পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসাওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত গোল্ডি ব্রার (Goldy Brar)। আবার বলিউড অভিনেতা সলমান খানকে হুমকি দেওয়ার পিছনের মূলচক্রী এই গোল্ডি ব্রার। এবারে এই গ্য়াংস্টারকে 'জঙ্গি' তকমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন বছরের শুরুতেই, সোমবার এই বিষয়ে নোটিস জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোল্ডি ব্রার নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যুক্ত।
জানা গিয়েছে, ভারতবিরোধী কাজের সঙ্গে একাধিকবার জড়িয়েছে বব্বর খালসার নাম। আর এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্যাংস্টারকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পরেই আলোচনায় উঠে এসেছিল গোল্ডি ব্রারের নাম। কানাডানিবাসী গ্যাংস্টারের মদতেই মুসেওয়ালাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। তার পরে নিজেই এই খুনের দায় স্বীকার করে গোল্ডি ব্রার। এর পর সলমান খানকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এবারে তাকেই জঙ্গি তকমা দিল কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি একটি সংস্থার মদতে খুন, হুমকি ফোন, অস্ত্র পাচারের মতো একাধিক অপরাধ করেছে গোল্ডি ব্রার। এছাড়া পঞ্জাবে অশান্তি ছড়ানো, নাশকতা-সহ দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে গোল্ডি ব্রারের নাম রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে খলিস্তানি নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিস, জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট সমস্ত কিছু জারি করা হলেও এখনও পাকড়াও করা যায়নি গোল্ডি ব্রারকে।
গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose wala) হত্যাকাণ্ডে (Murder Case) জড়িত মূলচক্রী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে (Gangster Goldy Brar) আটক করা হয়েছে বলে সম্প্রতি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান দাবি করেছিলেন। গোল্ডিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করা হয়। তবে এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন কোনও ঘোষণা করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বলার পর থেকেই খবরটি নিয়ে বেশ হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এসবের মধ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর থেকেই নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ভগবন্ত মানকে।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে গ্যাংস্টার গোল্ডিকে। গোল্ডি দাবি করেন, তিনি আটক হননি। এছাড়া তিনি আমেরিকাতেও নেই। ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, তাহলে কী করে এত বড় ভুল খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি ভিডিওটি সত্যি?
কিছুদিন আগে খবরে এসছিল, ক্যালিফোর্নিয়া সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এবং পঞ্জাব পুলিসের কাছে গোল্ডিকে আ়টক করার বিষয়টি জানিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সূত্রের তরফে এও জানা গিয়েছে, গোল্ডিকে শীঘ্রই ভারতে আনা হতে পারে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল পঞ্জাব পুলিস। পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল সিধু খুনে অভিযুক্ত দুই গ্যাংস্টার রূপা এবং মুন্না কুসার। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পঞ্জাব পুলিস খবর পেয়েছিল অমৃতসরের আটারিতে চিচা ভাকনা গ্রামে আত্মগোপন করে রয়েছে এই দুই অভিযুক্ত।
গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূলচক্রী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে আটক করা হয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর। গোল্ডিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করা হয়। তবে এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন এখনও কোনও ঘোষণা করেনি। ভারত সরকারও পক্ষ থেকেও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নেই।
যদিও সূত্রের খবর, ক্যালিফোর্নিয়া সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এবং পঞ্জাব পুলিসের কাছে গোল্ডিকে আ়টক করার বিষয়টি জানিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সূত্রের তরফে এও জানা গিয়েছে, গোল্ডিকে শীঘ্রই ভারতে আনা হতে পারে।
কয়েক মাস আগে সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল পঞ্জাব পুলিস। পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল সিধু খুনে অভিযুক্ত দুই গ্যাংস্টার রূপা এবং মুন্না কুসার। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পঞ্জাব পুলিস খবর পেয়েছিল অমৃতসরের আটারিতে চিচা ভাকনা গ্রামে আত্মগোপন করে রয়েছে এই দুই অভিযুক্ত।
সেই খবর পেয়ে বুধবার কাকভোরে ওই গ্রামে পৌঁছয় পঞ্জাব পুলিস। দুষ্কৃতী দমন শাখার একটি দল গোটা গ্রাম ঘিরে তল্লাশি শুরু করে। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই গ্যাংস্টার গুলি চালালে পাল্টা জবাব দেয় পুলিসও। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির সংঘর্ষ হয়।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই গ্যাংস্টারের। এই এনকাউন্টারের পর পুলিস জানিয়েছে, মুন্না কুসাই মুসেওয়ালার উপর একে-৪৭ নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। মুসেওয়ালার খুনের পর থেকেই লুকিয়ে বেড়াচ্ছিল এই দুই গ্যাংস্টার। আরও এক গ্যাংস্টার দীপক মান্ডি এখনও পলাতক।
এছাড়া তদন্তে জানা গিয়েছে, সিধু খুনে ১ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রত্যেক শার্প শ্যুটার পেয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা করে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মুসেওয়ালা নিজের গানে যে সমস্ত বিদেশি অস্ত্রশস্ত্রের কথা উল্লেখ করতেন, তাঁকে খুনের ঘটনাতেও সেই অস্ত্রগুলোই ব্যবহার করা হয়েছিল। ২৯ মে এই হত্যাকাণ্ডের একসপ্তাহ আগে থেকেই শার্প শ্যুটাররা পঞ্জাবের মানসার কাছে একটি খামার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। খুনের অস্ত্র ঠিকমতো চলছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হয় ওই খামার বাড়িতে।
তদন্তে নেমে পুলিস আরও জানতে পেরেছিল, খুনের সঙ্গে জড়িত কানাডায় আশ্রয় নেওয়া পলাতক গ্যাংস্টার গোল্ডি এবং তিহার জেলে বন্দি তার সহযোগী গ্যাংস্টার লরেন্স। এখন সেই গোল্ডি ব্রারও আটক। তবে সরকারি ঘোষণার আগে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।