আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর এই ভোট আবহে ফের একবার ফাঁস ভোট কর্মীদের তথ্য। প্রকাশ্যে, পোলিং পার্টি-সহ কোন ব্লকে ডিউটি সেই সমস্ত তথ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৩৭৯ টি দলের ভোটকর্মীদের তালিকা চলে এসেছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
ভোট কর্মীদের বহু ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী। ফাঁস হওয়া তালিকা বাতিল এবং দোষীদের শাস্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানালেন কিংকর অধিকারী। পাশাপাশি তিনি জানালেন, এভাবে বারংবার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চলে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়া এবং আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ফাঁস হয়েছে ভোটকর্মীদের ব্যক্তিগত বহু তথ্য। ভোটকর্মীদের মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তখন এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও।
তারপর ফের একবার তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বারংবার কীভাবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য? নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রভাব? তবে এবার রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং ভোটকর্মীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায়, এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার।
লোকসভা ভোটের আগে উত্তেজনা যোগী রাজ্যে। হঠাৎ করেই জেলের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক গ্যাংস্টার নেতা মুক্তার আনসারির। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। যদিও জেলের এই দাবি মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, তাঁকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুখতারের ভাই আফজল আনসারির অভিযোগ, এক বার নয়, একাধিকবার স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছে তাঁর দাদাকে।
উত্তর প্রদেশের বান্দার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিকেলের খাওয়া শেষের পর থেকেই তিনি বমি করতে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা জেলের ভিতরেই চিকিৎসা শুরু করেন। তারপর রাত ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ জেলের অ্যাম্বুলান্সে করে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরে আর জ্ঞান ফেরেনি গ্যাংস্টার নেতার। মৃত্যু হয় তাঁর।
উত্তর প্রদেশের মৌ বিধানসভা এলাকার বিধায়ক পদে ছিলেন আনসারি। একাধিকবার সেখান থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একাধিক মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বান্দা জেলে ছিলেন আনসারি। আনসারির মারা যাওয়ার পরেই যোগী সরকার মৌ, গাজিপুর এবং বান্দার নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
৬৩ বছরের আনসারি পর পর ৫ বার মৌ সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবের জেলে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টি অপরাধের মামলা এখনও চলছে। জানা গিয়েছে গত ২৬ মার্চ নাকি মুক্তার আনসারিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেসময় পেটে ব্যাথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রানি দুর্গাবতি হাসপাতালে সুপার জানিয়েছেন, সেখানে তাঁর চিকিৎসা হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
ফের শহরজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান ইডি এবং আয়কর দফতরের। জানা গিয়েছে, ভিনরাজ্যের প্রতারণা মামলার কারণেই এ রাজ্যের একাধিক জায়গায় অব্যাহত ইডির তল্লাশি অভিযান। বুধবার, সল্টলেকের AE ৪৩০ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় চলল ইডির তল্লাশি। ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা এবং এই প্রতারণার কাজ পরিচালনা করা হতো ছত্তিশগড় থেকে। একইসঙ্গে অভিযোগ রয়েছে কর ফাঁকি দেওয়ার।
এছাড়াও সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি বেসরকারি সংস্থাতেও চলল ইডির তল্লাশি অভিযান পর্ব। GST কর তছরূপের অভিযোগে সৃজন কর্পোরেট পার্কের ১৬ তলায় অবস্থিত ওই বেসরকারি সংস্থায় তল্লাশি, এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাশা এলাকায় এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী সর্বানী ভগত-এর বাড়িতেও হানা দিল ইডি। সর্বানীর স্বামী রাজু ভগত, পেশায় গাড়ির চালক। সল্টলেকের মতো একইভাবে উত্তর প্রদেশের একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপস -এর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করতেই ED র এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। এই গেমিং অ্যাপস-এর ম্যানেজার হিসেবে নাম উঠে এসেছে সর্বাণী ভগতের।
এছাড়াও রিষড়ার ঘোড়ামারা প্রভাসনগর এলাকায় ১৮ নং ওয়ার্ডে চলল আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। রিষড়ার একটি বহুজাতিক আবাসনে অনুজ পাণ্ডের ফ্ল্যাটে বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় আয়কর দফতরের এই তল্লাশি অভিযান। সবমিলিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করতেই বুধবার শহরের একাধিক জায়গায় চলল ইডি এবং আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান।
সবমিলিয়ে আর্থিক তছরুপ সহ ভিনরাজ্যে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার তদন্ত করতেই বুধবার শহরের একাধিক জায়গায় চলল ইডি এবং আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। শিক্ষা থেকে নিয়োগ, GST ফাঁকি থেকে ভিন্রাজ্যের প্রতারণার যোগ, তাহলে কি বাংলা ধীরে ধীরে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে? এই প্রশ্ন যেমন উঠছে তেমনি এখন এইতল্লাশি অভিযানের ফলে ইডি এবং আয়কর দফতরের হাতে আর কোন কোন নাম তালিকায় উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের নার্সিং ছাত্রীর রহস্যময় মৃত্যু। দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ? ধোঁয়াশায় পরিবার।
জানা গিয়েছে, সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তী নামের ওই পড়ুয়া জিয়াগঞ্জের রবীন্দ্রনাথ টেগর ইনস্টিটিউটে নার্সিং-এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশোনাতেও খুব মেধাবী ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীকে অজ্ঞান এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্দেহ, অভিষেক হোসেন ওরফে সাহেব নামের বন্ধুর সঙ্গে বাইকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং পরের দিন কলকাতার এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হলে ২৬শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত। তবে নিহত পড়ুয়ার ভাইয়ের প্রশ্ন, যদি বাইক দুর্ঘটনা হয় সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পর অভিষেক বন্ধুকে ফেলে পালিয়ে গেলেন কেন? তার নাম যাতে কোথাও না আসে সেই চেষ্টাই বা কেন?
পরিবারের তরফে গত ২১ তারিখে বহরমপুর থানায় অভিষেক হোসেন ওরফে সাহেব নামে নিহত ওই সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীর বন্ধুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পরিবার সূত্রে খবর। নিহত পড়ুয়ার বাবার দাবি, ঈর্ষার কারণে এই ঘটনা। প্রেম ঘটিত সমস্যার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পরিবার। হয়তো বন্ধুদের দুষ্কৃতী চক্রের পাল্লায় পড়েই মেয়ের এরকম পরিণতি। জানাচ্ছে নিহত পড়ুয়ার পরিবার।
সম্রাজ্ঞী চক্রবর্তীর মৃত্যুতে পরিবারের দাবি সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষিদের যাতে শাস্তি হয় প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
কানাডার (Canada) সঙ্গে ভারতের (India) সম্পর্ক যখন চরমে পৌঁছেছে, তখনই খালিস্তানপন্থী (Khalistani) গ্যাংস্টারদের (Gangsters) খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এনআইএ (NIA)। দেশের ৬ রাজ্যের মোট ৫০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এর আগে ১৯ জন পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতার তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইএ। এর পর ফের খালিস্তানপন্থী গ্যাংস্টারদের ধরতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। খালিস্তানি গ্যাংস্টারদের খোঁজে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি-এনসিআর, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। শুধুমাত্র পঞ্জাবেই ৩০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এছাড়া রাজস্থানের ১৩টি, হরিয়ানার ৪টি , উত্তরাখণ্ডের ২টি, এবং দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের ১টি করে জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সূত্রের খবর, ভারতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক মদত দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও কিছু গ্যাংস্টাররা। এছাড়াও অস্ত্র সরবরাহ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত তারা, এমন একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। আবার তদন্তকারী সংস্থার কাছে খালিস্তানি-আইএসআই যোগের তথ্য প্রমাণও রয়েছে। ফলে এসব খালিস্তানপন্থী নেতা-গ্যাংস্টারদের খুঁজে বের করতে মরিয়া ও তার জন্যই এনআইএ-এর এই তল্লাশি অভিযান।
সম্প্রতি, খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুর জন্য ভারতকে দায়ী করেছে কানাডা। এ থেকেই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে এনআইএ-এর তল্লাশি অভিযান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ফের শিরোনামে যাদবপুর। পূর্ব যাদবপুরের গ্রিনপার্ক এলাকায় নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সূত্রের খবর, গ্রিনপার্ক এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বছর ২২-এর মল্লিকা দাস। সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই নার্সিং-এর চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল মল্লিকা।
কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি মানিসিক অবসাদ নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিস। তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাণোচ্ছল মেয়ে ছিল মল্লিকা। বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে থাকত। কোনও ঝামেলা ছিলনা। ঠিক কী কারণে এই মৃ্ত্যু তা স্পষ্ট নয় তাদের কাছেও।
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বাঁকুড়ার হাড়মাসড়া গ্রাম থেকে শহরে পড়তে এসেছিল মল্লিকা।ছিল জীবনে কিছু করার তাগিদ। এক লহমায় বদলে গেল বাস্তব ছবি। পরিবারের মায়া কাটিয়ে না ফেরা দেশে হারিয়ে গেল মল্লিকা। মল্লিকার অকাল প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা হাড়মাসড়া গ্রাম।
এর আগেই জানা গিয়েছিল, অনলাইন গেমিং (Online Gaming), হর্স রেসিং ও ক্যাসিনোতে (Casino) বসতে চলেছে চড়া জিএসটি (GST)। এবারে সেটাই হল। শুক্রবার পাশ হয়ে গেল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি বিল (GST Bill)। অনলাইন গেমিং, রেসিং, ক্যাসিনো এসবের উপর এখন থেকে ২৮ শতাংশ কর কার্যকর করা হবে বলে খবর। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম শুরু হতে চলেছে।
শুক্রবার, বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় 'দ্য সেন্ট্রাল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (অ্যামেনডেন্ট) বিল ২০২৩' এবং 'দ্য ইন্টিগ্রেটেড গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (অ্যামেনডেন্ট) বিল ২০২৩' ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে। জিএসটি আইনের ৩এ ধারা পরিবর্তন করার সুযোগ পেতেই এই সংশোধিত বিল পাশ করা হল। অনলাইন গেম, ক্যাসিনোর পাশাপাশি অনলাইনে জুয়া সংক্রান্ত বিষয়েও কার্যকর হবে ২৮ শতাংশ জিসএসটি। এই বিল পাশের জন্য সম্মতি দিয়েছিল জিএসটি কাউন্সিল। এ বার তা সংসদেও পাশ হয়ে গেল। তবে এই আইন ১ অক্টোবর থেকে শুরু কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।
মাফিয়া আতিক আহমেদ (Gangster Atiq) হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরগরম উত্তর প্রদেশের রাজনীতি। সেই ঘটনার দিন কয়েক পরে এবার রাজ্যব্যাপী দুষ্ট দমনে কোমর বাঁধছে উত্তর প্রদেশ পুলিস (Uttar Pradesh Police)। জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলা ধরে ধরে মাফিয়া-তোলাবাজদের তালিকা তৈরি করেছে পুলিস। এদের ভবিষ্যৎ কী, ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। জানা গিয়েছে, এসব মাফিয়া-তোলাবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পথেও হাঁটতে পারে পুলিস।
এদিকে, সম্প্রতি এক বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের বার্তা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন, 'কোনও মাফিয়া বা গ্যাংস্টারকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। উত্তরপ্রদেশ সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে তাঁদের নিরাপত্তার। উত্তরপ্রদেশ সরকার আপনাদের এবং আপনাদের বিনিয়োগের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিচ্ছে। এখন থেকে কোনও জেলায় কাউকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।'
অপরদিকে, আতিক-কাণ্ডে হইচইয়ের মধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে এই হত্যাকাণ্ড। এখন সেদিকে তাকিয়ে ইউপিবাসী।
কলকাতায় (Kolkata) গ্রেফতার বিহারের (Bihar) কুখ্যাত গ্যাংস্টার (Gangstar)। রবিবার সকাল বেলা তোপসিয়া থানার ফাইভ বি হিমগঞ্জ জমাদার লেনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। পুলিস জানিয়েছে, বিহারের ওই গ্যাংস্টারের নাম রোহিত যাদব। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই পলাতক ছিল ওই গ্যাংস্টার। বিহারের একটি খুনের মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই গ্যাংস্টারকে যৌথ ভাবে গ্রেফতার করে বিহার ও কলকাতা পুলিস।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ওই কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের খবর পেয়ে বিহারের বিশাল পুলিস বাহিনী কলকাতা এসে পৌঁছয়। তারপর বিহার ও কলকাতা পুলিসের যৌথ অভিযানে পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় রোহিত। সূত্রের খবর, ওই গ্যাংস্টার অনেকদিন ধরেই এই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল। বিহার পুলিসের তরফে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
পুলিসের (Police) এনকাউন্টারে মৃত্যু (Death) হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র আসাদ সহ গুলাম নামে আরও এক জনের। জানা গিয়েছে, ঝাঁসিতেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আসাদ এবং গুলামের। প্রয়াগরাজে উমেশ পালের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এই দুই অভিযুক্ত। যার ফলে উমেশ হত্যাকাণ্ডের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা উত্তরপ্রদেশে। এমনকি ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকাতে রাখা হয়েছিল আসাদ এবং গুলামকে।
সূত্রের খবর, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে উমেশ পালকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উমেশের দুই নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয়। উমেশ খুনের অভিযোগ ওঠে সম্পূর্ণ আতিক এবং তার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। তাই আসাদ এবং গুলামকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছিল পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রাজ্যের এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াই চলাকালীনই মৃত্যু হয়েছে আসাদ এবং গুলামের। মৃত্যুর পর তাঁদের থেকে অস্ত্র, মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ডও উদ্ধার করে এসটিএফ। এমনকি উমেশ পাল অপহরণের মামলায় সম্প্রতি আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে প্রয়াগরাজের এমপি-এমএলএ আদালত। আর তারপরেই আতিক পুত্র আসাদের এই পরিণাম যেন নাড়িয়ে দিয়েছে আতিককে।
গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose wala) হত্যাকাণ্ডে (Murder Case) জড়িত মূলচক্রী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে (Gangster Goldy Brar) আটক করা হয়েছে বলে সম্প্রতি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান দাবি করেছিলেন। গোল্ডিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করা হয়। তবে এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন কোনও ঘোষণা করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বলার পর থেকেই খবরটি নিয়ে বেশ হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এসবের মধ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর থেকেই নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ভগবন্ত মানকে।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে গ্যাংস্টার গোল্ডিকে। গোল্ডি দাবি করেন, তিনি আটক হননি। এছাড়া তিনি আমেরিকাতেও নেই। ভুল খবর ছড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে, তাহলে কী করে এত বড় ভুল খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কি ভিডিওটি সত্যি?
কিছুদিন আগে খবরে এসছিল, ক্যালিফোর্নিয়া সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এবং পঞ্জাব পুলিসের কাছে গোল্ডিকে আ়টক করার বিষয়টি জানিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সূত্রের তরফে এও জানা গিয়েছে, গোল্ডিকে শীঘ্রই ভারতে আনা হতে পারে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল পঞ্জাব পুলিস। পুলিসি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল সিধু খুনে অভিযুক্ত দুই গ্যাংস্টার রূপা এবং মুন্না কুসার। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পঞ্জাব পুলিস খবর পেয়েছিল অমৃতসরের আটারিতে চিচা ভাকনা গ্রামে আত্মগোপন করে রয়েছে এই দুই অভিযুক্ত।
মৃতদেহ উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। রবিবার সাত সকালে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃত ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গলে। তার নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন, বয়স ১৯ বছর। শেখ সালাউদ্দিন আসানসোলের একটি কলেজে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন। শনিবার এবং রবিবার ছুটি থাকার কারণে প্রত্যেক সপ্তাহে তিনি বাড়ি আসতেন এবং সোমবার ফের কলেজের যেতেন ও ।
সৈয়দ সালাউদ্দিন মল্লারপুরের সুমনা পল্লীর বাসিন্দা। তবে এই সপ্তাহে সে বাড়ি না আসার কারণে তার মা ফোন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, রবিবার আসবেন। এরই মধ্যে শেখ সালমান নামে এক বন্ধুর সঙ্গে সে বের হয় আর সন্ধ্যার পর সালাউদ্দিনের বাবার কাছে ফোন আসে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের বাবা এবং তার পরিবারের সদস্যরা টাকা জোগার করা সহ তৎপরতা শুরু করেন এবং পুলিসকে খবর দেন। রাতেই জানানো হয় ইলামবাজারে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ওই যুবক কলেজ পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাঁকুড়া (Bankura) শহরের লোকপুর এলাকার ভকতপাড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনার পর বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায় ওই যুবকের নাম শিবনাথ ভকত, বয়স কুড়ি বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র। বাবার নাম তরুণকান্ত ভকত এবং বাবা থাকতেন দুর্গাপুরে (Durgapur)। বাড়িতে থাকতেন মা ও তার বোন। মঙ্গলবার তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না।
বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা যায়, ওই ছাত্র কোনো বাজে ব্যাপারে জড়িত ছিল না এবং পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। রাতে বাড়িতে একাই ছিল। আকস্মিক মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। বুধবার ভোর ৫টায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিসের গাড়িতে (Police Van) বসে কেক কেটে (Cutting Cake) জন্মদিন সেলিব্রেশন (Birthday Celebration) করছে খুনে (Murder) অভিযুক্ত। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের থানে জেলার কল্যাণের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিস ভ্যানের ভিতরে জন্মদিনের কেক কাটে ওই অভিযুক্ত রোশন ঝা। সে উলহাসনগরের বাসিন্দা। জন্মদিন উপলক্ষে তার অনুগামীরা কেক নিয়ে হাজির হন জেলে। পুলিস রোশনকে এসকর্ট ভ্যানে তুললে, সেসময় ভ্যানের জানলা দিয়ে কেক তাঁর কাছে নিয়ে যান। এবং সেখানেই কেকটি কাটা হয়। বন্ধুদের মধ্যেই একজন ভিডিও করে নেটপাড়ায় এটি ছেড়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
রবিবার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই রোশন গ্যাংস্টার হিসেবেই পরিচিত। খুন, তোলাবাজি সহ একধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আজ ১৫ই অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশ জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করা হচ্ছে। আর এই দিনেই ঘটে গেল বিপত্তি। সাত সকালে পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (death) হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের (Engineering student)। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায়, উত্তর আসানসোলের (North Asansol) হাউসিং এলাকায় পতাকা লাগাতে গিয়ে মৃত্যু হয় ইঞ্জিনিয়ার এক ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম সৌমিক দত্ত। ওই এলাকায় বাড়ি ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। আজ পতাকা টাঙাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে কোনওমতে সংযোগ হয় বৈদ্যুতিক তারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য হয় ওই ছাত্রের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে বিদ্যুতের লাইন। আবার কিছু মানুষ নিয়ম না মেনেই বাড়ির সামনের অংশ বাড়িয়ে নিয়েছে। যে কারণে বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যুতের তার হয়ে গিয়েছে।
এলাকার কাউন্সিলর অনিমেষ দাস জানিয়েছেন, মানুষ বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন নিয়ম না মেনেই। তবে পতাকা লাগাতে গিয়ে জিআই তার ব্যবহার করা উচিত ছিল না। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা টাঙাতে গিয়ে ইঙ্গিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যতে শোকাহত গোটা এলাকা।