কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) প্রথম খেলা হতে চলছে 'আল রিহলা' নামের বল দিয়ে। আল রিহলার আরবি অর্থ 'ভ্রমণ'। এবারের বিশ্বকাপের জন্যই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে এই বিশেষ ধরনের ফুটবল (Football)। যার মধ্যে থাকছে সেন্সর। এই সেন্সরই অফসাইডের (Off Side) সময় লাইনসম্যানের কাজকে সুবিধাজনক করে দেবে। প্রযুক্তির কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নির্ভুলভাবে নিতে পারবেন রেফারিরা।
তবে শুধু তাই নয় বিশ্বকাপের এই ফুটবলটি কাতারের সংস্কৃতি, স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও পতাকা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই প্রস্তুত করা হয়েছে। বলটির ওজন ৪২০ গ্রাম অর্থাৎ খুব হালকা হওয়ায় বলটি অনেক বেশি দ্রুতগামী। এমনটাই দবি করেছে বল প্রস্ততকারী সংস্থা। আর এর একটি বলের ভারতীয় টাকায় দাম আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা। এখন শুধু বাঁশি বাজার অপেক্ষা।
ম্যাচ শেষে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল মাঠে দুই ক্লাবের সমর্থকদের সংঘর্ষ, পুলিসের কাঁদানে গ্যাসে প্রাণ কাড়ল ১৭৪ জনের। এই ঘটনার যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা গা শিউরে ওঠার মতো। জানা গিয়েছে, দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে প্রাথমিক হাতাহাতির জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ফলে হুড়োহুড়ি, পদপৃষ্ঠের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু কিংবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু। ইস্ট জাভা পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা এই কথা জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকার এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, 'ঠিক যখন সমর্থকরা আবার মাঠে গিয়ে খেলা দেখা শুরু করেছেন, ঠিক তখনই এই ঘটনা। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের দেশের ফুটবল আহত হল।'
ভবিষ্যতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি। তিনি জানিয়েছেন, 'ম্যাচ আয়োজনের যাবতীয় ব্যাপার আমরা খুঁটিয়ে দেখব। এমনকী এরপর মাঠে দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে। হয়তো ভবিষ্যতে ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করতে হবে।'
জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগে শনিবার আরেমা এবং পার্সিবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা ছিল। পূর্ব জাভার মালাং রিজেন্সির এই ম্যাচে আরেমা ২-৩ ব্যবধানে পরাজিত। এরপরেই দু’দলের সমর্থকরা কার্যত দাঙ্গায় জড়ান।
আরেমা হেরে যাওয়ায় তাদের সমর্থকরা হুড়মুড়িয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। তখনই ঝামেলা শুরু হয়। দু'দলের ফুটবলাররা বিপদ বুঝে সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু কয়েকজন মাঠে থেকে যাওয়ায় তাঁদের উপরও হামলা হয়। সমস্যা বাড়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে, স্টেডিয়ামের ভিড়ে ঠাসা গ্যালারিতে আতঙ্ক ছড়ায়। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
দুর্গাপুজোর পর এবার গণেশ পুজোয় (Ganesh Puja) থিমের ছোঁয়া। কেষ্টপুরের (Keshtopur) আমরা সবাই তৃতীয় বর্ষের পুজোয় এবার দেখা মিলল গণেশের ফুটবল অবতার। বাঙালির ফুটবল (Football) প্রেমকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাদের পুজোমণ্ডপে। এখানে গণেশ একাধারে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অবতারে এসেছে। বাঙালির অন্যতম ফুটবল প্রেমের চার দল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পোশাক পরিহিত গণেশে মেতেছে ফুটবলে। এভাবেই বাঙালির ফুটবল প্রেমের সঙ্গে মিশিয়ে তোলা হয়েছে গনেশ পুজোকে। যা দর্শকদেরও মন কেড়েছে। সকাল থেকেই এই পুজা মণ্ডপের সামনে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি নিষ্ঠা ভরে চলছে গনেশ বন্দনা।
এদিকে, গণেশ চতুর্থীতে অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছে বেহালা পূর্বের বিধায়িকা তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। প্রতিবারের মতো এবারও বেহালা পর্ণশ্রীতে নিজের বাড়িতে ধুমধাম করে সিদ্ধিদাতার আরাধনায় মেতে ওঠেন রত্না দেবী।আরতি থেকে যোগ্য, পুষ্পাঞ্জলি সব কিছুই নিষ্ঠার সঙ্গে করলেন তিনি। উল্লেখ্য জন প্রতিনিধি হিসেবে এবার প্রথম রত্না চট্টোপাধ্যায় গণেশ পুজো করলেন। এবার পুজো যেহেতু আরও বৃহত্তর, শুধু বাড়ির লোকজন নয়, বেহালা পূর্বের মানুষ থেকে শুরু করে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন, সবার জন্যই এবার সিদ্ধিদাতার কাছে প্রার্থনা করলেন তিনি।
বুধবার মহারাষ্ট্র নিবাসে গিয়ে স্থানীয়দের গণেশ পুজো ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মহারাষ্ট্র নিবাস মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের অন্তর্গত। পাশাপাশি বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সির খাসতালুক। তাই মণ্ডপে গিয়ে গণেশ মূর্তিতে মাল্যদানের সঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করতে দেখা গিয়েছে।
তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর নয় এদিন দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় আমরা ক'জন ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত গণেশ পুজোয় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
প্রসূন গুপ্ত: আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার বাজারে যে আর পার্থ অনুব্রত থাকছে না, তা হলফ করে এখনই বলে দেওয়া যায়। অনেকদিন বাদে কলকাতা বিশেষ করে যুবভারতীতে ফের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে। তবে এই দল এখন শুধু নিজেদের নাম নিয়েই চলছে না। গায়ে লেগেছে কর্পোরেট তকমা। একটি ইমামি ইস্টবেঙ্গল, অন্যটি এটিকে মোহনবাগান। এই নাম নিয়েও বিস্তর বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আপাতত ইস্টবেঙ্গল বাণিজ্যিক সাপোর্ট রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের মোহনবাগান ক্লাবের নামের আগে এটিকে বসায় প্রবল প্রতিবাদ।
ক্লাব সমর্থকরা ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান নামের আগে কিছু নাম থাক চাইছেন না। হয়তো এবারে সমাধানের পথ খুঁজতে চলেছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। সেই দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। হয়তো এটিকে নাম বদলে মোহনবাগান এসজি হতে চলেছে। তবে এখনই নাম পরিবর্তন নয়, কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে নাম পরিবর্তন হবে।
নাম ধাম পরের কথা, এখন প্রশ্ন একটাই, এটিকে নিজের নামে দু'বার আইএসএল জিতেছে। কিন্তু এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান জুড়ে যাওয়ায় শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের দেরাজে কোনও জাতীয় ট্রফি নেই। যদিও তারা আইএসএল-র মতো বড় টুর্নামেন্টে রানার্স হয়েছে। কিন্তু ট্রফি কোথায়। অন্যদিকে তথৈবচ ইস্টবেঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবেরও আইএসএল পারফরম্যান্স তথৈবচ। কলকাতা ক্লাব ফুটবলের এত দৈন্যদশা এর আগে ১৯৭৯-তে একবার দেখা গিয়েছিল। তারপর বর্তমানে এই অবস্থা। আগের দিনে নামধাম স্পনসর নিয়ে দুই দলের সমর্থকরা মাথা ঘামাতো না। তারা চাইতো ডুরান্ড, রোভার্স, কলকাতা লিগের ট্রফি আসুক ঘরে। কিন্তু সে সব দিন গিয়েছে।
আজকের দর্শকরা বিশ্বকাপ থেকে বিদেশি ফুটবল দেখছে নিয়মিত। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক টার্ফে প্রিয় দল বা ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এটাই এখন বড় প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমী বাঙালির কাছে। ডুরান্ড কাপ কে পাবে তা নিয়ে ভাবনা নেই সমর্থকদের। কিন্তু অনেকদিন বাদে রবিবারের ডার্বি নিয়ে জল্পনা উত্তেজনা তুঙ্গে। অন্যদিকে টিকিটের জন্যও হাহাকার। যুবভারতীতে ১ লক্ষর বেশি দর্শক প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আগামীকালের ম্যাচে কিছু টিকিট দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের। বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইন আর বেশ কিছু ফ্রি টিকিট। এই ভাবেই রবিবারের যুবভারতী জমজমাট হবে বলাইবাহুল্য।
বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal Club) এক অনুষ্ঠানে এসে প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র মেমোরিয়াল আর্কাইভের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার বিকাশ পাঁজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তরীয় পরিয়ে ও স্মারক তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান। ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা নীতু সরকার দিদি ১০০ নামাঙ্কিত জার্সি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই অনুষ্ঠানে স্মৃতিমেদুর মমতা বলেছেন, 'যাদবপুরে যখন সাংসদ হয়েছিলাম, কথা দিয়েছিলাম উদ্বাস্তুদের জন্য জমির ব্যবস্থা করব, তা করতে পেরেছি। কঠিন সময়ে ওপার বাংলা থেকে যারা এপার বাংলায় এসেছেন, আমি তাঁদের স্যালুট করি।'
তিনি জানান, যারা কাপুরুষ নয়, তাঁরাই গড়তে পারে এবং মরতে ভয় পায় না। আমারা মনের জোর দিয়ে না পারা জিনিস জয় করতে পারি। তাঁর দাবি, 'গত বছর একেবারে শেষ মুহূর্তে একজনকে বলে ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএল খেলতে পাঠানো হল। এ বছর
ইমামি গ্রুপ কথা রেখেছে। আগামী কয়েক বছর চিন্তার কারণ নেই। মন দিয়ে খেলে যান। মোহনবাগান খেলছে, ইস্টবেঙ্গল খেলুক, আমি চাই মহামেডানও আইএসএল খেলুক।'
এদিন তিনি ১০০ বছরের পুরনো এই ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নের আরও ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। শুধু ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান নয়, পরিকাঠামো উন্নয়নে এই টাকা পাবে মহামেডানও। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনুষ্ঠানে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি হবে। বাংলার দুর্গাপুজো বিশ্বসেরা। সেই স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। খেলা হবে স্লোগান মনে রাখতে আমি বাড়িতে প্রতিদিন ১০০ বার বল নাচাই। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'ছোটবেলায় ব্যাডমিন্টন খেলেছি, পিটটু, গাদি খেলেছি। আদি গঙ্গায় সাঁতার কেটেছি। লড়ব, খেলব, জিতব রে জয় বাংলা।' এদিন ইস্টবেঙ্গলে লাইব্রেরি তৈরির জন্য ৫৭ লক্ষ টাকা ক্রীড়া দপ্তরের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে লাল-হলুদ ক্লাবকে।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ-র উপর থেকে ফিফার নির্বাসন তুলতে ইতিমধ্যে দৌত্য শুরু করেছে কেন্দ্র। খুব দ্রুত বেরোবে সমাধানসূত্র। সুপ্রিম কোর্টকে বুধবার এই তথ্য দিলেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। কেন্দ্রের এই অবস্থানে সন্তুষ্ট শীর্ষ আদালত আগামি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে শুনানি। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্কট কাটাতে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেছিল মোদী সরকার। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। সেই শুনানিই সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রাখলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারই ফিফার সঙ্গে দু'দফায় কথা হয়েছে। কিছুটা হলেও বরফ গলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি এই সঙ্কট মিটে যাবে।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থার উপর থেকে কী ভাবে নির্বাসন উঠবে! কারণ, এআইএফএফ নির্বাসিত হওয়ার পরে ভারতে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ময়দানের আরও একটি সূত্র বলছে, বিশ বাঁও জলে এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের ভবিষ্যৎ। যদিও সলিসিটর জেনারেলের এদিনের দাবিতে কোর্ট মনে করেছে, সঠিক পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্রের সরকার।
তাই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রকে আরও কয়েক দিন সময় দিতে চাইছেন তাঁরা। তাই শুনানি পাঁচ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।