দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus), ক্রমেই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ (Daily Infection)। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বৈঠকে করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তেমনই হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দিতে বলা হয়েছে জিনোম বিন্যাসে। আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল সমস্ত হাসপাতালে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত কয়েক দিন ধরেই দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার এই সংখ্যা ৬ হাজার পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দেশের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। এই আবহে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে ছিলেন বাংলার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ওই বৈঠক থেকেই সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে একাধিক পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য।
দেশে ফের একবার বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। চিনে প্রতিদিন প্রায় দশ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ভারতে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে নজর রেখে একগুতচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এদিকে, গত ২৬ তারিখ সোমবার, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এক বিদেশিনীকে। ভর্তির দিন থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিনই আরটিপিসিআর রিপোর্ট করা হয়। যেখানে তাঁর তৃতীয় রিপোর্টটি নেগেটিভ আসে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এরপরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই বিদেশী মহিলার শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7 জীবাণু বাসা বেঁধেছে কিনা, তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরই বোঝা যাবে। সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে সাত দিন বাদে।
উল্লেখ্য, ওই ব্রিটিশ মহিলা কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা হয়ে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। ওই বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।