ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলায় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ওই দুটি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরী হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দু'জন, বলাই চরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা। দুইজনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিল ওই দুই ধৃত।
পূর্ব মেদিনীপুরের নারুয়াবিল্লা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। রাজ্য পুলিস প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণে নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরবর্তীকালে, কলকাতা হাইকোর্টে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি প্রয়োগ করার এবং মামলাটি NIA-তে স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রার্থনা সহ একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে NIA মামলাটি গ্রহণ করে।
বিস্ফোরনকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন এনআইএ এই মামলায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের ভূমিকা উন্মোচন করেছেন। যার মধ্যে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত, নরুয়াবিলা গ্রামের মনোব্রত জানা এবং নিনরুয়া আনালবেরিয়ার বলাই চরণ মাইতি। এই দুই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অপরিশোধিত বোমা তৈরির ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিল এবং এর জন্য সমর্থন বাড়িয়েছিল। এনআইএ আধিকারিকরা তা তদন্তে খুঁজে পেয়েছিল, যার ফলে আজকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
ফের বাজি বিস্ফোরণ! ফের রক্তাক্ত শৈশব! দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের মশাট এলাকায় বাজি বিস্ফোরণে জখম বছর দশেকের এক নাবালক সহ ৩ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ এলাকার এক জঙ্গলের মধ্যে বাজিগুলি দেখতে পায় আলমগির শেখ নামে পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। বাজি নিয়ে খেলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ।
জানা গিয়েছে, সামনেই সবেবরাত, তার আগে লোকচক্ষুর আড়ালে জঙ্গলের মধ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল কিছু নিষিদ্ধ শব্দবাজি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিস। নাবালকের হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মজুত করে রাখা নিষিদ্ধ বাজি থেকেই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের। তবে কে বা কারা রেখে গেল নিষিদ্ধ শব্দবাজি? তা জানতে শুরু তদন্ত। এই ঘটনা আরও একবার উস্কে দিল এগরা, নীলগঞ্জের ভয়ানক স্মৃতি। ২০২৩ এর মে মাসে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল। মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১০ জনের। তার কিছুদিনের মধ্যেই কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার নীলগঞ্জ। একের পর এক বিস্ফোরণের পরেও কেন তৎপর নয় প্রশাসন? তবে কি আজও বাজি কারখানাগুলিতে গোপনে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি? যার সন্ধান নেই পুলিসের কাছেও ? উঠছে প্রশ্ন।
স্কুটি করে বোমা নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই দুষ্কৃতী। আচমকাই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। জখম হয় দুজনেই। ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে নলহাটি থানার পুলিস। দুজনেই নলহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বীরভূমের নলহাটি থানার সরধা মোড়ের কাছে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীরা হলেন রিয়াজ শেখ। বাড়ি রামপুরহাট থানার বড় পাকুরিয়া গ্রামে। অন্যজন রকি শেখ, বাড়ি মারগ্রাম থানার মাড়গ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
কী কারণে রকি এবং রিয়াজ স্কুটি করে বোমা নিয়ে যাচ্ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মাড়গ্রাম থেকে নলহাটি যাচ্ছিল দুজনে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই এলাকায় সম্ভবত হামলা চালাতে যাচ্ছিল দুজনে। ওই যুবকরা একটু সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিস। তার পরই সমস্ত তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফের বোমা বিস্ফোরণ। দেগঙ্গার পর এবার কদম্বগাছিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কারিবুল ইসলাম।
আহত যুবক জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কারিবুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দতে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তারপরেই জানা যায় যে ওই কাঠের নিচে বোমা ছিল। আর সেই বোমা ফেটে জখম হয়েছেন কারিবুল ইসলাম। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দেগঙ্গায় বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। আর সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রাজ্যে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্য়ে।
রাস্তায় পড়ে ছিল বোমা। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে শঙ্করপুর হাউসনগরে। তড়িঘড়ি ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফরাক্কা থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ওই তিন শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। আর সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন পুকুর থেকে পাওয়া একটি বোমাকে তারা বল ভেবে খেলতে থাকে। তারপর হঠাৎ সেই বোমা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ফেটে যায়।এরফলে জখম হয় তিন শিশু। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এসে দেখেন ওই তিন শিশু বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কে বা কারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় বোমা রেখে গিয়েছিল। আর ঠিক কোন উদ্দেশ্যেই বা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের বোমা বিস্ফোরণ উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির একটি বাড়িতে। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে জানলার কাচ ভেঙে যায়, গোটা পাড়া কার্যত কেঁপে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রাখে তারা। ওই বাড়ি থেকে অনেকগুলি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে পানিহাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তেজপাল এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বাড়ির ভিতরে ওই বাড়িরই মালিক অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর নাম জিতেন্দ্র গুপ্ত। তাঁর একটি হাত সম্পূর্ণভাবে উড়ে গিয়েছে। প্রথমে তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও ওই বাড়িতে কীভাবে বোমা এল সেই নিয়ে ধ্বন্দে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক ধারণা, বাইরে থেকে এনে ওই বাড়িতে প্রচুর বোমা মজুত করে রাখা ছিল। কোনও কারণে সেগুলি ফেটে যায়।
আশঙ্কাই সত্যি হল। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই আইইডি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ছত্তিশগড়। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক সিয়ারপিএফ জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে সুকমা জেলার এলমাগুন্ডা বুথ সংলগ্ন এলাকায়।
ছত্তিশগড়ের ৯০টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। নির্বাচনের শুরু থেকেই মাওবাদী হামলা নিয়েই সবথেকে বেশি চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু তারই মাঝে আইইডি বিস্ফোরণ হয় এদিন সকালে। ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি মিজ়োরামেও ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ভোট দিতে গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ভোট শুরু হতেই টুইটে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিকে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁরা প্রথমবার ভোট দেবেন তাঁদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কেরলের কালামাসেরির প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল এক ব্যক্তি। ত্রিশুর জেলার কোদাকোরা থানায় সে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানায় কেরল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম ডমিনিক মার্টিন। আত্মসমর্পণের পর পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। ওই ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি গুজরাতের বাসিন্দা। মেঙ্গালুরু থেকে আরিককোড যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। তার সঙ্গে একটি ব্যাগও ছিল। ব্যাগে সন্দেহজনক দ্রব্যও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে গোষ্ঠীর প্রার্থনা চলছিল, তিনি তারই সদস্য।
কেরালা পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণটি কোনও আইইডি বিস্ফোরণ। NIA-এর পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশও সিট গঠন করে তদন্ত করবে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনও যোগ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ বিস্ফোরণ। রবিবার সকালে কেঁপে উঠল কেরলের এর্নাকুলাম এলাকা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম একাধিক। এর্নাকুলামের কালামাসেরি এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ওই কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। একবার নয়, তিনবার বিস্ফোরণ হয়। সেরকমই দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে রয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ২০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। সেইসময় ওই কনভেনশন সেন্টারে প্রায় ২০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।
উৎসবের মরশুমে ফের দুর্ঘটনা। ১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুটি আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion) ঘটে। দুটি ঘটনা মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জন-এ। একইসঙ্গে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) বিরুধুনগর জেলায়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিরুধুনগর জেলার কাম্মাপট্টি এবং শিবকাশী গ্রামে এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথম বিস্ফোরণটি হয় কাম্মাপট্টি গ্রামে। আতশবাজি তৈরি হওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ এত বেশি ছিল যে, ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বাজি কারখানা সংলগ্ন আশপাশের মানুষজন। পুরো কারখানাটি আগুন ধরে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এবং দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, বিস্ফোরণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাম্মাপট্টি থানার পুলিস। এই ঘটনার পরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে শিবকাশীর কাছে। সেখানে আগুনে পুড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দু'টি ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণের কারণ। তামিলনাড়ুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যলিন। মৃতদের পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
ফেঁপে ওঠা তিস্তার জলের তোড়ে ভেসে এল মর্টার শেল। ভেসে আসা ওই সেলের বিস্ফোরণেই মৃত্যু হল একজনের। আহত ছয় জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার চাঁপাডাঙ্গায়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জলের তোড়ে একাধিক জিনিস ভেসে এসেছে সমতলের দিকে। সেরকমই হড়পা বানে সেনা ছাউনির মর্টার শেল ভেসে আসে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক যুবক মাছ ধরতে গিয়েছিলেন নদীতে। সেই সময় মর্টার শেলটি কুড়িয়ে পান তিনি। বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। পরিষ্কার করে খেলা করার সময় আচমকাই বিস্ফোরণ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তবিবর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। এই ঘটনায় আইনুর আলম, লাকু আলম, তসমিরা বেগম, রমজান আলি, লতিফা খাতুন, গোমের আলি এই ছয় জন গুরুতর জখম হয়েছেন।
গত শুক্রবারই পাকিস্তানে (Pakistan) পর পর দুটো আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ (Explosion) হয়। আর এই জোড়া ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৫ জনের। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কারা বা কে রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু তারই মাঝে পাকিস্তানের মন্ত্রী সরফরজ বুগতি দাবি করেছেন, এই বিস্ফোরণের পিছনে হাত রয়েছে ভারতের। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা 'র'-এর এজেন্টরাই এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
শুক্রবার বালুচিস্তানে (Balochistan) ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান ৫০ জনের বেশি। বালুচিস্তানের এক মসজিদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এর ১-২ঘণ্টা পরই খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফের একই ধরনের বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়। ফলে জোড়া বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫-এ।
আর এই দুই ঘটনার পরই পাকিস্তানের মন্ত্রী শনিবার বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় দাঁড়িয়ে বলেন, 'প্রশাসন, সেনা এবং অন্য সব প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের চক্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে। ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং) এই আত্মঘাতী হামলায় জড়িত রয়েছে।' তবে ভারত সম্পর্কে এমন মন্তব্যের জেরে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে আরও টানাপোড়েনের সৃষ্টি হতে পারে।
দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ড। অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে গ্রেফতার করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। সোমবার তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসখানেক আগে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন প্রাণ হারান। ঘটনার দিনই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেন, বাজি কারবারিদের আশ্রয় দিয়েছিল আইএসএফ নেতা রমজান। বারাসত পুলিশ সুপারও জানান, তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কদম্বগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রমজানকে।
আদালতে রমজান আলির আইনজীবী সাইদুজ্জামান দাবি করেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই। মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এবারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion) হল একটি ইস্পাত কারখানায়। ঘটনাটি বুধবার রাতে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ঘটেছে। সূত্রের খবর, হরিদ্বারে রুড়কির মুন্ডিয়াকি গ্রামে একটি ইস্পাত কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, কারখানার বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ফলে ঝলসে আহত হয়েছেন ১৭ জন শ্রমিক। এই বিস্ফোরণের পরই গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার হরিদ্বারের মুন্ডিয়াকি গ্রামের গায়ত্রী স্টিল সার্ভিস নামের ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কারখানায় বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, বুধবার যখন কারখানায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে, তখন কারখানায় একাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা জোরালো আওয়াজে চমকে যান তাঁরা। তাঁদের মনেই হয়েছিল এটি কোনও বিস্ফোরণের আওয়াজ। এর পরই তাঁরা আতঙ্কে কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁরা বাইরে এসে বুঝতে পারেন বিস্ফোরণ কারখানার ভিতরেই হয়েছে। সেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দেখা যায় চারিদিকে পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েক জন শ্রমিক। আগুনে ঝলসে তাঁরা গুরুতর আহত।
এর পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, প্রথমেই তাঁরা পুলিসে খবর দেননি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখান থেকেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বোমায় ব্যবহার করা হয়েছিল লোহার টুকরো, যা সাধারণ মিলিটারি গ্রেনেড। এই তথ্য হাতে পেতেই বেলডাঙ্গা বিস্ফোরণ কাণ্ডে UAPA ধারা যোগ করল এনআইএ। আদালতে এনআইএ জানায়, পাইপ বোমা বা বোমাতে লোহার টুকরো যা ব্যাবহার করা হয়েছে, তা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা জামিনে রয়েছে, তাদের জামিন বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে। ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারির ঘটনা। বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি বাগানে ছোট পাম্পের ঘরে এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা ঘরটি। ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি শেখ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল।
প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ফরেনসিক আধিকারিকরা। গত বছর অক্টোবর মাসে এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তবে ততদিনে ৯ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল।সেই রিপোর্ট পুলিশ এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয়। মামলার গুরুত্ব চতুর্গুণ বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ভিত্তিতে UAPA-র আবেদন করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যা মূলত উদ্ধার হয় না।