
আসামি (Accused) ধরতে এবার পুরস্কার (Prize) ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এনআইএ (Nia)। সূত্রের খবর, গত বছরে লক্ষ্মী পুজোর সময় কলকাতার ইকবালপুর এলাকায়, হিংসার ঘটনায় ৭ জন অভিযুক্ত পলাতক। তাদের গ্রেফতার করতে হিমশিম খাচ্ছে গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে খবর, গতবছরে একবালপুরে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সংক্রান্ত মামলায় এনআইএ ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পরই, ওই মামলায় ৭ জন অভিযুক্ত পলাতক বলে খবর।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাদের ধরতে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযুক্ত আসামিরা অন্য কোনও রাজ্য বা বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। সে কারণেই পলাতক এই সাত আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে বলে দাবি এনআইএর।
রাজ্যের (State) হিংসার (Envy) ঘটনায় এবার মুখ্যসচিবের (Chief Secetary) রিপোর্ট জমা পড়ল রাজ্যপালের কাছে। মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রিপোর্ট দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রামনবমী ঘিরে অশান্তি ঘটেছিল শিবপুর এবং রিষড়ায়। ওই ঘটনায় সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গত সপ্তাহে মঙ্গলবার রিষড়ায় গিয়ে অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন রাজ্যপাল। তারপরই অশান্তি নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রিষড়ায় অশান্ত এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। তারপরই মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেন তিনি। হাওড়ায় শিবপুরের পর গত সপ্তাহে রবি এবং সোমবার রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে গত মঙ্গলবার তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সোজা রওনা দিয়েছিলেন রিষড়ার উদ্দেশে।
শিবপুর এবং রিষড়ায় অশান্তির ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত শনিবার রাজ্যে এসেছে তথ্যানুসন্ধানী দল (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম)। শনিবার তারা গিয়েছিলেন রিষড়ায়। সেখানে তারা 'পুলিসি বাধা'র মুখে পড়ে বলে অভিযোগ। রবিবার দলের সদস্যরা রওনা দিয়েছিলেন হাওড়ার উদ্দেশে। সেখানেও তাঁরা পুলিসি বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওই দলের সদস্যেরা। রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে এসব করেছে।’ পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন।
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কিন্তু চরমেই, রিষড়ায় (Rishra Violence) হিংসার ঘটনায় একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (Fact Finding) কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির একটি টিমকে বাংলায় পাঠানো হয়। রিষড়ার হিংসার কারণ এবং ওই হিংসার পিছনে লুকিয়ে থাকা সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে, তাদের পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু ওই টিমকে আটকে দিল রাজ্যের পুলিস। অভিযোগ শনিবার ওই দলটি রিষড়ার যাওয়ার পথে, কোন্নগরে তাদের আটকে দিল পুলিস। ওই দলের তরফে অভিযোগ, তাঁরা সমস্ত অনুমতি নিয়েই রিষড়ার ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পথে তাদের বাধা দেয় পুলিস।
শনিবার ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, রিষড়ার ঘটনাস্থল ছাড়াও কথা বলবেন ওই ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, আহতরা এখনও এসএসকেএমে ভর্তি আসে, ফলে সেখানেও যাওয়ার কথা তাদের। কিন্তু পুলিসের বাধার মুখে পড়ে তারা রিষড়াতেই পৌঁছতে পারলো না শনিবার। এ ঘটনায় যদিও রাজ্য পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে ওখানে তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও এ ঘটনায় রাজ্যের চাল দেখছে বিজেপির নেতৃত্বরা, তাদের দাবি, আসল দোষীদের আড়াল করার জন্যই এই সব বলছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, শনিবার হাইকোর্টে রিষড়ার ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট দিল পুলিস, ওই রিপোর্টে বলা রয়েছে সেদিন রামনবমীর যে মিছিল বের হয়েছিল সেই মিছিলের যারা অংশগ্রহণকারী ছিলেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পরিস্থিতি। পুলিসের রিপোর্টে দাবি, মিছিল থেকে গালিগালাজ করা হয় স্থানীয়দের দিকে। অস্ত্র দেখানো হয়, এমনকি ডিজে বাজিয়ে নাচ করা হয় মিছিল থেকে।