জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ-এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই অনুসন্ধান হোক। অনুসন্ধানের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি।
পাহাড় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন মেনে আবেদন করেছিল রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজ, শুক্রবার তারই রায়দান হল। রায় দান করতে গিয়ে বিচারপতি হরিশচন্দ্র টন্ডন ও মধুরেশ প্রসাদ জানান, রাজ্যের আবেদনের কোনও গুরুত্ব নেই। সিবিআই অনুসন্ধান রিপোর্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। আপাতত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
মণি ভট্টাচার্য: পাহাড়েও নিয়োগ দুর্নীতি, এই অভিযোগে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে সিবিআই অনুসন্ধানের প্রসঙ্গ। জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন রাজ্যের। সূত্রের খবর, ৯-ই এপ্রিল হাইকোর্ট জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। ২৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা করতে চেয়ে আবেদন রাজ্যের। মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির, চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
জিটিএ নিয়োগে দুর্নীতিতে বিনয় তামাং, অনীত থাপার হাত ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্যান্ডিডেট লিস্ট, বিচারপতির কাছে একটি বেনামী চিঠি। স্বতঃপ্রনোদিত মামলা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মামলায় গত সপ্তাহে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম যুক্ত হয় মামলায় । জিটিএতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ৭০০-১০০০ জন নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধান দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে এফআইআর দায়ের রাজ্যের। এফআইআর-এ পার্থ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর। এবার এই এফআইআর-এর দোহাই দিয়ে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি রাজ্যের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটাই প্রত্যাশিত। সিবিআই অনুসন্ধান যাতে সিবিআই তদন্তে রূপান্তরিত না হয়, তাই এফআইআর রাজ্যের। কারণ এই নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঢুকে পড়লে কানের সঙ্গে মাথাদের ধরা পড়ার আশঙ্কায় কি থরহরিকম্প রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন।
সমতলের ধাঁচে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পাহাড়েও। সম্প্রতি জিটিএ তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারিতে ৩১৩ জন ও প্রাইমারিতে ১২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। যেখানে ভলেন্টিয়ার শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়। অভিযোগ, এই নিয়োগ কোনও নিয়ম না মেনেই হয়েছে। এমনকি বহু এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা কখনও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকই ছিলেনই না। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের তালিকা সিএন-এর হাতে ওই তালিকায় এরকম দুইজনের নাম উঠে আসছে।
ওই তালিকার ৮৩ নম্বর রয়েছে কেশব রাজ শর্মার নাম যিনি ওই ভলেন্টিয়ার শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন প্রসেসের সদস্য। অভিযোগ এই ব্যক্তি কখনও কোনও স্কুলে ভলেন্টিয়ার এর শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেননি। এমনকি পাহাড়ের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দল যে দলটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দল নামে পরিচিত ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের আত্মীয়।
ঘটনায় অপর একজনের নাম উঠে আসছে, যার নাম সঞ্চাবির সুব্বা। অভিযোগ এই ব্যক্তি কোন স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেনি, এমনকি তার বিএড ডিগ্রিও নেই। এছাড়া এই ব্যক্তি বর্তমানে জিটিএ শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি চিফ এক্সজিউটিভ। ফলে সে কিভাবে জিটিএ ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় এল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।
মণি ভট্টাচার্যঃ পাহাড়ে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে শিক্ষা দফতর। উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সিএন-এর হাতে এল জিটিএ-তে নিয়োগ পাওয়া ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ীকরণের তালিকা। উল্লেখ্য, ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে আপার প্রাইমারি ও ১২১ জন শিক্ষককে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে।
আরও ভয়ানক অভিযোগ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানত সিআইডি, স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন সবাই। ২০২২ সালে জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে সুমন গুরুং নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে শিক্ষা দফতর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গোটা ঘটনার তদন্তের নামে একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরকে জমা করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
ওই কমিটি ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে একটি রিপোর্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরকে জানায় জিটিএ-র স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে বেনিয়ম হয়েছে। তাতে শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক সহ কিছু নেতৃত্বরা জড়িত বলে জানায় ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএতে ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে একটি চিঠি পৌঁছয় শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকেও পাঠায়। এমনকি শিক্ষা দফতর এই চিঠি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সবকিছু জেনেও চুপ ছিল রাজ্য সিআইডি এবং রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশন? কেন এই দুর্নীতির কথা জেনেও চুপ ছিল রাজ্য! উঠছে প্রশ্ন।
জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এবার এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর দায়ের করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দায়ের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিয়োগ মামলায় এই প্রথম রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিধাননগর উত্তর থানায় জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ 'দুর্নীতি' সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।
সূত্রের খবর, পার্থ ছাড়াও এফআইআর-এ বালু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বুবাই বোস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং-সহ সাত থেকে আট জনের নাম রয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিত বসু জানিয়েছিলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর কাছে এক সরকারি আধিকারিক একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিবিআই আগামী ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা দেবে। ওইদিন জিটিএ-কেও একটি রিপোর্ট দিতে হবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, জিটিএ-র অধীন বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল ২০২২ সালেই। অভিযোগ, জিটিএ-র প্রশাসনিক বোর্ডে থাকাকালীন অনৈতিকভাবে প্রায় ৫০০ জনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন জিটিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা ও বিনয় তামাং। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল গোর্খা আনএমপ্লয়েড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
সন্দেশখালিতে এবার ছয় সদস্য়ের কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সন্দেশখালির অত্য়াচারিত মহিলাদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে তাঁরা। রবিবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হন তাঁরা। ইতিমধ্য়ে ধামাখালিতে প্রবেশ করেছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পুলিসের সঙ্গে কথা বললেন তাঁরা।
গত বুধবার শেখ শাহজাহান গ্রেফতারের পর আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভা। এই কর্মীসভাতে উপস্থিত থাকার কথা তৃণমূল কংগ্রেস-এর শীর্ষ নেতৃত্বের। বিগ্রেডের আগে সন্দেশখালিতে এই কর্মী সভার মধ্য দিয়ে কতটা শক্তি তা বুঝে নিতে চাইবে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ড্যামেজ কন্ট্রোলে বারংবার ছুটেছেন সন্দেশখালি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
কিন্তু শাহজাহানের গ্রেফতারের আগে সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রামপুরে গিয়েছিল বিজেপির ফ্য়ক্ট ফাইন্ডিং টিম। কিন্তু সন্দেশখালি প্রবেশের আগেই বাধা পায় বিজেপি ওই প্রতিনিধির দলটি। ব্য়ারিকেড করে বাধা দেওয়া হয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। প্রতিবাদে রামপুরের রাস্তায় বসে পড়েছিলেন ওই প্রতিনিধি দলটি। তারপরেই শুরু হয়েছিল বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বচসা পুলিসের।
সন্দেশখালির পরিস্থিতির উপর টানা নজর রেখে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিসি বাধার মুখে পড়ে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হল তাদের। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের বলে সূত্রের খবর। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তাদের।
এদিকে, দিল্লি থেকে চেয়ে পাঠানো হলো সন্দেশখালির প্রতিদিনকার রিপোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আগামী ৪ মার্চ রাজ্যে আসার কথা রয়েছে। ৫ই মার্চ তারা বৈঠক করবে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে।
প্রতিদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে সন্দেশখালি। আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় জারি করতে হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিস সূত্রে খবর, প্রতিদিনই সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। একই সঙ্গে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিফ ইলেকশন কমিশনার বৃহস্পতিবারই সিআরপিএফের নোডাল অফিসারের সাথে দীর্ঘ বৈঠক সেরেছেন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে।
গত জানুয়ারি মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকদের কার্যত রক্তাক্ত হয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কলকাতায়। তারপর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। স্থানীয়দের তরফে একাধিক অভিযোগ জমা করা হয়েছে পুলিস প্রশাসনের হাতে। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছেন সন্দেশখালির মহিলারাও। নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। এখন অপেক্ষার কবে শান্ত হয় সন্দেশখালি।
'বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। সারা দেশে যা হয় না, তা হয় বাংলায়।' শনিবার রাজ্য সফরে এসে বাংলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পুরুলিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, সাধুদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে রাজ্য প্রশাসন। তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি জন্যই রাজ্যে এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও বেপাত্তা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এ বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর দাবি, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা এই রাজ্যে নতুন কিছু নয়। অভিযুক্তদের ধরার বদলে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ করছে বাংলার সরকার।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে কার্যত বিরোধীদের তুলোধনাও করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই মন্তব্যের পর পুরুলিয়াতে সাধুদের ওপর নক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটল। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অনুরাগ ঠাকুরের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
তৃণমূলের জমানায় বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বারবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে। শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের নেতারা বলছেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাহলে কেন ধরা পড়ে না শাহজাহানের মতো অভিযুক্তরা? আর কেনই বা পুরুলিয়াতে সাধুদের ওপর হামলা হলেও ঠুঁটো জগন্নাথের মতো বসে থাকে পুলিস প্রশাসন?
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
উত্তরবঙ্গে GTA-র ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটির টাকা বাড়ানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিণবঙ্গে আবার প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে রাজপথে সরকারিকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী কেন বিমাতৃসুলভ আচরণ করছেন, প্রশ্ন তুলে সুর চড়িয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বকেয়া ডিএ প্রদানের ক্ষেত্রে কোষাগার শূন্য আর উত্তরবঙ্গে গ্র্যাচুইটি বৃদ্ধির ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৯ ডিসেম্বর SLST চাকরীপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের হাজার দিন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহরের রাজপথে সরকারীকর্মীরা। এই যখন অবস্থা তখন উত্তরবঙ্গ সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। GTA-র ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটির টাকা বাড়ানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু বঞ্চিত রাজ্যের সরকারিকর্মীরা, সেই প্রতিবাদে দক্ষিণবঙ্গে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। কেন এই পৃথক অবস্থানে বাংলার প্রশাসনিক প্রধান, উঠছে প্রশ্ন। দক্ষিণে যখন বঞ্চনার যন্ত্রণা, তখন উত্তরের মন জয়ের চেষ্টায় কেন এই বিমাতৃসুলভ আচরণ, এই প্রশ্ন তুলছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনকে শক্ত ভিতে দাঁড় করাতেই কি উদার মুখ্যমন্ত্রী? আর তাই সরকারীকর্মীরা ডিএ চাইলে বলা হয় কোষাগার ফাঁকা, কটাক্ষ আন্দোলনকারীদের। জিটিএ কর্মীদের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নিরসনে ভোট রাজনীতিকে মাথায় রেখে একটা ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বলছেন এক আন্দোলনকারী। এই মুখ্যমন্ত্রী বাম সরকারের আমলে বলেছিলেন, যে সরকার ডিএ দিতে পারে না, তার ক্ষমতায় থাকার দরকার নেই। এখন আবার বলছেন ডিএ আবশ্যক নয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিসন্ধি ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন এক ডিএ আন্দোলনকারী।
জিটিএ-র জন্য এক ঘোষণা আর সরকারীকর্মীদের জন্য অপর এক ঘোষণা। কেন এই বৈষম্য, প্রশ্ন তুলছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সবসময় মিথ্যাচার করেন, অভিযোগ এক আন্দোলনকারীর।
ময়দান চত্বরে মেট্রোর কাজের জন্য গাছ কাটার মামলায় মেট্রোর কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আরভিএনএল, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন সওয়াল জবাবের সময় আবেদকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, মেট্রোর কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আরভিএনএল-কে ময়দান এলাকায় গাছ কাটার কারণ জানাতে বলেছিল আদালত। কিন্তু গত শুনানিতেও তারা উত্তর দেয়নি। আমাদের দাবি মেট্রো স্টেশন অবশ্যই মানুষের স্বার্থে। কিন্তু তার জন্য গাছ কাটার কী কারণ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ময়দান কি রাজ্যের তত্ত্বাবধানে? উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী মহম্মদ গাল জানান, না, এই ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও বিশেষ ভূমিকা নেই।
আরভিএনএলএর আইনজীবী সাক্ষ্য সেন জানান, এই মেট্রো পথ আর্মির অনুমোদন নিয়ে তৈরি হচ্ছে।মেট্রো প্রচুর দুর্ভোগ সামলেছে এই প্রোজেক্ট করতে গিয়ে। জমি জট থেকে অন্য সমস্ত সমস্যা। এই প্রোজেক্টের তিনটি স্টেশন হবে এই চত্বরে মেশিন সহ অন্যান্য সামগ্রী রাখা ও ব্যবহারের জন্য কিছু গাছের ডাল ও সামান্য কিছু গাছ কাটা হয়ছে। সেই জায়গায় আমরা অতিরিক্ত গাছ বসিয়ে দেবো।
আরভিএনএলএর আইনজীবী সাক্ষ্য সেনের কথা শুনে প্রধান বিচারপতি জানান, মেট্রো কখনই তাদের দায় এড়াতে পারে না। ময়দান এলাকায় প্রচুর জায়গা ।যেখানে গাছ আছে সেটা অনেক বেশি স্পর্শকাতর। মেট্রোকে ভেবে কাজ করতে হবে।আমরা গর্বিত কলকাতা মেট্রো অতি প্রাচীন। এশিয়ার প্রথম। গাছগুলোর জায়গায় পুনরায় নতুন গাছ বসাতে হবে। ব্যালেন্স বজায় রেখে কাজ করতে হবে মেট্রোকে। প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত, প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। হাইকোর্টের ক্লাবও আছে ময়দান চত্বরে যেখানে বাড়তি নির্মাণ সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ময়দান চত্বরে প্রায় ৭০০ গাছ কাটার চিন্তাভাবনা চলছিল।তাঁর বিরোধিতা করেই পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালক্যাটা নামক একটি বেসরকারি সংস্থা, দেদার গাছ কাটা হচ্ছে ময়দানে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২৬ অক্টোবর এই মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী স্থাগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই ১৭ নভেম্বর শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুক্রবার হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। তাল মিলিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা। কিন্তু কিছুতেই যেন মানুষ সচেতন নয়। দিনের পর দিন সামনে আসছে নির্বিচারে সবুজ নিধনের মতো ঘটনা। এবার শিরোনামে হুগলি নলডাঙা এলাকা। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীর একাংশ।
এলাকার এক বাসিন্দার দাবি, গাছ গুলি বাড়তে বাড়তে ইলেক্ট্রিক তারে গিয়ে ঠেকেছে। যার জেরে ঝড় বৃষ্টির দিনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশ বেড়ে যায়। এছাড়া বেশ কিছু কীট পতঙ্গের উপদ্রবের কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েতে গাছ কাটার জন্য জানানো হলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে এসে গাছ গুলি ছেটে দেওয়া হয়।
গত মাসেই হুগলির নপাড়া প্রাথমিক স্কুলে গাছ কাটার অভিযোগে, কানাইপুর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর দিকে আঙুল তুলে পোস্টার পড়েছিল। ফের হুগলির বুকে সবুজ নিধন। যার জেরে এবার বিজেপির তরফে নলডাঙ্গায় এলাকায় পড়ল পোস্টার। যদিও পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি, এলাকাবাসীর স্বার্থেই সমস্ত কাজ করা হয়েছে। তাই বিজেপির দেওয়া পোস্টারে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার।
চা (Tea), বাঙালিদের কাছে কোনও সাধারণ পানীয় নয়, এটি একটি 'ইমোশন'। চা খেতে কে না ভালোবাসে? যাঁরা আসল চা-প্রেমী তাঁরা গরম-শীত, যখন-তখন খেতে পছন্দ করেন। অনেকের আবার দিনের শুরুটা হয় এক কাপ চা দিয়েই। সারাদিনে যে কত কাপ চা পান করেন, এর হিসেবে অনেকেরই থাকে না। অনেকে আবার একবার চা করে রেখে তা বার বার ফুটিয়ে পান করে থাকেন। আবার অনেকেই বেশিক্ষণ ধরে ফোটানো চা খেতে পছন্দ করেন। তবে এখানেই ভুলটা করছেন আপনারা। চা বারবার ফুটিয়ে খাওয়া উচিত কিনা সে ব্যাপারে জানেন কি? বা বেশিক্ষণ ধরে চা ফোটালে তা শরীরের কী কী ক্ষতি করতে পারে, তা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। তবে এবারে জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চা বারবার ফুটিয়ে খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এতে চায়ে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও আরও বাড়ে যখন আপনি দুধ চা বানিয়ে রাখেন। এছাড়াও চা-কে আরও বিষাক্ত করে তোলে চিনি। আবার চায়ের গুণাগুণও নষ্ট হয়ে যায়। বারবার গরম করা চা পান করলে চোখের গ্লুকোমা ও স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। আবার হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে ডায়রিয়া, পেটের নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
আবার বেশিক্ষণ ধরেও চা ফোটানো উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিক্ষণ ধরে চা ফোটালে চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন নামের দুটি উৎসেচক নষ্ট হয়ে যায়। এতে চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায়। আর তা শরীরের পক্ষেও ভালো না। এই চা পান করলে খাদ্যনালীতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এক থেকে দু'মিনিটের বেশি চা ফোটানো ঠিক নয়।
এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে ম্যারাথন বৈঠক করল টিম ইন্ডিয়া। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওয়াশিংটন সুন্দরকে টিমে নেওয়া হল। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্রীলঙ্কায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে, অক্ষর পটেলের চোট। বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না অক্ষর। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাঁ হাতে চোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে এলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ফাইনালে তাঁকে খেলানো হতে পারে।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ রাহুল দ্রাবিড় -সহ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট দীর্ঘ বৈঠক করে ওয়াশিংটনকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শনিবার প্রথমে বৈঠক শুরু হয়েছিল কোচ দ্রাবিড় এবং ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌরের মধ্যে। এরপর যোগ দেন রোহিত এবং অজিত আগরকর। এরপর বোলিং কোচ পরেশ মামব্রে এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপও বৈঠকে যোগ দেন। তিনঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁরা আলোচনা করেন। রাঠৌর, মামব্রে এবং দিলীপ চলে যাওয়ার পরেও ঘণ্টাখানেক কথা বলেন রোহিত, দ্রাবিড় এবং আগরকার।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট করার সময় অক্ষরের হাতে একাধিক বার বল লাগে। সেই চোটের কারণেই ছিটকে গেলেন তিনি।
শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন সদস্য় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের। কী থাকছে সেই নৈশভোজের মেনুতে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই মেনু কার্ডও। তার মধ্যে জায়গা পেল বাংলার দার্জিলিংয়ের চা।
এদিন নৈশভোজে থাকছে ভারতীয় ছোঁয়া। জানা গিয়েছে, নৈশভোজের স্টার্টারে থাকছে পাত্রম। বিশেষ জায়গা করে নিয়ে মিলেট। থাকছে ঝাল চাটনি। মেন কোর্সে জায়গা করে নিয়েছে ভানবারনম। কেরালার লাল চাল ও উৎকর্ষ মাশরুম থাকছে। সঙ্গে থাকবে মুম্বইয়ের পাওভাজি, কাশ্মীরে বাকারখানি। শেষপাতে থাকছে, ইলাচি ফ্লেভারের হালুয়া ও মোরোব্বা।
নৈশভোজের পর অতিথিদের জন্য থাকবে কাশ্মীরের কাহওয়া, ফিল্টার কফি ও দার্জিলিং চা।