Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Flood

Dubai Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত মরুশহর দুবাই, আটকে পড়া ভারতীয়দের জন্য চালু করল হেল্পলাইন নম্বর

ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত প্রলয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ ওমান এবং বেহরিনে। বড় রাস্তা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সর্বত্র জলে ডুবে গিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতেই এই অবস্থা দেশের। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও বহু জায়গা জলে ডুবে রয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং অফিসগুলিতে। একেবারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেনজির পরিস্থিতি দুবাইয়ে।

গত কয়েক দশকে এমন বর্ষণের সাক্ষী থাকেননি দুবাই বাসী। রাস্তা দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতের মতো জল।  শপিং মলের ছাদ বেয়ে নামছে জলের ধারা। উঁচু উঁচু হাইরাইজ বিল্ডিং ঝড়ের দাপটে অস্থির। সেখানকার বাসিন্দারা রীতিমতো থরহরি কম্প অবস্থায় রয়েছে।

বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে দুবাইয়ে। এতটাই বর্ষণ হয়েছে সেখানে। এর আগে কখনও এমন বৃষ্টির কথা ভাবতেই পারেনি দুবাই। রুক্ষ-শুষ্ক মরু অঞ্চল দুবাই। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে অসংখ্য ভারতীয় থাকেন। প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়া বহু বিমান উড়তে পারছে না। অনেকেই দেশে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভারতে আসার জন্য যাঁরা বিমানবন্দরে আটকে রয়ছেন তাঁদের সুবিধার্থেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব ভারতীয় পর্যটকরা আটকে রয়েছেন সেখানে তাঁদের জন্য ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এই ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

4 weeks ago
Bankura: দারকেশ্বর নদের পাড় থেকে বেআইনি বালি উত্তোলন! বন্যার আশঙ্কা গ্রামবাসীদের

মাটি কাটার সরকারি অনুমতি ছিল। আর সেই অনুমতি দেখিয়েই রীতিমত পে লোডার লাগিয়ে দারকেশ্বর নদের পাড় ও পাড় সংলগ্ন নদী বক্ষ থেকে দেদার তোলা হচ্ছে বালি। এমনই অভিযোগ জানিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। স্থানীয়দের আশঙ্কা এভাবে নদীর পাড় থেকে বালি সরিয়ে ফেলা হলে আগামী বর্ষাতেই বন্যায় ভেসে যাবে গ্রামগুলি। ঘটনাটি বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ঘোড়াঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে ভূমি দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকা।

বর্ষার কারণে নদী বক্ষ থেকে আপাতত বালি উত্তোলন বন্ধ রেখেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি কোতুলপুর আরামবাগ রাজ্য সড়কের ধারে টোল ট্যাক্স আদায়ের জন্য পূর্ত দফতরের তরফে একটি ভবন নির্মাণের বরাত পায় একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা। সেই ভবনের জন্য প্রয়োজন হয় নীচু জমি ভরাটের। আর সেই ভরাটের কাজ করার জন্য স্থানীয় ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে মাটি কাটার অনুমতি নেয় বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাটি। অভিযোগ, সেই অনুমতিপত্রকে কাজে লাগিয়েই বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থাটি দারকেশ্বর নদের পাড় ও পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে দেদার বালি উত্তোলন করে তা চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছে অন্যত্র। এভাবে যন্ত্রের সাহায্যে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি তুলে ফেলায় দারকেশ্বর নদের পাড়ে থাকা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বাঁধ লোপাট হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মথুরাটপল,  গৌড়, রানাহাট সহ নদ তীরবর্তী গ্রামগুলির মানুষ।

স্থানীয়দের দাবি, নদের পাড় ও পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ ও অবৈজ্ঞানিক ভাবে যেভাবে বালি উত্তোলন করে পাচার করা হচ্ছে তাতে আগামী বর্ষায় দারকেশ্বরের বন্যায় গ্রামগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়তে পারে। ভূমি সংস্কার দফতরের নাকের ডগায় কীভাবে দিনের পর দিন এমন অবৈধ কাজ চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। কোতুলপুর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, মাটি তোলার অনুমতি নেওয়া থাকলেও নদী বক্ষ থেকে বালি তোলার কোনো অনুমতি ওই ঠিকা সংস্থাকে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

7 months ago
Sikkim: মৃত্যুপুরী তিস্তা! সিকিমে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬-এ

মেঘভাঙা বৃষ্টি-হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম (Sikkim)। হড়পা বানে (Flash Floods) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬-এ। সিকিম সরকারের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সিকিমে ২৬জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তা নদীর অববাহিকা থেকে ৩০জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তাই সিকিমে বন্যায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬।

সিকিমে বিপর্যয়ের প্রায় চারদিন পার, কিন্তু এখনও এর প্রভাব কাটেনি। প্রসঙ্গত, কয়েক মিনিটের বিপর্যয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে সিকিম। হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিমের চুংথাং, রংপো, মানগান সহ একাধিক অঞ্চল। তিস্তার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে বিপর্যয়ের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তিস্তার জলে এখনও ভেসে আসছে মৃতদেহ। কার্যত মৃত্যপুরীতে পরিণত হয়েছে তিস্তা।

সূত্রের খবর, সিকিম সরকারের মতে, মাঙ্গান থেকে ৪ জনের মৃতদেহ এবং গ্যাংটক থেকে ৫ জনের মৃতদেহ এবং পাকিয়ং জেলা থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা নদীর অববাহিকা শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলা থেকে ৩০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ জওয়ান সহ ১৪২ জন। সিকিমে আটকে বহু পর্যটক।

7 months ago


Sikkim: এবারে ধস সিকিমে, হড়পা বানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন, নিখোঁজ শতাধিক

মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান (Flash Floods), ধসে একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছে সিকিম (Sikkim)। বুধবার তিস্তায় হড়পা বানের ভেঙে-চুরে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। আবার এসবের মধ্যেই ফের ধস নামল সিকিমে। জানা গিয়েছে, ২৯ মাইল এলাকার কাছে বড়সড় ধস নামে। ধসের ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিস্তা ব্রিজ থেকে সিকিম যাওয়ার পথে বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। এর কারণে জাতীয় সড়ক নিচের দিকে বসে গিয়েছে। বুধবার দুপুর নাগাদ ২৮ মাইল এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তায় ধস নামে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংকে ফোন করে সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

সূত্রের খবর, বুধবারের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়েছে। চুংথাম বাঁধ ভেঙে বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। ওই জলের তোরেই ভেসে গিয়েছে একটি সেনা ছাউনি। এই ঘটনায়, ২৩ জন জওয়ান নিখোঁজ এখনও। পরে একজনের খোঁজ পাওয়া যায়। যদিও সিকিমের প্রশাসন সূত্রে খবর, ছোট ও বড় কংক্রিট ও লোহার মোট ১৪টি বাঁধ ভেঙেছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, নিখোঁজ প্রায় ১০০ জনের বেশি। এছাড়াও প্রায় ৩ হাজারের মতো পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছে। সিকিম সেনা সূত্রে খবর, বিপর্যস্ত জায়গাগুলিতে আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে সেনা ছাউনিতে রাখা হয়েছে। 

প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও সিকিমের পরিস্থিতি আগের মতই রয়েছে। বৃষ্টি এখনও কমেনি। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৃষ্টি না থামলে তিস্তার ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। মৃত এবং নিখোঁজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিকিমের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-এর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

7 months ago
Sikkim: সিকিমের বিপর্যয় মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলছে নবান্ন, বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নদী আপন বেগে পাগল পারা গানের মতোই তিস্তার এই মুহূর্তে রুদ্ররূপে ছিন্নবিছিন্ন উত্তর সিকিম। পাহাড়-সমতলের দু'কুল ছাপিয়ে তিস্তার প্লাবন। জানা গিয়েছে, বুধবার ভোররাতে হঠাত্ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি আছড়ে পড়ে উত্তর সিকিমের লাচেনের লোনক হ্রদে। সেই জল ধরে রাখতে না পারায় হ্রদ উপচে ভাঙে চুংথাম বাঁধ, আর সেই বাঁধভাঙা জল নেমে আসে তিস্তাতে। হরপা বানের জল নিয়েই এগোতে থাকে তিস্তা, আশপাশে পাহাড়ি সিকিম-সহ সমতলের সব কূল ছাপিয়ে ধ্বংসলীলা চালায়। বিচ্ছিন্ন চুংথাম, লাচেন উপত্যকা। ১৫-২০ মিটার উঁচু জল ধ্বংসলীলা চালায় সিংতামের বারদং সেনা ছাউনিতে। উত্তর সিকিমের তিস্তাপারের বহু বাড়ি, বহু ঘর কাদা জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে। তিস্তার এই রূদ্ররূপে নিখোঁজ অন্তত ২৩ জন সেনা, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজ এবং বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রাউন্ড জিরো পরিদর্শনে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।

প্রাক উত্সব মরশুমে তিস্তার রুদ্ররূপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পর্যটকরা। এই মুহূর্তে উত্তর সিকিমের যা অবস্থা, ফেরার উপায় নেই। কারণ শিলিগুড়ি হয়ে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়ে ডুয়ার্স, গরুবাথান, কালিম্পং, লাভা হয়ে সিকিমে ঢোকার বিকল্প রাজ্য সড়ক। এই অবস্থায় কতদিন ঘরবন্দি, হোমস্টে বন্দি বা হোটেল বন্দি থাকবেন পর্যটকরা, জানেনা কেউ। ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাংটক, নামচির মতো পর্যটনস্থল। ধংস্তস্তূপ সরলে কী দাঁড়াবে অবস্থা, তাও জানে না প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্যাকিয়ং, নামচি, গ্যাংটক, মঙ্গনের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ  রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু ০৩৫৯২-২০২৪৬১/২০১১৪৫ এমার্জেন্সি হেল্পলাইন নাম্বার। পর্যটকদের জন্য নোডাল অফিসার হেল্পলাইন নাম্বার ৭০০১৯১১৩৯৩। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সাত জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণহানির সঠিক খবর নিয়ে মুখ খোলেনি কেউই। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিকিমের পর্যটন। প্রাক উত্সবের মরশুমে রাজ্যের একটি অংশে যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা, সেই ক্ষত শুকোতে কমবেশি এক থেকে দেড় মাস। ফলে মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের। সিকিমের এই বিপর্যয় এবং সেনা নিখোঁজের ঘটনায় এক্স অ্যাকাউন্টে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে জরুরি বৈঠকে অডিও বার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু রাজ্যের গা ঘেষা সিকিম, তাই উত্তর সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে, বার্তায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগ কমলে তিস্তা বাঁধ মেরমাতি করবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অডিও বার্তায় তাঁর আবেদন, 'বাড়ি থেকেই সাতদিন ২৪ ঘণ্টা আমি নজরদারি করছি। চিন্তা করবেন না, ভয় করবেন না। প্রকৃতির সঙ্গে কারও লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই। বিপর্যয় মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলছে নবান্ন।'

7 months ago


Flood: ভয়ঙ্কর তিস্তার জলোচ্ছ্বাসে মহাসংকটে ডুয়ার্স তরাই অঞ্চল

দোলা সেন (সাংসদ, রাজ্যসভা): মঙ্গলবার রাতেই অতি তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলাম দিল্লি থেকে। ১০০ দিনের কাজের ও রাজ্যের টাকার দাবি নিয়ে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের দিল্লি সফর ছিল এবং বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েও কয়েক হাজার শ্রমজীবীদের নিয়ে আমরা দিল্লি গিয়েছিলাম। দুটি দিন ছিল আমাদের প্রতিবাদের। রাজঘাটে গান্ধী জয়ন্তীতে যেমন বাঁধা পেলাম তেমনই মঙ্গলবার মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দফতরেও পেলাম বাঁধা। দেখাই করলেন না মন্ত্রী। উপমন্ত্রী আবার জানালেন যে মাত্র ৫ জনের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। বাধ্য হয়েই আমরা অবস্থান শুরু করি কিন্তু সময় যেতে না যেতেই আমাদের টেনে হিচঁড়ে পুলিসের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক সরকারি কর্মকান্ডের শিকার হতে হলো। কাজেই আমরা ঠিক করেছি ৫ অক্টোবর রাজভবন অভিযান করবো লক্ষাধিক অবহেলিত শ্রমিক এবং কর্মীদের নিয়ে কিন্তু এরই মাঝে উত্তবঙ্গ থেকে বুধবার সকালে এলো আর এক ভয়ঙ্কর খবর।

উত্তর সিকিমের লনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির তোড়ে শান্ত তিস্তা নদী ভয়ঙ্করী হয়ে দুকূল ঝেঁপে ছুটেছে জলপাইগুড়ির দিকে অর্থাৎ ডুয়ার্স তরাইএর দিকে। শুনলাম নদীর দু'কূলে যত জায়গা আছে সবই ভেসে যাচ্ছে জলের স্রোতে। তিস্তা স্রোতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিশাল অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। জানতে পারছি সিকিমের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ভারত। জল বাড়ছে ১৫ থেকে ২০ ফুট। জলপাইগুড়িতে জল এতটাই বেড়েছে যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে বন্যার পরিস্থিতে দাঁড়িয়েছে। সব থেকে চিন্তার বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে জলপাইগুড়ির গজলডোবার ব্যারেজ থেকে প্রায় ৭০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যা কিনা এ বছরের সর্বোচ্চ কাজেই সমস্ত চাপ এসে পড়ছে জলপাইগুড়িতে। খবর পেলাম সিকিম অঞ্চলে সেনা ছাউনির ৪১টি গাড়ি ভেসে গিয়েছে এবং খোঁজ নেই ২১ জওয়ানের।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশংকার বার্তা দিয়ে অবিলম্বে সচিব মহলের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রী সহ অফিসারদের উত্তরবঙ্গের দিকে পাঠাচ্ছেন। জানি না উত্তরবঙ্গের মানুষগুলির কি অবস্থা। যারা সিকিমে বেড়াতে গেছেন, তাদেরও কি অবস্থা! দার্জিলিং-এর নিচু জমি থেকে মানুষদের উঠিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমত অবস্থায় আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যাই না কোনও দিনও। (অনুলিখন-প্রসূন গুপ্ত)

7 months ago
Sikkim: গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন সিকিম! তিস্তায় হড়পা বানে তলিয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ

মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম (Sikkim)। বুধবার সকালের মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনক হ্রদ ফুলে ফেঁপে উঠেছে ও সেই জল নেমে আসে তিস্তায়। ইতিমধ্যেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ২৩ জন জওয়ান। এবারে তিস্তার প্রবল জলোচ্ছাসের ফলে ভেঙে ডুবে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। ফলে সড়কপথে গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তর সিকিমে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এরপর বুধবার হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে উত্তর সিকিমে। এর ফলে সেখানকার লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়ে ও তিস্তায় জল আসতে শুরু করলে হঠাৎ হড়পা বান দেখা যায়। তিস্তার এমন রুদ্র রূপ ধারণ করার পরই ভেসে গিয়েছে নদীর দু'পাশের সমস্ত কিছু। মেঘভাঙা বৃষ্টির জল ধরে রাখতে পারেনি লোনক হ্রদ। ফলে বাঁধ ভেঙে তিস্তায় জল প্রবল গতিতে নেমে আসে ও ধ্বংসলীলা চালায় তিস্তা। তিস্তার জল নিমেষের মধ্যে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সিকিমের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের মূল সংযোগরক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় সড়কপথে দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম। তিস্তার জলস্তর আরও বৃদ্ধি পেলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণভাবে জলের তলায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গেও সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

7 months ago
Sikkim: তিস্তার রুদ্র রূপ! মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান, নিখোঁজ ২৩ জওয়ান

ভয়ঙ্কর বিপর্যের মুখে উত্তর সিকিম (Sikkim)। মেঘভাঙা (Cloud Burst) বৃষ্টি শুরু হয়েছে সিকিমে। বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনক হ্রদ ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে ও এর পরই সেই জল নেমে আসে তিস্তায়। আচমকাই হড়পা বান আসায় তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায়। আর তাতেই ভেসে নিখোঁজ হয়ে যান সেনার ২৩ জওয়ান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে ওই ২৩ জন সেনা কর্মীর কোনও খোঁজ মিলছে না। ফলে ২৩ সেনা কর্মীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সেই সঙ্গে সিকিম জুড়ে গোটা এলাকায় বহু বাড়ি জলের নীচে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, গতরাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে গতরাতেই ৬টি সেতু ধুয়ে যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সিংথামে তিস্তার উপর একটি ফুটব্রিজ ছিল। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে সেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। আর আজ তিস্তা নদীর জলে তলিয়ে গেল সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে পড়েছে। চুংথাম বাঁধ ভেঙে বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। এর ফলে মুহূর্তে তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। আর তিস্তার এই প্রবল জলোচ্ছাসেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেনা ছাউনি। তিস্তা নদীর জলের তোড়ে ভেসে যান ২৩ জন জওয়ান।

ইতিমধ্যেই নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজে শুরু হল উদ্ধারকাজ। বৃষ্টি কমলে আরও জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানো হবে বলেই জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। তিস্তা, নামচিতে জারি করা হল লাল সতর্কতা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এখই কাটছে না দুর্যোগ।

7 months ago


Donation: রাজ্যে তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি, অৰ্থিক অনুদান রাজ্যপালের

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। এমনই আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একমাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। এর ফলে একাধিক জেলায় জল ঢুকছে। পাশাপাশি ডিভিসিও জল ছাড়তে শুরু করেছে। ফলে পুজোর আগে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা সহ আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনিয়ে ইতিমধ্য়ে সোমবারই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছে রাজ্য প্রশাসন।

শুধু বাংলায় নয়, পড়শি রাজ্যেও কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে অতিদ্রুত জল ছাড়তে হচ্ছে ডিভিসিকে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এরপর ফের ডিভিসি জল ছাড়লে নতুন করে ভাসতে পারে বাংলার একাধিক জেলা। ফলে গৃহহীণ হওয়ার আশঙ্কা অসংখ্য মানুষের। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক মাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।

7 months ago
Nabanna: পুজোর মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বন্যার আশঙ্কা, সতর্ক করল নবান্ন

ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যেও। এবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে পুজোতেই বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নবান্নের। সেই মত সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে এরাজ্যেও। প্রবল বৃষ্টিতে ক্রমশ জলধারনের ক্ষমতা হারাচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার। এর জেরে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ডিভিসি, তাই পুজোর মুখে চার জেলায় বন্যার আশঙ্কা। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার একাংশে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়াও ঝাড়খন্ড পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নিচু এলাকা থেকে তড়িঘড়ি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির জন্য কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেই নিয়ে সোমবারই বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হবে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। ত্রিপল, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায়।

7 months ago


Nagpur Flood: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত নাগপুর, জলের তলায় ১০ হাজার বাড়ি, মৃত ৪

একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur)। অনবরত ভারী বর্ষণের ফলে নাগপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। চারিদিকে জল থইথই, কোথাও হাঁটু সমান জল, আবার কোথাও কোমর সমান। এই পরিস্থিতিতে নাগপুরে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ বছরের পঙ্গু মহিলা-সহ ৪ জনের। অন্তত ১০ হাজার বাড়ি জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে বানভাসি হয়ে পড়েছে নাগপুর। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নাগপুরে এখনই বৃষ্টির আশঙ্কা কাটছে না। কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আর তার জেরে আতঙ্ক বাড়ছে নাগপুরবাসীদের। জানা গিয়েছে, শনিবার তিন ঘণ্টায় ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই বানভাসি বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে নাগপুরের এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবারই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এখনও অবধি ১৪০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্য়া পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে নাগপুরের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

8 months ago
Flood: অসমে বন্যা-পরিস্থিতি ভয়াবহ, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ১৫ জনের

বৃষ্টির বিরাম নেই। টানা বৃষ্টিতে ভাসছে অসম (Assam)। ব্রহ্মপুত্র সহ সমস্ত নদীর জল বিপদসীমার (Danger level) উপর দিয়ে বইছে। ফলে ক্রমশ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত। চলতি বছরে এই বন্যার জেরে ইতিমধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। এই পরিস্থিতি থেকে এখনই রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে জলস্তর আরও বাড়বে এবং অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে চলেছে। সোমবার অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে,  বন্যায় রাজ্যে এক লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে সোমবার। বহু মানুষ গ্রাম ছেড়ে, নিজের বাসস্থান ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিপদসীমার উপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বইয়ে যাওয়ায় গুয়াহাটি ও জোরহাটে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারাই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে অসমের মোট ১৭টি জেলা বন্যার কবলে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। তার পরেই তালিকায় আছে ধেমাজী। এই দুই জেলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

9 months ago
Himachal Pradesh: টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচলের জনজীবন, মান্ডি থেকে উদ্ধার ৫১ জন

প্রবল বর্ষণ (Heavy Rainfall) ও ভূমিধসে (Landslide) লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একাধিক জেলা। এই মরসুমেই হিমাচলে মৃত্যু হয় ২৪২ জনের। এর পর বৃহস্পতিবার নতুন করে হিমাচলের কুলুতে ভেঙে পড়ে সাত তলার এক বিল্ডিং। মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় সেটি। মৌসম ভবন থেকে আগেই পুরো রাজ্যজুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আর সেই সতর্ক বার্তার পরই প্রবল বর্ষণে নতুন করে ধস নামে কুলু শহরে। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয়, এখনও সেই রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। ফলে রাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানে এমনই টানা বৃষ্টি, হড়পা বান, বন্যা দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ভূমিধসের ফলে হিমাচলের প্রায় ৭২৯ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রায় ২হাজার ৮৯৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আবার বন্যা ও ধসের ফলে শতাধিক মানুষ মান্ডির রাস্তায় আটকে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার খোলনালা গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তাতে প্রায় ৫১ জন আটকে পড়ায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে এনডিআরআফের বিশেষ দল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আটকে থাকা মানুষদের কুলু-মান্ডি হাইওয়ে থেকে রিলিফ ক্যাম্পে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অগাস্টে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন। ১৪ অগাস্ট থেকেই এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। ২৪ জুনে বর্ষার আগমণের পর থেকেই এই রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৪২ জনের।

9 months ago


Flood: বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড! হিমাচলে দুর্যোগের বলি আরও ৭, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনা

উত্তর ও পশ্চিম-ভারতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে বৃষ্টির দাপট। একই ছবি পশ্চিম ভারতেও। নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল দিল্লি (Delhi), পঞ্জাব, হরিয়ানার বাসিন্দারা। রাজধানীতে বেড়েছে যমুনার জলস্তর। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বন্য়া পরিস্থিতি। বৃষ্টিতে ভাসছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থানও। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ছবিটা আরও ভয়ঙ্কর। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। হিমাচলে দুর্যোগের বলি ৭ জন। গত ২৪ জুন থেকেই দুর্যোগ চলছে হিমাচলে। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৪। ক্ষতি হয়েছে ৫,০৭৭ কোটি টাকার।

এদিকে শনিবার ৮ ঘণ্টায় ২১৯ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে গুজরাতে। হড়পা বান এবং বর্ষার জলে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের ছবি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সৌরাষ্ট্র এলাকায় একটানা বৃষ্টিতে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদী। নিচু এলাকাগুলি সেই জলে ভেসে গিয়েছে। প্লাবিত শহরাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাটও। প্লাবিত জুনাগড় শহরের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

10 months ago
Flood: টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত গুজরাতের জনজীবন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন

একনাগাড়ে বৃষ্টি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শতাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে গুজরাতের কয়েকটি জেলায়। একই চিত্র প্রতিবেশী মহারাষ্ট্রেও। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে রায়গড়, পালঘরে। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে মুম্বই, পুণেতে।

বাণিজ্য নগরী ভাসছে জলের তলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,রাজকোট, সুরাত, গির সোমনাথ জেলায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল জমে পরিস্থিতি নাজেহাল হয়ে পড়েছে।  আগামী দিনে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

গুজরাতের জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র (এসইওসি) জানিয়েছে, গির সোমনাথের সুত্রাপদা তালুকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ১৪ ঘণ্টার মধ্যে এই তালুকে ৩৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা সাম্প্রতিক কালে রেকর্ড। এ ছাড়াও রাজকোট জেলার ঢোরাজি তালিকে ১৪ ঘণ্টায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে মাত্র দু’ঘণ্টায় ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে সরকারি খাতায়। সুরাতে দিনের বেলা ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে জেলায় জনজীবন সম্পূর্ণ ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

10 months ago