
মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার (Exam) ফল নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসুর। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জল্পনার অবসান! আর ৯ দিনের মধ্যেই জানা যাবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন-ক্ষণ টুইট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এই মে মাসটা এ রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, এই মাসেই মাধ্যমিক স্কুল বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
জন্ম থেকেই দু'চোখে নেমেছে অন্ধকার। তবুও নিজের মনের জোরে সাফল্যের সঙ্গেই টপকেছেন স্কুল-কলেজের গণ্ডি। সর্বশেষ আইন কলেজের গণ্ডি টপকে দেশের প্রথম দৃষ্টিহীন (sightless) আইনজীবী হিসেবে ‘অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড’ পরীক্ষায় (AOR Exam) উত্তীর্ণ হলেন এন বিশাখামূর্তি। চলতি সপ্তাহেই ২০২২ সালের এওআর পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হতেই এই নজির গড়েন চেন্নাইয়ের এই আইনজীবী (Advocate)।
জানা গিয়েছে, টানা দু'বার সহকারী আইনজীবী হিসেবে তাঁর আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেন। আর তাঁর এই নজিরের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে, অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমানি এবং শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
পরীক্ষার আগে শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, 'দৃষ্টিহীন' বিশাখামূর্তির হয়ে যিনি উত্তর লিখবেন, তাঁর সঙ্গে কোনভাবেই যেন আইনের যোগ না থাকে। আইনের অ-আ-ক-খ না জানা দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাহায্যে রেজিস্ট্রার জেনারেলের পর্যবেক্ষণে পরীক্ষা দেন তিনি।
পুলিস নিয়োগের চাকরি পরীক্ষায় যন্ত্রপাতি-সহ ধরা পড়লেন এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী (Candidate)। অভিযোগ, ওই পরীক্ষার্থী তাঁর দেহে একাধিক বৈদুতিন যন্ত্রপাতি সেট করে কোনওভাবে নজর এড়িয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পুলিসের চাকরির পরীক্ষা ছিল মহারাষ্ট্রে। সেখানেই নিরাপত্তার নজর এড়িয়ে কোনওভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন একজন 'ভুয়ো' পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থীর থেকে ব্লুটুথ ডিভাইস, স্মার্টওয়াচ এবং হেডফোন উদ্ধার হয়েছে। খবর, ভুয়ো ওই পরীক্ষার্থী শরীরের বিভিন্ন অংশে নানা যন্ত্রপাতি সেট করে এনেছিলেন। এমনকি হাঁটুতে নি-ক্যাপের সঙ্গে বেঁধেছিলেন ব্লুটুথ ডিভাইস এবং কানে লুকিয়ে রেখেছিলেন হেডফোন। এসবের সাহায্যে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। পরীক্ষাকেন্দ্রের থাকা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী হলেন ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। অন্য একজনের হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তবে ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়লেও মূল অভিযুক্তকে এখনও ধরা যায়নি।
শিক্ষা দুর্নীতির মাঝেই রাস্তা থেকে উদ্ধার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা। ৫ প্যাকেট খাতা কুড়িয়ে পেয়েছেন এক প্রাতঃভ্রমণকারী। খাতাগুলি কুড়িয়ে পেলেন কোচবিহারের মহাকালী নয়ারহাট KNB হাইস্কুলের পার্শ্বশিক্ষক দুলাল বর্মন। জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের যেই খাতাগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের। যে বিষয়ে পরীক্ষা গত ১৮-ই মার্চ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের মহাকালী নয়ারহাট KNB হাইস্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক দুলাল বর্মন শনিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই তিনি রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ৫টি উচ্চ মাধ্যমিকের খাতার বান্ডিল কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রতিনিধিদের হাতে খাতার বান্ডিলগুলি তুলে দিয়েছেন তিনি। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই এই ঘটনা সাধারণের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, রেজাল্ট বেরোনোর আগে কীভাবে খাতাগুলি রাস্তায় এল? যদি কোনওভাবে খাতাগুলি নষ্ট হয়ে যেত, তাহলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত? রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার এই বেহাল দশার মধ্যে খাতাগুলির নিরাপত্তা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।
যদিও শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কোথা থেকে এই খাতা এল? কার অধীনে এই খাতা ছিল? কোন জেলা পরিদর্শকের অধীনে এই পুরো বিষয়টি ছিল? তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রেল স্টেশনে এক ১৯ বছরেরে কলেজ ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এক ভজন গায়কের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) বোরিভলি স্টেশনে (Borivali railway station)। অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে রেলপুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম দীপক পূজারি। একাধিক ভোজপুরী অ্যালবামে গানও করেছেন অভিযুক্ত। অভিযুক্ত দীপককে পালঘর জেলার বিরার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতিতা ওই ভজন গায়কের বিরুদ্ধে বোরিভলি রেল পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, ২৬ মার্চ ওই ছাত্রী ট্রেনে চেপে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বোরিভলি স্টেশনে ভিড় দেখে তাঁকে বেশ উত্ত্যক্ত করেন অভিযুক্ত। এমনকি ছাত্রীটিকে বারবার তাঁর বাড়ির ঠিকানাও জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। বিরক্ত হয়ে ছাত্রী চিৎকার করলে একটি ট্রেনে করে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রেলপুলিস। এমনকি ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার কথাও স্বীকার করেছেন ওই গায়ক, দাবি পুলিসের।
প্রসূন গুপ্ত: আজকাল বাঙালিদের মধ্যে একটা রীতিই হয়ে গিয়েছে সরকারি চাকরির জন্য জান লড়িয়ে দেওয়া। কারণ, নিশ্চিত চাকরি, সঙ্গে একাধিক সুযোগ-সুবিধা। অবসর নিলে পেনশন, মারা গেলে নিকটতম স্বজন পাবেন অর্ধেক পেনশন। এ রকম সুখের মধ্যেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন, উপলক্ষ্য বেতন একটু বাড়িয়ে নেওয়া। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে। অলাভজনক সংস্থা হাতে রাখছে চাইছে না কেন্দ্র। হয়তো এমন দিন আসবে, সরাসরি প্রশাসনিক অফিস ছাড়া সরকারি চাকরি আর থাকবেই না। বার্তা পরিষ্কার, দক্ষতা দেখাও, শ্রম দাও, বেতন নাও। বার্তা এটাই যে, ব্যবসা করাটা সরকারের কাজ নয়। এই পদ্ধতিই নাকি চলে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে। সেখানে পুলিস প্রশাসন চালায় কিছু বেসরকারি সংস্থা।
বাংলায় এ সব কিছু হবে না। বামেরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্কৃতির দিকে জোর দিয়েছিল। ব্যতিক্রম নয় মমতা সরকার। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীর এমন কিছু কোর্স করা বা পড়া উচিত যেখানে চাকরি প্রায় নিশ্চিত। এই মুহূর্তে বাংলায় অজস্র বেসরকারি কারিগরি ও ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট হয়েছে। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সমস্ত দফতর রয়েছে। ডিগ্রি কোর্স না পড়তে পারলে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতেই পারে।
ম্যানেজমেন্ট কোর্স যে কত-শত হয়েছে তা নিয়ে ভাবতেই পারেন পড়ুয়ারা। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কলা বিভাগের যে কেউই এই কোর্স পড়তে পারে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট থেকে মিডিয়া সায়েন্স। জানেন কি ডাক্তারির সমতুল্য একটি কোর্স এসেছে, বিপিটি। অর্থাৎ ব্যাচেলার অফ ফিজিও থেরাপি। এই কোর্স অবশ্যই বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের জন্য। পাশ করলে নামের আগে ডাক্তার লিখতেই পারেন। এরকম বহু অজানা কোর্স এসেছে। এই কোর্সের ধারক মৌলনা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ম্যাকাউ। সেখানেই বিশদ জানা যাবে। পরীক্ষার্থীদের উচিত ২৭ মার্চ পরীক্ষা শেষের পর গিয়ে খোঁজ নেওয়া।
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়িতে বোকা খাওয়ার ভয়ে দায়ের মিথ্যা ধর্ষণের (fake rape case) অভিযোগ! রাজধানী দিল্লির (Delhi incident) এক ১৪ বছরের কিশোরীর কাণ্ড শুনে রীতিমতো অবাক দিল্লি পুলিস। মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করেই থেমে থাকেনি সেই নাবালিকা। নিজেই আবার ব্লেড দিয়ে কেটেছে হাত। আবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে পকসো আইনের (Pocso Case) অধীনে মামলাও রুজু করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১৫ তারিখ এই অভিযোগ দিল্লির ভজনপুরা পুলিস স্টেশনে দায়ের হয়েছে। দশম শ্রেণির ওই নাবালিকা জানিয়েছে, সেদিন পরীক্ষা দিয়ে আসার পর তিনটি ছেলে তার বাড়ির কিছু মিটার দূরে নিয়ে যায় ও তাকে ধর্ষণ করে। যার ফলে সে আহতও হয়েছে। এরপর পুলিস এই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে।
ফুটেজ ভালো করে খতিয়ে দেখতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। দেখা যায় দশম শ্রেণির ছাত্রীটি যেমন দাবি করেছিল, তেমনটা কিছুই ঘটেনি। বরং সে রাস্তায় একাই ঘুুরে বেড়াচ্ছিল। এরপর তাকে জেরা করতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখানেই নাবালিকা অবশেষে মুখ খোলে। সে বলেছে, '১৫ মার্চ তার সোশ্যাল স্টাডিজের পরীক্ষা ছিল, আর সেটা একেবারেই ভালো হয়নি। বাড়িতে যাতে বাবা-মায়ের কাছে বকুনি খেতে না হয়, তাই নিজেই নিজেকে আহত করেছে ও এই মিথ্যা ধর্ষণের গল্প বানিয়েছে।' তার এই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলার কোনও সত্যতা নেই বলে খারিজ করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিস।
মৌমাছির (Bee Attack) কামড়ে আক্রান্ত এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পড়ুয়ার (HS Student)। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর (Kharagpur) শহরে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর নাম রিচা শর্মা। ছত্রিশগড় হাইস্কুলের ছাত্রী, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
ছাত্রীর মা পুনম শর্মা জানান, 'শনিবার সকালে হিজলী হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই রিচাকে মৌমাছি কামড়ায়। পরে পুলিসের সহযোগিতায় রিচাকে প্রথমে আইআইটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেয়। তারপরেই স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়। তবে স্কুলের মধ্যে সে আবার অসুস্থতা বোধ করে। তখনই তড়িঘড়ি করে ছাত্রীকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাই হাসপাতের মধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় রিচা।'
এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বধূকে (Higher Secondary Student) পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। ঘটনার জেরে পুলিস (Police) প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই পরীক্ষার্থী। পরে পুলিস সেই পরীক্ষার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড(Admit Card) ও ব্যাগ-সহ নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছে দেয়।
জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন। ফরাক্কা ব্লকের তিলডাঙ্গার বাসিন্দা তিনি। এক বছর আগে বিয়ে হয় ফরাক্কার বিন্দুগ্রামে। তরুণীর অভিযোগ, 'উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে দেবে না শ্বশুরবাড়ির লোক। তাই বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী, শ্বশুর-সহ অন্যরা তাঁকে বাড়িতেই তালাবন্দি করে রাখেন। এমনকি তাঁর অ্যাডমিট কার্ড-সহ সব নথি জঙ্গলে ফেলে দেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই সময়ই সুলতানা খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে ফরাক্কা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন।'
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'মেয়ের পড়ার খুবই ইচ্ছা। বুধবার একটা পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার জামাই ও শ্বশুর সুলতানাকে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে বাড়িতে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। সুলতানা শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে পুলিসকে সব বলে। পরে পুলিসই মেয়ের অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।'
এই বিষয়ে ফারাক্কা থানার আইসি বলেন, 'সরকারি সব সাহায্যই মেয়েটি পেয়েছেন। আমরা ওর পাশে থাকব। আমরা খুশি মেয়েটিকে নিয়ে আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতে সফল হয়েছি। মেয়েটির স্কুল ইউনিফর্ম, ব্যাগ, অ্যাডমিট সব নিয়ে চলে গিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোক। পরে আমরা মেয়েটিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে বাড়ির বাইরে তালাবন্ধ দেখি। তারপর অনেক খোঁজাখুজি করতে জঙ্গলের মধ্যে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। ব্যাগের মধ্যে থেকে আমরা মেয়েটির অ্যাডমিট কার্ড পাই। কিন্তু স্কুলের ইউনিফর্ম উদ্ধার করতে পরিনি। পরে পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষককে অনুরোধ জানালে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মতি দেন।'
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর(Student) নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা (Suicide)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) লখনউতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিস (Police) ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে। স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবার। অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকারা ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করেছিলেন। এমনকি পরীক্ষায় টুকলি করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষিকারা।
এই ঘটনার জেরে পুলিসের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা। ছাত্রীর বাবা জানান, 'মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁর মেয়েকে হেনস্থা করেছেন শিক্ষিকারা। তারপর থেকেই তাঁর মেয়ে সবসমই মনমরা হয়ে থাকত। তবে সে যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে তা ভাবতেও পারেননি পরিবারের সদস্যরা।'
তবে পুলিস জানিয়েছে, ছাত্রীর কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। কেন সে আত্মঘাতী হল, তা জানতে চাওয়া হলে পরিবারের সদস্যেরা স্কুলের ঘটনা বলেন। তবে সত্যিই স্কুলের শিক্ষিকাদের বকুনির কারণেই এই ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ আছে, তার তদন্ত করছে পুলিস।
বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। বিষয়ের প্রশ্নপত্রে উল্লেখ ছিল, প্রয়োজনে গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। কিন্তু পর্ষদের তরফে গ্রাফ পেপার (Graph paper Row) পাঠানো হয়নি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এই পরিস্থিতি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয় পরীক্ষার্থীদের মনে। যদিও পর্ষদের (WBBSE) দাবি, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরেও গ্রাফ পেপার পাঠায়নি পর্ষদ। তাই বিভ্রান্তির প্রশ্নই নেই।
বরং বিভ্রান্তি দূর করতে পর্ষদের সাফাই, উত্তর পত্রে করতে হবে গ্রাফের কাজ। পরীক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিলে অবশ্যই নম্বর পাবে। এ নিয়ে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারির জানান, গত তিন বছর ধরেই আলাদা করে গ্রাফ পেপার দেওয়া হয় না মাধ্যমিক পরীক্ষায়। উল্লেখ্য, মাধ্যমিকের অঙ্ক প্রশ্নপত্রের ১৫-এর ২ নম্বর প্রশ্নে স্পষ্ট লেখা ছিল, সমীকরণের সমাধানের জন্য গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। যদিও তা দেওয়া হয়নি। এতে ভয় পেয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে সই রয়েছে ডেপুটি সচিব (পরীক্ষা) মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (HS Student) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে উদ্ধার দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের মধ্যেই বিক্ষোভ ছাত্রীর পরিবারের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে লাভপুর থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই এই পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করছে লাভপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম রাণীজা পারভীন। ময়ূরেশ্বরের দোগাছি গ্রামের বাসিন্দা। লাভপুর জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল রাণীজা পারভীন। সূত্রের খবর, রাণীজাকে হস্টেলের ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থাতে দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে লাভপুর প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিত্সকেরা ওই পরীক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে ছাত্রীর পরিবারের দাবি, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ স্কুল থেকে ফোন করে রাণীজার শরীর খারাপের খবর জানানো হয়। এমনকি রাণীজাকে লাভপুর প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করার কথাও জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছলে নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, রাণীজাকে কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এরপরই স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতার আত্মীয়-পরিজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিস।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হাইকোর্টের। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, 'রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।'
আদালতের পর্যবেক্ষণ, '২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।' ইতিমধ্যে নবম-দশম শ্রেণিতে বিকৃত OMR শিটের জেরে চাকরি মামলার রায় দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের দিকে তাকিয়ে এখন কমিশন।
হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Student) মৃত্যু। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Incident) টাকিমারি এলাকার ঘটনায় স্পষ্টতই শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক শুরুর দিনেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু। মৃত কিশোরের বাড়ি জলপাইগুড়ির টাকিমারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে জঙ্গলের পথ ধরে বাবার বাইকে চেপে বেলাকোবায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে হাতির (Elephant Attack) সামনে পড়ে যান দু'জনে।
কোনওভাবে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বাবা। কিন্তু 'মৃত্যুদূতের' সামনে পড়ে যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতি। বন দফতর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় বন দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। প্রতিবছর হাতির হানায় মানুষের মৃত্যু হলেও বন দফতর কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না। শুধু চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলে কি পরিবারের সান্ত্বনা মেলে? এভাবেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
সবাই আতঙ্কে আছে কেন ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কিশোরের স্কুল এবং বন্ধুরা। ঘটনা প্রসঙ্গে রেঞ্জ অফিসার জানান, 'সকাল ৯টা নাগাদ জঙ্গলের পাশের একটা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাবাকে একটা হাতি ধরে ফেলে। বাবা কোনওভাবে বেঁচে গেলেও, ছেলেকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়েই আমরা যাই, জখম সেই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। আমরা জেনেছি জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা। আমাদের সচেতনতা প্রচার চলছে। শর্টে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তা ধরেছিল। তবে সকাল ৯টা নাগাদ বেড়িয়ে অন্য রাস্তা ধরে গেলেও সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন যেতো।'
শুরু চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023)। প্রশ্ন ফাঁস ও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ (WBBSE)। এবছর পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে অভিভাবকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ২০২৩-র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫।
জানা গিয়েছে, ২৮৬৭ সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ৪০ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। ৯৯% বেশি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা। যে সমস্ত সেন্টারে বা বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে না তাকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এবছর পাহাড়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০০০। সেখানে ৬০টি সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অ্যাডিনো ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিতে করা হয়েছে সিক রুমের ব্যবস্থা। স্কুলগুলিতে থাকছে স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি পর্ষদের অফিসে বসে কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি। এমনকি পর্ষদের অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার অ্যাপ মাধ্যমে চালাবেন নজরদারি। প্রত্যেক ভেনুতে থাকবে কড়া পুলিসি ব্যবস্থা। মোবাইল ইলেকট্রনিক্স গেজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। ১১টার সময় প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে কন্ট্রোলরুমে। সাড়ে ১১ নাগাদ ক্লাসরুমে পৌঁছবে প্রশ্নপত্র। ১১:৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
এদিকে, সম্প্রতি পর্ষদ সভাপতি পরীক্ষার্থীদের জানান, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। কিন্তু শেষ পরীক্ষা নয়।' তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি মে মাসের শেষ সপ্তাহে ফল ঘোষণার সম্ভাবনা বলেও জানান পর্ষদ সভাপতি।