শহরের বুকে প্রথমবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এবার গঙ্গার তলা দিয়ে যাতায়াত করবে মেট্রো। ভারতের মাটিতে যা প্রথমবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে নতুন মেট্রোর রুট। শহরের বুকে গঙ্গার তলা দিয়ে যাতায়াত করবে এই মেট্রো। জানা গিয়েছে, গঙ্গার গভীরতা ১৩ মিটার। তার থেকে আরও ১৩ মিটার নীচে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে টানেল। সেই টানেল দিয়েই মোট ৫২০ মিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই মেট্রো। এবার সেই ৫২০ মিটার রাস্তাকেই সুন্দর আলো দিয়ে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হলো।
ইতিমধ্যেই ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে এই মেট্রোর। খুব শীঘ্রই এই মেট্রো চালু হবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর তাই গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোতে চড়ার স্বাদ নিতে মুখিয়ে রয়েছেন শহরবাসী।
এ যেন এক অন্তহীন খেলা।প্রতিবছর বর্ষার (Monsoon) জল বুকে পড়তেই ফুঁসে ওঠে গঙ্গা। দুপারের জনবসতি গিলে খায় রাক্ষুসী।ভেঙে চুরমার হয়ে যায় অপ্রকাশিত শত-সহস্র স্বপ্ন। নদীপারের মানুষ গুলি প্রতিদিন তিলতিল করে হারায় নিজের জীবনের পুঁজি। মালদার ভুতনি। গঙ্গা তীরের এই জনবসতি রাতে ঘুমায় দুঃস্বপ্ন নিয়ে। ইঞ্চি ইঞ্চি করে গঙ্গা (Ganges) গিলে খাচ্ছে কলুটোলা, কেশবটোলার বসত জমি। বাঁধ ছুঁয়েছে গঙ্গা। নদীপার ধসে পড়ার (river erosion) শব্দ পাঁজরে আঘাত হানছে। বড় বড় গাছ নিমিষে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর উদরে।
ঘটনাটা এবছরের প্রথম নয়। ফি বছর নদীর পেটে চলে যায় বিঘার পর বিঘা জমি। টনক নড়ে প্রশাসনের। দায়িত্ব নিয়ে ছুটে আসেন ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার (bdo) সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। উন্মত্ত নদীকে ঠেকাতে দেওয়া হয় বালির বাঁধ। এবারেও তার অন্যথা হল না। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নদী ভাঙন রুখতে বালির বস্তা ফেলা হল। তবে প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি নয় এলাকাবাসী। দাবি একটি স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধের।(permanent dam) কিন্তু সে সব থেকে গেছে কথার আবডালে। বিডিও সাহেব যদিও বলছেন নদীর এই গতি রোধ করতে বোল্ডারও যথেষ্ট নয়। নদী ভাঙনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র (sabitri mitra)।তোপ দাগলেন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তাই সমস্যার সমাধান করতে পারছে না রাজ্য।
এ প্রসঙ্গে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতৃত্ব। নদীর বাঁধ ঠিক করার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্ করেছে তৃণমূল সরকার (tmc)। গোটা বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে অন্ধকারে রাখছে তারা। ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব? চলুন শুনে নেওয়া যাক
নদীভাঙন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের দড়ি টানাটানি নতুন নয়। তবে গোটা বিষয় নিয়ে রাজ্যসরকার যথেষ্ট পরিমাণে তত্পর নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সামনে পঞ্চায়েত ভোট (panchayet election)। গঙ্গাভাঙনের এই ইস্যু কি পঞ্চায়েতে আদৌ কোনও প্রভাব ফেলবে? উত্তর দেবে সময়।