জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ-এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই অনুসন্ধান হোক। অনুসন্ধানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন মেনে আবেদন করেছিল রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজ, শুক্রবার তারই রায়দান হল। রায় দান করতে গিয়ে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ জানান, রাজ্যের আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। সিবিআই অনুসন্ধান রিপোর্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। আপাতত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
মণি ভট্টাচার্য: পাহাড়েও নিয়োগ দুর্নীতি, এই অভিযোগে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে সিবিআই অনুসন্ধানের প্রসঙ্গ। জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন রাজ্যের। সূত্রের খবর, ৯-ই এপ্রিল হাইকোর্ট জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। ২৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা করতে চেয়ে আবেদন রাজ্যের। মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির, চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
জিটিএ নিয়োগে দুর্নীতিতে বিনয় তামাং, অনীত থাপার হাত ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্যান্ডিডেট লিস্ট, বিচারপতির কাছে একটি বেনামী চিঠি। স্বতঃপ্রনোদিত মামলা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলায় গত সপ্তাহে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম যুক্ত হয় মামলায় । জিটিএতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৭০০-১০০০ জন নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধান দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের রাজ্যের। এফআইআর-এ পার্থ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর। এবার এই এফআইআর-এর দোহাই দিয়ে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি রাজ্যের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটাই প্রত্যাশিত। সিবিআই অনুসন্ধান যাতে সিবিআই তদন্তে রূপান্তরিত না হয়, তাই এফআইআর রাজ্যের। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঢুকে পড়লে কানের সঙ্গে মাথাদের ধরা পড়ার আশঙ্কায় কি থরহরিকম্প রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন।
সমতলের ধাঁচে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পাহাড়েও। সম্প্রতি জিটিএ তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারিতে ৩১৩ জন ও প্রাইমারিতে ১২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। যেখানে ভলেন্টিয়ার শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়। অভিযোগ, এই নিয়োগ কোনও নিয়ম না মেনেই হয়েছে। এমনকি বহু এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা কখনও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকই ছিলেনই না। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের তালিকা সিএন-এর হাতে ওই তালিকায় এরকম দুইজনের নাম উঠে আসছে।
ওই তালিকার ৮৩ নম্বর রয়েছে কেশব রাজ শর্মার নাম যিনি ওই ভলেন্টিয়ার শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন প্রসেসের সদস্য। অভিযোগ এই ব্যক্তি কখনও কোনও স্কুলে ভলেন্টিয়ার এর শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেননি। এমনকি পাহাড়ের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দল যে দলটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দল নামে পরিচিত ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের আত্মীয়।
ঘটনায় অপর একজনের নাম উঠে আসছে, যার নাম সঞ্চাবির সুব্বা। অভিযোগ এই ব্যক্তি কোন স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেনি, এমনকি তার বিএড ডিগ্রিও নেই। এছাড়া এই ব্যক্তি বর্তমানে জিটিএ শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি চিফ এক্সজিউটিভ। ফলে সে কিভাবে জিটিএ ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় এল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।
মণি ভট্টাচার্যঃ পাহাড়ে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে শিক্ষা দফতর। উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সিএন-এর হাতে এল জিটিএ-তে নিয়োগ পাওয়া ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ীকরণের তালিকা। উল্লেখ্য, ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে আপার প্রাইমারি ও ১২১ জন শিক্ষককে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে।
আরও ভয়ানক অভিযোগ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানত সিআইডি, স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন সবাই। ২০২২ সালে জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে সুমন গুরুং নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে শিক্ষা দফতর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গোটা ঘটনার তদন্তের নামে একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরকে জমা করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
ওই কমিটি ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে একটি রিপোর্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরকে জানায় জিটিএ-র স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে বেনিয়ম হয়েছে। তাতে শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক সহ কিছু নেতৃত্বরা জড়িত বলে জানায় ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএতে ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে একটি চিঠি পৌঁছয় শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকেও পাঠায়। এমনকি শিক্ষা দফতর এই চিঠি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সবকিছু জেনেও চুপ ছিল রাজ্য সিআইডি এবং রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশন? কেন এই দুর্নীতির কথা জেনেও চুপ ছিল রাজ্য! উঠছে প্রশ্ন।
জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এবার এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর দায়ের করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দায়ের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিয়োগ মামলায় এই প্রথম রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিধাননগর উত্তর থানায় জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ 'দুর্নীতি' সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।
সূত্রের খবর, পার্থ ছাড়াও এফআইআর-এ বালু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বুবাই বোস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং-সহ সাত থেকে আট জনের নাম রয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিত বসু জানিয়েছিলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর কাছে এক সরকারি আধিকারিক একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিবিআই আগামী ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা দেবে। ওইদিন জিটিএ-কেও একটি রিপোর্ট দিতে হবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, জিটিএ-র অধীন বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল ২০২২ সালেই। অভিযোগ, জিটিএ-র প্রশাসনিক বোর্ডে থাকাকালীন অনৈতিকভাবে প্রায় ৫০০ জনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন জিটিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা ও বিনয় তামাং। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল গোর্খা আনএমপ্লয়েড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
উত্তরবঙ্গে GTA-র ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটির টাকা বাড়ানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিণবঙ্গে আবার প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে রাজপথে সরকারিকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী কেন বিমাতৃসুলভ আচরণ করছেন, প্রশ্ন তুলে সুর চড়িয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বকেয়া ডিএ প্রদানের ক্ষেত্রে কোষাগার শূন্য আর উত্তরবঙ্গে গ্র্যাচুইটি বৃদ্ধির ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৯ ডিসেম্বর SLST চাকরীপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের হাজার দিন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহরের রাজপথে সরকারীকর্মীরা। এই যখন অবস্থা তখন উত্তরবঙ্গ সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। GTA-র ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটির টাকা বাড়ানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু বঞ্চিত রাজ্যের সরকারিকর্মীরা, সেই প্রতিবাদে দক্ষিণবঙ্গে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। কেন এই পৃথক অবস্থানে বাংলার প্রশাসনিক প্রধান, উঠছে প্রশ্ন। দক্ষিণে যখন বঞ্চনার যন্ত্রণা, তখন উত্তরের মন জয়ের চেষ্টায় কেন এই বিমাতৃসুলভ আচরণ, এই প্রশ্ন তুলছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনকে শক্ত ভিতে দাঁড় করাতেই কি উদার মুখ্যমন্ত্রী? আর তাই সরকারীকর্মীরা ডিএ চাইলে বলা হয় কোষাগার ফাঁকা, কটাক্ষ আন্দোলনকারীদের। জিটিএ কর্মীদের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নিরসনে ভোট রাজনীতিকে মাথায় রেখে একটা ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বলছেন এক আন্দোলনকারী। এই মুখ্যমন্ত্রী বাম সরকারের আমলে বলেছিলেন, যে সরকার ডিএ দিতে পারে না, তার ক্ষমতায় থাকার দরকার নেই। এখন আবার বলছেন ডিএ আবশ্যক নয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিসন্ধি ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন এক ডিএ আন্দোলনকারী।
জিটিএ-র জন্য এক ঘোষণা আর সরকারীকর্মীদের জন্য অপর এক ঘোষণা। কেন এই বৈষম্য, প্রশ্ন তুলছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সবসময় মিথ্যাচার করেন, অভিযোগ এক আন্দোলনকারীর।
নেশার ট্যাবলেট (Drug Tablets) সহ গ্রেফতার (Arrest) এক মহিলা। সোমবার রাতে কালচিনি থানার পুলিস আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার ভুটান সীমান্তবর্তী সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত মহিলাকে মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি কোর্টে পেশ করেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম প্রীতি লামা। অভিযুক্ত কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকার বাসিন্দা।
পুলিস আরও জানিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কালচিনি থানার পুলিস সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে ওই এলাকারই বাসিন্দা প্রীতি লামাকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছ থেকে প্রচুর নেশার ট্যাবলেটও উদ্ধার করে পুলিস।
এ বিষয়ে কালচিনি থানার ওসি টিএন লামা জানান, অভিযুক্ত মহিলা নিজের দোকান থেকেই নেশার ট্যাবলেট বিক্রি করতো। সোমবার অভিযান চালিয়ে মহিলাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। মহিলার কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার পিস নেশার ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আ্যক্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
ফের হাওড়ায় খুন (Howrah Murder) প্রতিবাদী। এলাকায় মদ, জুয়া-সাট্টার (Gambling Table) প্রতিবাদ করায় এক যুবককে গলার নলিকেটে, পেটে ভাঙা বোতল ঢুকিয়ে খুন করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে এই ঘটনা পুরানো শত্রুতার জেরেও হতে পারে, প্রাথমিক তদন্তের পর বলছে পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রবি রাই (৪৫)। বাড়ি হাওড়া সাঁকরাইল থানার নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের নেপালী পাড়ায়। শুক্রবার সকালে গলার নলিকাটা অবস্থায় একটি মন্দিরের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় রবির দেহ। এলাকার এক টোটো চালক সেই দেহ উদ্ধার করেন।
সঙ্গে সঙ্গেই তিনি স্থানীয়দের খবর দেন, খবর যায় থানায়। জানা গিয়েছে, রবি এলাকায় মদ, জুয়া-সাট্টার আসরের প্রতিবাদ করতেন। একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন রবি। তবে কিছুদিন আগে সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছিল তিনি।
অভিযোগ, কালীপুজোর সময়েও তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গলির ভিতরে খুন করে তাঁকে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এমনকি এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক দুষ্কৃতী যুক্ত। সম্প্রতি হাওড়ার শ্যামপুরে মেয়ের আব্রু বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়েছেন বাবা। সেই ঘটনার জিইয়ে থাকা উত্তেজনার মধ্যে ফের হওরায় প্রতিবাদী খুন। এবার ঘটনাস্থল সাঁকরাইল, নাজিরগঞ্জ।
বঙ্গে সিত্রাংয়ের পর এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মান্দাস। মান্দাসের প্রভাব সরাসরি বঙ্গের উপরে না পড়লেও, পরোক্ষ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। মান্দাসের অভিমুখ রয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলের দিকে। বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের এই নিম্নচাপ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোলে এটা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এটা তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সকালে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। ল্যান্ডফলের সময়ের গতিবেগ থাকবে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এমনটাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে পূর্বাভাস।