গিনেস বুকে (Guinness book) নিজের নাম তুলে কৃতিত্ব স্থাপন করতে গিয়ে আংশিক দৃষ্টিশক্তি (Eyesight) হারালেন নাইজেরিয়ার (Nigeria) এক যুবক। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, টেম্বু এবেরে নামের একটি নাইজেরিয়ার যুবক গিনেস বুকে নাম তুলতে চেয়েছিলেন। সেইকারণে টানা সাত দিন কেঁদেছিলেন তিনি। চোখে জোর করে জল আনার জন্য নানারকম কৌশলও করেছিলেন। আর তা করতে গিয়েই হঠাৎ ওই যুবকের দৃষ্টিতে সব কিছুই অস্পষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, কে কতক্ষণ সময় ধরে কাঁদতে পারেন তা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা চলছিল। আর সেই প্রতিযোগিতাতেই যোগদান করেছিলেন নাইজেরীয় ওই যুবক। ওই যুবক পরে বিবিসিকে জানান, ৪৫ মিনিটের জন্য তিনি কিছু দেখতে পাননি। চোখ ফুলে গিয়েছিল। এমনকি মাথাতেও ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও এখন সুস্থই রয়েছেন আর চোখ নিয়েও কোনও সমস্যা নেই।
তবে এত কিছুর পরেও তিনি কিন্তু হাল ছাড়েননি। ওই যুবক জানিয়েছিলেন, কৌশল বদলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁকে ওই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিয়ে দেন। গিনেস বুকে নাম তোলার এইরকম কীর্তিকলাপ আগেও বহু বার দেখা গিয়েছে। এটা অবশ্য নাইজেরিয়ায় নতুন কিছু নয়।
এক অন্ধ মহিলাকে দু'বার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) ভালসাড় এলাকায়। নির্যাতিতা ভালসাড় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা স্ত্রী এবং তাঁর স্বামী দু’জনেই দৃষ্টি হারিয়েছেন। সাহায্য দিতে মাঝেমধ্যেই ওই অন্ধ দম্পতির বাড়িতে যেতেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই কর্মী। দুই অভিযুক্ত কানা ভাদার্কা এবং দিলীপ দাক্সানি গুজরাতের সোলসুম্বা গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ওই সংস্থার তরফে অন্ধদের খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দান করা হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত বছর অগস্টে ঘটেছে এই ঘটনা। ওই দুই অভিযুক্ত খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সি ওই মহিলার বাড়িতে। পাখা সারাই করার অজুহাতে কানা নামের এই ব্যক্তি ঘরের ভিতরেই থেকে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার স্বামীও চোখে দেখতে পান না। ফলে কাজের অজুহাতে তাঁর স্বামীকে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ।
তারপরেই নির্যাতিতাকে একা পেয়ে কানা তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার এক মাস পর আবার এই নির্যাতিতার বাড়িতে আসেন অভিযুক্তরা। এবার ওই মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে দিলীপও ধর্ষণ করেন, ঠিক এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার। তাই চলতি বছরেই ভালসাড় থানায় ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। শুক্রবার উমরগাম গ্রাম থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু করে দিয়েছে পুলিস। তবে এত দেরি করে অভিযোগ দায়ের করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিস।