দীপাবলি, ধনতেরাস উপলক্ষে প্রায় প্রত্যেকেই সোনা, গয়না, বাড়ি কিনে থাকেন। কিন্তু বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং-এর ক্ষেত্রে ব্যপারটা একেবারেই উল্টো হয়ে গেল। তিনি এবারে তাঁর দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিলেন, তাও আবার জলের দরে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় গুঞ্জন যে, আর্থিক সঙ্কটে নাকি বলি অভিনেতা!
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের গোরেগাঁও এলাকায় অবস্থিত এই ফ্ল্যাট দুটির দাম ১৫.২৫ কোটি টাকা। এমনটাই জানা যাচ্ছে অনলাইন প্রপার্টি কনসালটেন্সি সংস্থা ইনডেক্সট্যাপ ডট কমের নথি থেকে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ফ্ল্যাট দুটি ৪.৬৪ কোটি টাকায় কিনেছিলেন রণবীর। সূত্রের খবর, নথি অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি একই হাউজিং কমপ্লেক্সের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন রণবীর। কিন্তু কেন ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিলেন? এই বিষয়ে অভিনেতার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রণবীর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একধিক পুরসভার। এবার ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রেজিস্ট্রি করানো হয়েছিল ফ্ল্যাট। অভিযোগ,পূর্বনির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চাবি। যার ফলে সমস্যায় পড়েন ৩০-৪০ জন ক্রেতা। অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে যৌথভাবে প্ৰতারণা করেছে তারকেশ্বর পুরসভা এবং সানফ্লাওয়ার গ্রীন প্রজেক্ট লিমিটেড সংস্থা। ওই গ্রাহকদের অভিযোগ, জেলা থেকে রাজ্য স্তরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পুর বোর্ড দখল করে তৃণমূল। এরপরই তারকেশ্বর পুরসভার অধীনস্থ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। পুরসভার আয় বাড়াতে ২০১৩ সালে সানফ্লাওয়ার গ্রীন প্রজেক্ট লিমিটেড নামে ওই বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয় তারকেশ্বর পুরসভার। ৭২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ১০ তলা বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তৎকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন স্বপন সামন্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন উত্তম কুন্ডু। আরও অভিযোগ, সানফ্লাওয়ার গ্রীন প্রজেক্ট লিমিটেড সংস্থার বোর্ডের ডিরেক্টর ছিলেন তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডুর স্ত্রী। অভিযোগ, এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান। যদিও একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান। অভিযোগ অস্বীকার বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার মালিক রাজেশ আগারওয়ালের। এ অবস্থায় রীতিমত দিশেহারা ওই ফ্ল্যাট গ্রাহকরা।
এ ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন এই ফ্ল্যাট গুলি সমস্ত সুযোগ সুবিধা না দিয়েই হস্তান্তর করা হয়। ওই গ্রাহকদের তরফ থেকেই অভিযোগ ওই ফ্ল্যাট গুলিতে এখনও বেশ কিছু নির্মাণ কাজ বাকি। বাকি জলের কাজ ও রঙের কাজও। এখন ওই পূর্বনির্ধারিত পরিষেবা পেতে কি করবে গ্রাহকরা! এই প্রশ্নই উঠছে। যদিও এ বিষয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শনিবার সকাল থেকেই বেশ কয়েকটা জায়গায় ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালায় ইডি। শনিবারই আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডের একটি বহুতলের ছ’তলায় অঙ্কিত চন্দ্রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তল্লাশিতে যান তদন্তকারীরা। টানা ২৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে রবিবার সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। এই তদন্তের পর রীতিমত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন ইডির আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রেই খবর, বেশ কিছু নথিপত্র এবং বৈদ্যুনিত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয় ওই সংস্থার অফিস থেকে। এছাড়া এখানেই রেশনের চাল, ডাল প্যাকেজিং হত। এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার অঙ্কিত চন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও ছিল বলে অভিযোগ।
কৈখালিতে মধ্যবয়স্ক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু। ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার নগ্ন রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। মৃত ওই মহিলার নাম রানী সুরানা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
জানা গিয়েছে, কৈখালির সংহতি পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বুধবার সকালে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে যান পুলিশ আধিকারিকরা। বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় হাতের শিরা কাটা নগ্ন ওই মহিলার দেহ।
বাড়ির মালিক রিশা রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে হাত কাটা অবস্থায় ওই মহিলা তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি বুঝতে পারেননি তিনি। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার তিনি সত্যির উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনিই ঝড়। তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লম্বা পোস্ট করলেন বসিরহাটের সাংসদ।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু গত মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে ছ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রবিবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওরা ফিসফিস করে বলেছিল, ঝড় এলে তুমি উড়ে যাবে। কিন্তু ওদের কাছে পালটা উত্তর গেল, আমিই ঝড়…।'
এদিকে ইডির একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, যে কোম্পানির হয়ে বাজার থেকে নুসরতের নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই কোম্পানির অডিট রিপোর্টে ডিরেক্টর হিসাবে সই আছে বসিরহাটের সাংসদের। এর আগে, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার তদন্তে সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার থেকে ভাতা পেতেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে নুসরতের নিয়োগপত্র পেয়েছে ইডি। আর তাতেই কেল্লাফতে হয়েছে বলে ইডির দাবি। উল্লেখ্য, সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থায় ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন রূপলেখা মিত্র। রূপলেখা ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সংস্থার বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল রাকেশ সিং-এর হাতে।
জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে নিউটাউনে ব্যাঙ্ককর্মীদের জন্য কেনা জমি দেড় কোটি টাকায় বন্ধক দেয় রাকেশ সিং। সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার কাছে ওই জমি বন্ধক রাখা হয়েছিল। চুক্তি হয়, এক বছরের মধ্যে আড়াই কোটি টাকা ফেরত দিয়ে ওই বন্ধক রাখা জমি ছাড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে, সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদম চাঁদ ভুটোরিয়া। এই পদম চাঁদ চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত গোদাবরী কমোডিটিস নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।
আজ ইডির তলবে নির্ধারিত সময়ের মিনিট ১৫ আগেই বেলা পৌনে ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে তলব করেছিল ইডি। টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধে ৫.৩৫ মিনিট নাগাদ তৃণমূল সাংসদ বেরোলেন সিজিও থেকে।
নুসরত বেরোতেই তাঁকে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা, উড়ে আসে একের পর এক প্রশ্ন। তবে সেসবে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে এক কথায় ছোট্ট উত্তর দিয়েই অভিনেত্রী গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান ইডির দফতর থেকে। হলুদ সালোয়ার কামিজে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন নুসরত, হাতে ছিল ফাইল।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালেই নুসরতকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর কথায়, দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে। সে মুখ্যমন্ত্রী হোক বা রাজনীতিবিদ অথবা কোনও অভিনেতা বা তারকা।
ইডি তাঁকে তলব করবে না। সম্প্রতি টলিউডের এক পার্টিতে এই দাবি করেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। কিন্তু তাঁর এই দাবি ভুল প্রমাণ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগামী মঙ্গলবার নুসরত জাহানকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হল।
এর আগে কলকাতায় রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করেছেন নুসরত। তাতেও আপাতত শেষরক্ষা হল না। মূলত বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে, ফ্ল্যাট দুর্নীতির তদন্তে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে তলব করা হয়েছে।
সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তাঁর অভিযোগ নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা তুলেছেন নুসরত ও তাঁর কোম্পানি। টাকা তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা দাবি করেছিলেন, অফিস থেকে যে টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন, তা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন।
এদিকে, নুসরতের ওই কোম্পানির মালিক জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপারে নুসরতকে কোনও লোন দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ইডির কাছে গিয়ে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিতরা। সেই তদন্তেই এবার ডেকে পাঠানো হল বসিরহাটের সাংসদকে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা, নুসরতের মামলা নুসরতকেই লড়তেই হবে।
প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত একসময় যে বাড়িতে মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন, এখন সেই বাড়িই অন্য এক বলিউড অভিনেত্রীর দখলে। 'দ্যা কেরালা স্টোরি' খ্যাত অভিনেত্রী আদাহ শর্মা (Adah Sharma) নাকি 'মন্ট ব্ল্যাঙ্ক'-এ সুশান্ত (Sushant Singh Rajput) ঠিক যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেই ফ্ল্যাটটিই কিনে নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রীকে দেখা যায়, সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে সরেজমিনে সবকিছু দেখে আসতে। এবার খবর, আইনি ভাবেই সেই ফ্ল্যাটের মালিকানা পেয়েছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি আদাহ।
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সুশান্ত এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। দ্বিতল এই ফ্ল্যাটের জন্য প্রতি মাসে ৪.৫ লক্ষ টাকা করে ভাড়া দিতেন অভিনেতা। এই ফ্ল্যাটেই প্রেমিকা রিয়ার সঙ্গে একত্রযাপন করতেন। নিজের মতো সাজিয়ে নিয়েছিলেন বাড়িটি। অভিনেতার পছন্দের বই থেকে শুরু করে দূরের তারা দেখার টেলিস্কোপ, সব ছিল এই ফ্ল্যাটেই। অভিনেতা মারা যাওয়ার পর থেকে সেই ফ্ল্যাট ফাঁকা। যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা সুশান্তের স্মৃতিজড়িত এই বাড়ি এবার হয়তো নতুনভাবে সাজিয়ে তুলবেন আদাহ।
২০২০ সালের ১৪ জুন এই দ্বিতল ফ্ল্যাটেই উদ্ধার করা হয়েছিল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে বেশ কিছু মাস জেলে থাকতে হয়েছিল পুলিশি জেরার জন্য। অন্যদিকে মাদক প্রসঙ্গ উঠে এলে, বলিউডের তাবড় অভিনেত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়. তবে এতগুলো বছর পরেও সুশান্তের মৃত্যুর কারণ উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।
বর্তমান বিশ্বে অন্যতম বড় সমস্যা মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে দেশগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স (World of Statistics)। যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা (Argentina)। গত মাসে আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর্জেন্টিনার মুদ্রাস্ফীতি সূচকের বৃহত্তম অংশ হল খাবারের দাম। যা এক মাস আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির তালিকায় আর্জেন্টিনার পরই রয়েছে তুরস্ক। ভারত ১০ নম্বর তালিকায়। কোন দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার কত, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সেখানে জিনিসের দাম এক বছর আগের থেকে ১০২.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুরস্ক (৫৫.১৮)। এই দুই দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার অত্যাধিক বেশি। এরপর অবশ্য দেশগুলির মুদ্রাস্ফীতির হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া (১১ শতাংশ), এরপর যথাক্রমে ব্রিটেন (১০.১ শতাংশ), ইতালি (৯.২ শতাংশ), জার্মানি (৮.৭ শতাংশ)। অস্ট্রেলিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে (৭.৮ শতাংশ)। তালিকার দশম স্থানে রয়েছে ভারত, মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৪৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এই বছরে রয়েছে আর্জেন্টিনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফলে মুদ্রাস্ফীতি একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
২০২২-এ সোনমের (Sonam Kapoor) কোলে এসেছে বায়ু। মাতৃত্ব জীবন পুরোদমে উপভোগ করছেন অনিল-কন্যা। কোনওরকম নতুন প্রজেক্টে দেখা যাবে না তাঁকে। শোনা গিয়েছে, সম্প্রতি কোনও কাজ তাঁর হাতে নেই। তার মধ্যে উঠে এসেছে আরও একটি খবর, সোনম বিক্রি করেছেন তাঁর বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট। যদিও বলিউড (Bollywood) তারকাদের ফ্ল্যাট কেনা-বেচা এখন আর নতুন কোন খবর নয়। প্রায় সময়ই অনেক তারকা যেমন নতুন ফ্ল্যাট কিনে থাকেন, তেমনি পুরোনো ফ্ল্যাটও বিক্রি করেন। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সিগনেচার আইল্যান্ড নামের বহুতলের ৩ তলায় ছিল সোনমের এই ফ্ল্যাট। বিক্রয়মূল্য ৩২.৫ কোটিতে।
ভারতের রিয়েল এস্টেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট স্কয়ার ফিট ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩২.৫ কোটিতে সোনমের থেকে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন এসএমএফ ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামে একটি কোম্পানি। গত ২৯ ডিসেম্বর এ ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি হয়েছে। সম্পত্তিটি কেনার জন্য ১.৯৫ কোটির অগ্রিম দেন ক্রেতা।
মুম্বই শহরে একাধিক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে রাখেন তাঁরা। সুযোগ মতো সেগুলি বিক্রি করেন কিংবা ভাড়া দেন। এ বাড়ির নতুন ক্রেতা এই বিল্ডিংয়ে ৪টি গাড়ি পার্ক করার সুবিধা পাবেন। রয়েছে আরও নানা সুবিধা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সোনম কাপুর ৫৩৩৫ বর্গ ফুটের এই ফ্ল্যাটটি কেনেন প্রায় ১৫ কোটি টাকায়। বিক্রির সময় দ্বিগুণেরও বেশি দামে এই সম্পত্তি বিক্রি করলেন অভিনেত্রী।
সৌমেন সুর: দিনের পর দিন দেশের অগ্রগতির জন্য সম্পদ ও শ্রীবৃদ্ধির অমোঘ পরিকল্পনা বেড়েই চলেছে। একদিকে চলে প্রচুর অর্থব্যয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করা, অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যাওয়ায়, সেদিকে কড়া নির্দেশ বা দৃষ্টিপাতের উদাসীনতা। এতে আখেরে নাভিশ্বাস ওঠে মধ্যবিত্ত শ্রেণির। তাঁদের ঘাড়ে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। জীবন হয়ে ওঠে সঙ্কটময়। কৃষকশ্রেণির চোখে শূন্যতা, শ্রমিক শ্রেণি বিধস্ত। আসলে ভারতের বহিঃরঙ্গে ঐশ্বর্য বিলাস। অন্তরঙ্গে দুঃখ-দৈন্যের করুন থাবা।
অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সৃষ্টি হয় পণ্যের কৃত্রিম অভাব। সৃষ্টি হয় কালোবাজারি। এই চোরা পথেই পণ্যের মূল্যরেখা হয় ঊর্ধ্বগতি। মুনাফার অঙ্ক বাড়ে। বাড়ে শোষণের নেশা। তাই পণ্যমূল্য বৃদ্ধির দুঃসহ আঘাতে মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। চারদিকে ধর্মঘট, বেতনবৃদ্ধির আন্দোলনে মানুষ দিশেহারা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সমাজের গভীর ক্ষত। এতে স্ফীত হয় মুদ্রা দিশেহারা হয়ে পড়ে আম আদমি, যেমন মধ্যবিত্ত এবং প্রান্তিক সমাজ। অর্থনীতির বিজ্ঞান ভিত্তিক পুনর্বিন্যাসে এই গভীর ক্ষতের উপশম সম্ভব।
এক সময় জঙ্গলে ঘেরা ছিল শহর দুর্গাপুর (Durgapur)। ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের স্বপ্নের দুর্গাপুর এরপর ধীরে ধীরে নগর সভ্যতার যুগে প্রবেশ করে। একটা একটা শিল্প তৈরি হয় এই শহরে। শিল্পের বিকাশে দুর্গাপুরের মুকুটে আরও একটি পালক জোড়ে। দুর্গাপুরের আগে লেখা শুরু হল শিল্পাঞ্চল শব্দটি। তবে নগর জীবনে ঢোকা মাত্রই শহরের বেশ কিছু এলাকায় তৈরি হয়েছে বহুতল (flat)। আর এখানেই সমস্যা।
সূত্রমাফিক জানা গিয়েছে, ৩০ তলা পর্যন্ত বহুতল নির্মাণের অনুমতি মিলতে চলেছে দুর্গাপুর শহরে। পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত, আর পুরসভা এলাকায় দুর্গাপুর নগর নিগম এই বহুতল নির্মাণের নকশা দেখে অনুমতি দিচ্ছে। এরপর রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা এডিডিএ, ফায়ার ডিপার্মেন্ট সহ আরও বেশ কিছু সরকারি সংস্থার ছাড়পত্র। এক কথায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সবুজ সংকেত মেলার পরই প্রোমোটার ছাড়পত্র পায় বহুতল নির্মাণের। কিন্তু শহর দুর্গাপুরের বুকে গড়ে ওঠা আকাশ চুম্বী এই বহুতলগুলি কতটা নিরাপদ? আদতে কতটা নিরাপদ এখানকার বসবাসকারী আবাসিকরা? প্রশ্নটা সোজা কিন্তু উত্তরটা ততটাই ভয়ঙ্কর।
প্রায় ১৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে দুর্গাপুর নগর এলাকা। ৮ টি থানা রয়েছে এই মহকুমাতে। কিন্তু এই বহুতলগুলির আবাসিকদের নিরাপত্তা আজও উপেক্ষিত। আবাসিকদের জীবন নিয়ে চলে অবাধ সাপ লুডোর খেলা। যদিও বড় ধরণের কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তবে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে এই শহরের বুকে। দুর্গাপুরের দমকল বিভাগে ছোট বড় মিলিয়ে দশটি ইঞ্জিন রয়েছে, রয়েছে দমকল কর্মীদের নিয়ে তৈরি বিশেষ বাইক বাহিনীও। কিন্তু আজও এই ফায়ার স্টেশনে নেই হাইড্রোলিক ল্যাডার, অর্থাৎ বহুতলগুলির এক্কেবারে টপ ফ্লোরে কোথাও যদি আগুন লাগে, তাহলে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা নেই।
এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশনের আধিকারিক রহমান চৌধুরীর গলাতে ছিল অসহায়তার সুর। তবে যেভাবে শহরের বুকে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে তাতে করে অবশ্যই প্রয়োজন এই হাইড্রলিক ল্যাডার। যদি সরকার প্রয়োজন মনে করে তাহলে নিশ্চয় এই ল্যাডার এসে পৌঁছবে। অন্যদিকে এক দায়সারা বক্তব্য রাখলেন দুর্গাপুর সিটি সেন্টার ফায়ার স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ রহমান চৌধুরী।
এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান((SSC EX Chairman) সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের ফ্ল্যাটে প্রায় ৮ ঘণ্টা তল্লাশি(seaech) চালায় সিবিআই। গতকাল বিকেলে সিবিআইয়ের ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ফ্ল্যাটে যান। প্রায় রাত দেড়টা পর্যন্ত তল্লাশি চালান তাঁরা। সিবিআই আধিকারিকরা বেরোনোর সময় স্বভাবতই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে বেশ কিছু জিনিস, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি(document) বাজেয়াপ্ত করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কিছু প্রশ্ন করেন তাঁকে সিবিআই আধিকারিকরা। প্রশ্নবাণে ছিল,
১. আপনি বলছেন সব আইন মেনে হয়েছে, বাগ কমিটির রিপোর্টে অন্য কথা রয়েছে। কী করে সম্ভব?
২. অটো জেনারেটেড সই দিয়ে চাকরি হল কীভাবে?
৩. আপনার আমলেই সব দুর্নীতির পরীক্ষা আপনি দায় এড়াতে পারেন না।
সূত্রের খবর, তবে উত্তরে তিনি বলেন, সব আইন মেনেই করেছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালের উড়ানে শহরে আসেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কলকাতা বিমান বন্দরে তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। এরপর তাঁর পরের গন্তব্য ছিল নিজাম প্যালেস নয়, বালিগঞ্জ প্লেস। সূত্রের খবর, বালিগঞ্জ প্লেসে এক আত্মীয়ের বাড়ি খাওয়া দাওয়ার পর সুবীরেশ বাবুর পৌঁছন বাঁশদ্রোণীতে তাঁর সিল বন্ধ ফ্ল্যাট।
তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে। সিবিআই ঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে পরবর্তী কালে তাঁর অজান্তে স্ক্যান সিগনেচার ব্যবহার করা হতে পারে বলে গতকাল জানান তিনি। তবে যা বলার সিবিআই বলবে, কোর্ট বলবে বলে জানান তিনি। সিবিআইয়ের উপর ১০০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ফের সুবীরেশ ভট্টাচার্যর ফ্ল্যাটে সিবিআই(CBI) । সিবিআইয়ের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছয় বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে(flat)। তবে ফ্ল্যাট সিল থাকায় ছাদে বসে থাকেন সস্ত্রীক সুবীরেশ ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে সিবিআই পৌঁছলে কিছু কথাবার্তা হয় তাঁর সঙ্গে। এরপরে বাঁশদ্রোণী ফ্ল্যাটের সিল খুলে দেয় তদন্তকারী অফিসাররা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৫৫ র উড়ানে দমদম বিমান বন্দরে(airport) এসে পৌঁছন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান(SSC ex Chairman)) তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কলকাতা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান তিনি। তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। এরপর তাঁর গাড়ি নিজাম প্যালেসের পথ না ধরে সোজা বালিগঞ্জ প্লেসের রাস্তায় যায়। সূত্রের খবর, বালিগঞ্জ প্লেসে এক আত্মীয়ের বাড়ি খাওয়া দাওয়ার পর সুবীরেশ বাবুর গন্তব্য বাঁশদ্রোণীতে তাঁর সিল বন্ধ ফ্ল্যাট।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বারবারই তিনি বলেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তবে নিয়োগ ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে। সিবিআই ঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে পরবর্তী কালে তাঁর অজান্তে স্ক্যান সিগনেচার ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যা বলার সিবিআই বলবে, কোর্ট বলবে বলে জানান তিনি। সিবিআইয়ের উপর ১০০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।