
এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ির অর্ড চা বাগানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিতেন ওরাঁও ও সুমেশ সাউরিয়া। ধৃত দুজনই হল নকশালবাড়ি বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলার পর, ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ফোন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। তারপর যুবতীকে ধরে বেঁধে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর সুযোগ বুঝে ওই যুবতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাড়িতে। সমস্ত ঘটনা জানাতেই বুধবার রাতেই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেদিন রাতেই নকশালবাড়ি থানার পুলিস অভিযুক্ত ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তপ্ত মালদা। মানসিক অবসাদগ্রস্থ এক নাবালিকাকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ঢুকিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার মোথাবাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি এলাকার ওই নাবালিকাকে বুধবার রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের খোঁজ শুরু হয়। বেলা বাড়তে স্থানীয় একটি স্কুলের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরেই রাজনৈতিক চাপানোতর শুরু হয়েছে। বালক ব্রহ্মচারী গঠিত সন্তান দলের তরফে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মৃত্যু দণ্ডের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বাঙ্গিটোলা অঞ্চলের প্রধান মহিদুর শেখ জানিয়েছেন, ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করছে পুলিশ। দোষীরা শাস্তি পাবে। এদিকে ধর্ষিতার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন স্থানীয় একটি স্কুলের ভিতর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এক তরুণীকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ। তরুণীর প্রেমিককে বেধড়ক মারধরের পর নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখারও অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। প্রেমিকের সঙ্গে সন্ধ্যায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন ওই তরুণী। হাঁটতে হাঁটতে কাছের একটি পাহাড়ে যান দুজনে। ওই প্রমিক যুগল একটু ফাঁকা জায়গাতে গেলেই তাঁদের সমনে পথ আটকে দাঁড়ায় অভিযুক্ত দুই যুবক। পথ আটকানোয় ওই যুবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় তাঁদের। পরে ওই তরুণ একটি খালি বিয়ারের বোতল দিয়ে ওই দুই যুবককে আঘাত করেন। পরে এই আঘাতের পাল্টা হামলা চালায় ওই দুই যুবক। অভিযোগ, 'তরুণকে বেধড়ক মারধরের পর নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখে তাঁরা। পরে তরুণীকে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। এমনকি সেখানেই তরুণীকে গণধর্ষণ করে দুই যুবক।'
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কবল থেকে নিজেকে কোনওরকমে মুক্ত করে বাড়িতে পৌঁছন তরুণী। বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান তিনি। তারপরেই থানায় গিয়ে উপস্থিত হয় তরুণীর পরিবার। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর প্রেমিক গাছে বাঁধা অবস্থায় দেখে এবং তাঁকে উদ্ধার করে।
মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার নামে ডেকে গণধর্ষণ (Gang Rape) এক কিশোরীকে। তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এভাবে যৌন নিগ্রহের (Sexual Harrasment) অভিযোগ ওঠে। কর্নাটকের হুবলির (Karnataka incident) এই ঘটনায় কাঠগড়ায় চার যুবক। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জন অপরাধীকে চিহ্নিত করা গেলেও বাকি দু'জনের কোনও খোঁজ পাননি তারা। এই চারজন অভিযুক্তর মধ্যে দু'জন ছিল ওই কিশোরীর বন্ধু।
বুধবার হুবলি বাইপাস কিং রোডের ব্রিজের কাছে চারজন গণধর্ষণ করে কিশোরীকে। ফোন করে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে আনা হয় কিশোরীকে। তারপর তাকে বাইকে তুলে নিয়ে যায় একটি ফাঁকা জায়গায়, সেখানে গিয়েই কিশোরীর দুই বন্ধু-সহ আরও দু'জন একত্রে গণধর্ষণ করে কিশোরীকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের খোঁজ করে গ্রেফতার করবে।
দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসে কুলতুলিতে গণধর্ষণের (Gangrape in Kultali) শিকার এক নাবালিকা। অভিযোগ, 'তাকে (Minor Girl) মেলা থেকে অপহরণ নিয়ে গিয়ে প্রথমে বাড়িতে এবং পরে মাঠে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আবদুল মোল্লা-সহ এক নাবালক।'
জানা গিয়েছে, মাঠে ধর্ষণের সময় নাবালিকা চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পায়নি। কারণ মেলার মাঠে মাইকের শব্দে সেই চিৎকার ঢাকা পড়েছিল। এরপর কুকর্ম সেরে অভিযুক্তরা নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে চম্পট দেয়। মেলা ফেরত মানুষরা নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেন। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটু সুস্থ হলে নাবালিকা মাকে সব খুলে বলে।
কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিস। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃত দু'জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতিতার পরিবার অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব।
কেবল পুরুষ নয়, এবার থেকে মহিলাদের বিরুদ্ধেও দায়ের করা হবে গণধর্ষণের (GangRape) মামলা। এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের সিঙ্গল বেঞ্চ ১৮৬০-এর ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১৩ সালে সংশোধিত ১৩ নম্বর আইন পর্যবেক্ষণ করে এই রায় শোনান। ২০১৩ সালে সংশোধিত ৩৭৫ এবং ৩৭৬(ই)-র নতুনভাবে বিবেচনা করতে গিয়ে বিচারপতি যাদব বলেন, 'কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। কিন্তু ধর্ষকদের অর্থাৎ এক দল লোককে এই কাজ করতে সাহায্য করলে ওই মহিলার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।'
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী কোনও মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং জোর করে বা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা আইনের চোখে জঘন্যতম অপরাধ। সেই মহিলা যদি ১৬ বছরের নীচে হন, সেক্ষেত্রে মহিলার ইচ্ছা এবং অনিচ্ছা উভয় ক্ষেত্রেই তা অপরাধযোগ্য বলে বিবেচ্য হবে।
অন্যদিকে, ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ধর্ষণের সাজা ‘মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে’ বলে ৩৭৬-ই ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সুনীতা পান্ডের দায়ের করা একটি আবেদন নিয়ে এদিন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল। মহিলাকে আইপিসির ৩৭৬-ডি, ২১২ ধারার অধীনে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল।
এফআইআর অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালে। ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ১৬১ এবং ১৬৪ সিআরপিসি ধারার অধীনে রেকর্ড করা বিবৃতিতে ওই কিশোরী জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে একজন অভিযুক্ত জড়িত ছিলেন। যদিও অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত মহিলার নাম ছিল না, পরে তাঁকে গণধর্ষণের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
অভিযুক্ত মহিলার পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে ভুল মামলায় বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ডেকেছিল। তিনি একজন "মহিলা" এবং ৩৭৬-ডি আইপিসি ধারার অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে, একজন মহিলা ধর্ষণ করতে পারে না এবং তাই তাঁর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের জন্য বিচার করা যায় না। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মনে করেন যে একজন মহিলাও গণধর্ষণে দোষী হতে পারেন, যদি তিনি একদল ব্যক্তিকে ধর্ষণের কাজে সহায়তা করেন।
গত বছরের ২১ জুলাই নয়ডা (Noida Rape) ফেজ-২-তে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে যশবন্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর শ্যালক অভয় প্রতাপের। গণধর্ষণের পর মহিলার ফোন ও টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে, ফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার পর থেকেই যশবন্ত এবং শ্যালক অভয় প্রতাপ পলাতক ছিলেন। অবশেষে নতুন বছরে মহিলার সেই ফোনই ধরিয়ে দিল অভিযুক্ত ওই যশবন্তকে। তবে এখনও পলাতক শ্যালক অভয় প্রতাপ।
পুলিস সূত্রে খবর, গণধর্ষণের পরে মহিলার ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। গত ৬ মাস ধরে দুই অভিযুক্তের খোঁজে করে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস, কিন্তু কিছুতেই নাগালে আসছিল না। তদন্তে নেমে পুলিস ফেজ-২ এবং তার আশপাশের এলাকার ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এলাকার ১৫০টি কারখানার প্রায় ১ হাজার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সমাধান হয়নি। এমনকি পুলিসি নজরদারি এড়াতে অভিযুক্তরা ফোন ব্যবহার করাও বন্ধ করে দিয়েছিল।
পুলিস আরও জানায়, টানা ৬ মাস পর মহিলার ফোনটি চালু করেন অভিযুক্তরা। যার জেরেই নয়ডার সেক্টর ৮৮-র ফুলমান্ডি এলাকায় ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে সেখানে অভিযান চালায় পুলিস। অভিযুক্তরা ওই এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাচ্ছিলেন। আর সেই সময়ই মহিলার ফোনের সূত্র ধরে দোকানে হানা দিয়ে যশবন্ত নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস, অন্যজন পলাতক।
দিন বা রাত যাই হোক না কেন, মহিলাদের জন্য অ্যাপ ক্যাব বা ভাড়া করা ট্যাক্সি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সময় অ্যাপ চালকদের লোলুপ দৃষ্টির শিকার হয়েছেন মহিলা যাত্রীরা। এমনকি একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ট্যাক্সি ও অ্যাপ চালকদের বিরুদ্ধে। ফের এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশ। তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শেয়ার ট্যাক্সি চালক ও দুই সওয়ারির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে পুলিস চালক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে একটি শেয়ার ট্যাক্সি ধরেছিলেন বছর ২৩-এর তরুণী। ফিরোজাবাদে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন তিনি। গাড়িতে চালক এবং তরুণী ছাড়াও ছিলেন আরও দুই যাত্রী। তরুণীর অভিযোগ, গাড়ি আগরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর পৌঁছতেই হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। এরপর গাড়ি থামিয়ে তিন জন মিলে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের পর মাঝরাস্তায় তরুণীকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান সকলে।
এরপর তরুণী কোনক্রমে নিকতবর্তী থানায় যান। সেখানে পুলিসকে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন। এবং তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে গাড়িটি চিহ্নিত করে। গ্রেফতার করা হয় শেয়ার ট্যাক্সির চালক-সহ তিন জনকেই।
ফের খাস কলকাতায় ধর্ষণের (rape) অভিযোগ। তবে এবার গণধর্ষণের (gang rape) রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজের মধ্যে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। অভিযুক্তদের শনিবারই বারাসাত কোটে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৯ তারিখে রাজারহাট বৈদিক ভিলেজে (Rajarhat Vedic Village) একটি রিসোর্ট ভাড়া করা হয়। পরেরদিন অর্থাত্ ১০ তারিখ পার্টি ছিল তাদের। আর ১১ তারিখে অর্থাৎ ঘটনার পরের দিন অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী রাজারহাট থানায়। তরুণীর অভিযোগ, পার্টি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ওই তরুণীকে তরল জাতীয় মাদক খাইয়ে দিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত চার যুবক। ঘটনার পরই রাজারহাট থানায় (Rajarhat Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজারহাট থানার পুলিস তড়িঘড়ি চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়। এবং সেখানে পুলিস নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও। এমন ঘটনার পরেও রাজারহাট থানার পুলিসকে অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনওরকম তথ্য দিতে পারেনি বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষ, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে রাজারহাট থানার পুলিস।
পুলিস (police) সূত্রে আরও খবর, অভিযুক্ত চারজন হল যোগেশ মিশ্র, শুভম কারিওল, ঋষিক কুমার ও মাধব আগাওয়াল। বিধাননগর থানার সিপি জানান, জন্মদিনের পার্টির জন্য ৯ থেকে ১০ তারিখ ভাড়া নেওয়া হয় বৈদিক ভিলেজ। সেখানে উপস্থিত ছিল প্রায় ৩০ জন। তবে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তরুণী। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অভিযুক্তকেই। তারা সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত। ঘটনায় বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিস।
এবার গণধর্ষণের (Gang raped) শিকার ২৬ বছর বয়সী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (Software engineer) তরুণী। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পশ্চিম সিংভূম জেলায়। ওই তরুণীকে মারধর (beaten) ও গণধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিস ইতিমধ্যে ১০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
পুলিস মামলায় নির্যাতিতা তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। তাঁর বিবৃতি অনুসারে, ঘটনাটি ঘটে ২০ অক্টোবর। তখন তিনি তাঁর ভাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে ছিলেন। জানা গিয়েছে, তরুণী চাইবাসার মুফাসসিল থানার অন্তর্গত কামার হাতুতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ওই তরুণের সঙ্গে স্কুটি রাইড করতে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেড়িয়েছিলেন। একটি জায়গায় স্কুটি দাঁড় করিয়ে দু'জনে কথা বলছিলেন। সেসময় একমকা ৮ থেকে ১০ জন অচেনা লোক এসে তাঁদের মারধর করা শুরু করে। এবং ওই তরুণীকে জোরপূর্বক একটি নির্জন স্থানের দিকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা। এমনকি নির্যাতিতা ও তাঁর বন্ধুর থেকে মোবাইল ফোন ও পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। নির্যাতিতার অবস্থা গুরুতর হতে শুরু করলে অভিযুক্তরা তাঁকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়।
ওই তরুণী সেখান থেকে কোনওভাবে বাড়িতে ফিরে আসে এবং পরিবারের সদস্যদের ঘটনার কথা জানায়। এরপর পরিবারের লোকেরা মুফাসসিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মুফাসসিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পবন চন্দ্র পাঠক জানান, বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে অজ্ঞাতপরিচয় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালে তরুণীর যাবতীয় মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ফের দিল্লিতে গণধর্ষণ (Delhi Gang Rape)। এবার গণধর্ষণের শিকার ৪০ বছরের এক মহিলা। গাজিয়াবাদে (Ghaziabad) একটি গাড়ির ভিতর পাঁচজন লোক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এ নৃশংস ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করেছে পুলিস (Police)।
গাজিয়াবাদের পুলিস সুপার নিপুন আগরওয়াল বলেন, গাজিয়াবাদের আশ্রম রোডের কাছে এক মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। এরপর পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলাটিকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায় পুলিস। সেখান থেকেই অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। তিনি আরও বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অনুমান। যে পাঁচজন তাঁকে ধর্ষণ করেছে, তাদের সবাইকে অভিযোগকারী চিনতেন। পুলিস সুপার আরও জানান, তাঁদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত একটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, দিল্লি কমিশন ফর উইমেন (ডিসিডব্লিউ) প্রধান স্বাতী মালিওয়াল টুইটারে লিখেছেন, মহিলার গোপনাঙ্গে একটি রড ঢোকানো ছিল। যখন তাঁকে রাস্তায় পাওয়া যায় তখনও সেই অবস্থায় ছিলেন তিনি। তবে, পুলিস স্বাতীর বক্তব্য অস্বীকার করেছে এবং যোগ করেছে যে তাঁরা একটি জিভ পরিষ্কার করার জিনিস পেয়েছে। কোনও রড ছিল না।
মহিলার ভাই গাজিয়াবাদের একটি বাসস্ট্যান্ডে তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার পরে ঘটনাটি ঘটে। এরপর ওই পাঁচজন তাঁকে অপহরণ করে এবং তাদের গাড়িতে জোরপূর্বক তুলে নেন। এরপর চলে তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার। উল্লেখ্য, নন্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং পুলিস জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির ফলে প্রথমে শো-কজ এবং পরে ক্লোজ করা হলো বারাসাত মহিলা থানার এসআইকে। এসআই বর্ণালী দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিজের কর্তব্যে গাফিলতি করাছেন।' উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রামের এক নৃত্যশিল্পী বারাসাতে নৃত্য শিখতে যেতেন। গত ২৬ শে আগস্ট তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এমনই অভিযোগ নিয়ে বারাসাত মহিলা থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরেও বারাসাত মহিলা থানার কর্তব্যরত এসআই তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা মহিলা বারাসাতে পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছিলেন। গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারের নজরে আসতেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। তদন্ত নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু'জন মহিলাও আছে। অভিযুক্তদের শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত বান্টির দাবি নির্যাতিতার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ার কারণে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। পাশাপাশি সে এও অভিযোগ করে বারবার অবৈধ সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করতেন নির্যাতিতা। তাতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতা ও তার পরিবারের লোকেরা তাদেরকে ফাঁসিয়েছে। অন্য এক অভিযুক্তর দাবি, আমি মেয়েটাকে চিনি না। যদিও অপরাধ প্রমাণ হয় তাহলে বলবেন। আমাকে সম্পূর্ণ ফাঁসানো হয়েছে। যদিও নির্যাতিতা মহিলার দাবি, 'আমি একজন পেশাগত নৃত্যশিল্পী। ফেসবুকে একটা নাচের স্কুলের খোঁজ পেয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু পরে জানতে পারি কোনও নাচের স্কুল নেই। বরং পর্ণ ছবির শ্যুটিং চালায়। যার নেপথ্যে মূল অভিযুক্তর স্ত্রী রয়েছে। আমারও প্রাইভেট ভিডিও করে রাখে। কিন্তু তারপরেও বান্টি আমাকে সম্পর্কে রাখতে জোর করে। প্রেমের জালে ফাঁসাতে চায়। আমি আপত্তি তুললে আমাকে বদনাম করতে চায়। প্রথমে আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। কারণ ওরা প্রভাবশালী।'
ফের গণধর্ষণের (gang rape) শিকার হলেন এক তরুণী। ঘটনাস্থল টিটাগড় (Titagarh)। সেখানে মোবাইল (mobile) নিয়ে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই তরুণী। তখনই চার যুবক আসে। অভিযোগ, মুখে কাপড় চাপা দিয়ে জোর করে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় পাশের এক জঙ্গলে। এরপর মদ্যপান করে সেই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তরুণীর পরিবারের লোকজনের। শনিবার এমন ঘটনার পর নির্যাতিতা তরুণীর বাড়িতে আসে বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চা।
জানা যায়, টিটাগড়ের বাসিন্দা ওই তরুণী। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। নির্যাতিতা তরুণী বারাকপুর আদালতে গোপন জবানবন্দী দেয় সেই চার যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে বিজেপির যুব মোর্চার প্রতিনিধি দল টিটাগড়ের সেই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ, থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই তরুণীর বাড়ির সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
দোষীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলে টিটাগড় থানার সামনে বিটি রোড কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করে বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিনিধিরা। তারপর টিটাগড় থানার পুলিস অবরোধ তুলে দেয়। করা হয় লাঠি চার্জ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।
নৃশংস থেকে নৃশংসতর। মানুষের মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছচ্ছে। ১১ বছরের নাবালিকা বন্ধুকে চারজন পুরুষ দিয়ে গণধর্ষণ (gang-raped) করানোর অভিযোগ উঠল তারই এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। কেবল তা নয়, গোটা ঘটনা সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai) শহরতলির ভিরার (পশ্চিম) (Virar) এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
ঘটনাটি সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। যখন ওই নাবালিকা তার বাড়ির কাছে একটি দোকানে মোবাইল ফোন মেরামত করতে গিয়েছিল। সেখানে তার ২১ বছর বয়সী অই অভিযুক্ত মহিলা বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। যে গল্প করার ছলে হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু দূর এগিয়ে যায় তারা।
তখন ওই অভিযুক্ত মহিলাটি একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। এবং তাঁর তিনজন পুরুষ বন্ধুকে ডেকে নেয়। তারা মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে আসন্ন গণেশ পুজোর জন্য তৈরি করা প্যান্ডেলের পিছনে একটি স্থানে নিয়ে যায়। এবং নাবালিকাকে বন্দী করে রাখে।
মেয়েটির বন্ধু তাকে হুমকি দিয়ে একজন পুরুষের সঙ্গে যৌন সংগম করতে বলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নাবালিকা। তখনই তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে তাকে। গোটা ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখছিল নাবালিকার বন্ধু ওই যুবতী। পরের দিন সকালে একটি গাড়িতে করে নাবালিকাকে বাড়ির কাছে ফেলে পালিয়ে যায় চারজন।
নির্যাতিতা বাড়িতে পৌঁছে ঘটনাটি পরিবারের সকলকে জানায়। তার বয়ানের ভিত্তিতেই মুম্বইয়ের ভিরার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। অভিযুক্তদের খোঁজে বিশেষ দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। অভিযুক্ত পুরুষদের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্র এবং অন্য একজন সবজি বিক্রেতা, উভয়ই ভিরারের বাসিন্দা। এখনও একজন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, পলাতক ওই অভিযুক্ত মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গণধর্ষণ এবং অস্বাভাবিক যৌনতা এবং পকসো POCSO ধারার জন্য IPC ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রথমে মহিলাকে অপহরণ (kidnap)। এরপর মহিলার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মাঝ রাস্তায় ট্যাক্সি থেকে বের করে দেওয়া। তারপর এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল ছয় যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের (Chennai) কাছে তাম্বরাম-মাদুরাভোয়াল রাস্তায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাক্সিতে করে এক বন্ধুর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন ওই মহিলা। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি আটকায় এক যুবক। পরে আরও পাঁচজন এসে ট্যাক্সিটি ঘিরে ফেলে। এরপর জোরপূর্বক ও গাড়িতে উঠে মহিলার ওই বন্ধুর ওপর হামলা চালায়। এমনকি গাড়ির চালককে তাদের বলা স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করে। না হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এরপর কিছুটা এগিয়ে মহিলার বন্ধুকে মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করলে মহিলাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
এরপর মহিলাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর গয়না কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। এবং তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার ওই বন্ধু পুলিসে খবর দেন। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় গয়না। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৩৬৫, ৩৯৫, ৩৭৬ ডি, ৫০৬(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।