Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

FacebookPost

Nusrat: 'আমিই ঝড়...' ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা ফেসবুক পোস্ট নুসরত

শনিবার তিনি সত্যির উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন,  তিনিই ঝড়। তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লম্বা পোস্ট করলেন বসিরহাটের সাংসদ।

আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু গত মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে ছ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রবিবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওরা ফিসফিস করে বলেছিল, ঝড় এলে তুমি উড়ে যাবে। কিন্তু ওদের কাছে পালটা উত্তর গেল, আমিই ঝড়…।'

এদিকে ইডির একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, যে কোম্পানির হয়ে বাজার থেকে নুসরতের নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই কোম্পানির অডিট রিপোর্টে ডিরেক্টর হিসাবে সই আছে বসিরহাটের সাংসদের। এর আগে, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।

8 months ago
Jhilam: 'চলে গেলেন ঝিলাম গুপ্ত', কী হল জনপ্রিয় ইউটিউবারের?

ফেসবুক-ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমের চেনা মুখ ঝিলাম গুপ্ত। তাঁর কন্টেন্ট হাস্য-কৌতুকে ভরা এবং দর্শকদের জবানিতে যাবতীয় 'ন্যাকামি বর্জিত'। তাই তাঁকে বেশ মনে ধরেছে নেটিজেনদের। ১৮ থেকে ৮০'র নেটিজেনরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন ঝিলামের কন্টেন্ট। লকডাউনে উত্তরণ তাঁর, বর্তমানে শ্রীরামপুরের ঝিলাম সিংহভাগ রাজ্যবাসীর ফোনে-মনে। সেই ঝিলাম আর নেই। বৃহস্পতিবার মাত্র একটি পোস্টে থমকে যান নেটিজেনরা। ঝিলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ছে, বিশ্বাস করার আগে সত্য জানুন।

সামাজিক মাধ্যমে বৃহস্পতিবার একটি ছবি পোস্ট করেন ঝিলাম। সেই ছবিতে দেখা যায়, সাদা কালো ছবিতে ঝিলামের মুখ। পাশে বড় বড় অক্ষরে লেখা 'চলে গেলেন ঝিলাম গুপ্ত।' এতটুকু দেখেই আবেগী নেটিজেন সেই ছবি শেয়ার করতে শুরু করেন। শোকজ্ঞাপন করতে শুরু করেন। কিন্তু পড়ে দেখেননি 'শর্তাবলী প্রযোজ্য'র মতো ছোট ছোট অক্ষরে লেখা রয়েছে, 'রোস্ট ভিডিও বানানোর জন্য সিরিয়াল দেখতে।'

সতর্ক নেটিজেনরা এই নিয়ে লেখালেখি শুরু করতেই বাকিদের হুঁশ ফেরে। এই ছবি ঝিলাম দিয়েছেন, তাঁর আসন্ন কন্টেন্ট ভিডিওর প্রচারের জন্য। এরপর ওই ছবির কমেন্ট বক্সে নিজেদের রাগ উগরে দিতে থাকেন নেটিজেনরা। 'এনগ্রি' ইমোজি পড়েছে বহু। নেটিজেনরা লিখেছেন, 'এমন মজা আর কোনওদিন করবে না ঝিলাম।' অনেকে বলছেন, ঝিলামের ভিডিও তাঁরা এমনিই দেখেন, এমন রসিকতা করার প্রয়োজন ছিল না।

one year ago
Noble: 'ভেঙে যাওয়া কেরিয়ার, এখন কেবল বাকি রয়েছে মৃত্যু', নোবেলের পোস্টে কীসের ইঙ্গিত

কলকাতার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে 'সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে'গেয়ে প্রশংসা  কুড়িয়েছিলেন 'নোবেল ম্যান'(Noble) ওরফে মঈনুল হাসান নোবেল। ওপর বাংলা থেকে কলকাতায় এলেও এপার বাংলার দর্শকরা তাঁকে নিজের করে নিয়েছিল। দুই বাংলা মিলিয়ে প্রচুর ভক্ত তৈরি হয়েছিল নোবেলের। কিন্তু সেই ভক্তদের ধরে রাখতে পারেনি নোবেল। এখন তাঁকে নিয়ে কেবল বিতর্ক হয়, সমালোচনা হয়। নিজের জীবন নিয়ে আনন্দে নেই নোবেল। এবার নিজের শেষ পরিণতি চেয়ে পোস্ট করলেন ফেসবুকে।

নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে মাঝে মধ্যেই পোস্ট করে থাকেন নোবেল। ভক্তরা সেসব মন্তব্য ভালো চোখে দেখেন না। যে কলকাতা থেকে তিনি দুই বাংলায় পরিচিতি পান, সেই বাংলাকেও অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর একের পর এক মন্তব্যে যেন ভক্তদের কাছে তাঁদের চেনা নোবেল অচেনা হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনেও বদলে গিয়েছে নোবেল, এমন অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। এবার তাঁকে নিয়েই ফেসবুকে মন্তব্য করলেন নোবেল।


নোবেল তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, 'সব অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমার জীবনে ঘটে। হৃদয়ভঙ্গ।  ড্রাগ-মদ। আমার মাথার ৭০টি স্টিচ নিয়ে আমার প্রাক্তন স্ত্রীর খুশি হওয়া। ভেঙে যাওয়া কেরিয়ার। এখন কেবল বাকি রয়েছে মৃত্যু। আমার জীবনে এসো প্রিয়। তোমাকে গ্রহণ করতে আমি তৈরি।'

প্রসঙ্গত নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী অভিযোগ তোলেন, তিনি একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে রয়েছেন। পরবর্তীকালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। নোবেল যে একেবারেই তাঁর জীবন নিয়ে খুশি নয়, তা এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট। যদিও এই পোস্টের নিচেও কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনরা।


one year ago


Series: 'ইন্দুবালা' থেকে কি বাদ জয়তীর গান, বিস্ফোরক গায়িকা! কী বলছেন পরিচালক

হইচই-'তে (Hoichoi) সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' ওয়েব সিরিজ। কল্লোল লাহিড়ীর গল্প অবলম্বনে, দেবালয় ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এই সিরিজ বর্তমানে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। সিরিজের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে গানগুলি। 'পাখিদের স্মৃতি', 'দেহতরী', 'আমি একা চিনি'র মতো গানগুলি এখন সংগীত-প্রেমীদের কানে বাজছে। কিন্তু এরই মাঝে আজ সৃষ্টি নয়া বিতর্কের। নেটমাধ্যমে বিস্ফোরক হয়েছেন বিশিষ্ট গায়িকা জয়তী চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' সিরিজে 'আমি একা চিনি' গানটি গেয়েছিলেন জয়তী। গানটি গেয়ে আপনজনদের বলেছিলেন তাঁর তৃপ্তির কথা। সকলকে বলেছিলেন সিরিজটি দেখতে। কিন্তু এরপরেই আশাহত হন তিনি। সিরিজটির প্রথম সিজন মুক্তি পেতে দেখা যায় 'আমি একা চিনি' গানটি রয়েছে ঠিকই, তবে তা জয়তীর কন্ঠে নয়, গেয়েছেন অন্য এক শিল্পী। এরপরেই তিনি ফেসবুকে নিজের বক্তব্য লেখেন।

জয়তী ফেসবুকে লেখেন, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সিরিজে আমার কণ্ঠে একটি গান আছে বলে জানতাম। অনেক আশা নিয়ে দেখতে বসে দেখলাম গানটি আমার কণ্ঠে নেই।' গায়িকা আরও লেখেন, 'বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তিনি আঘাত পেয়েছেন। তাঁর কণ্ঠ বাদ দিয়ে, যার কণ্ঠে এই গানটি রয়েছে সেই গুণী শিল্পীরও অপমান। পছন্দ না হওয়াটা গর্হিত অপরাধ নয় বটেই। কোনও শিল্পীর আশাভঙ্গ হওয়ার দায়ও কোনোদিন কেউ নেয়নি আর নেবেনও না একথাও সত্যি।' 

এই বিষয়ে জয়তীর সঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি এই বিষয়ে বেশি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। যদিও তিনি ফেসবুকে সেই পোস্টের একেবারে শেষে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে লেখেন, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে আমার কোনও গান নেই। কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না আশা রাখবো।' গায়িকা লিখেছেন সিরিজটি খুব ভালো। সকলকে দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে সিএন ডিজিটাল থেকে কথা বলা হয় 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' ওয়েব সিরিজের পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি আমাদের জানান, 'পুরো ওয়েব সিরিজ এখনও আসেনি। গানটা যে সিরিজে রাখা হয়নি, তা তিনি জানলেন কী করে! দ্বিতীয় সিজনে যদি গানটি না থাকে তখন তিনি বলতে পারেন গানটি নেই। তিনি জয়তীদির বিরাট ভক্ত। আমি একা চিনি গানটি জয়তীদি দারুন গেয়েছেন।' খুব সম্প্রতি গানটির সিঙ্গল ভিডিও রিলিজ করবে, একথাও পরিচালক জানান সিএন ডিজিটালকে।

one year ago
Sovon: ফেসবুকে শোভনের সঙ্গে ছবি! দেবশ্রী রায়কে আইনি নোটিস প্রাক্তন মেয়রের

দেবশ্রী রায়ের করা ফেসবুক পোস্টে চক্রান্তের গন্ধ পেয়ে অভিনেত্রীকে আইনি নোটিস পাঠালেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovon Chatterjee)। জানা গিয়েছে, দেবশ্রী রায় (Debashree Ray) ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে সামাজিক মাধ্যমে (Facebook Post) শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছু ছবি শেয়ার করেন। সেই ছবি শেয়ারের জেরে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি জনমানসে খারাপ প্রভাব পড়েছে এই অভিযোগ তুলে টলিউড অভিনেত্রীকে আইনি নোটিস পাঠান শোভন চট্টোপাধ্যায়। 

এই প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় শোভনবাবু বলেন, 'আমার কয়েকজন পরিচিত দেবশ্রী রায়ের দুটি প্রোফাইল থেকে কতগুলো ফেসবুক পোস্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আমার ছবি দিয়ে আমার অজ্ঞাতে, সম্মতি ছাড়াই, আমার পারিবারিক অনুষ্ঠানে, আমার পদ ব্যবহার করে ২০১৭, ১৮, ১৯ সালে সঙ্গে মেয়র, সঙ্গে শোভন--এসব উল্লেখ করে পোস্টগুলো করা হয়েছে। ছবিগুলো দেখলে মনে হবে ঘটনাগুলো ২০১৭,১৮,১৯ সালে ঘটেছে। কিন্তু ঘটনা অনেক আগের। আমি এর পিছনে পরিকল্পিত চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছি। প্রসঙ্গত দেবশ্রী রায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মানহানির মামলা করেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে। আদালত সেই মামলা খারিজ করেছে। আমি এর জন্য দেবশ্রী রায়কে নির্দিষ্টভাবে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের চক্রান্ত হলে, যতদূর যাওয়ার আমি সেভাবে ব্যবস্থা নেবো।'      

যদিও এবিষয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোন উত্তর মেলেনি। 

one year ago


Viral: চাকরির নামে টাকা নিয়ে 'পলাতক' শিক্ষক, খুঁজে পেতে ইনাম ঘোষণা তৃণমূল নেতার

তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট (facebook post) ঘিরে শোরগোল। তাতে লেখা- "পলাতক শিক্ষকের সন্ধান দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার।" কেন এমন পোস্ট করলেন তিনি? কোন শিক্ষকই বা পলাতক? এই প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছেন জলপাইগুড়িবাসী (Jalpaiguri)।

জানা যায়, ওই তৃণমূল নেতার নাম সঞ্জীব ঘোষ। বর্তমানে দলের পদে না থাকলেও,  এর আগে দলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন। যুক্ত ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও। গত শনিবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) সোমনাথ বাসু নামে এক প্রাথমিক শিক্ষকের ছবি দিয়ে পোস্ট করেন। পোস্টে তৃণমূল নেতার দাবি, ওই শিক্ষক অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু তৃণমূল নেতার হঠাৎ এরকম পোস্ট কেন?

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা টেট পাশ এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, এই শিক্ষক চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি না পাওয়ায় এবং ওই টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিত ওই মহিলা কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষেরও।

তিনিই সোমনাথ বসুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চাকরির দেওয়ার নামে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির বহু লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ওই শিক্ষক। যদিও ওই একটি অভিযোগ ছাড়া আর কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি থানায়। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক সোমনাথ বাসু নামে ওই শিক্ষক। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় এবং স্কুলে না আসায় তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফে। এরপর আদালত থেকে জামিন নেন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ। তাঁর সূত্রেই যেহেতু ওই শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় অভিযোগকারিণীর।

তিনি জানিয়েছেন, সোমনাথ বাসুর করা আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বরং এক আত্মীয়ের চাকরির কথা বলে তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন ওই শিক্ষক। আর বদনামের ভাগী হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর কুকীর্তি সামনে আনতেই এই পোস্ট করেছেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব ঘোষ। রাজ্যজুড়ে যে শিক্ষিক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে, তার সঙ্গে ওই শিক্ষক জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সঞ্জীব বাবু। তবে এমন ঘটনায় বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর স্পষ্ট বক্তব্য, এসব ভাগ বাটোয়ারার লড়াই।

one year ago
TMC: মহুয়া মৈত্র বেসুরো না অনুগত? করিমপুর নিয়ে তাঁর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা

প্রসূন গুপ্ত: এই মুহূর্তে সংসদে সেরা বাগ্মী সাংসদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তাঁর এবং শশী থারুরের বক্তব্য শুনতে সরকারি দলের সাংসদের ভিড় থাকে লোকসভায়। ইংরাজিতে চোস্ত এই দুই সাংসদে যুক্তি-তক্কের জুড়ি মেলা ভার। কৃষ্ণনগরের সাংসদ উচ্চ শিক্ষিতা, বিদেশ থেকে বিশেষ পড়াশুনো এবং সর্বোপরি দিল্লির রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলেন অনেকদিন। এক সময়ে কংগ্রেসের বা রাহুল গান্ধীর সহযোগী ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং ২০১৬-তে করিমপুর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্রী হিসাবে তাঁর একটা বিশেষ স্থান ছিল দলে। ২০১৯-এ মাস্টারস্ট্রোক দেওয়ার মতো মমতা তাঁকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেন এবং মহুয়া জিতেও আসেন। মনে রাখতে হবে এই জয় মোটেই সহজ কাজ ছিল না, কারণ সেবার ১৮টি আসন জয় করেছিল বিজেপি এবং কৃষ্ণনগরেও ভালো জায়গায় ছিল গেরুয়া দল। কিন্তু মহুয়া তাঁর নিজস্ব পরিচিতি এবং সামাজিক অবস্থানকে ব্যবহার করে ভোটারদের কাছে বিশেষ বার্তা দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।

এ হেন মহুয়া অনেক সময়ে প্রেসের সামনে বা নিজের পেজে নানা মন্তব্য করে জনমানসে জনপ্রিয় হয়েছেন। কখনও আবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কয়েক ডজন ফ্যান ক্লাব আছে তাঁর নামে। কয়েক মাস আগে তিনি কালীপুজো নিয়ে কিছু মন্তব্য করে বিজেপির রোষানলে পড়েন। ওই সময়ে দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি কারণ ধর্মের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মহুয়া কিন্তু তাঁর মন্তব্য থেকে এক চুলও সরে যাননি।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে তিনি দলনেত্রীর হালকা ধমক খেয়েছেন। মমতা পরিষ্কার জানিয়েছেন, মহুয়ার প্রাক্তন বিধানসভা কেন্দ্র করিমপুর, যা কিনা নদিয়াতে হলেও লোকসভা হিসাবে আবু তাহেরের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে পড়ছে। অতএব মহুয়া তাঁর নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর নিয়েই যেন থাকেন। করিমপুরের দায়িত্ব আবু তাহেরের। স্বাভাবিক ভাবেই ভরা জনসভায় থতমত খেয়ে যান মহুয়া।

পরে তিনি তাঁর পেজে লেখেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদেই তিনি আজ একটা জায়গা করে নিয়েছেন। অতএব তাঁর নির্দেশ মেনে চলবেন কিন্তু করিমপুরের ভোটার যেহেতু তিনি, অতএব সেখানেও তিনি থাকবেন। প্রশ্ন উঠেছে মহুয়া কি বিদ্রোহী, নাকি অভিমানী বার্তা দিলেন। মহুয়া ঘনিষ্ঠরা অবশ্য বলেছে, এটা খারাপ কি বার্তা, তিনি তো দলনেত্রীর আদেশ মেনেই তাঁর পেজে মন্তব্য করেছেন। বাকি বিষয়টি কোথায় যায় সেটাই দেখার।

2 years ago
Tollywood: 'আজব জীব', ফেসবুকেই বিতণ্ডায় জড়ালেন অভিনেতা জয়জিত এবং এক প্রযোজক

সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতণ্ডায়(War of words) জড়ালেন টলিউড (Tollywood) প্রযোজক রাণা সরকার এবং অভিনেতা জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Joyjit Banerjee)। এই বিতণ্ডার সূত্রপাত অভিনেতা জয়জিতের সাম্প্রতিক এক ফেসবুল পোস্ট ঘিরে। সেই পোস্টে অভিনেতা লেখেন, 'এক প্রযোজক প্রথমে আর্টিস্ট থেকে ভেন্ডর সবার টাকা মারে। নামকরা কবি থেকে অভিনেতা-পরিচালককে নিয়ে ছবি শুরু করে মাঝপথে বন্ধ করে দেয়। নির্লজ্জের মতন সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্ঞানদান করে আর সবার সঙ্গে ছবি দেয়। আজব জীব।' এই পোস্টে কোন প্রযোজক নামোল্লেখ না করলেও কমেন্ট বক্সে জবাব দিতে দেখা গিয়েছে বাংলা ছবির অন্যতম প্রযোজক রাণা সরকারকে (Producer Rana Sarkar)।

জয়জিতের করা পোস্টে তাঁর মন্তব্য, 'আমার কথা বলছো ভাই? অনেক আগেই তোমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, অফিসে আসতে বলেছিলাম তখন তো পালিয়ে গেলে? আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছো? সাহস থাকে তো এসো সামনাসামনি কথা বলি, সেটা ফেসবুক লাইভে দেখাই সবাইকে? সাহস আছে নাকি আবার পালিয়ে যাবে?' এমনকি সেই প্রযোজকের আরও মন্তব্য, 'পালিয়ে গেলে তোমাকে সবাই আজব জীব বলবে এবার, বুকনি না মেরে চ্যালেঞ্জ accept করো।' অভিনেতার ফেসবুক পোস্টে এই বাকবিতণ্ডার মধ্যেই পৃথক একটি ফেসবুক পোস্ট করেন প্রযোজক। সেই পোস্টে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা পোস্টের স্ক্রিনশটও দিয়েছেন রাণা সরকার।


তাঁর পোস্টে জয়জিতের উদ্দেশে লেখা, 'আর পারলো না মিথ্যেগুলো সামলাতে, আমাকে ব্লক করে দিলো জয়জিৎ ব্যানার্জী। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম পালিয়ে গেলো। ওনার পরিবারের লোক বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, কেউ শাকিব খানকে জিজ্ঞেস করুন জানতে পারবেন।... tagging Shakib Khan। তারপরও বড় বড় কথা, আজব লোক 👎🏿 স্ক্রিনশটগুলো থাকলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।... এসব মিথ্যেবাদী অভিনেতা নিয়ে আমাদের জগৎ, কী করে বাংলা সিনেমার ভালো হবে?' Shame on you Joyjit Banerjee 👎🏿

এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব আসে জয়জিতের তরফে। তিনি আবার লিখেছেন, 'পালাইনি। কে কার টাকা মারে সে সব্বাই জানে। আর ব্লকও করিনি। না হলে তোমার এই ঘৃণ্য দিকটা দেখতে পেলাম কি করে। ছি:। এবার ব্লক করবো। তোমার প্রোফাইলের লোক তোমাকে গালি দেয় তাতেও লজ্জা লাগে না। আজব জীব। যা ইচ্ছে বানিয়ে বোলো হবে এসে যায় না কোথায় আছে না কে কি বলে...।

2 years ago