এই মুহূর্তে কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ (Bengal weather) আর সকালের দিকে খুব হালকা কুয়াশা। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলাতে সকালের দিকে খুব হালকা কুয়াশা (Fog) থাকার সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় একটু বেশি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা এরকমই থাকবে। ২৪ ঘন্টা পর থেকে দু-তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা থাকছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ারে ঘন কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রার তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। এখনই শীতের বিদায় নয় বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া দফতর।
সৌমেন সুর: এখন প্রায় শীতের মাঝামাঝি। গাছে গাছে পাতা ঝরার আগাম ডাক। চারদিকে যেন এক উদাসী রুক্ষতা। রোজ যেমন রাত যায়, দিন আসে আজও তেমনি এসেছে। প্রকৃতির মেজাজ যেন একটু অন্যরকম। আজ ছুটির দিন। চোখে তখনও ঘুমের আবেশ। বেলা কত হয়েছে বোঝার উপায় নেই। দরজা জানলা সব বন্ধ। বিছানায় লেপের উষ্ণতা ছেড়ে উঠে পড়তে কিছুতেই মন চায় না। আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার আলসেমি ভর করে আছে। এর মধ্যেই মা দু'বার তাড়া লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। ডাক কানে আসলেও, উঠতে মন চায় না। রাস্তায় রিক্সার হর্নের আওয়াজ ভেসে আসে। কিন্তু আলস্য কিছুতেই কাটছে না।
ঘন কুয়াশা একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করেছে। আবার উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে আকাশে সূর্য-তারা প্রভা বিস্তার করে দেয়। তবে রোদের তেমন ঝাঁঝ নেই। বুঝতে পারলাম বেলা বাড়ছে। বাড়ির বারান্দা থেকে শিশুদের পার্কে দেখা যায়। গুটি গুটি পায়ে দু-চারজন বয়স্ক লোক, তাঁদের শিশুদের নিয়ে একবারে পার্কের স্লিপে। এরই মধ্যে হইহই করে বন-ভোজনে বেড়িয়ে পড়ছে মানুষ।
কেউ আবার বাজার ফেরত ফুলকপি, টমাটো, নিয়ে বাড়ি ফিরছে। এসব ছবি দেখতে দেখতে কেমন যেন আনমনা হয়ে যাই। শীত আসে তার খুশির মেজাজ নিয়ে। দূরে বেশ কয়েকটা বাড়ির ছাদে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, গাঁদা ফুটে আছে। এত অপূর্ব লাগছে, মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন তার সব রং ঢেলে দিয়েছে। শীতের একহাতে একতারা, অন্যহাতে বৈরাগ্য-- এটাই তার পরিচয় নয়। শীত যেন প্রাণচঞ্চল জীবনের কথা বলে।
সব মানুষকে আনন্দমুখর করে তোলে। মনে শুধু খুশির ছোঁয়া, ছোঁয়া আর ছোঁয়া।
সৌমেন সুর: এখন প্রায় শীতের মাঝামাঝি। গাছে গাছে পাতা ঝরার আগাম ডাক। চারদিকে যেন এক উদাসী রুক্ষতা। রোজ যেমন রাত যায়, দিন আসে আজও তেমনি এসেছে। প্রকৃতির মেজাজ যেন একটু অন্যরকম। আজ ছুটির দিন। চোখে তখনও ঘুমের আবেশ। বেলা কত হয়েছে বোঝার উপায় নেই। দরজা জানলা সব বন্ধ। বিছানায় লেপের উষ্ণতা ছেড়ে উঠে পড়তে কিছুতেই মন চায় না। আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার আলসেমি ভর করে আছে। এর মধ্যেই মা দু'বার তাড়া লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। ডাক কানে আসলেও, উঠতে মন চায় না। রাস্তায় রিক্সার হর্নের আওয়াজ ভেসে আসে। কিন্তু আলস্য কিছুতেই কাটছে না।
লেপের আরাম ছেড়ে কোনওমতে উঠলাম। লম্বা চাদরটা গায়ে জড়িয়ে জানলা খুলতেই একমুঠো হিমেল হাওয়ায় শরীরটা শিরশির করে উঠলো। বাইরে ঘন কুয়াশায় অস্পষ্ট দূর প্রান্তর। রোদটা কেমন ঝিমঝিমে। শীত বুড়ি আমার শরীর ছুঁয়ে নাচানাচিতে মেতে ওঠে। কলতলায় মুখ ধুতে এলাম। গায়ে ঠাণ্ডার কামড়। কিছুটা দূরে অস্পষ্ট খেজুর গাছে শিউলির হাড়ি নামানো- অদ্ভুত। মা এলেন চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। (চলবে)
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা (Bengal Weather) বৃদ্ধির পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে ১৪ তারিখ। ১৫ তারিখ একটু বেশি থাকবে সর্বনিম্ন (Winter) তাপমাত্র। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে প্রথম তিন দিনে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে আগামী ২৪ ঘন্টা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। যে তাপমাত্রা এই মুহূর্তে রয়েছে সেটাই চলবে। তবে মালদা, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ঘন কুয়াশায় ঢাকার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টা।
এছাড়াও ১৪-১৫ তারিখ দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের। গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে একই রকম আবহাওয়া থাকবে তবে সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকবে। এদিকে কুয়াশার জন্য উত্তর ভারতে রেল এবং বিমান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। শিয়ালদহ ও হাওড়ায় দেরিতে ঢুকছে ডাউন ট্রেন। পাশাপাশি দিল্লি কিংবা উত্তর পশ্চিম ভারতে শৈত্য প্রবাহের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস।
হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জবুথুবু উত্তর ভারতের (North India) একাংশ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে সেখানকার একাধিক শহর-সহ জাতীয় রাজধানীও। শৈত্যপ্রবাহের (Cold Wave) দাপট চলছে দিল্লি এবং এনসিআর জুড়ে (Delhi-NCR)। এই পরিস্থিতির ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও, বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। কম দৃশ্যমানতার কারণে ট্রেন-বিমান চলাচল প্রভাবিত।
জানা গিয়েছে, উত্তর রেলওয়ে অঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে ২৩টি ট্রেন দেরিতে চলছে। রেল মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে, হাওড়া-নয়া দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস, দ্বারভাঙ্গা-নিউ দিল্লি ক্লোন স্পেশাল, পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, গয়া-নয়াদিল্লি মহাবোধি এক্সপ্রেস, মালদা টাউন ফারাক্কা এক্সপ্রেস, ডক্টর আম্বেদকর নগর-শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা মালওয়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল-নিউ দিল্লি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অনুসারে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ সহ উত্তর ভারতে কুয়াশার অবস্থা বর্তমান। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বাতাসের দাপটও বেড়েছে।
ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন উত্তর ভারতের একটা অংশ। প্রবল শৈত্য়প্রবাহ দিল্লি সহ এনসিআর-এ। এই আবহাওয়ার কারণে হাওড়া-শিয়ালদহে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন দেরিতে ঢুকছে। একইভাবে ব্য়াহত বিমান চলাচল। তাই যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক ট্রেনের সময় সারণি বদলেছে পূর্ব রেল। দেখুন কোন কোন ট্রেনের টাইম টেবিলে বদল এসেছে-
ছয়টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির টাইম টেবিল বদলেছে:
• 13005 হাওড়া-অমৃতসর মেল ১৯:১৫টার পরিবর্তে ২১:৫৫ তে হাওড়া ছাড়বে আজ মঙ্গলবার (১০.০১.২০২৩)
• 12321 হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস মুম্বই মেল ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২৩:৩৫টার পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ০০:৩০ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12987 শিয়ালদহ–আজমীর এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২২:৫৫-র পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ০২:৩০টায় শিয়ালদহ ছাড়বে।
• 13009 হাওড়া-যোগ নগরী ঋষিকেশ দুন এক্সপ্রেস ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ২০:২৫ টায় নির্ধারিত প্রস্থানের পরিবর্তে ২৩:০০ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12311 হাওড়া–কালকা নেতাজি এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩(মঙ্গলবার) তারিখে ২১:৫৫ টায় নির্ধারিত প্রস্থানের পরিবর্তে ২৩:৫৫ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12331 হাওড়া-জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২৩:৫৫টার পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩ (বুধবার) তারিখে ০৫:৩০ টায় হাওড়া ছাড়বে।
নোটিশ দিয়ে এমনটাই জানান পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী।
প্রবল শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু গোটা উত্তর ভারত। এর জোরদার প্রভাব পড়েছে দিল্লিতেও (Delhi)। রবিবার রাজধানীর তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২ ডিগ্রির নীচে। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Temperature) ছিল ১.৯। সফদরজং-র আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি চলতি মরশুমের শীতলতম দিন। আবহাওয়াবিদরা (Weather) বলছেন, গত ১০ বছরের তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেল ২ ডিগ্রির নীচে।
অন্যদিকে, কুয়াশার দাপটও বেড়েছে রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায়। একদিকে শৈত্যপ্রবাহ, তার উপর কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ব্য়াহত হচ্ছে যান চলাচল। মৌসম ভবনের তরফে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন থাকবে এই শৈত্য়প্রবাহ। দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল-সহ একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এমনকি কুয়াশার জেরে ব্যাহত হচ্ছে বিমান চলাচলও।
প্রায় প্রত্যেকদিন বাতিল করা হচ্ছে বেশ কিছু বিমান। একইসঙ্গে বিমানের টেক অফ ও ল্যান্ডিং বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ উড়ানের পাশাপাশি কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে রেল পরিষেবাও। উত্তর ভারতের সমস্ত ট্রেন ১২-১৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
পিকনিকে যাওয়ার পথে মাদারিহাটে ভয়াবহ (Madarihat Accident) বাস দুর্ঘটনা। ঘটনাটি (Lorry rams Bus) শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মাদারিহাট এশিয়ান হাইওয়ের। দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন, তার মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে মাদারিহাট থানার পুলিস আহতদের উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাস-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনার কবলে বাস বোঝাই যাত্রীরা। কামাক্ষ্যাগুড়ি থেকে একটি বাস পিকনিক করতে শিলিগুড়ির ফাগুর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, মাদারিহাট এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। মূলত কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় মাদারিহাট এলাকায়।
হাড় কাঁপানো শীত উত্তর ভারতে, তার সঙ্গে দোসর ঘন কুয়াশা। কুয়াশায় মুড়ছে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ড। সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। বস্তুত, রাজধানী দিল্লিতে মঙ্গলবারই এই মরসুমের শীতলতম দিন বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সেখানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কুয়াশা এমনই যে দিনের বেলা এক হাত দূরের রাস্তাও দেখতে সমস্যায় গাড়িচালকরা। দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।
ইতিমধ্যে শৈত্য প্রবাহের কথা মাথায় রেখে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জারি কমলা সতর্কতা। আগামী কয়েক দিন এই সতর্কতা জারি থাকবে। এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আইএমডি জানাচ্ছে, আগামী তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ চলবে দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। অন্তত ২ দিন এই পরিস্থিতি জারি থাকবে হিমাচলে। ঘন কুয়াশা এবং মেঘলা আকাশ দেখা যাবে আরও কয়েক দিন। কনকনে ঠান্ডার জন্য বিহার, উত্তরপ্রদেশে শীতকালীন ছুটি পড়েছে।
এদিকে কুয়াশার কারণে বিমানের সঙ্গে ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। গড়ে প্রায় তিন-চার ঘন্টা দেরিতে চলছে দূরপাল্লার ট্রেন।
সপ্তাহ ঘুরলেই দেশব্যাপী উৎসবের মরশুম (Festival Season)। একাধিক শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা জানান দিচ্ছে শীত এসে গিয়েছে। সময় যত এগোবে , ততবেশি পারদ পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। ঠান্ডার এই ইনিংসের মধ্যেই সকালের দিকে কুয়াশার (Weather) চাদরে ঢাকা পড়ছে দেশের একাধিক রাজ্য। বিশেষ করে মধ্য ও উত্তর ভারত (North India)। সব চেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে দেশের রাজধানী এবং তৎ সংলগ্ন এলাকা। অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ থাকি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন উত্তর ভারতবাসী।
স্বাভাবিক কারণেই বিঘ্নিত রেল চলাচল। বিমান চলাচল সচল রাখতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাও।সোম এবং মঙ্গলবার ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে কুয়াশা বাড়তে দেখা গিয়েছে। ভারতীয় হাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, খালি চোখে সামনে ১৫০ মিটার দূরত্বের পর আর কিছু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে রেল চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। পূর্ব কিংবা পশ্চিম ভারত থেকে রাজধানী গামী একাধিক ট্রেন সময়ের পরে নিউ দিল্লি ঢুকছে। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।
রাজধানী- দুরন্তের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলো দেড়- দু ঘন্টা লেট চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই লেট পিছনে থাকা অন্য ট্রেনগুলো। অন্তত এই সপ্তাহ কুয়াশার এই দাপট বজায় থাকবে,জানিয়েছে হাওয়া অফিস।