মণি ভট্টাচার্য: সিঙ্গুর এলাকায় বহাল তবিয়তে চলছিল চোলাই তৈরির কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল পরিমান এই চোলাই তৈরী রুখলো আবগারি দফতর। ফলে ভোটের আগে এই অভিযান আবগারি দফতরের বড়সড় সাফল্য বলা চলে। জানা গিয়েছে, সিঙ্গুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী নষ্ট করল আবগারি দফতর।
সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৫ ও ৬ তারিখ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিঙ্গুর থানা এলাকার বারুইপাড়া বা পলতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অভিযান চালায় আবগারি দফতর।
অভিযানে নেমে বিপুল পরিমাণ মদ তৈরীর সামগ্রী হদিস পায় আবগারি দফতর। কোথাও মাটির নিচে, কিংবা কোথাও পুকুরের তলায়, কোথাও আবার ড্রেনের মধ্যে প্লাস্টিকের ড্রামে বা কোথাও প্লাস্টিকের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা ছিল চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী। সেগুলিকে উদ্ধার করে নষ্ট করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
এ ঘটনায় সিঙ্গুর এলাকার আবগারি দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, 'আবগারি দফতর দফায় দফায় ওই এলাকা গুলিতে অভিযান চালায়, এরপরেই ৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার ২২ হাজার লিটার ও ৬ তারিখ অর্থাৎ বুধবার ১৪ হাজার লিটার চোলাই ও চোলাই তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করে। এই ঘটনায় বিমল রুইদাস, প্রশান্ত রুইদাস নামের ২ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া এই বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ কারা জমিয়ে রেখেছিল! তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
ফের ইডির তলব এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির নোটিশ এড়ালেন কেজরিওয়াল। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে, লোকসভার নির্বাচনর আগেই কি গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবারও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও তিনি তলব এড়িয়ে ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই নোটিশ 'বেআইনি' এবং 'অবৈধ'।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপর এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। এর আগে ১২ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছিল। আজও তাঁর ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করার সম্পূর্ণ ইচ্ছা আছে। কিন্তু যে নোটিশটি তাঁকে পাঠানো হয়েছে সেটি বেআইনি এবং অবৈধ। তিনি বুঝতে পারছেন যে, তাকে গ্রেফতার করার জন্যই এই নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যাতে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচার করতে না পারেন। তিনি আরও লিখেছেন আগের চিঠিতে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেগুলির কোনও উত্তর ইডি না দিয়ে ফের নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার কার্যে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। একাধিকবার ইডির তলব এড়ানোর জন্য ইডি পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।
পুজোর মরশুমে ফের মদ বেচে লক্ষ্মীলাভ। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো ও দীপাবলীতেও জমিয়ে ব্যাটিং সুরাপ্রেমীদের। রাজ্য সরকারের কোষাগারে মোটা টাকা ঢুকেছে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, তিনদিনে রাজ্যজুড়ে মদ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার।
কালীপুজোর আগের দিন ৩০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। কালীপুজোর দিন মদ বিক্রি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার মদ। গতবারের থেকে এই খাতে আয় বেড়েছে অন্তত ২০ শতাংশ।
পুজোর পাঁচদিনেও বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি হয় বাংলায়। যার ফলে রাজ্যের কোষাগারে কয়েকশো কোটি টাকা ঢোকে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মদ বিক্রি করে নবান্নের আয় হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা। উৎসবের মরশুমে মদ বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াল প্রায় হাজার কোটি টাকা।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি তদন্তে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইডি। মঙ্গলবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আপ নেত্রী অতসি। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবেই ইন্ডিয়া জোটকে টার্গেট করছে কেন্দ্র। এই জোট ভাঙতেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের ফন্দি করা হচ্ছে।
আপ নেত্রী দাবি করেছেন, তাঁদের কাছে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের খবর রয়েছে। আর এই চক্রান্ত করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ব্যাপারে জোটের বাকি সঙ্গীদের পাশে চান আপ নেত্রী। কারণ, যে ভাবে গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি বিরোধিতা করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, তাতে হয়তো তাঁকে এই খেসারত দিতে হতে পারে বলেই দাবি অতসির।
উল্লেখ, এর আগে এই একই ইস্যুতে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। গত বছর অগাস্টে দায়ের হওয়া আবগারি মামলার প্রথম এফআইআরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও চার্জশিটে কেজরির নাম রয়েছে বলে খবর।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ অর্থাৎ আবগারি মামলায় মণীশকে জামিন দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, টাকা লেনদেন প্রায় প্রমাণিত। অর্থাৎ আপ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত প্রমাণ করা গিয়েছে। ফলে মণীশের জামিনে 'না' সুপ্রিম কোর্টের। আরও জানানো হয়েছে, সময়ে তদন্ত শেষ না হলে আবার জামিনের আবেদন করতে পারবেন আপ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। এর পর আজ অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লিতে ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার যোগ আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এই কারণ দেখিয়েই খারিজ করা হয়েছে আপ নেতার জামিনের আবেদন। তবে দিল্লির আবগারি মামলার তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিসোদিয়া আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবগারি দফতরের (Excise Department) পরিচয়ে গ্রামে ঢুকে হঠাৎ তাণ্ডব। অভিযোগ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে শুরু করে একদল ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের (Arambagh) কাঁটাবনি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের মানুষ একজোট হতেই লাঠি ফেলে পালিয়ে যায় তারা। প্রতিবাদে (protest) রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আরামবাগ থানার আই সি।
জানা গিয়েছে, অন্য়ান্য় দিনের মতো এদিনও রাস্তার ধারে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল কয়েক জন যুবক। অভিযোগ, হঠাৎ সেই সময় একটি গাড়ি করে আসা বেশ কয়েক জন লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে দেয়। কোনও কারণ না জানিয়েই মারধর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকি এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় একাধিক মোবাইল ফোন। অভিযোগ শুধু পুরুষ নয় মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়েছে। এভাবে মারধরের কারণে বেশ কয়েকজনের হাত ফেটে যায়।
তবে কেন হঠাৎ এধরনের হামলা আবগারি দফতরের। কেনই বা আবগারি দফতরের সঙ্গে থাকা পুলিসের পোশাক ছিল না। সেই সব প্রশ্ন তুলে পথ অবরোধ শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিস যায়। সেই পুলিসও মদ্যপ অবস্থায় থাকার অভিযোগ উঠে। তাঁদের ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। এর পরে আরামবাগ থানার আই সি ঘটনাস্থলে যায়। দোষীদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফের দিল্লি হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ, সোমবার ফের দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy Case) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। গত শনিবার কিছুক্ষণের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষপর্যন্ত হয়নি। এরপর তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই ছয় সপ্তাহের জন্য জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য এবার ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার হাইকোর্ট প্রাক্তন আপ মন্ত্রীর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সোমবার মামলার শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। প্রভাবশালী তকমা দিয়ে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রভাবিত করার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এরপরেই আপ নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তবে জামিনের আর্জি খারিজ করে দিলেও অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে ফের একটা দিন কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে সিসোদিয়াকে।
অভিযান চালিয়ে বিপজ্জনক উপকরণ দিয়ে তৈরী বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ (Fake Alcohol) উদ্ধার করল আবগারি দফতর (Excise Division)। সোমবার রাতে বাঁকুড়া (Bankura) ও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সীমানাবর্তী এলাকার ঘটনা। লাইসেন্স বিহীন ভাবে মদ মজুত ও ব্যবসার অভিযোগে, হোটেলের মালিক সোমনাথ প্রামানিককে গ্রেফতার (Arrest) করেছে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। এই ধরনের নকল মদ কোথায় তৈরী হয়েছে এবং তা কিভাবে জেলার সীমানাবর্তী এলাকার হোটেলগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে আবগারি দফতর।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় রমরমিয়ে চলা নকল মদের ব্যবসা নিয়ে। এরপরই ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি একাধিক সূত্রকে তথ্য সংগ্রহে তৎপর করা হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার মুখে খবর আসে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার সীমানায় ৬০ এ জাতীয় সড়কের ধারে মা রক্ষাকালী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নামের একটি হোটেলে বিপুল পরিমাণ নকল বিদেশী মদ মজুত করা হয়েছে।
খবর পেয়েই অভিযানে নামে বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই হোটেলে বেআইনি ভাবে মজুত সমস্ত মদ। আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত সমস্ত মদই নকল বিদেশী মদ। বিভিন্ন নামী দামী মদের লেভেল ও বোতল ব্যবহার করা হলেও আসলে বোতলের ভিতর থাকা অধিকাংশ মদই বিপজ্জনক স্পিরিট দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Delhi International Airport) নামা এক বিদেশী বিমান থেকে বাজেয়াপ্ত ২ কোটি টাকার সোনার বাট (Gold Crust)। সেই বিমানের শৌচাগার থেকে শুল্ক দফতর এই বাট উদ্ধার করেছে। স্বাভাবিকভাবেই ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (International Airport) প্রবল চাঞ্চল্য। শুল্ক কর্তাদের দাবি, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল।
বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিদেশি বিমানের শৌচালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, শৌচালয়ের ভিতরে সিঙ্কের তলায় লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকানো একটি ধূসর প্যাকেট। সেই প্যাকেট খুলতেই বেরিয়ে আসে চারটি সোনার বাট। যার ওজন ৩,৯৬৯ গ্রাম, আয়তাকার সোনার বাটগুলির মিলিত বাজারমূল্য ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকারও বেশি বলে জানা গিয়েছে।
সোনার বাটগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা ওই সোনা নিয়ে কোথা থেকে আসছিলেন এবং সেই সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে শুল্ক বিভাগ। খবর দেওয়া হয় পুলিসেও। বাইরের কোনও দেশ থেকে এভাবে সোনা পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে সস্তায় সোনা ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা অব্যাহত।
ধারাবাহিক জেরা এবং তল্লাশি অভিযানের পর আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। সিবিআই চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছেন মণীশ-ঘনিষ্ঠ আপ নেতা বিজয় নায়ার। দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে কেন এত বিতর্ক, যাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটির বিরুদ্ধে এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই?
জানা গিয়েছে, ২০২১-র ১৬ নভেম্বর রাজ্যের আবগারি নীতিতে বদল এনেছে দিল্লির আপ সরকার। বদল আসে মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে। নতুন নীতিতে সরকারি মদের দোকান বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। কেজরিওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে প্রায় সাড়ে ৮০০ মদের দোকান খোলা হবে।
এদিকে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে। নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও সরকারি নথিতে দাবি করা হয়েছিল। এই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম-সহ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
যার জেরে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
মধ্যপ্রদেশে সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! আবার অন্যদিকে বিজেপি সরকারের (BJP) এক অনবদ্য উদ্যোগ। এবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে (Madhya Pradesh) বন্ধ হতে চলেছে সমস্ত রকমের পানশালা ও মদের কাউন্টার। মদ্যপানের বদ অভ্যাস দূর করতে এই সিদ্ধান্ত শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের। রবিবারই এই সংক্রান্ত নতুন আবগারি নীতিতে (Liquor Policy) অনুমোদন দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রিসভা।
ক্যাবিনেট বৈঠকে নতুন আবগারি নীতি গ্রহণের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তিনি জানান, 'মদ্যপানে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ সরকারের। রাজ্যের সমস্ত বার এবং মদ্যপানের ঠেক বন্ধ করতে হবে। কেবলমাত্র মদের দোকানে বিক্রি করা যাবে মদ। কিন্তু মদের দোকানে বসে মদ খাওয়া যাবে না। বাড়ি নিয়ে গিয়ে খেতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেয়েদের হস্টেল এবং ধর্মীয় স্থান থেকে মদের দোকানের দূরত্ব ৫০ মিটার থেকে বাড়িয়ে ১০০ মিটার করা হয়েছে।'
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে, সেক্ষেত্রে মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও আইন কোন দিন থেকে রাজ্যে কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে সরকারি তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই। তবে নিঃসন্দেহে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের এটি ভালো উদ্যোগ, বলছেন সমাজকর্মীরা।
কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা (gold smuggling)) উদ্ধারে আটক দুই ভারতীয় যাত্রী। তাঁদের থেকে উদ্ধার ১২০০ গ্রাম সোনা। সোমবার রাত দু'টো নাগাদ ফ্লাই দুবাইয়ের (Dubai) বিমানে করে কলকাতা (Kolkata Airpot) এসেছিল দুই যাত্রী। বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময় তাঁদের চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। এরপরই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় সোনা পাচারে যুক্ত এই দুই ব্যক্তি। তাঁদের থেকে ১২০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। দুই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।
সম্প্রতি মোজার মধ্যে লুকিয়ে সোনার গুঁড়ো পাচার করতে গিয়ে এই কলকাতা বিমানবন্দরে আটক হয়েছিলেন শেখ কাউসা নামে এক যাত্রী। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দোহা থেকে কলকাতাগামী বিমান কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর ৫৪০ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলে শেখ কাউসারের চলাফেরায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এরপরই ওই যাত্রীকে আটক করে বিমানবন্দরের শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জেরা শুরু করে।
তল্লাশির সময় জুতো খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ আধিকারিকদের। ধৃতের মোজার ভেতরে ৩৯৯.৪৬০ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়। ভারতীয় টাকায় যার বাজার মূল্য ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০৮ টাকা। পরবর্তী সময়ে ওই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।
শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।
মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।