৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই দু'দিন ধরে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit)। এই আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাবড় তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা। ফলে তাঁদের জন্য খাবারেরও এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, তাঁদের খাবারের জন্য কোনও মাছ-মাংস রাখা হয়নি, বরং প্রধান খাবার হিসাবে রাখা হয়েছিল মিলেট বা রাগি (Millet)। রাগি দিয়েই দেশের জনপ্রিয় সেইফরা রান্না করেছিলেন বিভিন্ন রকমের পদ। তবে জানেন কি মিলেট বা রাগি, এক সামান্য শস্য হলেও এক উপকারিতা কী কী রয়েছে? তবে জেনে নিন, মিলেট-এর উপকারিতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাগিতে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মিলেট অত্যন্ত উপকারি এক শস্য। এছাড়াও, রাগিতে থাকা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে। রাগিতে থাকা ফাইবার অত্যন্ত সহজপাচ্য, তাই হজমের সমস্যা থাকলেও রাগি খাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও রাগি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এই প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit) সভাপতিত্ব নিয়েছে ভারত। তাবড় তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা ভারতের আয়োজিত করা জি-২০-তে অংশ নিয়েছিলেন। ফলে তাঁদের আতিথেয়তায় কোনও কার্পণ্য করেনি মোদী সরকার। ভারত মণ্ডপম থেকে শুরু করে তাঁদের খাবার, সমস্ত কিছুতে এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। চোখধাঁধানো ছিল সাজসজ্জা। কিন্তু এসবের আয়োজন করতে গিয়ে বরাদ্দ করা টাকার থেকে ৩০০ শতাংশ বেশি খরচ করেছে কেন্দ্র, এমনটাই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।
দেখা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসরে সাংসদ সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে একটি দাবি করে লেখেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জি-২০ সামিটের জন্য যে ৯৯০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ করেছে মোদী সরকার। তাঁর দাবি জি-২০-এর জন্য ৪১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ করার পরই কেন্দ্রের তরফেও দেওয়া হয়েছে যুক্তি।
A tweet claims Govt spent 300% more on #G20 than funds allocated in budget#PIBFactCheck
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) September 11, 2023
1 This claim is misleading
2 The quoted expenditure is majorly towards permanent asset creation by ITPO & other infrastructure development which is not limited to hosting G20 Summit alone pic.twitter.com/CRGkraJw3J
PIB-র পক্ষ থেকে একটি টুইট করে সাকেত গোখলের দাবিগুলিকে বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে, যে মোট অর্থ খরচ করা হয়েছে, তা শুধুমাত্র জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রগতি ময়দান চত্বর এবং জি-২০-এর জায়গা ভারত মণ্ডপের দীর্ঘমেয়াদী পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই বিনিয়োগ করা হয়েছে।
অবশেষে প্রায় দু'দিন পর কানাডার উদ্দেশে রওনা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু দেশে ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Canada prime Minister) জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সূত্রের খবর, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই আটকে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল। কিন্তু এবারে খবরে এসেছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকলেও তিনি অবশেষে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকেই এই খবর দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি হয়েছে। তার পরই ঠিক ছিল যে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই বিমানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। ফলে তাঁরা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে ভারতেই আটকে ছিলেন। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী বিমানের সমস্যা মেটানোর কাজ করিছল। এছাড়াও খবরে এসেছিল, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য বিমান পাঠানো হবে। সেই বিমান রওনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরই কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রেস সেক্রেটারি মহম্মগ হুসেন জানান, বিমানে যা ত্রুটি ছিল তা ঠিক করা হয়েছে। ফলে যে বিমান কানাডা থেকে রওনা দিয়েছিল, পরে সেটি লন্ডন থেকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর আগের বিমানে করেই ভারত ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন। জি-২০ সম্মেলনে (G20 Summit) অংশ দিতে তাঁর এই ভারত সফর। আর তিনি এ দেশে আসার পর থেকেই মন জিতে চলেছেন প্রত্যেকের। এর মধ্যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর এবারে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে কথোপকথনের এক মুহূর্ত। তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ নেটদুনিয়া।
p style="text-align: justify; ">রবিরাব ১ টা নাগাদ সমাপ্তি হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। তবে এর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রাষ্ট্রনেতাদের একাধিক ছবি। সেসব ছবিগুলোর মধ্যে যেই ছবি সবার নজর কেড়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, হাসিনা ও সুনককে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে আর পাশে হাঁটু গেড়ে কথা বলতে দেখা গেল সুনককে। হাসিনাকে যাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দাঁড়াতে না হয়, তার জন্য হাঁটু গেড়েই বসতে দেখা গেল ঋষিকে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র অহংকার নেই, এমনটাই মন্তব্য নেটিজেনদের। এছাড়াও তিনি যে তাঁর সংস্কৃতি ভোলেননি, সেটা নিয়েও সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।What a lovely & an adorable picture of Our HPM Sheikh hasina & @RishiSunak.
— Silvia Parveen Lenny (@ParveenLenny) September 10, 2023
❤️ pic.twitter.com/OS0Mwu6hN9
ঋষি সুনকের স্ত্রী অক্ষতার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত বা ক্যান্ডিড ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁর এমন ছবি এখন সমাজমাধ্যমে ট্রেন্ডিং। ফলে ঋষি সুনকের এমন ব্যবহারে দেখে মুগ্ধ ও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটদুনিয়া।
জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit) জন্য ভারতে এসেছেন প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম ভারত সফরে এলেন। ভারতে এসে জি-২০ সম্মেলনের অংশ নেন ও কথোপকথন হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে। তাঁদের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। কিন্তু ঋষি সুনকের যে ছবিগুলো নেটিজেনদের মন কেড়েছে তা হল তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি। তাঁদের ছবিগুলো এখন সমাজমাধ্যমে ট্রেন্ডিং। আর নেটিজেনরা তাঁদের 'কাপল গোলস' বলে উল্লেখ করছেন।
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির দর্শনে সাতসকালে পৌঁছে যান ঋষি সুনক ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। সেখানে গিয়ে একসঙ্গে পুজো দিয়েছে, আরতি করেছেন। আর এর পরই সেখান থেকে বেরনোর সময় শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে ঋষিকে তাঁর স্ত্রীর পাশে এক লাল ছাতা ধরে থাকতে দেখা যায়। নিজের জীবনসঙ্গী অক্ষতার মাথা যাতে না ভেজে, তার জন্য ছাতা ধরে আছেন ঋষি। একই ছাতার তলায় আছেন তিনি নিজেও। স্বামীর মাথাতেও যাতে জল না পড়ে, সেদিকে নজর রেখেছেন অক্ষতাও। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। 'কাপল গোলস' বলে উল্লেখ করছেন নেটিজনরা। এছাড়াও তাঁদের এই ক্যান্ডিড মুহূর্তগুলো হয়তো হার মানাবে সিনেমার দৃশ্যকেও।
এর আগেও ভারতে আসার সময় বিমানের মধ্যেও এক 'কিউট মোমেন্ট' ধরা পড়ে ক্যামেরার লেন্সে। সেই ছবিতে অক্ষতাকে ঋষির টাই ঠিক করতে দেখা গিয়েছিল। এই ছবি মন কেড়েছিল নেটিজেনদের। তবে এবারে বৃষ্টির মধ্যে লাল টুকটুকে ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে দু'জনের একে অপরের প্রতি অগাধ যত্ন ও ভালোবাসা দেখে নেটিজেনরা মুগ্ধ। তাঁদের বক্তব্য, এই কাপল হার মানাবে তাবড় তাবড় তারকা যুগলদেরও।
অবশেষে শেষ হল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। রবিবার, ১০ ডিসেম্বর এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থনা করলেন, সারা বিশ্বে যেন শান্তি বজায় থাকে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই তাঁর এই প্রার্থনা। মোদী আরও বললেন, 'স্বাতী অস্তু বিশ্ব'। এই স্লোগানের বাংলা করলে দাঁড়ায় 'সারা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।' তবে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী নভেম্বরে ভার্চুয়াল জি-২০ সম্মেলনের ডাক দিলেন।
সূত্রের খবর, রবিবার ছিল জি-২০ সম্মেলনের শেষ দিন। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ ভারত মণ্ডপমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি দেশে শান্তি বজায় থাকার জন্য প্রার্থনাও করেন। এই সঙ্গেই জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তুলে দিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার হাতে। জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে জি-২০ বৈঠক বসবে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে। সেখানেই বসবে জি-২০-এর ১৯ তম সম্মেলন। তবে জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব ব্রাজিলের হাতে তুলে দেওয়া হলেও এখনও এই পদে থাকছে ভারতই। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতই জি২০-র সভাপতি থাকবে। এরই মধ্যে আরও একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নভেম্বর মাসেই জি-২০-র একটি বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G 20 Summit) দ্বিতীয় দিনের শুরুটাই হল রাজঘাটে (Rajghat) মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে। একে একে সেখানে উপস্থিত হন সম্মেলনে যোগ দেওয়া সমস্ত রাষ্ট্রনেতারা। ১০ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল সকাল মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য নেতারা দিল্লির রাজঘাটে পৌঁছন।
সূত্রের খবর, রাজঘাটে সকল অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে একে একে যোগ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারজেই লাভরোভ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁদের 'অঙ্গবস্ত্রম' দিয়ে স্বাগত জানান।
সকলেই জাতির জনকের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নেপথ্যে বেজে চলে মহাত্মার প্রিয় গান 'বৈষ্ণব জনতো...'। ইতিমধ্যেই সেই সব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বাইডেন, সুনক ও মোদীকে আলাপচারিতায় মগ্ন হতে দেখা গিয়েছে। আবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে যাওয়ার সময় মোদীর পাশাপাশি ঋষি সুনককেও খালি পায়ে হাঁটতে দেখা যায়। এর পরই জানা গিয়েছে, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত ছেড়েছেন।
জি-২০ সম্মেলন ঘিরে রাজধানী দিল্লিতে সাজো সাজো রব। আজ অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit)। ইতিমধ্যেই নয়া দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানরা ও ভারত মণ্ডপমে বসেছে এর আসর। শনিবার সকালেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক-সহ অন্য রাষ্ট্রনেতারা একে একে পৌঁছন সেখানে। নিজে উপস্থিত থেকে সকলকে সেখানে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর পরই বাইডেনকে স্বাগত জানানোর এক বিশেষ মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জি-২০ সম্মেলনের জন্য তৈরি করা কোনারকের সূর্যমন্দিরের বিখ্যাত চাকার প্রতিরূপ দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন বাইডেন। আর সেই প্রতিরূপের মাহাত্ম্য বিষয়ে বাইডেনকে জানাতে দেখা গেল মোদীকে।
জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন শিল্প ও কারুকার্যে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল 'ভারত মণ্ডপম'। সেখানে প্রবেশের মুখেই ওড়িশার কোনারকের মন্দিরের বিখ্যাত চাকাটির একটি প্রতিরূপও তৈরি করে রাখা হয়েছে। সেই সাজসজ্জা নজর কেড়েছে সকলেরই। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারতের এমন শিল্প দেখে হতবাক হয়ে যান। নিজের কৌতূহল চেপে রাখতে পারেননি তিনি। ফলে তাঁর কৌতূহল প্রকাশ করতেই বাইডেনের সঙ্গে করমর্দনের পর তাঁকে ওই চাকার বর্ণনা দিচ্ছেন মোদী। আর এই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে ও ইতিমধ্যে তা ভাইরাল।
VIDEO | PM Modi explaining about Odisha's Konark wheel to US President Joe Biden as he arrived at Bharat Mandapam to attend the G20 Summit.
— Press Trust of India (@PTI_News) September 9, 2023
The Konark wheel was built during the 13th century under the reign of King Narasimhadeva-I. The wheel consists of eight wider spokes and… pic.twitter.com/NPw5yCgEuK
বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ইন্ডিয়া (India) নাকি ভারত (Bharat), দেশের নাম আদৌ পরিবর্তন হবে কিনা, তা নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। রাষ্ট্রপতি ভবনের নিমন্ত্রণপত্র থেকে শুরু করে অন্য দেশকে পাঠানো পুস্তিকা, সাংবাদিকদের প্রবেশপত্র, সবেতেই দেশের নাম 'India'-র পরিবর্তে লেখা হয়েছিল 'ভারত'। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছিল বিতর্ক-সমালোচনা। এবারে এই বিতর্কের মাঝেই ফের দেখা গেল জি-২০ সম্মেলনের (G 20 Summit) সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে 'ইন্ডিয়া' নয় 'ভারত' নামের নেমপ্লেট ব্যবহার করতে। ফলে বিতর্ক আরও উসকে দিল এই নেমপ্লেট।
আজ অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানের 'ভারত মণ্ডপমে' শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। আর এই সম্মেলন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে দেশের নাম হিসেবে 'ভারত' লেখা ফলক চোখে পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে টেবিলে মোদীর সামনে একটি ফলক দেখা গিয়েছে, যার একদিকে জি-২০ সম্মেলনের প্রতীকী চিহ্ন রয়েছে, আর মধ্যিখানে ইংরেজি হরফে লেখা রয়েছে 'ভারত'। সাধারণত কোনও সম্মেলনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে নাম হিসাবে 'ইন্ডিয়া' লেখা নেমপ্লেট দেখা যেত। কিন্তু এবারে 'ভারত' লেখা নেমপ্লেট দেখতেই ফের প্রশ্ন উঠছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অবস্থান নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, 'তবে কি সত্যিই দেশের নাম পরিবর্তন হতে চলেছে?'
আজ থেকে নয়া দিল্লিতে শুরু জি ২০ সম্মেলন। ঢেলে সাজানো হয়েছে দিল্লির প্রগতি ময়দান। এবারের সম্মেলনের দায়িত্বে ভারত। প্রায় ১৫ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন , ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারত মণ্ডপমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় শুরু হবে জি২০ সম্মেলনে। গোটা দিল্লি যেন কার্যত দুর্গ শহরে পরিণত হয়েছে। ট্রেন, ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ১৯টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত মণ্ডপম কনভেনশনে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রগতি ময়দানে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) নিজের বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi)। ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটিতে পা রাখেন জো বাইডেন। এর পর জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit) আগেই মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বাইডেন। বৈঠকটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় ও রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে শেষ হয়। প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁদের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৫২ মিনিটের এই বৈঠকে এআই, মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় মোদী-বাইডেনের। দুই নেতার আলোচনায় উঠে এসেছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যাতে ভারত হতে পারে সেই বিষয়টি নিয়ে। বৈঠকে মোদীকে আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন। ভারতকে স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত করে রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে পাশে থাকার কথাও বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ৫জি ও ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে আরও গবেষণা ও বিকাশের জন্য জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স গঠনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার কোয়ান্টাম শক্তি নিয়েও কথা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্তরে কোয়ান্টাম শক্তিকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন। এছাড়াও চন্দ্রযান ৩ -এর সাফল্যের জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক্স মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কিছু মুহূর্তের ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনের আগে এই বৈঠক ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
Prime Minister @narendramodi and @POTUS @JoeBiden are holding talks at 7, Lok Kalyan Marg in Delhi.
— PMO India (@PMOIndia) September 8, 2023
Their discussions include a wide range of issues and will further deepen the bond between India and USA. 🇮🇳 🇺🇸 pic.twitter.com/PWGBOZIwNT
জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) উপলক্ষে ৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দিল্লিতে এসে পৌঁছন ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এই প্রথম ভারতে এলেন 'ভারতীয় জামাই'। তিনি ভারতের মাটিতে পা রাখতেই তাঁকে বিশেষভাবে সম্মান জানিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তাঁকে স্বাগত করার দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এর পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই হিন্দু ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি একজন গর্বিত হিন্দু। এমনকি তিনি এবারের ভারত সফরে মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছেন।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতেই ভারতে এসেছেন ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এর মাঝেই সংবাদ সংস্থার সামনে আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি তাঁর হিন্দু ধর্ম নিয়ে ফের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, 'আমি গর্বিত হিন্দু। সেভাবেই আমি বড় হয়েছি। আমি এমনটাই। আশা করছি আমি এবারে কোনও মন্দিরে যেতে পারব। যেহেতু আমি কয়েকদিন এখানে রয়েছি। আমাদের সদ্য রাখি বন্ধন হয়েছে। আমার বোনেদের কাছ থেকে রাখি পেয়েছি। আমার কাছে সেই সব রাখি রয়েছে। আমার জন্মাষ্টমী পালনের মতো যথেষ্ট সময় ছিল না। তবে এবার যদি কোনও মন্দিরে যেতে পারি তবে হয়তো সেটা পূরণ হবে।'
ফলে দিল্লিতে হাজির হয়েই এমনটাই বলতে শোনা গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে। এছাড়াও তিনি নিজেকে এদিন 'ভারতের জামাই' বলে উল্লেখ করেন।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫মিনিটে বাইডেনের বিশেষ বিমান নামবে নয়া দিল্লির ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। এর আগে ৭ই সেপ্টেম্বরই তাঁর দিল্লি পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু হোয়াইট হাউস (White House) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ভারতের মাটিতে পা রাখবেন। এর পরই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। কিন্তু মোদী ও বাইডেনের মধ্যে এমন কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে।
তবে এবারে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে যে মোদী ও বাইডেনের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, বাইডেন-মোদী আলোচনায় প্রাধান্য পাবে প্রিডেটর ড্রোন, ফাইটার জেট ইঞ্জিন, ৫জি/৬জি প্রযুক্তির মতো বিষয়। এছাড়া, শান্তিপূর্ণ ভাবে পরমাণু শক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়গুলি নিয়ে হবে আলোচনা। তবে আরব বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ভারতের সঙ্গে বড় রেলপথ প্রকল্প নিয়ে জল্পনা ছিল বহুদিন ধরেই। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে কিনা, তা নিয়ে কিছু জানাননি।
ইতিমধ্যেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে, আজ সন্ধ্যায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হতে চলেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী কুমার জুগনাথ উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠক পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে জানিয়েছেন মোদী।
শুধুমাত্র জি-২০ সম্মেলন (G 20 Summit) নয়, এর পাশাপাশি ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আগে জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদী। কিন্তু এবারে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী মোট ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে (Bilateral Meet) করবেন।
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর হবে এই সম্মেলন। কিন্তু তার আগেই হবে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর বৈঠক হবে। তার আগে ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে। এর পাশাপাশি মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক সারবেন তিনি।
এর পর শনিবার জি-২০ সম্মেলেনের মাঝেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন ব্রিটেন, জাপান, জার্মানি ও ইটালির রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। আবার রবিবার দুপুরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে হবে মধ্যাহ্নভোজ বৈঠক। এছাড়াও মোদী বৈঠক করবেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে।
জি-২০-এর (G 20 Summit) সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে আসতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সূত্রের খবর, এ বছর জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ-কেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পর জানা গিয়েছে যে, আমন্ত্রণের পর বাংলাদেশ থেকে আসতে চলেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, ৮ ডিসেম্বর ভারতের মাটিতে পা রাখবেন তিনি। আবার জি-২০ সম্মেলনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি। তবে এই বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।
সূত্রের খবর, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতারা যোগ দেবেন। কিন্তু জি-২০-এর সদস্য নয় বাংলাদেশ, ফলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। তবে এবারে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মোদীর আমন্ত্রণেই ভারতে আসবেন শেখ হাসিনা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসবেন তাঁরা। তবে সাউথ ব্লক বা হায়দরাবাদ নয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোকল্যাণ মার্গেই এই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। তবে কখন এই বৈঠক হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ৯টি দেশকে 'অতিথি দেশ' হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতে। সে সব দেশের প্রতিনিধিরা খুব শীঘ্রই ভারতে আসতে চলেছেন। তবে মনে করা হচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক মোদীর বাসভবনে করা হবে।