রাজ্যজুড়ে ৩ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে, জাতীয় তদন্ত সংস্থার (NIA) হাতে গ্রেফতার নিষিদ্ধ জঙ্গি (Terrorist) সংগঠনের দুই ব্যক্তি। প্রচুর বিস্ফোরক (Explosive)-সহ তাঁদের গ্রেফতার করে এনআইএ। জাতীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, একজনের নাম মহম্মদ নুরুজ্জামান, অপর একজন মিরাজুদ্দিন আলী। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা যোগের সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যারপর প্রশ্ন উঠছে সব মহলে, প্রশ্ন উঠছে কীভাবে ফের বাংলাজুড়ে স্লিপার সেলের এজেন্টরা ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে? যদিও তার তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ।
সূত্রের খবর, শনিবার রানীগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে তল্লাশি চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য পুলিসের এসটিএফ, শুক্রবার সন্ধ্যায় খোদ বিকাশ ভবন থেকে মহম্মদ নুরুজ্জামান নামে, এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে গ্রেফতার করে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা জেরা করে জানতে পারে, গ্রেফতারি এড়াতে, রাজ্য শিক্ষা দফতরের কার্যালয়, বিকাশ ভবনে সফ্টওয়ার ডেভেলপার হিসেবে মির মহাম্মদ নুরুজ্জুমান কাজে যোগ দেয়। জানা গিয়েছে, এনআইসি প্রজেক্টে কাজ করছিল সে। নুরুজ্জামানের গ্রেফতারির পর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, শনিবার মিরাজুদ্দিন আলীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন, প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গিয়েছে মীর মহাম্মদ নুরুজ্জুমান ও মিরাজুদ্দিন। কে এই প্রভাবশালী! যার নির্দেশে এই বিস্ফোরক পাচার হত! তার তদন্ত করে দেখছে এনআইএ।
এনআইএ সূত্রের খবর, ৮১ হাজার ডিটনেটর আর ২৭ হাজার কেজি আমোনিয়াম নাইট্রেট এই দুজনই সাপ্লাই করেছিল। সব সমেত এনআইএ আধিকারিকরা তাদের গ্রেফতার করে বলে সূত্রের খবর।
শহর কলকাতা যখন ইংরাজি নতুন বর্ষকে (New Year 2023) স্বাগত জানাতে গা সেঁকছে, তখন খাস কলকাতায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Explosive Recover)। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের টাস্ক ফোর্সের (Kolkata Police STF) হাতে মঙ্গলবার গ্রেফতার ২। জানা গিয়েছে, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (Leather Complex) থানার সোনারপুর-বামনঘাটা হাইওয়ের ধারে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, যার পরিমাণ প্রায় ৪০ কেজি। এই বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার শেখ ফিরোজ এবং শেখ রমজান নামে দুই ব্যক্তি। ধৃতরা বীরভূমের (Birbhum) বাসিন্দা। মোটর সাইকেল চড়ে এই দুই ব্যক্তি বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে ধৃতরা দুবরাজপুরের কুখ্যাত বিস্ফোরক কারবারি। তাদের থেকে কমলা রঙের বিস্ফোরক, যা সম্ভবত আর্সেনিক সালফাইড, বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে।
ভয়ংকর ঘটনা পঞ্জাবে। মারাত্মক শক্তিশালী বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধার হল পুলিসকর্মীর (Police Car) গাড়ি থেকে। আরও বড় উদ্বেগের বিষয় হল, এই বিস্ফোরক পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আনা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই সন্দেহ পুলিসের। তবে পুরনো একটি ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিস এমনটা মনে করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিস্ফোরকের উত্স সন্ধানে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি অভিযান।
এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার, অমৃতসরে (Amritsar)। রাজপথে রুটিন তল্লাশি চলছিল। সেই সময়ই এক পুলিসকর্মীর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় শক্তিশালী ইম্প্রোভাইসড এক্লপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। এই বিস্ফোরকের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। ফলে এর ক্ষমতা কী হতে পারে, সহজেই অনুমেয়।
কিন্তু পুলিস প্রাথমিক তদন্তেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার বিষয়ে সন্দিহান কেন? পুলিস সূত্রেই জানা গিয়েছে, মে মাসে তারাতরণ জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি টিফিন বক্স। ধাতব ওই বাক্সের মধ্যে ভরা ছিল আরডিএক্স এবং আইইডি। এরও ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। এই আইইডিতে আবার টাইমার, ডিটোনেটর, ব্যাটারি ইত্যাদি ছিল। এগুলি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল বলে দুই ধৃত জেরায় স্বীকার করেছিল। তারা এও জানিয়েছিল, মাদক এবং অর্থের লোভেই তারা এই কাজে নেমেছে। এবারে উদ্ধার হওয়া আইইডি-র সঙ্গে আগের ওই আইইডি-র যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিস। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।