ফের পুলিসের (Police) বিরুদ্ধে তল্লাশির নামে টাকা হাতানোর (Money Extortion) অভিযোগ, গ্রেফতার এক কনস্টেবল-সহ চার। ধৃতদের মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৫ লক্ষ টাকা নগদ-সহ একবালপুরের (Ekbalpur PS) দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। এত টাকা তাঁদের কাছে কীভাবে এলো, পুলিসকে সদুত্তর দিতে পারেনি দু'জন। এমনকি এত টাকার কোনও যথাযথ নথি পুলিসকে দিতে পারেনি তাঁরা। শুধু এটুকু জানায় তাঁদের কাছে মোট ৩৩ লক্ষ টাকা ছিল। বাকি ১৮ লক্ষ টাকা কোথায়, পুলিস জানতে চাইলে ধৃতরা জানায় একজন কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার তল্লাশির নামে সেই টাকা হাতিয়েছে।
গুরুতর এই অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তাঁরা অপরাধ স্বীকার করে নিলে গ্রেফতার করা হয় ওই দু'জনকে। প্রত্যেককেই বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি এবং সিআরপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে আয়কর দফতরকেও।
দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum) প্রভাব কার কুক্ষিগত থাকবে, এই তরজায় মঙ্গলবার রাত থেকে উত্তপ্ত প্রমোদনগর ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকা। তৃণমূলের (TMC Clash) বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে লড়াইয়ের অভিযোগ। দমদম থানায় (Police Station) অভিযোগ দায়ের দু'পক্ষের। দু'পক্ষের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে দমদম থানার পুলিশ। গত পুরনির্বাচনের পর থেকেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে কাউন্সিলর গোপা পাণ্ডের অনুগামী ও প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রদীপ মজুমদারের অনুগামীদের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই।
মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে জড়ায় দু'পক্ষের অনুগামীরা। অভিযোগ, প্রাক্তন কাউন্সিলরের অনুগামী প্রদীপ গায়েন ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার দখল রাখতে তোলাবাজি করেন। শনিবার ওই এলাকার বাসিন্দারা বর্তমান কাউন্সিলরের দ্বারস্থ হলে প্রদীপ গায়েন মারধর করেন এবং হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এমনকি পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদীপ গায়েন, উলটে তাঁর অভিযোগ, বর্তমান কাউন্সিলরের লোকজন হুমকি দিচ্ছে এলাকায় এবং তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও সরব ছিলেন প্রদীপ গায়েন। বিজেপির লোকদের নিয়ে ঘুরছেন বর্তমান কাউন্সিলর, দাবি মূল অভিযুক্ত প্রদীপ গায়েনের।
স্থানীয় কাউন্সিলর গোপা পাণ্ডের অভিযোগ, 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দাদের থেকে নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় তোলা তোলেন প্রদীপ গায়েন। এসব নিয়ে স্থানীয় একজন ওয়ার্ড অফিসে অভিযোগ জানাতে এলে প্রদীপ গায়েন তাঁকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। এমনকি এলাকার প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন প্রদীপ গায়েন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ এবং আমি গিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।'
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় (200 crore extortion case) প্রতারক সুকেশের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়ানোর পর থেকে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে একাধিকবার ইডি তলব করেছিল(Jacqueline Fernandez)। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি জ্যাকলিনের। শেষমেশ তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর হল।
গত মাসে ইডি-র চার্জশিটে উঠে এসছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকেশের থেকে বেশ কিছু দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। গুচ্চি, শ্যানেলের ব্যাগ থেকে শুরু করে জিমের পোশাক, একজোড়া ‘লুই ভিতোঁ’র জুতো, দুটি হীরের আংটি, এছাড়াও একাধিক ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। ইডি অফিসাররা আগেই জানিয়েছেন, সুকেশের কুকর্মের বিষয়ে সবটা জ্যাকলিন জানতেন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল ইডি। তবে এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল আরও এক চঞ্চল্যকর তথ্য।
এমনকি মুম্বইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করে দিয়েছেন। আর এই আর্থিক তোলাবাজির মামলায় সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি জানতেন সবটাই। পিঙ্কির সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। এমনকি জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশকে পিঙ্কিই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। পিঙ্কি ইরানিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
উল্লেখ্য, ইডি জানিয়েছিল প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক তছরূপের মামলায় সরকারের সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফাতেহি। তাই এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোরাকে কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় (200 crore extortion case) ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez)। নাম উঠে এসেছিল বলিউড (Bollywood) বেলি ডান্সিং কুইন নোরা ফাতেহিরও (Nora Fatehi)। জানা গিয়েছিল, সুকেশের থেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন নোরা। ওই প্রতারণা মামলায় নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই়ডি)। আর এ নিয়ে তৃতীয় বার জেরার মুখে পড়লেন জ্যাকলিন। টানা আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া পান তিনি।
ইডি-র সেই চার্জশিটে উঠে এসছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকেশের থেকে বেশ কিছু দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। গুচ্চি, শ্যানেলের ব্যাগ থেকে শুরু করে জিমের পোশাক, একজোড়া ‘লুই ভিতোঁ’র জুতো, দুটি হীরের আংটি, এছাড়াও একাধিক ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। ইডি অফিসাররা আগেই জানিয়েছেন, সুকেশের কুকর্মের বিষয়ে সবটা জ্যাকলিন জানতেন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল ইডি। তবে এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল আরও এক চঞ্চল্যকর তথ্য।
এমনকি মুম্বইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করে দিয়েছেন। আর এই আর্থিক তোলাবাজির মামলায় সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি জানতেন সবটাই। পিঙ্কির সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। এমনকি জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশকে পিঙ্কিই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন।
বুধবার পিঙ্কি ইরানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকেও ছেড়ে দেয় পুলিস। আগে দুজনের বয়ানে মিলেছিল অসঙ্গতি। তাই এদিন পিঙ্কি এবং জ্যাকলিনকে একসঙ্গে তলব করেছিল। এবং একসঙ্গে জেরা করা হয়।
উল্লেখ্য, ইডি জানিয়েছিল প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক তছরূপের মামলায় সরকারের সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফাতেহি। তাই এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোরাকে কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় (200 crore extortion case) ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez)। নাম উঠে এসেছিল বলিউড (Bollywood) বেলি ডান্সিং কুইন নোরা ফাতেহিরও (Nora Fatehi)। জানা গিয়েছিল, সুকেশের থেকে বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন নোরা। ওই প্রতারণা মামলায় নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ই়ডি)। ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিল্লি পুলিস মন্দির মার্গে তাঁদের অফিসে প্রায় ছয় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নোরা ফাতেহিকে।
উল্লেখ্য, আগেই ইডি জানিয়েছিল প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক তছরূপের মামলায় সরকারের সাক্ষী হতে চলেছেন নোরা ফাতেহি। এই মামলায় এদিন সাক্ষী হিসেবে নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
প্রসঙ্গত, পূর্বে নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিনেত্রী ইডিকে জানিয়েছিলেন, কেবল সুকেশ নন, তাঁর স্ত্রী লীনা মারিয়া পলও নোরাকে দামি ব্যাগ এবং একটি আইফোন উপহার দিয়েছিলেন। ‘ডান্স মেরি রানি’র তারকার দাবি, এই সব উপহারই ‘টোকেন অব লাভ’। ২০২০ সালে একটি অনুষ্ঠানে নোরাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন লীনা। সেখান থেকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) পুলিস পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। জানা যায়, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এলাকায় পুলিসকর্মী (police) পরিচয় দিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর এক কর্মীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমীর হাজরা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিস।
বছর ৩৬-এর মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ আসিফ মাকসুদের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয় পুলিস। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এক কর্মচারী মহম্মদ সানাউল্লাহ মাছ বিক্রির ১০ লক্ষ টাকা ব্যাগে করে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই টাকা প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তা পরে ব্যাঙ্কে জমা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পথে তাঁর পথ আটকান চার ব্যক্তি। এরপর পুলিসকর্মী পরিচয় দিয়ে ওই চার ব্যক্তি সানাউল্লাকে জোর করে একটি দোকানে নিয়ে যান। তারপর তাঁর ব্যাগ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
ঘটনার পরই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ। তদন্ত চলাকালীন নারকেলডাঙা পিএস এলাকায় রাতভর অভিযান চালানো হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় ৪ জনকে। এদিন তাদের নারকেলডাঙা মেইন রোডের ক্রসিং থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হল সানি হাজরা, সমর দত্ত, টিঙ্কু সাহানি ও পাপ্পু খটিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ টাকা।
এরপর তাদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, এই ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড সমীর হাজরা। তাকেও ১৬৭/এ বিবি গাঙ্গুলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। হেফাজতে থাকা সকল অভিযুক্তকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে সানি হাজরা বিধানসভার একজন কন্ট্রাকচুয়াল স্টাফ। সেদিন সে নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে অতীতের শত্রুতা থেকেই ওই মাছ ব্যবসায়ীর কর্মচারীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।