Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Ghatal

Dengue: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু রাজ্যে, জোড়া মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরে

ক্রমশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। জোড়া মৃত্যুর খাঁড়া পশ্চিম মেদিনীপুরে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল খড়গপুরের এক মহিলার। জানা গিয়েছে, ৪ দিন আগে জ্বর নিয়ে খড়গপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন বাঙালিপাড়ার বাসিন্দা রুনিতা মল্লিক। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ১টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। 

অপরদিকে ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যু হয় ঘাটালের গড়বেতার বাসিন্দা সাবিনা বিবির। জানা যায়, সাবিনা বিবি জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একটু সুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা বন্ডে স্বাক্ষর করে নিয়ে চলে যান বাড়িতে। ফের ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় সাবিনা বিবির। 

ইতিমধ্য়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বৈঠক। বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানানো হয়েছে ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাকে।

ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারঙ্গী বলেন, ওই মহিলা আগেই জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপরে ওই পরিবারের সদস্যরা বন্ডে সই করিয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে যায় ওই মহিলাকে। এরপর বাড়ি ফেরার পর আবারও ওই মহিলা অসুস্থ হলে ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তারপরেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। ডেঙ্গিতে মৃত্যু ঘটনা ঘটতেই ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ঘাটাল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাসপাতালে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।

8 months ago
DEV: দেবের ভাইকে সামনে রেখে সালিশি সভার নামে টাকা! বড় অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল

ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ এবং অভিনেতা দেবের নাম ভাঙিয়ে ‘কাটমানি’ নিচ্ছেন এলাকার তৃণমূল নেতাদের একাংশ। অভিযোগ করলেন দেব ওরফে দীপক অধিকারীর তুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কোনও গ্রাম্য বা পারিবারিক বিবাদ মেটানোর জন্যও টাকা নেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। আর সেখানে সঙ্গে রাখা হচ্ছে সাংসদের ভাইকে। তাঁর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব।

কেশপুরের মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা বিক্রম, পুরোহিতের কাজ করে সংসার চালান। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার। সেই বিক্রমের অভিযোগ, তাঁর খুড়তুতো দাদা দেবের নাম সামনে রেখে ‘সেটেলমেন্ট’ করছেন তৃণমূল নেতারা। সমস্যা মেটানোর নামে সালিশি সভায় ডেকে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর দেবের ভাই বলে জোর করে তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই সব সালিশি সভায়। এতে দাদার ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রম।

সাংসদের ভাইয়ের অভিযোগ, আবাস যোজনার বাড়ি পেতে তাঁকেও ‘কাটমানি’ দিতে হয়েছে। বিক্রমের কথায়, ‘২০১৬ সালে সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ির অনুদান পাওয়ার পর সেই টাকা তুলে দিয়ে হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে। ফলে সেই সময় আর বাড়ি করা হয়ে ওঠেনি।’ তাঁর দাবি, পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে এক মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অন্য দিকে, দাদার কানে এই দুর্নীতির খবর পৌঁছচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বিক্রম জানান, আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত বাড়ি পাননি তিনি। এখনও ভগ্নপ্রায় বাড়িতে পরিবারকে নিয়ে দিনযাপন করছেন। তাঁর এ-ও অভিযোগ, ‘এলাকায় সমস্যা সমাধানের নামে বিভিন্ন সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আমায়। আমাকে সামনে বসিয়ে রেখে দেবের ভাই বলে পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিভিন্ন বিবাদের ‘সেটেলমেন্ট’ করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। দেবের ভাই বলে আমাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ব্যবসা করছেন তৃণমূল নেতারা।’ এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা বলেন, ‘গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

one year ago
Ghatal: নবজাতককে 'মৃত' ঘোষণা হাসপাতালের, কবর দিতে গিয়ে 'জীবিত' উদ্ধার!

সদ্যজাত শিশুর (New Born baby) দেহ কবরস্থ করতে গিয়ে চমকে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা। শিশুটির শরীরে তখনও প্রাণ রয়েছে! জীবিত নবজাতককে 'মৃত' ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিখে দেওয়া হয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটও (Death Certificate)! ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Ghatal Hospital) এই কীর্তিতে তাজ্জব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত শিশুকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু সেই শিশুর শেষকৃত্য করতে গিয়ে দেখা যায় সে জীবিত, তখনও শ্বাস চলছে। তড়িঘড়ি সেই শিশুকে আবার নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় ঘাটাল হাসপাতালে। সেই শিশুকে পুনরায় ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক। যদিও পরিবারের দাবি আবারও হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গিয়েছে। এমন নজিরবিহীন ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব শিশুর পরিবার।

জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মনলিশা খাতুন নামে এক গৃহবধূ। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই (প্রি ম্যাচিওর) হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিকেল পাঁচটা নাগাদ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই নবজাতক মারা গিয়েছে।

মাথায় মৃত স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে প্যাকিং করে রাত নটা নাগাদ শিশুকে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক। পরে বাড়ি ফিরে শিশুকে কবরস্থ করতে গিয়ে সকলেই দেখেন শিশুটি জীবিত, শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। তড়িঘড়ি ফের নিয়ে আসা হয় হাসপাতলে। ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া শিশুকে ফের আইসিইউ-তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। জানা গিয়েছে, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। এমনটাই দাবি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক এবং শিশুর পরিবারের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। জেলাস্তরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটি হাসপাতালে এসে তদন্ত করে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এই প্রসঙ্গে পরিবারের অভিযোগ, 'একটা শিশুর মৃত্যু দু'বার হয় কীভাবে? সেই উত্তর আমরা স্বাস্থ্য দফতর থেকে চাই। সুপার গোটা ঘটনার দায়ভার নিক। এই ঘটনার তদন্ত ভালো করে হোক। আমাদের হাতে মৃত বলে তুলে দেওয়ার পর আমরা যখন কবরস্থ করতে যাই সে বেঁচে আসে। আবার হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন আমাদের বলছে সে মারা গিয়েছে।'

one year ago


Ghatal: বাল্য বিবাহের আয়োজনে পুলিসি হানা! ছাদনাতলা থেকে গ্রেফতার পাত্র-সহ ৩

বাল্য বিবাহের (Child marriage) গোপন খবর পেয়ে একেবারে ছাদনাতলায় হাজির পুলিস (police)। পাত্র-সহ পাত্রের বাবা, কাকা ও পুরোহিতকে গ্রেফতার (arrest) করল ঘাটাল থানার পুলিস। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal)। জানা গিয়েছে, পার্থ গুছাইত নামে বনহরিসিংহপুর এলাকার এক পাত্রের সঙ্গে গোপমহল মনোহরপুর এলাকার এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। বিয়ে হচ্ছিল বাঘানালার সনৎ চক্রবর্তী নামে এক আত্মীয় বাড়িতে। এই সনৎবাবুই আবার ছিলেন এই বিয়ের পুরোহিত।

বিয়ের খবর পায় ঘাটাল থানার পুলিস। এরপর শনিবার রাতেই বাঘানালা এলাকায় বিয়ের আসরে গিয়ে হাজির হয় ঘাটাল থানার পুলিস। ছাদনাতলা থেকে পাত্র পার্থ গুছাইত-সহ পিতা অশোক গুছাইত, কাকা হারাধন গুছাইত এবং এই বিয়ের পুরোহিত অর্থাৎ সনৎ চক্রবর্তীকে পাকড়াও করে পুলিস। পাত্রীর প্রকৃত বয়স যাচাই করে ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে রবিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হয়।

প্রসঙ্গত, নাবালিকা বিয়ে বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে অপরাধ জেনেও মাঝে মধ্যেই ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এই বিয়ের খবর শোনা যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে পুলিস। এই নিয়ে দফায় দফায় ঘাটাল শহরজুড়ে সচেতনতা শিবির থেকে শুরু করে মাইক প্রচার চলছে।

তারপরেও এই নাবালিকা বিয়ের অভিযোগ শুনে চুপ করে বসে থাকেনি প্রশাসন। প্রশাসনের সাফ কথা, সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে নাবালিকা বিয়ে। আর বালিকা বিয়ের খবর পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।

2 years ago
Ghatal: 'পাখি সব করে রব', শীত আসতেই পরিযায়ীদের আনাগোনা হরিসিংহপুরের ঝিলে

শীত পড়লেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে সারস হাঁস (লেজার হুইস্টিং ডাক), জল পিপি (ব্রোঞ্জ উইঙ্গেড় জাকানা), পার্পেল হিরন-সহ নানান প্রজাতির পরিযায়ী পাখি (Migratory birds)। আর সেই পাখি দেখতেই জলাশয়ে ভিড় করেছেন পাখি (birds) প্রেমী মানুষেরা। জলাশয় ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। প্রতিবছর শীত পড়লেই ভিন দেশ থেকে উড়ে এসে ঘাটাল (Ghatal) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিসিংহপুরের জলাশয়ে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা। এবছরও শীত পড়তেই ঘাটালের জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে পাখিরা। এলাকার বাসিন্দাদের মন আনন্দে ভরে উঠেছে।

স্থানীয়দের দাবি, শীতের কয়েক মাস এই পাখিদের কলরবেই তাঁদের ঘুম ভাঙে। আবার দিনের শেষে কিচিরমিচির আওয়াজ করে উড়ে যায় ওরা। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই পরিযায়ীদের জন্য। এলাকাবাসীরা নিজেরাই পাহারা দেন যাতে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করে। এলাকাবাসীরা জানান, বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই পাখি দেখতে। তাই এই জলাশয় ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক, দাবি তুলছেন স্থায়ী বাসিন্দারা।

2 years ago


Ghatal: রাস্তাজুড়ে ভাসানের নাচ! প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja) ভাসান ঘিরে চরম উন্মাদনা। রাস্তা ছাড়তে বলায় এক মোটর বাইক চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এমনকি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের (Ghatal) কুশপাতা সারাদা পল্লীতে। আহত অবস্থায় ঘাটাল হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন আহত (injured) ওই বাইক চালক।

জানা যায়, আহত ঘাটালের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল। নিতাই ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, মোটর বাইকে করে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ। সেই সময় ঘাটাল শহর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি জগদ্ধাত্রী পুজার ভাসানের অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় বেশ কয়েকজন যুবক নাচানাচি করছিলেন ওই এলাকার ঢালাই রাস্তার উপর। আর তখনই রাস্তা ছাড়তে বলেন মোটরবাইক চালক নিতাই। তাঁর এই কথা ঘিরেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

নিতাই বাবুকে বেধড়ক মারধর করে ওই যুবকেরা বলে অভিযোগ। এমনকি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় নিতাইয়ের। এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত নিতাইকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য ঘাটাল হাসপাতালে। বিসর্জনে এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিস। আহতের পরিবারের দাবি, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। ঘটনার তদন্তে পুলিস। 

2 years ago
Poster: 'হিরণের খোঁচায় মলদ্বীপ থেকে এলাকায় আসছেন দেব', ঘাটালজুড়ে বিজেপির পোস্টারিং

তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) দেবের ঘাটাল (Ghatal) সফরের আগে বিজেপির তরফে শহরজুড়ে পোস্টার। তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে সেই পোস্টারে। শাসক শিবিরের সাংসদকে নিশানা করে এই পোস্টারিং করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাট। মঙ্গলবার সাংসদ দেবের কেন্দ্র ঘাটালজুড়ে 'হিরণের খোঁচা খেয়ে মলদ্বীপ থেকে ঘাটালে আসছেন সাংসদ দেব', এই ধরনের পোস্টারে ছেয়ে যায়।

বিজেপির তরফেই পোস্টারগুলো সাঁটানো হয় ঘাটালে। এই পোস্টার লাগাতে দেখা গিয়েছে খোদ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ককে। সম্প্রতি ঘাটালে এক অনুষ্ঠানে এসে কাটমানি প্রসঙ্গে অভিনেতা-সাংসদ দেবকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন হিরণ। তৃণমূলের তরফে উড়ে আসে পাল্টা প্রতিক্রিয়া।

এই পোস্টারিং প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক জানান, হিরণের কথায় ছুটে আসছেন দেব। আবার কেউ উনাকে মনে করিয়ে দেবেন ঘাটালবাসীর কথা। এছাড়া উনি সিনেমা বানাবেন আর এনামূল হকের থেকে কাটমানি নেবেন। পাল্টা দেবের প্রতিক্রিয়া, 'সাংসদ হয়ে আমার কাজ বেড়েছে, আমি ব্যস্ত হয়েছি এমন নয়। চাইলে এই আক্রমণের জবাব দিতে পারতাম। যে আমার বন্ধু, যার সঙ্গে খেয়েছি, তাঁকে কেন আমি আক্রমণ করতে যাবো? আমি কোনওদিন নিজের দলকে বড় করার জন্য অন্য দলকে ছোট করেছি। আর সব দলেই আমার বন্ধুবান্ধব ছড়িয়ে রয়েছে।'

2 years ago
Dev: 'কাটমানির টাকায় ছবি করে দেব' বেনজির আক্রমণ হিরণের, 'ও আমার বন্ধু', পাল্টা দেব

কাটমানি ইস্যুতে (Cut Money Issue) তৃণমূল সাংসদ দেবকে (MP Dev) বেনজির আক্রমণ বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে এই দুজন বাংলা ছবির একদা সতীর্থ এবং ভালো বন্ধুও বটে। রাজনৈতিক ময়দানে আবার একে অপরের বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি। কিন্তু সোমবার ঘাটালের (Ghatal) এক অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক হিরণের (Hiran) মন্তব্যে শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে।

খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক ঘাটালের সাংসদ দেবের উদ্দেশে বলেছেন, 'সাংসদ হিসেবে আমি প্রত্যেক মাসে মাইনে নেব। এখানে যা কাজ হবে সেখান থেকে কাটমানি নেব, গরু চোর এনামূল হকের থেকে কাটমানি নিয়ে সিনেমা করব। আর বান্ধবীকে নিয়ে মলদ্বীপ ঘুরতে যাবো। আমি মলদ্বীপে জলে বান্ধবীকে নিয়ে সাঁতার কাটবো, আর ঘাটালের মানুষ জলের তলায় ডুবে থাকবে।'

তিনি জানান, ঘাটালের একজন ফিল্মস্টার নায়িকাদের সঙ্গে শ্যুটিং করবে আর এনা মূলের থেকে টাকা নিয়ে ছবি প্রযোজনা করবে। আর সিবিআই ডাকলে বলবে আমি তো টাকা নিই নি। সিবিআই আমাকে চা খেতে ডেকেছিল। আর সামনে-পিছনে পুলিস এবং মলদ্বীপে বান্ধবী নিয়ে ঘুরবো। এভাবেও তীব্র কটাক্ষ দেবকে করেন হিরণ।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ পাল্টা জানান, হিরণ আমার খুব ভালো বন্ধু। কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না। আমি ৮ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি, আমার রাজনীতি ঘাটালের মানুষকে ভালো রাখা এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা। ওর কাছে হাফ ইনফর্মেশন রয়েছে। আমি মলদ্বীপ নয় গ্রিসে ছিলাম। হিরণ চ্যাম্প বলে একটা ছবিতে কাজ করেছে কোনও পারিশ্রমিক ছাড়া। আমার অনেক ছবির জন্য প্রচার করে গিয়েছে। কেন একথা ও বলেছে আমি সত্যি জানি না।'  

2 years ago