রবিবার ভোরে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা (Onda) স্টেশনে দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি। লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে (Freight car) পিছন থেকে ধাক্কা মারে অন্য একটি মালগাড়ি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মনীশ কুমার। তিনি জানান, সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক। তাই সিগন্যাল দেখতে পাননি তিনি। তবে ঘটনায় কেউ আহত হননি। জানিয়েছেন ডিআরএম।
ওন্দা স্টেশনের লুপ লাইনে বিষ্ণুপুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। সেই লাইনে ঢুকে যায় অন্য একটি মালগাড়ি। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক বগি। ইঞ্জিন অন্য মালগাড়ির উপর উঠে যায়। দুর্ঘটনার জেরে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। আদ্রা-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডিআরএম।
রবিবার ভোরে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় এলাকাবাসীর। লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে ধাক্কা মারে অন্য একটি মালগাড়ি। ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। আটকে পড়া লোকো পাইলটকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
দুর্ঘটনার জেরে আসানসোল-দিঘা এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস, আদ্রা-খড়গপুর এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, বিষ্ণুুপুর-আদ্রা এক্সপ্রেস, আদ্রা-আসানসোল এক্সপ্রেস, আসানসোল-টাটানগর মেমু বাতিল হয়েছিল। বর্তমানে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
২ জুন, শুক্রবারের ওই অভিশপ্ত রাত এখনও কেউ ভুলতে পারেননি। এবার আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে। ঘটনাস্থল সেই ওড়িশা (Odisha)। জানা গিয়েছে, ওড়িশার বারগড় জেলার মেধাপালির কাছে মালগাড়ির (Freight Car) পাঁচটি কামরা বেলাইন হয়েছে। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।
জানা গিয়েছে, চুনাপাথর ভর্তি ওই মালগাড়ি ন্যারোগেজ লাইন দিয়ে খনি এলাকা থেকে সিমেন্ট কারখানা পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত হয়। ভারতীয় রেলের অন্তর্গত নয়। এমনই জানিয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। কী কারণে বেলাইন হল মালগাড়ি, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধেবেলায় ৭ টা নাগাদ বেলাইন হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয় মালগাড়ি ও বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের প্রাণ গিয়েছে।