রাতের অন্ধকারে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। বাজেয়াপ্ত লক্ষাধিক টাকার গহনা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপারা এলাকায়। ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী মহল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জিপারা বাজারের এক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ভিন রাজ্যের দুই বাসিন্দাকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
পাশাপাশি ধৃতদেরও জেরা করে বাকি দুষ্কৃতিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গহনা উদ্ধার করেছে পুলিস। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাঁর দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার রুপার গহনা সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এই ধরনের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি বিভিন্ন মহলের।
চুরির অভিনব কায়দা। ভুয়ো পুলিসের পরিচয় দিয়ে সোনার দোকানে হানা। সোনার দোকান থেকে সোনার জিনিস নিয়ে পালাল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্য়ায় দাসপুর বাজারে অবস্থিত একটি সোনার দোকানে ভুয়ো পুলিসি পরিচয়ে হাজির হয়েছিলেন এক ব্য়ক্তি। সোনার দোকানে ঢুকে অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তি জানায় তাকে নাকি থানা থেকে বড়বাবু উপহার হিসেবে সোনার জিনিস কিনতে পাঠিয়েছে। এই কথা শুনে দোকান মালিক ওই ব্যক্তিকে দুটি সোনার আংটি দেয় আর সেই আংটি নিয়ে চম্পট দেয় সেই ব্যক্তি এমনটাই অভিযোগ দোকান মালিকের।
এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দোকানের মালিক নিজের বিশ্বাসে স্বর্ণ দিয়েছেন। সোনার দোকানে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর জানতে পেরেছেন কোনও পুলিস দোকানে যায়নি। উনি যাকে স্বর্ণ দিয়েছেন সে পুলিসের কেউ নয়। তবু পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখছেন।
পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসাওয়ালা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত গোল্ডি ব্রার (Goldy Brar)। আবার বলিউড অভিনেতা সলমান খানকে হুমকি দেওয়ার পিছনের মূলচক্রী এই গোল্ডি ব্রার। এবারে এই গ্য়াংস্টারকে 'জঙ্গি' তকমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন বছরের শুরুতেই, সোমবার এই বিষয়ে নোটিস জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোল্ডি ব্রার নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যুক্ত।
জানা গিয়েছে, ভারতবিরোধী কাজের সঙ্গে একাধিকবার জড়িয়েছে বব্বর খালসার নাম। আর এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্যাংস্টারকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পরেই আলোচনায় উঠে এসেছিল গোল্ডি ব্রারের নাম। কানাডানিবাসী গ্যাংস্টারের মদতেই মুসেওয়ালাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। তার পরে নিজেই এই খুনের দায় স্বীকার করে গোল্ডি ব্রার। এর পর সলমান খানকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এবারে তাকেই জঙ্গি তকমা দিল কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি একটি সংস্থার মদতে খুন, হুমকি ফোন, অস্ত্র পাচারের মতো একাধিক অপরাধ করেছে গোল্ডি ব্রার। এছাড়া পঞ্জাবে অশান্তি ছড়ানো, নাশকতা-সহ দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে গোল্ডি ব্রারের নাম রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে খলিস্তানি নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিস, জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট সমস্ত কিছু জারি করা হলেও এখনও পাকড়াও করা যায়নি গোল্ডি ব্রারকে।
বড়দিনে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। পুরুলিয়া, নদিয়ার পর এবার মালদহের সোনার দোকানে হানা দিল দুষ্কৃতীরা। চাঁচলের ব্যস্ততম নেতাজি মোড়ে স্বর্ণ বিপনীতে দুঃসাহসিক এই ডাকাতির ঘটনায় উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী। ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ অন্যান্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, স্বর্ণ বিপনীতে থাকা দুই জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে চাঁচল থানায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ডাকাতির সঙ্গে যোগ থাকতে পারে বিহার ও উত্তর দিনাজপুর এলাকার দুষ্কৃতীদের। পাশপাশি, ডাকাতি করে পালানোর সময় ডাকাত দল চাঁচল মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দফতর ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে পালিয়েছে। এছাড়াও চাঁচল শহরের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি। কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো। এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি কন্ট্রোল করা হয় চাঁচল থানা থেকে।
এছাড়াও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দিন সাতেক আগে চাঁচলের স্বরুপগঞ্জ মায়া পুর বিহার সীমান্ত এলাকায় নয়জনের ডাকাত দলকে পুলিস গ্রেফতার করে। যদিও সেই ডাকাত দলের সঙ্গে কি এই ডাকাতির কোন যোগ থাকতে পারে? যাদেরকে ডাকাতের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তারা আদৌ কি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত? থাকছে একাধিক প্রশ্ন।
ফের রাজ্যে দুঃসাহসিক ডাকাতি। নোদাখালিতে ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে হানা দিল ডাকাতের দল। গায়েব সোনা রুপো ও নগদ বেশ কিছু টাকা। ক্রেতার সাজে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাটের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানায় এলাকার আলমপুর হাই রোডে সোনার দোকানে ঘটে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাইকে করে তিন যুবক সোনার দোকানে ঢোকে। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা-পয়সা সহ সোনার গহনা সবকিছু অবাধে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। তারপর ঘটনাস্থল থেকে বাইক নিয়ে চম্পট দেন ওই তিন অভিযুক্ত।
এরপর খবর দেওয়া হয় বিড়লাপুর তদন্ত কেন্দ্রে ও নোদাখালি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। ইতিমধ্যেই ওই সোনার দোকানের মালিক দীপক সামন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নোদাখালি থানার পুলিস।
রাম সীতা খোদাই করা নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়ল তিন ব্যক্তি। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের মুক্তারপুর এলাকার। তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ত্রিশটির বেশি নকল সোনার কয়েন। জানা গিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে তারকেশ্বরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েন বিক্রি করছিল ওই তিন ব্যক্তি। সবাইকে এই বলে বিক্রি করছিল যে তারা মাঠে কাজ করতে গিয়ে এই কয়েন কুড়িয়ে পেয়েছে তাই যা দাম দেবেন সেটাই নেবো। এরপর স্থানীযদের নজরে আসতেই ওই তিন ব্যক্তিকে গিয়ে পাকড়াও করে। তারপর নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে আসা তিন ব্যক্তি স্বীকার করেছে যে, তারা এই কয়েন শিয়ালদহ থেকে কুড়ি পঁচিশ টাকায় কিনে বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে তারকেশ্বর থানার পুলিস গিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর এলাকায় পূর্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বহুবার। যারফলে বহু মানুষ নকল সোনার কয়েন কিনে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখছে পুলিস।
দুঃসাহসিক ডাকাতির সঙ্গে বাড়ির বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় চারু মার্কেট থানা এলাকার কেপি রায় লেনে চাঞ্চল্য। শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় লুট গয়না। শনির সন্ধ্যায় বৃদ্ধা মিতা সাহাকে ফ্ল্যাটে একা পেয়ে হানা দেয় বাড়ির গাড়ির চালক। জল খাওয়ার অছিলায় ২৪/১ কে পি রায় লেনে ফ্ল্যাটে ঢুকে হামলা ওই বৃ্দ্ধার উপর। সিএন-কে আতঙ্কিত ওই বৃদ্ধা জানান, জল দেবো বলে অভিযুক্তকে আমি ঘরে ঢুকিয়ে বসতে বলি। আমি জল-বিস্কুট আনতে গিয়ে দেখি ও আমার এই ঘর ওই ঘর ঘুরছে। ঠাকুর ঘরে গিয়ে নমস্কার করে। ঠাকুরের গায়ে গয়নার দিকেই ওর নজর ছিল অভিযোগ বৃদ্ধার। গায়ের সব গয়না খোয়া গিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় দশ ভরি সোনা লুট হয়েছে বলেই অভিযোগ বৃদ্ধার। নগদ খোয়া গিয়েছে কিনা, স্পষ্ট করতে পারলেন না আক্রান্ত মিতাদেবী।
পাশের ফ্ল্যাটের একজন সব শুনতে পেয়ে মিতাদেবীকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, পরে পুলিস গ্রেফতারও করে সেই গাড়ি চালককে। এখন প্রশ্ন উঠছে শহরের প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে নাগেরবাজারে বাগানবাড়িতে একাকী বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছিল, বৃদ্ধের গাড়ির চালকই এই ঘটনায় অভিযুক্ত। দীঘা থেকে ফেরার পথে গ্রেফতারও করা হয় অভিযুক্তকে। নিমতা থানা এবং নাগেরবাজার থানা এলাকাতেও প্রবীণ নাগরিকদের একা পেয়ে ঘটেছে হামলার ঘটনা। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেট এলাকায় হওয়া এই দুই পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত একই ব্যক্তি। কিন্তু এতকিছুর পরেও প্রশ্ন উঠছে, কতটা সুরক্ষিত তিলোত্তমার প্রবীণ নাগরিকরা।
দেখতে দেখতে কেটে গেল পুজোর চারটে দিন। কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন উমা। চারিদিকে বিষাদের সুর। তবে উৎসবের মরশুম এখনও অনেক বাকি। সামনেই রয়েছে লক্ষ্মী পুজো, ধনতেরাস, কালী পুজো। ধনতেরাস মানেই সোনা-রুপো কেনা। যা অত্য়ন্ত শুভ বলে মানা হয়। আপনারও যদি ধনতেরাসের আগে বা উৎসবের মরশুমের মাঝে গহনা কেনার পরিকল্পনা থাকে, তবে আজ সোনা-রুপোর দর কত রয়েছে, তা জেনে নিন।
গত মে মাসে হলমার্ক সোনার গয়নার ক্ষেত্রে ২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা। যা এখন ঘোরাফেরা করছে ৫৮ হাজার থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। ২২ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম সোনার দাম, একাদশীতে রয়েছে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা। মঙ্গলবারের তুলনায় ১০০০ টাকা দাম বেড়েছে। বুধবার ২৪ ক্যারেটের ১০০ গ্রাম সোনার দাম ৬ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। মঙ্গলবারের তুলনায় ১১০০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার পর থেকেই মূল্যবান সোনালি ধাতুর দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। যুদ্ধের জেরেই বাড়ছে সোনার দাম বলে মনে করছেন সকলে।
সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়ার ছয়দিনের মাথায় ঘটনার কিনারা করল পুলিস। ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৩ই অক্টোবর। উদ্ধার করা হয়েছে সোনা ও রুপোর গহনা এবং নগদ টাকা। গ্রেফতার পাঁচ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সহ মোট ছয় জন।
শুক্রবার বারুইপুর পুলিস সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, সোনারপুরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ দুষ্কৃতীকে। তাদেরকে জেরা করে কুলতলির মহিষমারি এলাকা থেকে সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়া অভিযুক্ত এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও সোনারপুর থানার পুলিস। ধৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম বিদ্যুৎ।
সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে প্রথমে একটি বাইক চিহ্নিত করে পুলিস এবং পরে ওই বাইক চিহ্নিত করে ডাকাত দলকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিস। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট রাউন্ড তাজা কার্তুজ। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপোর গহনা সহ নগদ ৩০ হাজার টাকা।
ফের সোনার দোকানে ডাকাতি। দোকানের শাটার ভেঙে সোনা-গয়না চুরি করে চম্পট দেয় এক দুষ্কৃতীর দল। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার দারিয়াপুর এলাকায়। পুজোর আগে এই ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক বিপদের মুখে পড়লেন সোনা ব্য়বসায়ী।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরবেলায় সাত জনের একটি ডাকাতের দল সোনার দোকানের শাটার ভেঙে ডাকাতি করছিল। সেই সময় সোনার দোকানের আলো জ্বলছিল। আলো দেখে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দোকানের দিকে এগিয়ে গেলেই তাঁদেরকে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই ডাকাতের দল। তাঁদের মাথায় বন্দুক পর্যন্ত ঠেকায় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হাত-পা বেঁধে পাশের একটি জায়গায় ফেলে দিয়ে লুটপাট করে চম্পট দেয় ডাকাতের দল।
এরপর দোকানের কর্মচারীরা এসে দেখে দোকানে শাটার অর্ধেক ভাঙা। ভিতরের সব জিনসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সমস্ত সোনা, গহনা কিছু নেই। এমনকি ক্যামেরা ভেঙে হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীর দল। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। এই বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরনো এই দারিয়াপুর বাজার। এই প্রথম এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে আরও বিপদের মুখে পড়তে হবে ব্য়বসায়ীদের।
চিনের এশিয়ান গেমসে নাটকীয় সোনা জয় ভারতের। পুরুষদের কবাডিতে ইরানকে হারিয়ে সোনা জিতলেন ভারতীয়রা। এই ম্যাচ ঘিরে এশিয়াডের মঞ্চে নতুন বিতর্ক উসকে উঠেছিল।
এশিয়ান গেমসে জ্যাভলিনের মঞ্চেও বিবাদে জড়ায় ভারত। শনিবার কবাডির ফাইনালেও নিয়ম পরিবর্তনকে ঘিরে চূড়ান্ত নাটক। দীর্ঘ সময় ধরে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না আম্পায়ার ও রেফারিরা। দুই দলই এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। হস্তক্ষেপ করেন এশীয় কবাডি সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল। কিন্তু তার পরেও সমস্যা মেটেনি। খেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার ইরানের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ভারত। নতুন নিয়মে ভারতকে ৩ পয়েন্ট দেওয়া হয়। ইরান পায় ১ পয়েন্ট। এরপরই ইরানের প্লেয়াররা প্রতিবাদ করেন। এরপরই স্থগিত হয়ে যায় খেলা।
চলতি বছর এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) আবারও ভারতের মুখ উজ্জ্বল হল। ভারতকে সোনা এনে দিল পারুল চৌধরী (Parul Chaudhary)। হাংঝৌ-তে মহিলাদের ৫০০০ মিটার দৌড়ে সোনা এনে দিলেন তিনি। এর আগে ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে ভারতকে রুপো এনে দিয়েছিলেন তিনি। এবার ছিনিয়ে নিলেন সোনা। শুধু তাই নয়, ভারতের জন্য নয়া রেকর্ডও গড়লেন। এর আগে ৫ হাজার মিটার দৌড়ে সোনা ছিল না ভারতের কাছে। এই জয় ঐতিহাসিক মাইলস্টোন তো বটেই।
১০টি ল্যাপের এই রেসে চতুর্থ স্থানে ছিলেন পারুল। রেসের প্রথম দিকে মনে হয়েছিল চলতি বছর এশিয়ান গেমসের দৌড়ে ভারতকে রুপোতেই খুশি থাকতে হবে। কিন্তু যত সময় এগোতে থাকে প্ৰতিদ্বন্দ্বিদের ফেলে ক্রমশ ব্যবধান কমতে থাকে। রুদ্ধশ্বাস কয়েক মিনিট পেরিয়ে জাপানের রিরিকা হিরোনাকাকে পিছনে ফেলে জয়ের হাসি হাসে ভারতের সোনার মেয়ে।
চলতি বছর এশিয়ান গেমসে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৬৭টি মেডেল এসেছে ভারতের ঘরে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি সোনা, ২৬টি রূপো এবং ২৮টি ব্রোঞ্জ। এই অর্জন নিঃসন্দেহে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করছে।
শুটিংয়ে ফের সোনা ভারতের। ৫০ মিটার ট্র্যাপে দলগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন পৃথ্বীরাজ তোন্ডাইমান, কাইনান চেনাই ও জোরাভার সিং। তাঁদের স্কোর ছিল ৩৬১। ছেলেদের টিম সোনা জয়ের পাশাপাশি মেয়েদের টিমও ট্র্যাপ ইভেন্টে রুপো জিতেছে। রাজেশ্বরী কুমারী, মণীশা কির ও প্রীতি রাজকের স্কোর ছিল ৩৩৭। এই ম্যাচেও সোনার পদকের জন্য প্রত্যাশা করেছিল ভারত।
রবিবার সকালে অল্পের জন্য সোনার পদক মিস করেছেন গলফার অদিতি অশোক। এবার ৫০ মিটার ট্র্যাপে দলগত ইভেন্টে সোনা ও রুপো পুরুষ ও মহিলা টিমের। রবিবার ইতিমধ্যেই তিনটি পদক এল দেশে। দিনের শেষে কতগুলি পদক আসে, তার দিকে তাকিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীরা।
দলগত ইভেন্ট ছাড়াও ব্যক্তিগত ইভেন্টেও শুটিংয়ে পদক। কাইনান দারিউস চেনাই ছেলেদের ৫০ মিটার ট্র্যাপ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন।
এদিন ৫০ মিটার ট্র্যাপে ছেলেদের ফাইনালে প্রথম ৬ জনের মধ্যে ছিলেন দুই ভারতীয়। চেনাই ছাড়াও লড়াইয়ে ছিলেন জোরাভার সিং। প্রথম পাঁচ রাউন্ডের পরই তিনে উঠে আসেন চেনাই দারিউস। শীর্ষে ছিলেন কুয়েতের তালাই আল রশিদি। দুই নম্বরে ছিলেন চিনের কুই ইয়িং। এরপরই ব্রোঞ্জ জিতে নেন চেনাই।
শখ করে সোনার ঠাকুর কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতারকের ফাঁদে পড়ে গুরুতর আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়৷ আক্রান্তের নাম অসীম হাওলাদার৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার বানীপুর এলাকার বাসিন্দা৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুলতলি থানার পুলিস৷ উদ্ধার করে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হওযায় তাঁকে কলকাতাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুলতলি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সোনার ঠাকুর বিক্রির নামে একাধিক প্রতারণা চক্র সক্রিয় হচ্ছিল৷ অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন দিনের পর দিন৷ গত মাসেই একটি প্রতারণা চক্রকে হাতেনাতে ধরে কুলতলি থানার পুলিস৷ এদিন ফের একই ঘটনা ঘটায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ পুলিস ও প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বাসিন্দা অসীম হাওলাদারের সঙ্গে কুলতলির জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা আরিফ শেখের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়৷ আরিফ শেখ সোনার ঠাকুর কেনার জন্য টোপ দেন। কয়েকদিন আগে কুলতলিতে এসে সোনার ঠাকুর দেখেও যান অসীম বাবু৷ শনিবার তা কেনার কথা ছিল৷ সেইমত শনিবার বিকেলে ব্যাগে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তিনি কুলতলিতে আসেন৷
জামতলায় এলে সেখানে তাঁর সঙ্গে আরিফের দেখা হয়৷ আরিফ কুলতলি জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ বাইকে করে অসীম বাবুকে নিয়ে জালাবেড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় আরিফ৷ তাঁকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলে সন্দেহ হয়৷ তখন পালানোর চেষ্টা করেন৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় তার উপর৷ তার ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা নিয়ে অভিযুক্ত চম্পট দেয় বলে দাবি আক্রান্তের৷
স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেন৷ পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে৷
পুরুলিয়া, নদিয়া। একই দিনে ফিল্মি কায়দায় দুই জেলার, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসে ডাকাতির ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বঙ্গ। বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছিল। দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীকে বন্দুক তাক করে গুলি করে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায়। ডাকাতির সময়ের রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সবেমাত্র দোকান খুলেছিলেন সোনার দোকানের মালিক আশিস দত্ত। ঠিক সেই সময় চার দুষ্কৃতী ক্রেতার পরিচয়ে জিনিস কেনার বাহানায় দোকানে ঢোকে। যদিও দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহও হয়। এরপর শুরু হয় লুঠপাট। যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলেই দোকান মালিকের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ১ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। বুক ও পেটের মাঝখানে গুলি লাগে ব্যবসায়ীর, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীদের ছুরির ঘায়ে আহত হন দোকানের কর্মচারিরাও। সামনে পুজো, তার আগেই যদি এধরনের ঘটনা ঘটে তবে কিভাবে নির্ভয়ে ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীরা? পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যবসায়ীমহলের।
গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে সোনার দোকানগুলিতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। বারংবার কেন টার্গেট করা হচ্ছে সোনার দোকানে? তবুও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের ? ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সরকার সতর্ক আছে বলে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন কল্যাণী ঘোষ, চেয়ারপার্সন, খড়গপুর পুরসভা।