সারা পৃথিবীতে সপ্তম আশ্চৰ্য-এর কথা সকলে শুনেছে। এই তালিকায় সবশেষে রয়েছে তাজমহল। অনেকে বলেন, এই তালিকায় নাম ওঠা উচিৎ উরফি জাভেদের (uorfi Javed)। ফ্যাশনের দুনিয়ায় একেবারে ছকভাঙা তিনি। কখনও গাছের ছাল, কখনও পিৎজা, কখনও ছোট গাড়িতে ঢাকেন শরীর। সেই তালিকায় এবার প্রাণের সংযোজন হল। একেবারে জ্যান্ত মাছ ঘোরাফেরা করছে তাঁর বক্ষে। সেই ছবি দেখে একেবারে হতবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন উরফি। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাঁর স্তন ঢাকা রয়েছে দুটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে। কী যেন নড়াচড়া করছে সেখানে? কাছ থেকে দেখলে বোঝা যাবে, ওই দুই প্যাকেটে ঘোরাফেরা করছে ছোট ছোট রঙিন মাছ। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'মাছ জলের রানি।' উরফি এমন ছবি দেবেন আর সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ হবে না তা কি হয়! কমেন্ট বক্স একেবারে ভরি গিয়েছে প্রশংসায়-সমালোচনায়।
উরফির এই ফ্যাশনগুলো একেবারেই তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। এর আগে তিনি বলেছিলেন, কেউ তাঁকে পোশাক বানিয়ে দিতে চান না। তাই তিনি নিজে পোশাক নিজেই বানান। খরচ নিয়েও সতর্ক তিনি। এমন জিনিস দিয়ে পোশাক তৈরী করেন, যাতে খুব বেশি খরচ হয় না। পছন্দ না-ই হতে পারে। কিন্তু উরফিকে এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।
কমেডি কিং কপিল শর্মা (Kapil Sharma) এবং কমেডি কুইন ভারতী সিং'কে (Bharti Singh) কে না চেনে। তাঁদের সচরাচর দেখা যায় দর্শকদের হাসাতে। কিন্তু পর্দার পিছনেও তাঁদের জীবন রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে কপিল বিয়ে করেছেন গিনির সঙ্গে। দুই সন্তানের বাবাও হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতী সিং বিয়ে করেছেন হর্ষ লিম্বাচিয়াকে। কোলে এসেছে ফুটফুটে সন্তান 'গোলা'। বাবা মায়ের মতো ছোট্ট দুই খুদে এবার বিনোদন জগতে ডেবিউ করে ফেলল।
সম্প্রতি এক ফ্যাশন শোয়ের র্যাম্পে হাঁটলেন কপিল শর্মা এবং কমেডি কুইন ভারতী সিং। তবে মার্জার সরণিতে তাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল আদুরে দুই সন্তানকে। কপিলের সঙ্গে হেঁটেছিল তাঁর কন্যা আনায়রা। দু'জনকে কালো পোশাকে টুইনিং করতে দেখা গিয়েছিল। কপিল পরেছিলেন কালো রংয়ের কোট-ব্লেজার। অন্যদিকে তাঁর ছোট্ট কন্যাও কালো রঙের প্রিন্সেস গাউন পরেছিল। বাবার সঙ্গে হেঁটে দর্শকদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ফ্লাইং কিস। মিষ্টি মুহূর্ত বন্দী হয়েছে। ভিডিও সৌজন্যে: ইন্টারনেট।
অন্যদিকে মার্জার সরণিতে ভারতী পুত্র গোলার ডেবিও হয়েছে। তবে গোলার পা এখনও তেমন দৃঢ় হয়নি, তাই ভারতীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কৃষ্ণা অভিষেককে। কৃষ্ণার কোলে চড়েই গোলার ডেবিও। পাশে অবশ্য হেঁটেছেন ভারতী। তিনজনের পোশাকেই ছিল একই রঙের মেলবন্ধন। ভারতী পরেছিলেন কালো এবং নীল রঙের গাউন পোশাক। কৃষ্ণা পরেছিলেন কালো স্যুট। অন্যদিকে গোলার পরনে ছিল নীল সাদা পোশাক। ভিডিও সৌজন্যে: ইন্টারনেট।
উরফি জাভেদ (Urfi Javed) নামটা শুনতেই চোখের সামনে চলে আসে উদ্ভট ডিজাইনের পোশাক। উরফি যেখানে থাকবেন সেখানে আবার পোশাক নিয়ে কোনও বিতর্ক থাকবে না, এমনটাও সম্ভব নাকি! ফলে ফের সমালোচনার কেন্দ্রে উরফি, অবশ্য়ই তা পোশাক নিয়ে। তবে এবারে তাঁর উপরের অংশে কাপড় নেই, কাপড়ের জায়গায় গায়ে লাগানো চুইংগাম (Bubblegum)। হ্যাঁ, ঠিক দেখছেন। এবারে চুইংগাম দিয়েই টপ বানালেন উরফি। আর তা পরেই ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছেন তিনি, আবার চুইংগাম খাচ্ছেনও।
এর আগে জামা-কাপড়ের ক্লিপ, সেফটিপিন, ফোন, ফুল, ফল আরও একাধিক উপাদান দিয়ে পোশাক বানিয়ে পরেছেন, আর এবারে চুইংগাম দিয়েও বানিয়ে নিলেন পোশাক। তাঁর পোশাক বানানোর উপাদান যেমন বিচিত্র ধরনের, তেমনি পোশাকের ডিজাইনও অদ্ভুত। এমন ডিজাইন হয়তো আপনার মাথাতেই আসবে না। ছোট পর্দা দিয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু করলেও তিনি রাতারাতি প্রত্যেকের আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন তাঁর পোশাকের জন্যই। তবে তাঁকে নিয়ে যতই খিল্লি করা হোক না কেন, ইনস্টাগ্রামে ভুঁড়ি ভুঁড়ি ফলোয়ার্স রয়েছে।
চুইংগামের টপ পরে উরফি নিজেই ছবি শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে। আর ছবি শেয়ার হতেই ফের ধেয়ে এসেছে কটূক্তি। নেটিজেনরা শুরু করেছে ট্রোলিং। কেউ কমেন্টে লিখেছে, 'জগ্গু বানদারিয়া'
অদ্ভুত পোশাকের জন্য 'ইন্টারনেট সেনসেশন' হয়ে উঠেছেন উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। কখনও ফল দিয়ে কখনও দড়ি দিয়ে কখনও ফুলের মালা দিয়ে পোশাক বানিয়ে পরেছেন উরফি। এমন আজব ফ্যাশন সেন্সের জনক উরফি নিজেই। তাঁর কথায়, কোনও ফ্যাশন (fashion) ডিজাইনার তাঁর জন্য পোশাক তৈরী করেন না, তাই তিনিই আত্মনির্ভর ফ্যাশন ডিজাইনার। তবে এই ফ্যাশনের টাকা জোগাড় করা খুব একটা সহজ ছিল না। গায়ে দেওয়ার জামা ও পেটে দেওয়ার খাবার জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল উরফিকে।
উরফি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'বর্তমানে যে পোশাক পরে আমি মিডিয়ার সামনে আসি, গত বছরও সেই পোশাক কেনার টাকা ছিল না। এমনকি বিগ বস ওটিটির মঞ্চে যে পোশাক পরে আমাকে দর্শক দেখেছিলেন, সেই অর্থ আমাকে ধার নিতে হয়েছিল। বন্ধুরা আমাকে সাহায্য করেছিল। তাঁদের দেওয়া টাকা দিয়েই আমি পোশাক পরতাম।'
উরফি আরও বলেন, 'গত বছরও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা আমার কাছে ছিল না। টাকা বাঁচানোর জন্য খাবার কিনিনি। বন্ধুদের পাত থেকে খাবার ভাগ করে খেয়েছি।' আজও কী সেই দুর্দশায় রয়েছেন উরফি? সাক্ষাৎকারে উরফি বলেন, 'আমি এখন বন্ধুদের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থায় এসেছি। তবে এখনও আমি টাকা জমাতে পারি না। পার্লারে যাই না, দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না।'
ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠছেন উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। তাঁর ফ্যাশন নিয়ে ক্রমাগত চর্চা চলতেই থাকে সামাজিক মাধ্যমে। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিজের ফ্যাশন নিয়ে ক্ষমা চান সকলের কাছে। লেখেন, তিনি নিজের পোশাক নির্বাচন বদলাবেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর এই স্টেটাস দেখে একেবারে অবাক হয়ে যান সকলে। কিন্তু একদিন পরেই উরফি আবার লেখেন, এপ্রিল ফুল বানিয়েছেন সকলকে।
উরফি আবারও নিজস্ব স্টাইলে সামনে এসেছেন সম্প্রতি। তবে এবারের পোশাকে চমক আরও কয়েক গুণ বেশি। একটি নীল রঙের স্যুট পরেছিলেন তিনি। সেই স্যুটের গলার কাছে, হাতের কাছে, গায়ের কিছু অংশে এবং পায়ে দেখা গিয়েছে ঘাস-গুচ্ছ। সেই জামা পরে ফটোশ্যুট করেছেন উরফি। সেই ছবিই বর্তমানে নেট মাধ্যমে চর্চা সৃষ্টি করেছে।
এই স্টাইল কিন্তু একদিনেই হয়ে যায়নি। কঠোর পরিশ্রমেই তৈরি হয়েছে এই ফসল। কীভাবে এই স্টাইল তৈরি করলেন উরফি? তা নিজেই জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। তিনি লেখেন, 'আমি জামাতেই এই চিয়া বীজগুলির অঙ্কুরোদগম করেছি। এই বীজ লাগিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখেছি, ১০ দিন ধরে এতে জল দিয়েছি, এমনকি আমিও এই ফল আশা করিনি।'
রাতারাতি সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে একটি নাম,'উরফি'। অভিনয় জগত দিয়েই বলিউডে প্রবেশ উরফি জাভেদের (Urfi Javed)। তবে অভিনয়ের জন্য চর্চায় আসেননি তিনি। চর্চায় এসেছেন পোশাকের জন্য। উরফি যে পোশাক পরে থাকেন, সেরকম পোশাকে অন্য কাউকে দেখা যায় না। কোনও ডিজাইনার সেই পোশাক বানান না। তাঁকে যে পোশাকে সাধারণত দেখা যায়, সেই ডিজাইন তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত। বর্ণনাতীত। বিতর্কিত। তিনি কবে, কোথায়, কোন পোশাক পরছেন সবই ধরা পড়ে পাপারাৎজিদের ক্যামেরায়। তা নিয়ে নেট মাধ্যমে জোর চর্চা হয়। তবে এবার মনে হয় সেই চর্চায় ইতি টানতে চলেছেন খোদ উরফি।
এতদিন উরফির পোশাক নিয়ে সমালোচনা হলেও তাতে কান দেননি তিনি। পোশাকে পরিবর্তন আনেননি। বরং বুঝিয়ে দিয়েছেন, লোকে যাই বলুক না কেন, তিনি নিজেকে বদলাবেন না। বলিউডের কোনও ডিজাইনার তাঁর জন্য পোশাক বানান না, তাই উরফি নিজেই নিজের জন্য একের পর এক পোশাক বানিয়েছেন। সেই পোশাক পরে জনসমক্ষেও এসেছেন। তবে এবার নাকি তাঁকে আর সেই রূপে দেখা যাবে না।
উরফি সম্প্রতি তাঁর টুইটার একাউন্ট থেকে জানিয়েছেন, 'আমি আমার পোশাকের দ্বারা সকলের অনুভূতিকে আঘাত করেছি, তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আজ থেকে আপনারা অন্য উরফিকে দেখতে পাবেন। পোশাক বদলাচ্ছি। ক্ষমাপ্রার্থী।'
উরফির এই লেখা, শোরগোল ফেলে দিয়েছে নেট দুনিয়ায়। ভক্তরা বিশ্বাস করতেই পাচ্ছেন না নিজের চোখকে। সকলে জানতে চাইছেন, 'সত্যিই কি নিজের পোশাকে পরিবর্তন আনবেন উরফি? নাকি সকলকে এপ্রিল ফুল বানাচ্ছেন!'
April fool ???
— Uorfi (@uorfi_) April 1, 2023
I know so kiddish of me
ঠিকই ধরেছেন সকলে। উরফি আবারও নিজের টুইটার থেকে লিখেছেন, 'এপ্রিল ফুল। আমি জানি খুবই শিশুসুলভ।' অতএব নিজের মধ্যে কোনও পরিবর্তন আনছেন না উরফি। বরং তিনি নিজের মতোই চলবেন। আবারও নিজের মনের মতো পোশাক পরবেন। অব্যাহত থাকবে তাঁকে নিয়ে চর্চা।
'ইন আঁখো কি মস্তি কে, মস্তানে হাজারো হ্যায়', বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী রেখাকে(Rekha) আজও এই গান উৎসর্গ করা যায়। কয়েক দশক ধরে তিনি অভিনয়ে মুগ্দ্ধ করেছেন দর্শককে। ঘায়েল করেছেন তাঁর ধারালো ব্যক্তিত্বে। বলিউডের অভিনেত্রীরা সাধারণত নিজের লুক নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। কেবল ব্যতিক্রমী রেখা। তাঁর সাজে কোনও পরিবর্তন আসেনি এতগুলো বছরে। ভারী কাঞ্জিভরম শাড়ি, চুলের খোঁপায় ফুলের মালা, গলা-কান ভর্তি গয়না, গাঢ় লিপস্টিক, কপালে টিপ ও সিঁথিতে সিঁদুর, এর বাইরে রেখাকে কল্পনা করা যায় না।
সাধারণত অভিনেত্রীরা একই লুকে বারবার প্রকাশ্যে এলে তাঁদের নিয়ে সমালোচনা হয়। কেবলমাত্র রেখা এমন এক চরিত্র হয়ে উঠেছেন যাঁকে নিয়ে কেবল আলোচনা করা যায়, সমালোচনা করা যায় না। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হোক কিংবা রিয়েলিটি শো, সবেতেই রেখা এক। এমনকি আন্তর্জাতিক তারকাদের মাঝেও ধরে রইলেন তাঁর নিজস্ব স্টাইল। ভিডিও সৌজন্যে: ভাইরাল ভিয়ানি
বৃহস্পতিবার মুম্বইতে আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ডের র্যাম্প শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ ছিল অভিনেত্রী রেখার। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জন্য আলাদা করে পোশাক বেছে নেননি রেখা। ধরে দিয়েছেন তাঁর চিরাচরিত স্টাইলে। রেখা পরেছিলেন লালচে মেরুন কাঞ্জিভরম। যথারীতি খোঁপায় ফুলের মালা, দক্ষিণ ভারতীয় গয়না, গাঢ় লিপস্টিকের সঙ্গে কপালে ছোট্ট টিপ এবং মাথায় সিঁদুরে তাঁর দিক থেকে চোখ ফেরানো দায় হয়েছিল। সেই ছবি দেখে নেটিজেনদের মন্তব্য 'রেখা বলিউডের আসল রানী। 'নেট মাধ্যমে অভিনেত্রীর জন্য উপচে পড়ছে ভালোবাসা।
সিনেমার অভিনেত্রী না হয়েও সবসময় শিরোনামে থাকেন উরফি জাভেদ (Urfi Javed)। সম্প্রতি ফ্যাশনে (Fashion Sense) নতুনত্ব আনার জন্য পুরষ্কারও পেয়েছেন উরফি। এই কারণেই সমাজমাধ্যমে বেশ চর্চিত তিনি। বড়ে ভাইয়া কি দুলহনিয়া, চন্দ্রনন্দিনী, কসৌটি জিন্দগি কে-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন উরফি জাভেদ। এমনকি রিয়্যালিটি শোয়ে (Reality Show) অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে উরফির প্রতি মাসের আয় কত? কীভাবে আয় করেন তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। যতবার উর্ফিকে এধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে ঠিক ততবার মজা করে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবু তার মাসিক আয় প্রকাশ্যে এসেছে।
উরফি যে অনুষ্ঠানগুলি করেন, তার প্রতি পর্বের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেন তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ নাকি ৪০ লক্ষ টাকা থেকে ৫৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। প্রতিদিনই প্রায় তাঁকে দেখা যায় এয়ারপোর্টে। কেন, কী কারণে তা এখনও অজানা। এক সাক্ষাৎকারে উরফি বলেন, 'তাঁর কাজ নেই, তাই অর্থ নেই। তাই তিনি পোশাক নিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার করেন ছোট থেকেই। সে জন্য নিন্দা এবং প্রশংসা দুই-ই জোটে।'
তবে ফ্যাশনই তাঁর প্রথম প্রেম। সবকিছু দিয়েই পোশাক তৈরি করেন তিনি। পুরনো জামা কেটে কিংবা পুরনো জামার সঙ্গে জুড়েই তিনি নতুন জামা বানিয়ে নেন। কাপড় কাটা এবং সেলাই করায় তিনি ওস্তাদ! নিজের পোশাক নিজেই বানিয়েছেন। বর্তমানে মনের মতো এক পোশাক ডিজাইনারদের পেয়েছেন তিনি। এমনটাও জানিয়েছেন এই ইন্টারনেট সেনসেশন।
বিতর্কে নাম জড়াল অভিনেত্রী তাপসী পান্নুর (Taapsee Pannu)। জল এতদূর গড়াল যে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। তাপসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছেন। চলতি বছরেই 'ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে' হেঁটেছিলেন অভিনেত্রী। একটি গহনা প্রস্তুতকারী সংস্থার হয়ে অক্ষয় তৃতীয়ার কালেকশনের প্রচারে মডেল হয়েছিলেন তিনি। সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তাপসী লেখেন, 'গয়নার এই ডিজাইন আমাকে মোহিত করেছে। গয়নার প্রতি আমার ভালোবাসা আবারও বাড়িয়ে দিয়েছে।' তবে কি বিশেষ ওই ডিজাইনের গয়না কাল হল তাঁর জন্য?
তাপসী ওই অনুষ্ঠানে চেরি রেড রঙের একটি গাউন বেছে নিয়েছিলেন। প্রিন্সেস গাউনের ডিজাইনে উন্মোচিত ছিল বক্ষদেশ। ওই পোশাকের সঙ্গেই এক সংস্থার গয়না পরেছিলেন তিনি। বুক পর্যন্ত লম্বাকৃত ছিল গয়নাটি। গোলাভর্তি সোনার কাজ মাঝখানে মা লক্ষ্মীর আদল অলংকৃত। তাপসীর বুকের খাঁজ পর্যন্ত ঝুল নেমেছিল মা লক্ষ্মীর প্রতিকৃতির। সেই ছবিই ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। এরপরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। একাংশের বক্তব্য তাপসীর পোশাক নির্বাচন সংস্কৃতি বিরোধী। শুধুমাত্র সমালোচনাতেই শেষ হল না এই ঘটনা, ছত্রিপুরা পুলিশ স্টেশনে তাপসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে এই মর্মে।
সর্বভারতীয় (Pan-India)অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু (Samantha Ruth Prabhu) বর্তমানে হাজারও মনের ক্রাশ।তাঁর অভিনয় জীবন, ব্যক্তিগত জীবন, সবই আলোচিত।এমনকি সামান্থার স্টাইল স্টেটমেন্টও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত অভিনেত্রীরা নিজেদের সাজ-পোশাক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে থাকেন। তাঁদের পোশাক নির্বাচনে লুকিয়ে থাকে নানা অর্থ। তাঁদের স্টাইল স্টেটমেন্ট কখনও সমাজের ট্যাবুকে চ্যালেঞ্জ জানায় আবার বাঁধ ভেঙে দেয় নানা প্রচলিত রীতির। এবারও তাই করলেন সামান্থা।
এতদিন অনেকেই মনে করতেন কোট কেবল পুরুষদের পোশাক। সচরাচর কর্মরত নারীরা কর্পোরেটের চাপে না পড়লে সহজে কোটে গা গলান না। সেই কোট বা ব্লেজারকে একেবারে অন্যরকম ভাবে উপস্থাপন করলেন সামান্থা। সম্প্রতি কুনাল রাওয়ালের ডিজাইন করা পোশাক পরেছিলেন তিনি। এতদিন অনেকেই মনে করতেন কোট কেবল পুরুষদের পোশাক। সচরাচর কর্মরত নারীরা কর্পোরেটের চাপে না পড়লে সহজে কোটে গা গলান না। সেই কোট বা ব্লেজারকে একেবারে অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করলেন সামান্থা।
সম্প্রতি কুনাল রাওয়ালের ডিজাইন করা পোশাক পরেছিলেন, তাঁর আসন্ন সিনেমা 'শকুন্তলম'এর প্রোমোশনের জন্য।পাউডার রঙের ব্লেজারের সঙ্গে পরেছিলেন সাদা বেল বটম প্যান্ট। খোলা চুলে, চোখে চশমায় কয়েক দফা ফোটোশ্যুটও করেছেন তিনি। বরাবরের মতোই সামান্থাকে দেখে মুগ্দ্ধ তাঁর ভক্তরা। অনেকেই বলছেন, কোট যে কেবল ছেলেদের পোশাক নয়, তা প্রমাণ করলেন সামান্থা।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর (Maharashtra Deputy CM) স্ত্রীকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিদ্ধ এক ফ্যাশন ডিজাইনার। দেবেন্দ্র ফড়নবিসের (Devendra Fadnavis) স্ত্রী অমৃতাকে ১ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব (Bribe Row) দেওয়ার অভিযোগ। পোশাকশিল্পী-সহ তাঁর বাবার নামে মামলা রুজু মুম্বই পুলিসের। জানা গিয়েছে, ওই পোশাকশিল্পীর বিরুদ্ধে থাকা একটি পুরনো ফৌজদারি মামলা ধামাচাপা দিতেই এই ঘুষের প্রস্তাব উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে (Amruta Fadnavis)।
শিবসেনা (শিন্ডে) পন্থীদের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে জোট সরকারে রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আর জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র। তাঁর হাতেই আবার রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বামীর ক্ষমতা কাজে লাগাতে স্ত্রী অমৃতাকে ব্যবহার করতে এই ঘুষের প্রস্তাব-কাণ্ড বলে খবর। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত অমৃতা গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালাবার হিলস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মুম্বই পুলিসের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি, '১৬ মাসে একাধিক বার অমৃতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং তাঁর বাবা। গত ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি অজানা ফোন নম্বর থেকে পুলিসমন্ত্রীর স্ত্রীকে ভিডিও এবং অডিও বার্তা পাঠান তাঁরা। ১ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাবের পাশাপাশি, কয়েক জন বুকির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে আরও টাকা পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন।' এরপরেই পুলিসে অভিযোগ জানান উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী।