
সপ্তাহের ব্যস্ততম দিনেই অর্থাৎ আজ, সোমবার রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দিল্লির এইমস (Delhi AIIMs) হাসপাতালে ঘটে গেল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। সূত্রের খবর, দিল্লি এইমসের এন্ডোস্কপি বিভাগে লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। চারিদিক ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে পৌঁছে গিয়েছে ৮ টি দমকল। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা আহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
#WATCH | Delhi: A fire broke out in the endoscopy room of AIIMS. All people evacuated.
— ANI (@ANI) August 7, 2023
More than 6 fire tenders sent, say Delhi Fire Service
Further details are awaited. pic.twitter.com/u8iomkvEpX
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১১ টা ৫৪ মিনিট নাগাদ এইমস হাসপাতালের এন্ডোস্কপি বিভাগে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর ধীরে ধীরে তা হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে। আচমকা এমন আগুন দেখে ভয়ে-আতঙ্কে সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয় হাসপাতালে। ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দিল্লি এইমস-এর মত দেশের বড় হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু উঠতে শুরু হয়েছে। এইমস সূত্রে খবর, প্রথমে ছটি দমকল পাঠানোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর পরে দুটি আরও পাঠানো হয়। অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের ডিরেক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।
উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) ঝাঁসির (Jhansi) এক ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে হঠাৎ বিধ্বংসী আগুন (Fire)। আর এই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৪ ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলের দিকে। আগুন লাগার পর সেই চারতলার বিল্ডিং-এ আটকে ছিলেন বহু লোক। তবে কিছুজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হলেও অবশেষে চারজনের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন, তাঁদেরকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কীভাবে সেই চারতলার শোরুমে আগুন লেগেছে, এখনও জানা যায়নি। তদন্ত করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলের দিকে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির সিপরি বাজার এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার এক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর তা ধীরে ধীরে উপরের বিল্ডিংয়েও ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাশে থাকা খেলার সরঞ্জামের দোকানেও আগুন লেগে যায়। নিমেষের মধ্যে দোকানে থাকা সমস্ত জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও সেই বিল্ডিং-এর উপরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও সেই বিল্ডিং-এ থাকা মহিলাও অগ্নিদগ্ধ হন। তিনি ইউনাইটেড ইনস্যুয়ারেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন।
এরপর এই খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী পৌঁছয়। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঝাঁসির জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, কীভাবে সেই বিল্ডিং-এ আগুন লেগেছে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বজবজ শিয়ালদহ শাখায় সন্তোষপুর স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই রেল স্টেশনে প্রায় ২৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের সহায়তায় বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই সূত্রের খবর। রেল প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪৫ নাগাদ বজবজ শিয়ালদহ শাখার ওই স্টেশনের বাইরে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্য সেই আগুন সন্তোষপুর স্টেশনে ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে স্টেশনের বাইরে প্রায় ৭০টি দোকান এবং স্টেশনের ২৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সূত্রের আরও খবর, এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই শাখায় দীর্ঘ দু'ঘন্টা আপ এবং ডাউন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ দু'ঘন্টা দমকলবাহিনী ও সাধারন মানুষের চেষ্টায় এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও কোনও মানুষের ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। বর্তমানে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) পুড়ে ছাই শোভাবাজারের একটি বিউটি পার্লার (Parlour)। হঠাত্ করেই পার্লারের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া দেখতে পায় এলাকাবাসীরা। আগুন লাগায় নিমেষেই কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। বুধবার সকালে শোভাবাজারের ৪১ শ্রী অরবিন্দ সরণিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। দমকলে খবর দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন-সহ দমকল এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালায়।
জানা গিয়েছে, বাড়ির একতলায় অবস্থিত এই পার্লারটি। মূলত পার্লারের ভিতরে থাকা এসির কারণেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। যার ফলে এই আগুনের কারণেই কার্যত কালো ধোঁয়া নির্গত হতে থাকে। সূত্রের খবর, দুটি দমকলের ইঞ্জিন কাজ করায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
মুম্বইয়ের (Mumbai) ফিল্মসিটির একটি স্টুডিওতে (film city) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (fire)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ফিল্মসিটির টিভি সিরিয়াল "গুম হ্যায় কিসিকে পেয়ার মে"-এর সেটে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। তবে এ ঘটনার জেরে শুটিং বন্ধ (Closed Shooting) রাখা হয়েছে সিরিয়ালটির।
বৃহন্মুম্বই পুর কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্টুডিওতে সিরিয়ালটির শুটিং হচ্ছিল। বিকেল ৪.৩০টের দিকে আগুনের খবর আসে। কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে আগুনে নীচের তলার ২ হাজার বর্গফুটের স্টুডিয়োর ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ২০০০ বর্গফুট এলাকায় প্রথমে আগুন লাগে। এরপর দ্রুত সেই আগুন স্টুডিওর অন্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুর এলাকা। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ১২টি দমকলের ইঞ্জিন, সাতটি জলের পাইপ, একটি জলের ট্যাঙ্কার এনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ফায়ার ব্রিগেড আগুনটিকে লেভেল-৩ বলে দাবি করেছে এবং লেভেল-৪ সবচেয়ে গুরুতর।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) কাছে একটি শপিং মলে ভয়াবহ আগুন (Fire Incident)। বুধবার সন্ধ্যায় লাগা আগুন ১২ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের বিশাল বাহিনী। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই প্রায় ৪০টিরও বেশি দোকান। আগুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। পর্যটকদের (Puri Tourist) দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজার সংলগ্ন হোটেলগুলির মধ্যে থাকা মানুষজনকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্দির চত্বর সংলগ্ন গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে চলেছে আগুন নেভানোর কাজ।
#ଅସୁସ୍ଥ_ଅଗ୍ନିଶମ_କର୍ମଚାରୀ
— Kanak News (@kanak_news) March 8, 2023
ପ୍ରବଳ ଧୂଆଁରେ ଅଣନିଶ୍ୱାସୀ ଅଗ୍ନିଶମ କର୍ମଚାରୀ । ୨ ଜଣ ଅସୁସ୍ଥ ହୋଇଥିବା ସୂଚନା । #Fire #Puri #Odisha pic.twitter.com/5Ef5V9lmYs
ওড়িশার স্থানীয় সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ প্রথম আগুন লেগেছিল গ্র্যান্ড রোডের মারিচীকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামা কাপড়ের দোকানে। সেখান থেকই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজার চত্বরের গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি বাজারের পাশের বেশ কয়েকটি হোটেলও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।
আগুন লাগার সময় পুরী মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বহু পর্যটক। আগুনের খবর ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রশাসন যথাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
দমকল বাহিনী জানিয়েছে, যে সময় আগুন লাগে, সে সময় পুরীর মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে হাজির ছিলেন বহু পর্যটক। তবে ওই বাজার চত্বর থেকে সমস্ত পর্যটককেই উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁরা আরও জানায়, ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। দমকলের মুখপত্র জানান, ‘আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। তবে আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভবে।’
হালিশহরে (Halisahar Incident) জেঠিয়ার কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ের এক নামী বহুতল হোটেলে গভীর রাতে আগুনের (Fire Incident) ঘটনায় চাঞ্চল্য। গত ২৫শে জানুয়ারি ওই হোটেলের এক ঘরে এক তরুণীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিস ঘরটি সিল করে দেয়। সেই সিল করা ঘরে কীভাবে আগুন লাগলো, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় জেঠিয়া থানার পুলিসের হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাই পুলিস চাইছে ফরেন্সিক তদন্ত করতে। তবে এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিস (Bengal Police)। যদিও হোটেল মালিক নুর আলম জানান, 'হোটেলের এক ঘরে এক মেয়ের মৃত্যুর কারণে পুলিস ঘরটি সিল করেছিল। শটসার্কিট থেকে সেখানে আগুন লেগেছে বলে অনুমান। গোটা বিষয়টি পুলিস তদন্ত করছে।'
জানা গিয়েছে, একাধিক ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ হিসেবে শট সার্কিট থেকে আগুনের তত্ত্ব খাড়া করছেন হোটেল কর্মীরা। ফায়ার অফিসার প্রশান্ত সরকার বলেছেন, 'হোটেলের দো'তলার কোনের ঘরে আগুন লেগেছে। থানার লোক এসে কিছুদিন আগে ওই ঘর সিল করে দিয়েছিল। পুলিস তালা খোলার পর দেখে ঘরে গিজার, কল খোলা ছিল। সেখানেই শটসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
হোটেলে সমস্ত ফায়ার লাইসেন্স চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে থানায় অভিযোগ জানানো হবে ফায়ার ব্রিগেডের পক্ষ থেকে।' এমনকি হোটেলে ফায়ার প্রোটেকশন না থাকায় ক্ষুব্ধ ফায়ার ব্রিগেড।
বছর শুরুর দিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Incident)। আগুন লাগল দিল্লির একটি বৃদ্ধাশ্রমে। রবিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির গ্রেটার কৈলাস টু এলাকায় অবস্থিত ওই বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে দু'জন প্রবীণ মহিলা নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহত আরও ছয় জন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের (Fire Brigade) একাধিক ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, আহতদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে।
এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দিল্লির সংগম বিহার এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় তল থেকে ১৪ জনকে (চারজন মহিলা, পাঁচটি পুরুষ এবং পাঁচটি শিশু) উদ্ধার করা হয়। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের।
ইনভার্টার তৈরির কারখানায় (Factory) ভয়াবহ আগুন (Fire)। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় একই পরিবারের ৩ শিশু-সহ ৬ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। আহত আরও ৩ জন বলে সূত্রের খবর। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ফিরোজাবাদে।
জানা গিয়েছে, ফিরোজাবাদের একটি বাড়িতে উপর তলায় থাকত একটি পরিবার। আর একতলায় ছিল ইনভার্টার তৈরির কারখানা। আচমকাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারখানায় আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। উপরের তলায়ও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই একসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। উল্লেখ্য, মৃতদের মধ্যে ৩ জন শিশুও ছিল। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত আরও তিন আত্মীয় আগুনে ঝলসে গিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয়রা দমকলে খবর দেন। এরপর ১৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফিরোজ়াবাদের পুলিস সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তিনি মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টিও সুনিশ্চিত করেন তিনি। এর জন্য জেলা প্রশাসনকে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসার সমস্ত খরচও বহন করবে রাজ্য সরকার।
শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের একটি গাড়িতে (Police Van) হঠাৎই আগুন। শনিবার সকাল ১১টা ২০ নাগাদ এই অগ্নিসংযোগের (Fire Incident) ঘটনা ঘটে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় গাড়িটি। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও দুটি বাইক। প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই গাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তবে পিছনে অন্য কেউ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে স্টেশন চত্বরের সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রথমে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি। পাশাপাশি গাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাড়িটি। দিনের ব্যস্ত সময়ে জনবহুল শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিক কারণেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। যদিও পুলিস এবং দমকলের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই ভয়াবহ আগুন লাগে এসএসকেএমে (SSKM)। জানা যায়, বুধবার রাতে সিটি স্ক্যান বিভাগের একাংশে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়েই আতঙ্ক (panic) ছড়ায় হাসপাতালে থাকা রোগীদের মধ্যে। এমনকি জরুরি বিভাগের (emergency department) কাছেও আগুন লেগে যায়। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল হাসপাতালে (hospital)। দমকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এর দায় কার, রোগী সুরক্ষা কোথায়? এই একাধিক প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সুপার পীযুষ কুমার রায়-এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিক এবং রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক মিলিয়ে মোট ৫ সদস্যের কমিটি। কেন হল এমন পরিস্থিতি তা মূলত খতিয়ে দেখা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি বলে মনে হচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি বৃহস্পতিবারই ৬ সদস্যের একটি ফরেন্সিক টিম হাসপাতালে এসে হাজির হয়। ঘটনাস্থলে কলকাতা গোয়েন্দা বিভাগের ২ জনের একটি টিমও উপস্থিত রয়েছে। একইসঙ্গে এমার্জেন্সি বিভাগের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে আগুনকাণ্ডের জেরে খানিকটা হলেও ব্যাহত হয়েছিল পরিষেবা। রাতভর চেষ্টার পর আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে, যে অংশে ইউএসজি রক্ত পরীক্ষা সহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য রোগী পরিবারের লোকজন দাঁড়ায় তাঁদেরকে নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়াতে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোজকার মতো শুক্রবারও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে এসএসকেএম।
মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থাতেই গোটা পরিবারকে পুড়িয়ে খুনের (murder) চেষ্টার অভিযোগ। হাড় হিম করা এই ঘটনা নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ফুলিয়া বেলঘরিয়া এলাকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘড়ির কাটায় তখন ২টো, এমন সময় হঠাত্ই চিত্কার চেঁচামেচি। স্থানীরা গিয়ে দেখতে পান, ওই এলাকারই এক বাড়িতে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। তড়িঘড়ি জল ও বালি দেওয়ায় কিছুটা রেহাই পায় গোটা পরিবার। ঘরের একাধিক জিনিস জ্বলে গিয়েছে। কোনওরকম প্রাণে বেঁচেছে গোটা পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিবার খাওয়া দাওয়া করে সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কে বা কারা এসে তাঁদের বাড়িরর চারপাশে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেই বাকি সদস্যদের ডাকেন ওই বাড়ির এক বৃদ্ধা সদস্য। তড়িঘড়ি বাকিরা ঘুম থেকে উঠে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। যদিও কে এই কাজ করেছে তা জানা যায়নি।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, তাঁদের সঙ্গে এলাকার কারও কোনও অশান্তি ঝামেলা নেই। তবুও কেন এই শত্রুতা জানেন না। ঘটনার পর এখনও পুলিসে খবর দেওয়া হয়নি বলে পরিবার জানিয়েছে। তবে কে বা কারা এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটালো? প্রশ্ন থাকেই যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মথুরা (Mathura) জেলার বৃন্দাবনে একটি হোটেলে আগুন (fire) লাগে। আর তাতে দু'জন নিহত (Death) হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত এবং আগ্রার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হোটেলের উপরের তলায় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই কর্মচারী আটকে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হোটেলের দ্বিতীয় তলা থেকে প্রায় ৭০ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। মথুরার চিফ ফায়ার অফিসার প্রমোদ শর্মা বলেন, "অগ্নিকাণ্ডে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত নয়।"
ডাঃ ভূদেব সিং, সিএমওর মতে, শ্বাসকষ্ট এবং শরীর পুড়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের নাম উমেশ (৩০) এবং বিরি সিং (৪০)। দুজনেই হোটেল বৃন্দাবন গার্ডেনের কর্মচারী। হোটেলে অগ্নি নির্বাপক কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। হোটেলটির ফায়ার ডিপার্টমেন্টের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নেই। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট, সূত্র অনুসারে, এই বিষয়ে হোটেলকে একটি নোটিশ দিয়েছে।
ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire) রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিল্লির নারেলা এলাকার এক কারখানায় (factory)। হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। সূত্রের খবর, আগুন লাগার ঘটনায় এখনও অবধি দু'জনের মৃত্যুর (Death) খবর পাওয়া গিয়েছে। খবর যায় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় আহত বহু। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো কাজ চলছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।
একটি জুতো তৈরির কারখানায়, কীভাবে এই আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও বহু লোক আটকে, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের অবস্থা গুরুতর বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কী থেকে আগুন লাগল তা তদন্ত করে দেখবে পুলিস।
বানতলা চর্মনগরীতে (Leather Complex) আগুন। কালীপুজোর দুপুরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ১৫টি ইঞ্জিন (Fire Brigade)। চর্মনগরীর এক তলার একটি গুদামে আগুন, সূত্রের খবর, ভিতরে ১০ জন আটকে পড়েছিলেন। তবে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। চর্মনগরীতে অগ্নিকাণ্ডের (Fire Incident) ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রাণহানি নেই বলে নিশ্চিত করেছে দমকল।
জানা গিয়েছে, যেখানে আগুন লেগেছে সেটি একটি চামড়ার ব্যাগ তৈরির কারখানা। তার নীচের তলায় রাসায়নিক পদার্থ থাকে। সেই দাহ্য বস্তু থেকেই কোনওভাবে আগুন ছড়িয়েছে। আগুন লাগায় চার দিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
এক তলার গুদামে আগুন লাগার পর তা ছড়িয়ে পড়ে উপরের তলাগুলিতেও। পরপর ৪টি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। গুদামের ভিতর দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঝিরঝিরে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয়েছে। যেহেতু একটি চামড়ার কারখানা, তাই সেখানে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত করে রাখা ছিল।