ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire) জেরে ভস্মীভূত চারটি বাড়ি। ঘটনায় আহত তিন জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আউশতলা থানার অন্তর্গত গুসকরা (Guskara) পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের (Firefighters) একটি ইঞ্জিন। ব্য়াপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ সুভাষপল্লী এলাকার শিবু বিশ্বাসের বাড়িতে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। অভিযোগ, শিবু বিশ্বাস নিজের বাড়িতেই পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবসা করেন। এলাকার লোকজন অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও তিনি ব্য়বসা বন্ধ করেননি। সেখান থেকেই আগুন লাগে বলে অভিযোগ। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে পর পর চারটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায় চারটি বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। স্থানীয়দের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জি। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। তাঁদের গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। পুড়ে ছাই ঘরবাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে হৃদয়পুর রেল স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে আটটি বাড়ি এবং পাঁচটি সিলিন্ডার পুড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের (Firefighters) তিনটি ইঞ্জিন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বস্তিতে একটি ঘরে একজন মোমবাতি জ্বালিয়ে শুয়েছিলেন। সেই মোমবাতির আগুন থেকেই প্রথমে একটি ঘর তারপর আশেপাশের প্রায় ৫ থেকে ৬টি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘরগুলির মধ্যে থাকা একের পর এক সিলিন্ডার ব্লাস্ট করতে শুরু করে। স্থানীয় মানুষের তথ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ৬ টি সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেছে। ঘরের মধ্যে যারা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বেরিয়ে আসলেও জিনিসপত্রের ক্ষতি প্রচুর হয়েছে। তাঁদের আধার কার্ড থেকে শুরু করে ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র এবং সেই সঙ্গে টাকা-পয়সা সহ বিভিন্ন দরকারি নথিপত্র সব কিছু ঘরের মধ্যে ছিল। নিমেষে সব পুড়ে গিয়েছে বলে জানান
ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বারাসত থেকে দুটো দমকলের ইঞ্জিন এসে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মধ্যমগ্রাম থেকে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। তবে অনেক রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কারণ এলাকাটি প্রচণ্ড ঘিঞ্জি। ঘটনাস্থলে আছে বারাসত থানার পুলিস বাহিনী।