
গ্রীষ্মকাল (Summer) আসলেই আমপ্রেমীদের মুখে দেখা যায় চওড়া হাসি। লোভ সামলাতে না পেরে কেউ কেউ দিনে প্রায় ৪-৫ টা বা এরও বেশি আম (Mango) খেয়ে থাকেন। আবার আম বিভিন্ন ভাবে যেমন-আমের জুস, ডেসার্ট, স্মুথি হিসাবেও খাওয়া যায়। তবে এগুলোর স্বাদ যেমন আলাদা হয়, তেমন এর উপাদানগুলো বিভিন্নভাবে শরীরে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আম একটা পুরো ফল হিসাবেই খাওয়া উচিত, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কারণ বেশি আম শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বিশেষজ্ঞরা একাধিকবার জানিয়েছেন যে, আম শরীরের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে আম খেলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
আম অ্য়ান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর ও শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য় করে। তবে মাত্রাতিরিক্ত আম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশি পরিমাণ আম খেলে ডায়রিয়া, স্ফীতভাব, পেটে ব্যথা, আলসার, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার আমে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্রুক্টোজও রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও আমে বিভিন্ন রকমের কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আম খাওয়ার আগে ২ ঘণ্টা জলে ভালো করে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিনে পুরো একটা আম খাওয়ার বদলে আমকে অর্ধেক করে সেই অর্ধেক অংশটিকে দিনে দুবার খেলে তা শরীরের পক্ষে ভালো। এছাড়া কোনও খাবারের সঙ্গে আম না খেয়ে স্ন্যাকস হিসাবে এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পার্বতী। বয়স ২৪ বছর। তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে মীনাক্ষ্মী মন্দিরই তাঁর আস্তানা। কিন্তু ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে তার দৃষ্টি। চিকিত্সার ভাষায় যা আসলে ছানি। কিন্তু সেই ছানির সমস্যা সমাধানেই থাইল্যান্ড থেকে ছুটে এল বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের দল। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি বিভাগের এক বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে গতকাল পৌঁছেছে সাত সদস্যের সেই দল। তাঁরা পার্বতীকে পরীক্ষা করে চিকিত্সাও শুরু করে দিয়েছেন।
সমস্যাটা অবশ্য হালের, এমন নয়। জেলার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্বতী এই সমস্যায় ভুগছে বেশ কয়েক মাস ধরে। প্রথমে রোগ ধরা পড়ে তার বাঁ চোখে। তারপর ধীরে ধীরে তা আরও খারাপের দিকে যায়।
রাজ্যের এক মন্ত্রী নিজে গোটা ব্যবস্থার তদারকি করছেন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই চিকিত্সক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ওই মন্ত্রীর কথামতো, পার্বতীর বাঁ চোখের সমস্যার বিষয়টি তিনি লক্ষ্য করেন অন্তত ৬ বছর আগে। এখন তার ডান চোখও আক্রান্ত। সবচেয়ে ভালো ডাক্তার এবং ভালো বন্দোবস্তের মধ্যেই পার্বতীর চিকিত্সা চলছে। যতক্ষণ না সে পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে, এমন প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাওয়া হবে।
তবে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারে সমস্যার পাকাপাকি সমাধান সম্ভব কি না, তা নিয়ে চিকিত্সকরা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।