
গাঁজার (Weed) নেশায় আসক্ত। তাই নিজের বাড়ির ছাদেই গাঁজার চাষ করতে শুরু করেছেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক ব্যক্তি। আর সেই খবর পুলিসের কাছে যেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এর পাশাপাশি সেই গাঁজা গাছগুলোকেও নষ্ট করেছে পুলিস। তবে কী কারণে নিজের বাড়িতেই গাঁজার চাষ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি হায়দরাবাদের বনস্থলিপুরমের (Vanasthalipuram)।
সূত্রের খবর, সোমবার হায়দরাবাদের এলবি নগরের স্পেশাল অপারেশন টিম বনস্থালিপুরমের এক বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে। তখন সেই বাড়ির ছাদের ২০০ ইয়ার্ড জুড়ে একাধিক গাঁজার গাছ দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সাই রেভান্ত বর্মা নামে এক ব্যক্তি সেই গাঁজার গাছগুলো তাঁর ছাদে লাগিয়েছে। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। সাই স্বীকার করে নেন যে, এই গাঁজা গাছগুলো তিনি নিজের জন্য়ই চাষ করছেন। কারণ তিনি গাঁজা সেবন করেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এই গাঁজার বীজ নিয়ে এসেছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, মোট ১১ টি গাঁজা ও গাঁজার যেগুলো বীজ ছিল সেগুলোও নষ্ট করা হয়েছে। তাঁকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ছেলের ঘনঘন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং গাঁজায় আসক্তির (Ganja Addiction) কারণে অভিনব শাস্তি দিলেন মা। ছেলের দুই হাত বেঁধে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ঘষে দিলেন তিনি। পুলিস জানিয়েছে, এই ঘটনা তেলেঙ্গানার (Telengana Mother) সূর্যপেট জেলার কোদাদে। বহুবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আবার কয়েকদিন পর বাড়ি ফেরে সেই কিশোর। মায়ের সন্দেহ এই সময়ে ছেলে গাঁজার আসক্তির জন্য বাড়ি ফেরে না। তাই তাকে উচিৎ শিক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ মায়ের। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে।
সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক মহিলা সেই কিশোরের হাত ধরে রয়েছে আর অন্য মহিলা তার মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ঘষছেন। এরপরেই যন্ত্রণায় চিৎকার করছে সেই কিশোর। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ভবিষ্যতে আর এই কাজ করবে না, মায়ের কাছে স্বীকারোক্তির পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।
যদিও এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চর্চা তুঙ্গে। নেট দুনিয়ার একপক্ষের দাবি, গাঁজা আসক্তদের জন্য এটাই সেরা চিকিৎসা। আর এক পক্ষের দাবি, 'এভাবে আসক্তি সারানো সম্ভব নয়। হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা।'
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিসকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, সেই কিশোর স্কুলছুট। প্রায় এক সপ্তাহ পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সোমবার বাড়ি ফিরেছে। তাতেই মায়ের সন্দেহ হয়েছিল ছেলের মাদকে আসক্তি আছে। তাই রাগে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। তবে পুলিস কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।
উলটে সেই পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছে, ছেলেকে ভালো মনস্তত্ববিদের কাছে নিয়ে যেতে। যাতে এই বদভ্যাস সারানো যায়।
নাকা চেকিংয়ের সময় বড়সড় সাফল্য পেল লেকটাউন থানার পুলিস। সবজির গাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় ১০ কুইন্টাল গাঁজা। গাড়িটিকে আটক করার পাশাপাশি চালক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে লেকটাউন থানার পুলিস।
গতকাল রাতে লেকটাউন যশোর রোডে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল থানার পুলিশ। সেই সময় বিমানবন্দরের দিক থেকে একটি সবজি বোঝাই গাড়ি বেলগাছিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের সন্দেহ হলে, তারা গাড়িটিকে লেকটাউন মোড়ে আটকে তাতে তল্লাশি চালায়। তা করতে গিয়ে পুলিস কর্মীদের চক্ষু চড়কগাছ। বস্তা বস্তা সবজির আড়ালে লুকিয়ে রাখা ছিল প্রায় ১০ কুইন্টাল গাঁজা। এরপরেই গাড়িটিকে আটক করে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই গাঁজা।
সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছরের শুরু। তার আগেই এত পরিমাণে গাঁজা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরতলিতে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আসন্ন উৎসবে কোনও বড় পার্টিতে যাচ্ছিল ওই গাঁজা। ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিস। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে চাইবে, কোথা থেকে এত পরিমাণে গাঁজা নিয়ে আসা হয়েছিল এবং কোথায় তা যাচ্ছিল।