে আসছে পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। পুলিসের মারেই মৃত্যু (death) হয়েছে যুবকের অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, গত রবিবার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিস (kolkata police)। তবে এবার এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, ১৭ নম্বর কলাবাগান লেনের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতেই মূলত নিয়ে আসা হয়েছিল মৃত দীপঙ্করকে। দীপঙ্করের দাদা রাজীবের অভিযোগ, গত ৩১ তারিখ তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে এই পরিত্যক্ত বাড়িতেই রাখা হয়েছিল এবং এই বাড়িতেই মারধর করা হয় ভাইকে।
অন্যদিকে এই পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায় একাধিক নেশার সরঞ্জাম। প্রতিবেশি ও স্থানীয়দের বক্তব্য, এই বাড়ি ভূতবাড়ি বলে এলাকায় পরিচিত। এখানে সন্ধ্যার পরই নামে নেশার আসর। শুধু তাই নয়, মাঝে মধ্যেই পুলিস কর্মীদেরও আনাগোনা হয় এই বাড়িতে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, পুলিসের মদতেই কি এই বাড়িতে মারা হয় দীপঙ্করকে? পুলিসের মদতেই কি এখানে সন্ধ্যার পর বসে নেশার আসর? এই ঘটনায় স্থানীয়দের এমন বক্তব্যে কিছুটা হলেও সন্দেহ বাড়াচ্ছে।
পাশাপাশি সোমবার এই বাড়িতে আসে ফরেন্সিক টিম। যারা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। এই গোটা ঘটনার তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দা অফিসাররা। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে।