চাকরির দাবিতে (Job Agitation) অনশনকারীরা বঞ্চিত। আখেরে সেটাই কি স্বীকার করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)? লাইভ ভিডিওতে তৃণমূলের ছেলেদের চাকরি দেব বলেছিলেন, কিন্তু ক্ষমা চাইলেন চাকরির দাবিতে অনশনকারীদের কাছে? কিন্তু কেন? তবে কি মদন মিত্র মেনে নিলেন শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতির কথা? তিনি অনশনকারীদের উদ্দেশে বললেন, 'আমি যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার কথা বলিনি।' তবে মোটের উপর কি দাঁড়ালো? অনশনকারী প্রার্থীরা যোগ্য, আর সেটা তিনি জানেন?
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে বিতর্কিত মন্তব্যের পর ভিডিও করে ক্ষমা চাইলেন মদন মিত্র। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজনীতির রঙিন চরিত্র মদন মিত্র। ফেসবুকে তিনি লাইভ ভিডিওতে বলেন,'ক্ষমতা পেলে আমি তৃণমূলের ছেলেদেরই চাকরি দেব।' এই বক্তব্যের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পুরনো একটি বক্তব্যও তুলে আনেন বিরোধীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এই তো রাজ্যের চিত্র, মমতাকে অনুসরণ করে ব্রাত্য, ব্রাত্যকে অনুসরণ করে মদন। ' ক্ষমা চেয়ে ভিডিও বানান তিনি, বৃহস্পতিবার মদন ভিডিওতে বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলেরা ভয় পেয়ে যাচ্ছে, দল করি বলে আমার চাকরি পাওয়া অপরাধ।' তিনি এই ভিডিওতে বলেন, 'অনশনকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি, আমার কথায় ভুল বুঝবেন না, আমি যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার কথা বলিনি।'
তিনি বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে মানবিক হওয়ার আর্জি জানান। তিনি বলেন, 'দোষী ছাড়া পেয়ে যাক আপত্তি নেই, নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। কামারহাটিতে কিন্তু অনেক নির্দোষ ছেলেও চাকরি পেয়েছে। যারা টাকা দেয়নি যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিল তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয়। তাদের পরিবারের চোখের জল শুকিয়ে আসছে।'
দুঃসংবাদ! করোনাকালে (Covid Time) যাঁরা ফেসবুকে লাইভে (Facebook Live) এসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন, বা যাঁরা ফেসবুকে প্রথম থেকেই নানা পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতেন লাইভে গিয়ে তাঁদের জন্য খারাপ খবর। এই তারিখের পর থেকে লাইভে আর কেনাবেচা করা যাবে না পণ্য।
সম্প্রতিই ফেসবুক তাদের বিজনেস হেল্প পেজে এই তথ্য জানিয়েছে। ফেসবুকের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, "২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ফেসবুকে আর কোনও লাইভ বা শিডিউল শপিং ইভেন্ট পোস্ট করা যাবে না"। মেটা (Meta) সংস্থা, যার অধীনে রয়েছে ফেসবুক, তাদের তরফেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
অনলাইন যুগে দাঁড়িয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে (Facebook New Rules)সাধুবাদ জানাচ্ছেন না কেউ। লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস এখন সংশয়ে। বিশেষ করে মহিলারা বাড়ি বসে সংসার সামলে উপার্জনের নতুন রাস্তা পেয়েছিলেন। জামাকাপড় থেকে জুতো, ঘর সাজানোর টুকিটাকি পণ্য থেকে রূপচর্চার নানা জিনিস সবই বিক্রি হত ফেসবুকে। ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে সহজে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ফলে অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যমের উপরও প্রভাব পড়তে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের রিল ভিডিও-র উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে যে যুক্তি দেখিয়েছে, তা হল, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে কম সময়ের, ছোট ভিডিও দেখার প্রবণতা বেড়েছে। দীর্ঘ সময়ের ভিডিও দেখছেন না তাঁরা। এর বদলে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিল দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সকলে। সেকারণেই এ সিদ্ধান্ত।
মেটার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবরের পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লাইভ আসতে পারলেও, সেখানে কোনও পণ্য সংক্রান্ত প্লে-লিস্ট তৈরি বা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন না। এর বদলে রিল ভিডিও ব্যবহারকারীরা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন। তবে ফেসবুক লাইভের মতোই রিলেও একই ধরনের ফিচার্স থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মেটা সংস্থা।
এতদিন লাইভ শপিং ইভেন্ট ফিচারটি ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবসায়ীরা ফলোয়ারদের জন্য পণ্যের ভিডিও তৈরি করত। ব্যাপারটা অনেকটাই পারসোনাল হোম শপিং নেটওয়ার্কের মতোই। এখানে একজন মার্চেন্ট তার ফলোয়ারদের আসন্ন লাইভ শপিং সেশনের নোটিফিকেশন দিতে পারত এবং মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারত। তবে অক্টোবরের পর থেকে আর তা হচ্ছে না।
মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। হঠাৎই ভোরবেলায় ফেসবুকে লাইভে (facebook live) আসেন এক যুবক। সেখানে দেখা যায় ঘরে বসে কাঁদছেন ওই যুবক। কিন্তু কেন? তিনি লাইভে বলছেন, আর কিছুক্ষণ পরেই সব শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন। আত্মহত্যার (suicide) পথ বেছে নিয়েছেন। কারণ, তিনি বিজেপি (bjp) করেন। তাই তাঁকে খুনের (murder) হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শেষ করে দেওয়া হবে গোটা পরিবারকেও, এমনই অভিযোগ তাঁর। হাড়হিম করা এই ঘটনা হুগলির। ঘটনার পরই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে অভিযুক্ত কুণাল সরকারকে আটক করা হয়। এরপর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
হুগলির চুঁচুড়ার কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা ২৮ বছরের অভিষেক চৌধুরী। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে সময় এই ফেসবুক লাইভ করা হয়েছিল, তখন তা কারও নজরে পড়েনি। পরে মঙ্গলবার সকাল হতেই তাঁর বন্ধুরা বাড়িতে গিয়ে পৌঁছয়। সোমবার রাতে ছেলে ঘুমোচ্ছেন এই ভেবেই ঘুমিয়েছিলেন বাবা–মা। কিন্তু বন্ধুদের কথায় দরজা ভাঙতেই দেখা যায় ছেলের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরই কাটগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, এই এলাকার "আমরা কজন" ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভে অভিযোগ তুলেছেন খোদ অভিষেক চৌধুরী। যদিও স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকার এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। যদিও স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি কুণালের পরিবারের।