
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার অভিষেকের বাবা ও মাকেও তলব করল ইডি। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তলব। ইডি সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে দুই জনকেই সিজিও কমপ্লেক্সের তলব করা হয়েছে এছাড়া, আরও খবর লিপ্স এন্ড বাউন্ডস নিয়ে একাধিক নথি সহ তাদের দুজনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী সপ্তাহেই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেককে। এজেন্সির বিরুদ্ধে তোপ দেগে সে কথা নিজেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানান অভিষেক।
একদিকে যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচির সমস্ত দায় অভিষেকের কাঁধে, ঠিক সেই সময় ইডি তলব। পাশাপাশি তার বাবা-মাকেও তলব ইডির। যা নিয়ে রীতিমত সাঁড়াশি চাপে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড। সূত্রের খবর ৩রা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব করা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপ্য বকেয়া প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্র আটকে রেখেছে, এমনই অভিযোগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনা সহ দিল্লিতে দু'দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। সেই মতই অক্টোবর ২ এবং ৩ তারিখে এই ধরণা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা প্রাপ্তির জন্য দিল্লিতে কৃষি ভবন অভিযান করার কথা ছিল তৃণমূলের। কিন্তু স্পেন সফর সেরে ফেরার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লাগায় এই অভিযান বা এই কর্মসূচির গোটা দায়িত্ব অভিষেকের কাঁধে পড়ে। এ অবস্থায় জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ এমনই পরিস্থিতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখন দেখার তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ধরণা কর্মসূচিতে যোগ দেবেন নাকি ইডি ডাকে হাজিরা দেবেন। পূর্বে ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকাকে তলব করলেও কখনও কোনও কিছুতেই তাঁর বাবা ও মাকে তলব করেনি ইডি। এবার লিপ্স এন্ড বাউন্ডস নিয়ে প্রথম ইডির তলবে অভিষেকের বাবা ও মা হাজিরা দেবেন কিনা সেটাই দেখার?
সদ্যোজাত সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আসে একদিন পরে। রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তানের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। মুখ না দেখালেও অনুগামীদের জন্য জানিয়ে দিলেন নাম।
গত ৩০ অগাস্ট পুত্র সন্তানের বাবা হন সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় দল থেকে আগে ভাগেই ছুটি নিয়ে রেখেছিলেন। জানা যায়, বেঙ্গালুরুর এক নার্সিংহোমে সন্তানের জন্ম দেন সুনীল জায়া সোনম। রবিবার সুনীল জানালেন, তাঁর সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ধ্রুব।
পাশাপাশি এই বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা ও গোটা সফরের কী লড়াই, তাও শেয়ার করলেন ভারত অধিনায়ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, "৩০ অগাস্ট রাতে সন্তানের বাবা হয়েছি। জীবনে আজ পর্যন্ত যা যা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কিন্তু এই পথ এত সহজ ছিল না। প্রত্যেক সময় মনে হয়েছে, এতটা পথ পেরিয়েছি। আবার নতুন করে শুরু করেছি। কিন্তু মন থেকে বিশ্বাস হারাইনি কোনও দিন। এখন আমরা তিনজন এখানে একসঙ্গে।" সুনীল সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, "আপনাদের অজস্র শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছি। এই ভালবাসা কখনও ভুলতে পারব না। মন থেকে আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা সময় নিয়েছি। বিশ্বের কাছে পরিচয় করানোর জন্য অনেকটা সময়। এই আমাদের সন্তান। নাম ধ্রুব।"
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে ভট্টাচার্য ও ছেত্রী পরিবারে এলো খুশির খবর। বাবা হলেন ফুটবলার সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। তার স্ত্রী সোনম, পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। স্ত্রী ও সন্তান দুজনেই সুষ্ঠ আছেন বলে খবর। খুশির আবহে প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য, দাদু হলেন বলে কথা। সকলকে অবাক করে দিয়ে ফুটবলের মাঠে অভিনব পদ্ধতিতে সোনমের (Sonam Bhattacharya chhetri) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন সুনীল। সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি সোনমের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন সকলে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন সুনীল-পত্নী। বেঙ্গালুরুর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। যদিও চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন সোনম। স্ত্রীয়ের পাশে থাকার জন্য জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সুনীল। এই সিদ্ধান্তের সমর্থনেও সামাজিক মাধ্যম নানা পোস্টে ছয়লাপ হয়েছিল। ফুটবলারের বাবা হওয়ার খুশি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর (Pankaj Tripathi) বাবা, পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণেই অভিনেতার বাবার (Father) মৃত্যু (Death) হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাবার শেষকৃত্য করতে গ্রামের বাড়ি, বিহারের গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন পঙ্কজ। সোমবারই পরিবার, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও পাড়া প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে সৎকার করা হবে অভিনেতার বাবার।
পঙ্কজ ত্রিপাঠীর টিমের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, ' পঙ্কজ তিওয়ারি ও তাঁর পরিবারের হয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা নিশ্চিত করছি, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বাবা, পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি আর নেই। ৯৯ বছর ধরে তিনি নিজের জীবন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করেছেন। আজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে তাঁর শেষ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পঙ্কজ ত্রিপাঠি বর্তমানে তাঁর গ্রাম গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।'
কিছুদিন আগেই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে তাঁর বাবার কথা বলেছিলেন। অভিনেতা বলেছিলেন, তাঁর বাবা জানেই না তিনি কী করেন। পঙ্কজের বাবা, পণ্ডিত বেনারস তিওয়ারি কখনও সিনেমাহলে যাননি। টিভির পর্দায় পঙ্কজকে দেখা গেলে, কেউ যদি তাঁকে ডেকে দেখান, একমাত্র তাহলেই তিনি পর্দায় নিজের ছেলেকে দেখেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে খুন বাবা। মঙ্গলবার সকালে দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার অন্তর্গত বামনগাছি মালিয়াকুর দাসপাড়া এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম রঘুনাথ শিকদার। স্থানীয়দের মারফত এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস, ঘটনাস্থলে এসে পুলিস মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় এবং ওই অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই ছেলেটির নাম হৃদয় শিকদার. মঙ্গলবার সকালে চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন রঘুনাথ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে এবং পাশেই হাতে ধরালো অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে তাঁদের ছেলে হৃদয়। এরপরেই পুলিসে খবর দেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রীর দাবি, তাঁদের ছেলে নেশাগ্রস্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন, তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার সকালে তাঁর স্বামী রঘুনাথ পুজোতে বসলে, আচমকাই তাঁর ছেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবার গলায় কোপ বসায়, এরপরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিস ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিস আরও জানিয়েছে এই ঘটনার পিছনে আরও কোন কারণ আছে কিনা, তা ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হচ্ছে।
নিবেদিতা মাইতি: কলকাতা লাগোয়া নিউটাউন রাজারহাটেও নির্বাচনী হিংসার রেশ বহাল। ব্যালট বক্স ভাঙচুড়, ছাপ্পা ভোট সহ ব্যাপক মারধর, বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাজারহাটের ২৬৯, ২৭০ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থী (CPIM Candidates) সুতপা মিস্ত্রি সহ তাঁর বাবার উপর প্রাণঘাতী হামলারও (Attack) অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ওই সিপিআইএম প্রার্থী সুতপা মিস্ত্রি সিএন ডিজিটালকে জানিয়েছেন, 'শনিবার সকালে আমি ও বাবা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছই। আমার বাবাই আমার পোলিং এজেন্ট। আমারা বুথে ঢোকার পরই বুথ দখল করতে আসে তৃণমূলের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী। তারপরেই দুষ্কৃতীরা বুথের বাইরে আমাকে আর বাবাকে ঘেরাও করে মারধরের চেষ্টা করে। এমনকি আমাকে খুনের হুমকিও দেয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুষ্কৃতীরা লোকচক্ষুর আড়াল থেকে বাবাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা বাবাকে আটকে রাখে। বাবার ফোন কেড়ে নেয়, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে খুন করার হুমকি দেয়।' তিনি আরও বলেন, 'দুষ্কৃতীরা বাবাকে মারধর করে, হুমকি দিয়ে, শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া ফোনটি ফেরত দেয়নি। এমনকি শনিবার রাতেও আমাদের বাড়ির বাইরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।'
সিপিআইএম প্রার্থী সুতপা মিস্ত্রি দাবি করেন, 'বাবকে মারধর কারার কথা লিখিতভাবে জনানো হয়েছে নিউটাউন থানার পুলিসকে। তবে পুলিসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কোনও রকমের সহযোগিতা করেননি পুলিস,' এমনটাই দাবি করছেন তিনি।
শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখলকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই দিক থেকে হিংসার আঁচে বাদ পড়েনি নিউটাউনের পঞ্চায়েত এলাকাগুলিও। তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বুথের বাইরে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। রাজ্যের প্রায় সব পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার ছবি পাওয়া গিয়েছে। তবে রবিবার নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও অলিখিত ভাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৪ এবং আহতর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।
অভিনয় জগতে সুখবর। বাবা (Father) হলেন 'আরআরআর' খ্যাত অভিনেতা রামচরণ তেজা (Ramcharan Teja)। স্ত্রী উপাসনার (Upasana) সঙ্গে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের আসার আনন্দ উদযাপন করছেন অভিনেতা। অভিনেতার স্ত্রী উপাসনা যে সন্তানসম্ভবা তা সকলেই জানতেন। অস্কারের মঞ্চেও রামচরণের সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল তাঁর স্ফীতোদর। ২০ জুন হায়দরাবাদের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের কন্যাসন্তান হল। অভিনেতার বাবা চিরঞ্জীবী নাতনী জন্মানোর কিছু ঘন্টা আগেই গিয়েছিলেন তাকে স্বাগত জানাতে।
কিছুদিন আগেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে একটি ছবি আপলোড করে উপাসনা লিখেছিলেন, 'খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা আসছে।' উপাসনার বাড়ি থেকে কিছুদিন আগেই তাঁকে 'সাধ' দেওয়া হয়েছিল। উপাসনা সেই ছবি আপলোড করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, 'এত ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য।' অন্যদিকে সন্তান আসার আগেই বাড়িতে এসে গিয়েছে কাঠের তৈরী বিছানা। সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছিলেন উপাসনা।
পাঁচ দিন আগে ১১ রামচরণ ও উপাসনার বিয়ের ১১ বছর পূর্ন হয়েছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন কেন এত বছর পরে তাঁরা মা বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন তাঁরা? এক সাক্ষাৎকারে উপাসনাকে একই প্রশ্ন করে হলে তিনি উত্তর দেন, 'আমি আনন্দিত, খুশি এবং একই সময়ে গর্বিত যে আমি এমন সময়ে মা হয়েছি, যখন আমি হতে চেয়েছি। এমন সময় মা হইনি যখন সমাজ চেয়েছিল।'
বলিউড অভিনেত্রী নীনা গুপ্তার মেয়ে মাসাবা (Masaba Gupta) বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন ডিজাইনার এবং অভিনেত্রী। তবে মাসাবার ছোটবেলা বেশ খানিকটা কঠিন ছিল। ১৯৮০-র দশকে তৎকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ সময় প্রেম চলেছিল তাঁদের মধ্যে। ১৯৮৮ সালে নীনার কোলে আসে কন্যা সন্তান। কিন্তু নীনার সঙ্গে ভিভের বিয়ে হয়নি। সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই মাসাবাকে বড় করেছিলেন নীনা।
যদিও জন্মদাতা বাবার সঙ্গে মেয়ের দূরত্ব তৈরী হতে দেননি নীনা। ছুটি পেলেই বাবার কাছে বিদেশে ঘুরতে যেতেন মাসাবা। ভিভও মাসাবাকে বাবার স্নেহ দিয়েছিলেন। তবে নীনা তাঁর জীবনে একজন জীবনসঙ্গী চেয়েছিলেন। ২০০৮ সালে বিবেক মেহেরাকে বিয়ে করেছিলেন নীনা। সৎ বাবা হলেও মাসাবা পিতৃস্নেহ পেয়েছিলেন তাঁর থেকেও। দুই বাবাই যে মাসাবার প্রিয় পিতৃ দিবসে সেকথাই সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন মাসাবা।
চলতি বছরেই সত্যদীপ মিশ্রাকে বিয়ে করেছিলেন মাসাবা। সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর জন্মদাতা বাবা এবং সৎ বাবা। দুই বাবার সঙ্গে এক ফ্রেমে ছবি তুলেছিলেন মাসাবা। পিতৃদিবসে সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবিই শেয়ার করেছেন মাসাবা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'নিশ্চয়ই ভালো কিছু করেছি তাই এত ভাগ্যবতী।'
সাধারণত আসন্ন সন্তানের খবর দিতে তারকারা নানা ছবি পোস্ট করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু ফুটবলার সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) হাঁটলেন অন্য পথে। এক সন্তানকে আঁকড়ে ধরে আরেক সন্তানের আসার খবর দিলেন ফুটবলার। সোমবার ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৩ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ফুটবল ম্যাচ। প্রথম ম্যাচের পর এদিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় এসেছে ভারতের কাছেই। সেই খুশিতে ময়দান থেকেই সুনীল সুখবর দিলেন।
জয়ের গোলটি জালে জড়ানোর পরই সেই বল হাতে তুলে নেন সুনীল। তারপর সেই বল নিজের জামার ভিতর পেটের কাছে রেখে, গ্যালারিতে উপস্থিত স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্যর দিকে ছুড়ে দেন উড়ন্ত চুমু। গ্যালারি সাক্ষী থাকে অপূর্ব সুন্দর এক মুহূর্তের। ম্যাচের পরে সুনীল সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি এবং আমার স্ত্রী সন্তান প্রত্যাশা করছি। এই খবর আমি সারা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।'
অন্যদিকে অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে সুনীল ছেত্রীর শ্যালক। পরিবারে নতুন সদস্যের আগমণে উচ্ছ্বসিত সেও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বোন সোনমের যত্ন নিচ্ছেন সুনীল নিজেই।হবু মামা ইনস্টাগ্রামে ফুটবলারের ঘোষণার সময়ের একটি ছবি আপলোড করে লিখেছেন, 'তোমাদের আশীর্বাদ দাও বন্ধুরা। আমাদের পরিবারে নতুন সদস্য আসতে চলেছে। আমি মামা হতে চলেছি।'
দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভু দেবার (Prabhu Deva) পরিবার আলো করে লক্ষ্মী (Daughter) এসেছে তাঁর ঘরে। এই খবর ভক্তদের সঙ্গে নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন এই তারকা। সোমবার তিনি জানান, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হিমানী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ২০২০ সালেই প্রথম বিয়ের অবসান ঘটিয়ে হিমানীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন এই নৃত্যশিল্পী তথা পরিচালক।
প্রভু নিজেই জানিয়েছেন, 'হ্যাঁ এটা সত্যি যে আমি এই বয়সে (৫০) এসে বাবা হয়েছি। আমি ভীষণ ভীষণ খুশি, এবং নিজেকে সম্পূর্ণ লাগছে।' নিজের কন্যাসন্তানের নাম এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রকাশ্যে না আনলেও তাঁর ঘরে এই প্রথমবার লক্ষ্মী আসায় তিনি স্বাভাবিকভাবেই খুব আনন্দিত, এবং সেই আনন্দ তিনি লুকিয়েও রাখেননি। সেই সঙ্গে নিজেকেই একটি প্রমিস করেছেন তিনি।
কী সেই প্রমিস? প্রভু দেবা জানিয়েছেন, এখন থেকে যত বেশি সম্ভব সময় তিনি নিজের পরিবারকেই দিতে চান। তাঁর কথায়, 'আমি ইতিমধ্যেই আমার কাজের বোঝা কমিয়ে ফেলেছি। মনে হচ্ছিল শুধুই কাজ করছি, ছুটে বেড়াচ্ছি। এবার আর না। আমি এখন শুধুই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই।'
প্রথম পক্ষের বিয়েতে তিন পুত্রসন্তান ছিল প্রভুর। কার্যত সকলকে চমকে দিয়েই বছর তিনেক আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। চেন্নাই ও মুম্বই মিলিয়ে দৌড়-ঝাঁপ করে কাজের মধ্যেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়টা। তবে এবার হয়তো স্ক্রিনে তাঁর দেখা কমই মিলবে।
প্রত্যেক কন্যাই তার বাবার কাছে রাজকন্যা। বাবারা তাঁদের মেয়ের জন্য প্রাণ দিতেও হয়তো কখনও পিছপা হবেন না। ফলে বাবা-মেয়ের ভালোবাসা এমনটাই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি তাঁর মেয়ের সঙ্গে তার স্কুলের অনুষ্ঠানে নাচ করছেন। এই ভিডিও দেখে আপনার চোখে জল আসবেই। কারণ এই ব্যক্তি তাঁর মেয়ের খুশির জন্য প্রতিবন্ধকতাকে তাঁর জীবনের বাধা হিসাবে ভাবেননি। বরং তিনি বাকি বাচ্চাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মঞ্চে নেচে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেকের।
Despite everything, that dad is with his daughter, he did not make excuses!pic.twitter.com/9RZkwzhdED
— The Figen (@TheFigen_) May 2, 2023
অনেক স্কুলেই কিছু অনুষ্ঠান হয়, যেখানে পড়ুয়াদের তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মঞ্চে পারফর্ম করতে হয়। সেরকমই এক অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে নাচতে দেখা যায়। প্রত্যেক মেয়ের কাছেই তার বাবা সুপার হিরো। ফলে এখানেও তেমনটাই দেখা গিয়েছে। তাঁর মেয়ের যাতে মন না খারাপ হয়, তাই নিজের প্রতিবন্ধকতার কথা না ভেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।
বাবা-মেয়ের এই নাচের ভিডিও টুইটারে শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। ভিডিও-র ক্যাপশনে লেখা, 'এত কিছুর পর তিনি কোনও অজুহাত না দিয়ে এই ব্যক্তি তাঁর মেয়ের সঙ্গে নাচ করছেন।' তাঁদের এই মিষ্টি মুহূর্ত দেখে নেটিজেনদের চোখে জল। তবে এই ভিডিওটি মন ভালো করা ভিডিও। ফলে নেটাগরিকরা আবেগপ্রবণ হয়ে কমেন্টে লিখেছেন, 'তিনি একজন সুপার হিরো।'
প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বাবার হাতে খুন (Murder) এক তরুণী। গলা টিপে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) ওই তরুণীর বাবা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কাজল, বয়স ২০ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহুয়াদিহ থানায়। পুলিস সূত্রে খবর, গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কাজলের। তাঁর বাবা নওশাদকে কেউ এই সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন। নওশাদ মেয়ের এই সম্পর্কের কথা মেনে নিতে না পেরে ভেঙে পড়েন।
অভিযোগ, তারপরেই মেয়েকে খুন করেন তিনি। পুলিস জানিয়েছে, খুন করার পর দেহটি বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেন নওশাদ। এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যদের জেরায় জানা গিয়েছে, খুনের আগে তাঁদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন নওশাদ। প্রায় অনেকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলো কাজল। তল্লাশি চালিয়ে অনেক খোজাখুঁজির পর ২ এপ্রিল ছোটি গন্ডক নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দেহ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর জানা গিয়েছে ওই তরুণী সন্তানসম্ভবা ছিলেন।
নওশাদ পরে তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার গল্প বানান। এমনকি পুলিসের তল্লাশি অভিযানেও যোগ দেন তিনি।
মাংস (Chicken) খাওয়া নিয়ে ঝামেলা। আর এই ঝামেলার জেরে বাবার (Father) হাতে খুন হলেন ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলার সুল্লিয়ার গুট্টিগড়ে। মৃতের নাম শিবরাম। বয়স ৩২ বছর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়িতে বেশ জমিয়ে মুরগির মাংস রান্না চলছিল। সেই মাংস খাওয়া নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয় বাবা ও ছেলের মধ্য়ে। কারণ শিবরাম বাড়ির বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। আর ভেবেছিলেন কাজ সেরে বাড়ি ফিরে সেই মাংস খাবেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, মাংস আর নেই। সব মাংস তাঁর বাবা খেয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় বাবা ও ছেলের মধ্যে। কথাকাটি থেকে তাঁদের হাতাহাতি পর্যন্ত পৌঁছে যায় ঝগড়া। ঝামেলা চলাকালীন বাবা হাতের কাছে কাঠের মুগুর পেয়ে রাগের মাথায় মারতে আরম্ভ করেন ছেলেকে। বাবার হাতে মার খেয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় শিবরামের। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ছেলেকে খুন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় শিবরামের বাবাকে।
পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়ে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কেবল মাংস নিয়ে বিবাদের জেরে খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তাও তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
ভক্তদের একপ্রকার অবাক করে কন্যাসন্তানের জন্মের খবর দিলেন গায়ক আতিফ আসলাম (Atif Aslam)। কন্যাকে (baby Girl) পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এই খুশির খবর ভাগ করে নিলেন সকল ভক্ত ও বন্ধুদের সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে সদ্যজাতর একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি, যদিও ঢেকে রেখেছিলেন মেয়ের ছোট্ট চোখগুলি। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন একইসঙ্গে। কন্যাসন্তানের জন্মের পর কেমন আছেন তাঁর স্ত্রী 'সারা' (Sarah) সেকথাও জানিয়েছেন। তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্স শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।
গায়ক এদিন ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'সব অপেক্ষা শেষ আমার হৃদয়ের নতুন রানী এসে গিয়েছে। বাচ্চা এবং সারা দুজনেই সুস্থ রয়েছে।' একইসঙ্গে গায়ক তাদের জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বলেছেন। গায়কের পোস্টে তাঁর বহু বন্ধু এবং ভক্তরা কমেন্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আতিফের স্ত্রী 'সারা' শিক্ষাবিদ। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ বিয়ে করেন দু'জনে। আব্দুল আহাদ ও আরিয়ান আসলাম তাঁদের দুই ছেলে। একসময় ভারতে একের পর এক প্লে ব্যাক গেয়েছেন আতিফ। এখনও সেই গানগুলি শ্রোতাদের প্লে লিস্টে প্রিয় হয়ে রয়েছে।
গানের জগতকে যেমন ভাবে সাজিয়েছেন, তেমনভাবে সেজে উঠছে পরিবারও। স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে এবার জমাটি সংসার করবেন গায়ক।
বাবার (Father) কাছে তাঁর মেয়ে (Daughter) সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মেয়ের জন্য বাবা নিজের প্রাণ দিতেও দ্বিতীয়বার ভাবেন না। আর তা আরেকবার প্রমাণ করে দিল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral) হওয়া একটি খবর। দু’বছরের শিশুকন্যাকে বিষধর সাপের ছোবল থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা। সাপের ছোবল গিয়ে লেগেছে তাঁর হাতে। যদিও ছোবল তেমন জোরদার ছিল না। তাই অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমানে বাবা মেয়ের এই কাহিনি ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজে। সকলেই মেয়ের প্রতি বাবার ভালোবাসার প্রশংসা করেছেন। নেটপাটায় বেশ চর্চায় রয়েছে ঘটনাটি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই জানা গিয়েছে, অ্যাডিলেডের বাসিন্দা জেক কুম্বে ঘটনার দিন সপরিবার ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর গ্যারাজের দরজা খোলা আছে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। গিয়ে দেখেন, এক বিষাক্ত ইস্টার্ন ব্রাউন সাপ ফণা তুলে বসে। তার ঠিক মুখোমুখি জেকের ২ বছরের শিশুকন্যা অ্যালবা।
এদিক-ওদিক কিছু না ভেবে মেয়েকা বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তখনই সাপটি ছোবল মারতে যাচ্ছিল মেয়েকে। সেই ছোবল তাঁর হাতে লাগে। এক রাত হাসপাতালে ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।