দুয়ারে কড়া নাড়ছে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর ঠিকই নির্বাচনের মুখেই মোদীর মাস্টারস্ট্রোক! মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে রেল প্রকল্পে ১০টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেন। বন্দে ভারত উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশ জুড়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকার মোট ৬ হাজার রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলির মধ্যে একটি ট্রেন পেয়েছে বাংলাও। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পাটনা পর্যন্ত চলবে এই বন্দে ভারত। এছাড়াও মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী যে ট্রেনগুলির উদ্বোধন করেন তার মধ্যে রয়েছে- রাঁচি-বারাণসী, খাজুরাহো-নিজামুদ্দিন (দিল্লি), পুরী-বিশাখাপত্তনম, আহমেদাবাদ-মুম্বই সেন্ট্রাল, পাটনা-লখনউ , লখনউ-দেরাদুন, মাইসুরু-এমজিআর সেন্ট্রাল (চেন্নাই), কালাবুরাগি-স্যর এম বিশ্বেশ্বর টার্মিনাল বেঙ্গালুরু এবং বিশাখাপত্তনম-সেকেন্দরাবাদ পর্যন্ত।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী রেল প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, রেলের মাধ্যমেই গোটা দেশকে জুড়ে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার আহমেদাবাদে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মোদীর রেল প্রকল্পের উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আম জনতার কথা ভেবে তাদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের চাহিদার কথা ভেবে রেল কে নিয়ে অনেক কিছু করলেন এবং ভাবলেন।
তবে মঙ্গলবার রেল প্রকল্প ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। বন্দে ভারত থেকে শুরু করে মালবাহী ট্রেনএবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি কেন্দ্র’ উদ্বোধন হলো প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে মোদী-ম্যাজিক ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।
সাতসকালে আসানসোল-হাওড়াগামী ট্রেনের ব্রেক সু থেকে হঠাৎ আগুন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় বেলমুড়ি স্টেশনের অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নিত্য়যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আসানসোল থেকে হাওড়া যাওয়ার সময় হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় বেলমুড়ি স্টেশনে আচমকাই ১২৩৪২ অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে ব্রেক সু থেকে আগুন বের হয়। আগুনের ফুলকি দেখা মাত্রই ট্রেন চালক ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারপর কুড়ি মিনিট মতন বেলমুড়ি রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এরপর তড়িঘড়ি শুরু হয় রেললাইন মেরামতির কাজ। কিছুক্ষণের মধ্য়ে ব্রেক সু ঠিক করার পর ফের হাওড়ার অভিমুখে রওনা দেয় বলেই স্টেশন সুপারেন্টেন্ড জানান।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ফের বিপত্তি। এবার ট্রেনের একাধিক কামরার পাদানি ভাঙা অবস্থায় দেখা গেল। তার জেরেই প্রায় এক ঘণ্টা পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভেদিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রইল আপ হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রীদের পোহাতে হল দুর্ভোগ। পরে রেলের তৎপরতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তা মেরামত করা হয় এবং তারপর ট্রেনটি ছাড়ে।
কীভাবে এই পাদানি ভাঙল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণেই একাধিক কামরার এই পাদানি ভেঙে যায়। আর এর জেরেই সকাল ৭.৩৫ মিনিটে ভেদিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় সুপারফাস্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ঘটনার পরই রেলকর্মীদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে মেরামতির কাজ। সকাল ৮.৩৭ মিনিট নাগাদ আবার ট্রেন ছাড়ে।
তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এখনও পর্যন্ত রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সাতসকালে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল বিকানের-হাওড়া এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের কাছে চলন্ত ট্রেনের উপর হেলে পড়ে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক। ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আসানসোল স্টেশন ছাড়িয়ে ট্রেনটি একটু এগোতেই বিকট শব্দ করে সেটি দাঁড়িয়ে পড়ে।
আসানসোলের ডিপো পাড়া এলাকায় রেল সাইডিং-এর কাছে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, ২১১ বাই ২ নম্বর ইলেকট্রিক পোলটি আচমকাই হেলে পড়ে। খবর পেয়ে রেলের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ট্রেনটি আবার হাওড়ার দিকে রওনা হয়।
গত জুন মাসের ২ তারিখে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল করমন্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরে করমন্ডল এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকের ওপর গিয়ে পড়েছিল। এরপর উল্টো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস সেই বগিগুলোতেই ধাক্কা মারে। এর জেরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেই ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন বহু মানুষ।
সেই ঘটনার স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা। মঙ্গলবারের ঘটনায় সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি আবার ফিরে এল ট্রেন যাত্রীদের মনে।
দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, রবিবার মাঝ রাতে মুর্শিদাবাদের কাছে এক বালি বোঝাই লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের। এর জেরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। ইঞ্জিনের চাকাও লাইনচ্যুত হয়। তবে, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর নেই।
জানা গিয়েছে, আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ছেড়ে রাধিকাপুর যাচ্ছিল। রবিবার রাত তখন ১.৩০। মুর্শিদাবাদের কাছে হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে থেমে যায় ট্রেনটি। তারপর বিকট আওয়াজও শোনা যায়। রেল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বল্লালপুরের ব্রিজের নিচে রেললাইনে উপর একটি বালি বোঝায় লড়ি চলে আসে। তা দেখেই ট্রেনের চালক ব্রেক কষেন। কিন্তু, তারপরেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে লরিটি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে রেল দফতরের একাধিক আধিকারিক। হঠাৎ ব্রেক কষার কারণে ট্রেনের ইঞ্জিনে যে আগুন লেগেছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী । ঘটনার জেরে লরিটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। রেললাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
কালী পুজোর রাত কাটতে না কাটতেই দুর্ঘটনা। ডাউন শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক। আন্দুল স্টেশন পার করার পর সরস্বতী নদীর উপর ১৭ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে ধোঁয়া দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ট্রেনের তৃতীয় বগির নীচ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।চাকার ব্রেকের ঘর্ষণের কারণেই এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান রেল কর্তাদের। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ট্রেনের যাত্রীরা। আপাতত তা ঠিক করে সেখান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেস।
ফের রেলে দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার কবলে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস (Purushottam Express)। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান ট্রেন যাত্রীরা। তবে চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ব্রেক কষলে তীব্র ঝাঁকুনিতে ওই ট্রেনের ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি শনিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কোডার্মা জেলায় ঘটেছে।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই ওভারহেডের ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। তাতেই সিট থেকে বহু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আর দুই যাত্রীর মৃত্যুও হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ছুটছিল। এই আবহে এমারজেন্সি ব্রেক কষার জেরে কামরার ভিতরে থাকা যাত্রীরা অধিকাংশই টাল সামলাতে পারেননি। তবে কী পরিস্থিতিতে ও ঠিক কোন কারণে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের কোডার্মা-গোমোহ সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস।
কলকাতা থেকে ছাড়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশগামী এই ট্রেন লক্ষ করে পরপর দুবার ছোড়া হল বোমা। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ পাবনা জেলা ছাড়ার পরেই ঈশ্বরডি জাংশনের কাছে একটি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় ট্রেনটিকে লক্ষ করে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ট্রেনের পাশেই বিকট শব্দে হয় বিস্ফোরণ। তবু ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান যাত্রীরা। তবে ট্রেনের একটি জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রেনের গায়ে আক্রমণের চিহ্ন, এবং বিস্ফোরণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
যদিও, এই ঘটনায় ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকামুখী মৈত্রী এক্সপ্রেস যথাসময়েই গন্তব্যে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, দু’টি পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছিল ট্রেন লক্ষ করে। এতে ট্রেনের একটি জানলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর বেশি কোনও ক্ষতি হয়নি। যাত্রীরা সুরক্ষিত আছেন। ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈত সম্পর্কে কোনওরকম প্রভাব ফেলার জন্যই এই আক্রমণ কি না, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, এরই মধ্যে ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। বুধবার রাতে বিহারের (Bihar) বক্সারে লাইনচ্যুত হয়ে যায় আনন্দ বিহার-কামাক্ষ্যা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন। দুর্ঘটনায় অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
সূত্রের খবর, ১১ অক্টোবর, বুধবার রাত ৯টা ৩৫মিনিট নাগাদ বিহারের বক্সারের রঘুনাথপুর রেল স্টেশনের কাছেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় আনন্দ বিহার-কামাক্ষ্যা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি। একটির উপর আরেকটি কামরা উঠে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ট্রেনটির চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে, কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির প্রায় প্রতিটি কামরাই ট্র্যাকের উপরে নেই। কিছু কামরা গড়িয়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের ট্র্যাকে। আবার কয়েকটি কামরা বেঁকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্রেনের বগির নীচ থেকে চাকা ভেঙে পাশে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। উপড়ে গিয়েছে রেললাইনও।
গতকাল রাতে এই ঘটনা হওয়ার পরই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এ দিন সকালে শুরু হয় রেললাইন মেরামতির কাজ। এদিকে, রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। রুটও বদলে ফেলা হয়েছে। তবে কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত চলছে। যেভাবে ট্রেনের কামরাগুলো লাইনচ্যুত হয়েছে তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কার করা হচ্ছে।
সম্বলপুর থেকে জম্মুতাওয়াইগামী মুরি এক্সপ্রেসে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন রেল যাত্রী আহত হয়েছেন। সমস্ত দামী সামগ্রী নেওয়ার পাশাপাশি গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে লাতেহারের দিকে রওনা হয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই কামরায় বসে ছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। লাতেহার স্টেশন ছাড়ার পরেই অপারেশন শুরু করে তারা। এস ৯ কামরাতেই লুঠপাট চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রেলপুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না, ফোন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী কেড়ে নিয়েছে তারা। বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ট্রেনটি ডালটনগঞ্জ স্টেশনে থামলে আহত য়াত্রীরা অভিযোগ দায়ের করেন।
হাওড়া থেকে পটনা পর্যন্ত চালু হচ্ছে বন্দেভারত এক্সপ্রেস। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ট্রেনে চড়ে পটনা পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। চেয়ার কারে হাওড়া থেকে পটনা যেতে ভাড়া পড়বে ১৪৫০ টাকা এবং এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৭৫ টাকা। অন্যদিকে পটনা থেকে হাওড়া পৌঁছতে চেয়ারকারে খরচ পড়বে ১৫০৫টাকা। এবং এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ২৭২৫টাকা।
হাওড়া ও পটনা স্টেশনের মাঝে মোট ছটি স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। তার মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর, আসানসোল, জামতাড়া, জসিডি, লাকিসরাই এবং মোকামা। সকাল ৮টায় পটনা থেকে ছেড়ে হাওড়া পৌঁছবে দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে। এবং ফের দুপুর ৩টে ৫০ মিনিটে ছেড়ে বন্দেভারত পটনা পৌঁছবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল (Rail)। এবার অগ্নিকাণ্ড (Fire) ট্রেনে। শনিবার দুপুরে আচমকাই আগুন ধরে যায় হামসফর এক্সপ্রেসে (Humsafar Express)। ট্রেনটি তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী থেকে রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর যাচ্ছিল বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ২টোর দিকে হঠাৎ হামসফর এক্সপ্রেস থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরতে থাকে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। সঙ্গে ট্রেনের কামরা থেকে দাউ দাউ করে আগুন বেরোতে দেখা যায়। তিরুচিরাপল্লী থেকে শ্রী গঙ্গানগর যাওয়ার পথে গুজরাটের ভালসাদ স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরই গুজরাটে ভালসাদ স্টেশনে ট্রেনটিকে থামানো হয়। কামরায় আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ফলে তড়িঘড়ি তাঁদের নিরাপদে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে খবর।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌঁছে যান রেলকর্মীরা। আগুনের নেভানোর কাজে হাত লাগান তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। হামসফর এক্সপ্রেসের একাধিক যাত্রী অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা।
রেলসূত্রে খবর,ট্রেনের পাওয়ার কার বা জেনারেটর কোচেই প্রথম আগুন লাগে। জেনারেটর কোচ থেকেই প্রথমে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে জেনারেটর ও লাগোয়া বি১ কোচে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই হয়তো ট্রেনের জেনারেটরে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের যাত্রীদের কামরায়। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মালদহবাদীদের জন্য সুখবর। অবশেষে দাবি পূরণ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi)। রাজধানী এক্সপ্রেস (Tejas Rajdhani Express) পেতে চলেছে মালদা টাউন (Malda Town)। মালদহ টাউন স্টেশনের উপর দিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করলেও এতদিন রাজধানী এক্সপ্রেস ছিল না। মালদহ জেলা, দুই দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষও উপকৃত হবেন।
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার থেকে নয়াদিল্লি-আগরতলা রুটের রাজধানী তেজস ট্রেনটি মালদা হয়ে যাতায়াত করবে। দিল্লি ও উত্তর ভারতের দিকে যাতায়াতের সুবিধে হবে বাংলার এই ৫ জেলার বাসিন্দাদের। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রুট পরিবর্তন করা হয়েছে আগরতলা আনন্দবিহার রাজধানী এক্সপ্রেসের। নতুন রুটে এই ট্রেন পাটনা, জালালপুর, ভাগলপুর এবং মালদহ টাউন স্টেশনে দাঁড়াবে।
ফের ট্রেনে (Train) ভয়াবহ ঘটনা। ট্রেনে উঠতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন একের পর এক মানুষ। এমনকি দু'জনের মৃত্যুও ঘটল। রবিবারের ঘটনাটি পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস ট্রেনের (Patna-Kota Express Train)। সূত্রের খবর, এসি ট্রেনের কামরার ভেতরে ঢুকতেই একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বারাণসী থেকে মথুরার পথে যাওয়ার সময় এই ট্রেনে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। এসি কামরার ভেতরে সুস্থ মানুষদের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাকি যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর মধ্য রেলওয়ের আগ্রা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রশস্তি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, রবিবার পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস-এর যাত্রীদের হঠাৎ করে শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। এই সম্পর্কে আগ্রার রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কাছে খবর পাঠানো হয়। এরপরই এক ৬২ বছরের বৃদ্ধা ও ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই কামরায় মোট ৯০ জন যাত্রী ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ট্রেনে ওঠার পর থেকেই ওই বৃদ্ধা বমি বমি ভাব এবং অসুস্থতা অনুভব করতে শুরু করেন। তাঁকে সামাল দিতে অন্যান্যরা ছুটে আসার পর একজন বৃদ্ধও একইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের সাহায্য় করার জন্য ট্রেনের আরপিএফ ও রেল আধিকারিকরা ছুটে আসেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। ৬২ বছরের এক বৃদ্ধা ও ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও এই ঘটনায় ৬ জন অসুস্থও হয়ে পড়েন। আগ্রা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়।
তবে যাত্রীদের ঠিক কারণে মৃত্যু হয়, তা এখনও জানা যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তা জানা যাবে। তবে প্রশস্তি শ্রীবাস্তবের মতে, খাবারে বিষক্রিয়া বা ডিহাইড্রেশনের জন্য হতে পারে মৃত্যু। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
ট্রেনের (Train) কামরায় আগুন (Fire)। কামরা থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়াতে ঢেকে গিয়েছে গোটা স্টেশন চত্বর। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই-বেঙ্গালুরু উদয়ন এক্সপ্রেসের (Udayan Express) কামরায়। ট্রেনের কামরা থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে দমকল বাহিনী। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এক সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর সাঙ্গোলি রায়ান্না স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পর আগুন লাগে। আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটার প্রায় ২ ঘণ্টা আগে যাত্রীরা নেমে ট্রেন থেকে নেম গিয়েছিলেন। ফলে খালি ট্রেন থাকায় কোনও হতাহত হয়নি। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।