বকেয়া মহার্ঘভাতা, স্বচ্ছ নিয়োগসহ একাধিক দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অব্যাহত আন্দোলন। জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ ২৩ দিন ধরে চলছে তাদের লাগাতার অনশন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এলনা সুদিন। অনশনের ৫২৩ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও হুঁশ ফিরল না সরকারের। এই আবহে সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণায় যেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের আগুনে হয়েছে ঘৃতাহুতি। যেখানে ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি, সেখানে সামান্য ৪ শতাংশ ডিএ প্রদান করা মাননীয়ার মহানুভবত নয়। রাজ্যসরকার মূলত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের চাপে বাধ্য হয়ে এই ৪ শতাংশ ডিএ প্রদানের সিদ্ধন্ত নিয়েছে। দাবি আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্য মহার্ঘভাতা প্রদান করছে না। এমনকি অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ করার দিকেও ভ্রুক্ষেপ নেই মাননীয়ার।সরকারের এই উদাসীনতার যোগ্য জবাব দিতেই আগামী দিনে একাধিক কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।আবারও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
মার্চের শুরুতেই আবার রাস্তায় নামবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ মার্চ (রবিবার) মহামিছিল এবং মহাসমাবেশ হবে। প্রথমে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনারে মিছিল আসবে। তারপর শহিদ মিনার চত্বরে জনসভা করা হবে। সেখানে কারা কারা আসবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে অতীতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভায় একাধিক নেতা যোগ দিয়েছিলেন।
বড়দিনের আগেই বড় খবর রাজ্যবাসীর জন্য। অবশেষে ডিএ বৃদ্ধির (DA Hike) ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছর শুরুর আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হল মহার্ঘ ভাতা। ১ জানুয়ারি থেকেই এই বৃদ্ধি কার্যকর করা হবে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অ্যালেন পার্কের 'ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালে'র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উৎসবের মরশুমে খুশির খবর। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফোটালো মোদী সরকার (Modi Government)। দীপাবলির আগেই বৃদ্ধি করা হল মহার্ঘ ভাতা (DA Hike)। সূত্রের খবর, ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে ডিএ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা ৪২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও এই বিষয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হবে।
সূত্রের খবর, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ বুধবার একটি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার গত ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ কার্যকর হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাস থেকেই বেতন বাড়বে তাঁদের। জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ধিত ডিএ-র টাকা যুক্ত হবে কর্মীদের বেতনের সঙ্গে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের বকেয়াও কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতনের সঙ্গেই দেওয়া যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ঘরের মধ্যেই খুন (Death) হাওড়া (Howrah) পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) সালকিয়ায়। গোটা ঘটনায় মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিস তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায় (৫০) ওরফে মধু। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ বাড়ির লোক তাঁঁকে নিজের ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এছাড়াও ওই ঘরে মদের ভাঙ্গা বোতল এবং কাচের গ্লাস পাওয়া যায়। প্রভাস কুমার নামে এক আত্মীয় জানিয়েছনে, শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ শশাঙ্ক তাঁর এক পরিচিত বন্ধুকে নিজের বাড়িতে ডাকেন। সেই বন্ধু বাড়িতে এলে দু'জনে মিলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান শুরু করেন। সন্ধেবেলা পর্যন্ত দু'জনকে একসঙ্গে ঘরে বসে মদ্যপান করতে দেখা যায়। তারপরই রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁর দাদা দোকান বন্ধ করে যখন বাড়ি ফেরেন তখন ঘরের দরজা খুলে উঁকি মারলে তিনি দেখেন, শশাঙ্ক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মেঝেতে। এরপর মালিপাঁচঘড়া থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
আরও জানা গিয়েছে, শশাঙ্ক বাবুর গলায় এবং দেহের অন্যান্য অংশে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে তাঁর গলা কেটে খুন করা হয়েছে। দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্যই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মালিপাঁচঘরা থানার পুলিসের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দারাও এই খুনের তদন্তে নেমেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে কোনও অস্ত্র পাওয়া না গেলেও ভাঙা কাঁচের বোতল এবং গ্লাস পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ফরেনসিক টিম ডাকা হয়েছে। পুলিসের ধারণা, অভিযুক্ত শশাঙ্কের পরিচিত। রাগের মাথায় খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। কী কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকে প্রসব হওয়া পর্যন্ত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন (Maternity Leave) ছুটি দেওয়া হয়। এই সুবিধা বিশেষ করে সরকারি মহিলা কর্মীরাই পেয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে বেসরকারি সংস্থাতেও দেওয়া হয় ছুটি। এবারে 'চাইল্ড কেয়ার লিভে'র (Child Care Leave) মেয়াদ বাড়ানো হল। বুধবার লোকসভায় (LokSabha) ঘোষণা করা হয়েছে, সন্তানদের যত্ন নেওয়া বা চাইল্ড কেয়ার হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা কর্মীরা মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। এখানেই শেষ নয়, সিঙ্গল বাবারাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, সরকারি মহিলা কর্মীরা সন্তানদের যত্ন নেওয়ার জন্য মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। তবে সর্বাধিক দু'সন্তানের ১৮ বছর হওয়া পর্যন্তই এই ছুটি নিতে পারবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা। আবার সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানের জন্য কোনও বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।
জিতেন্দর সিং বলেন, 'কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস নিয়ম ৪৩-সি ধারার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা ও সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরা সর্বাধিক ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভ পাবেন।' আরও জানানো হয়েছে, এই ছুটি সন্তানের দেখভাল, অসুস্থতার জন্য দেওয়া হচ্ছে। পুরো চাকরি জীবনের যে কোনও সময় এই ছুটি মোট ৬ টি ধাপে নেওয়া যাবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government employee) জন্য় খুশির খবর। শীঘ্রই মহার্ঘ ভাতা (DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদী। এক কোটিরও বেশি কর্মীর ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে পারে অর্থাৎ ডিএ-র পরিমাণ ৪২ থেকে গিয়ে দাঁড়াবে ৪৫ শতাংশে। তবে এই ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশনে’র সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের তরফে বলা হয়েছে তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।’’
কেন্দ্রের হারে ডিএ-র দাবিতে সরব পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে আইনি লড়াইও চলছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই মামলা। ডিএ-র দাবিতে কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচে সরকারি কর্মীদের অবস্থান বিক্ষেভও চলছে। তাই সবদিক চিন্তা ভাবনা করে তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো হতে পারে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
একবছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave) পাবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা, এমনটাই জানালেন সিকিমের (Sikkim) মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধুমাত্র মহিলারাই নন, তাঁদের পাশাপাশি ছুটি পাবেন পুরুষ কর্মীরাও। কিন্তু পিতৃত্বকালীন ছুটির সময় থাকছে মাত্র এক মাস।
বুধবার সিকিম স্টেট সিভিল সার্ভিস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসসিএসওএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণ দিয়ে গিতে মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সরকারি মহিলা কর্মীদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই পরিষেবার নিয়মগুলিতে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সন্তান ও পরিবারের ভালোমত যত্ন ও পরিচর্যা করার জন্য়ই এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিম সরকার।
প্রসঙ্গত, সিকিমের পুরনো আইন ম্যাটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট ১৯৬১-এর অধীনে সিকিমে সরকারি মহিলা কর্মীরা ২৬ সপ্তাহের বেতন সহ ৬ মাসের ছুটি পেতেন। এবারে সেই ছুটির মেয়াদই বাড়ানো হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অফিসাররা রাজ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ড, তাঁরা সিকিম এবং এর জনগণের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।' ফলে তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee) সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে। হাওড়ার সভা থেকে এমনি হুঙ্কার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। পূর্বেই তিন দফা দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি (CO-Ordination Comitee)। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচি থেকেই সরকারকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি, শূন্যপদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও প্রতিহিংসামূলক বদলি নীতি-এই তিন ইস্যুকে সামনে রেখেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। বাম সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে ছিল যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের বাইরে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকে বঙ্কিম সেতু ধরে আন্দোলনকারীরা হাওড়া ময়দানে পৌঁছন। পুলিসের অনুমতি না মেলায় হাওড়া ময়দানে সভা করেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। সেখানে মঞ্চ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন আন্দোলনকারীরা।
নবান্ন যেতে না দিলেও এই কর্মসূচি পুরোপুরি সফল বলে দাবি করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, 'আজ মিছিল করে প্রমাণ করে দিয়েছি, সরকার নীতি না বদলালে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকার বদলের ক্ষমতা রাখে।' আজ জনসভা চলাকালীন তিনজন প্রতিনিধিকে নবান্নে ডেপুটেশনের অনুমতি দেওয়া হয়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান চলছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা সেখান থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন।
মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছিল সরকারি কর্মচারীদের (Government Employee) একটি সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutha Mancha)। তাতে অবশ্য কোন লাভ হয়নি। এরপর ওই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে ওই সংগঠনের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভবিষ্যতে তাঁদের আন্দোলন দীর্ঘতম হবে।
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ৪ মে আন্দোলনকারীরা ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই মিছিলেন অনুমতি দেয়নি পুলিস। পুলিস প্রশাসনের কাছে মিছিলের অনুমতি না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল যৌথ মঞ্চ। মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে তারা। সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মিছিলের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
ডিএ আন্দেলনকারীরা ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করতে চান। কিন্তু পুলিস সেই মিছিলের অনুমতি দেননি। মিছিল করার অনুমতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এই মিছিলের বিরোধিতা করে পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এই মিছিল হলে কলকাতা কী ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে, সাধারণ মানুষের কী অসুবিধা হবে- তা তুলে ধরতেই এই পাল্টা মামলা বলে জানা গিয়েছে।
এ নিয়ে ডিএ-এর দাবিতে ধর্মতলায় ধর্না দেওয়া আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন নবান্ন অবধি মিছিলের পাশাপাশি ৬ মে হাজরা থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট অবধি পৃথক মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁরা বলেছেন, '৬ মে মিছিলের প্রস্তুতি হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনভেনশন ও পথসভার আয়োজন করা হবে। বর্তমান সরকারে দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকাররে মতো বিভিন্ন প্রকল্পের মতো দুয়ারে আন্দোলন করতে চাইছি আমরা।'
কেন্দ্রীয় সরকারি (Government Employee) কর্মচারীদের জন্য নতুন ঘোষণা। আরও ১২ দিন বাড়ানো হলো সরকারি কর্মচারীদের বার্ষিক ছুটি। তাই এখন কেন্দ্রীয় কর্মীরা আগের থেকে ১২ দিন বেশি ছুটি পাবেন। কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা অঙ্গ দান করার পরে ৪২ দিনের একটি বিশেষ ছুটি (Special Leave) পাবেন।
ডিওপিটি-র (DOPT) জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যেকোনও কর্মচারীর শরীরের কোনও অংশ দান করলে তাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। যার ফলে ওই ব্যক্তির সুস্থ হতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। তাই তাঁদের সাহায্য করার জন্য বার্ষিক ৩০ দিনের ছুটি বাড়িয়ে ৪২ দিন করা হয়েছে। আর এই নিয়মটি নির্ধারণও করা হয়েছিল। তবে তা কার্যকর হয়েছে ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩ সালে।
তবে এই নিয়মটি সব কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়, জানাল ডিওপিটি। এই নিয়ম কোনও রেল কর্মচারী ও অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এমনকি সরকারের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দাতার অঙ্গ অস্ত্রোপচারের জন্য এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফের কাজে দেওয়ার জন্যই এই ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে চিকিত্সকের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই ছুটি দেওয়া হবে এবং হাসপাতালে ভর্তির সপ্তাহ আগেই এই ছুটি নিতে পারবে দাতা।
রাজ্য ও সরকারি কর্মচারীদের (Employee) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের (Meeting) ফলাফল শূন্য। বৈঠক শেষে বেরিয়ে কলকাতায় (Kolkata) মহা মিছিলের ডাক রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। ৬ই মে কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের। আজ অর্থাৎ বিকেল সাড়ে চারটের সময় নবান্নের ১৩ তলায়, মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দুজন আধিকারিক। বৈঠক শেষে এসে তারা জানালেন, এই বৈঠকে কোন লাভই হয়নি। তাঁরা আমাদের কোন দাবি মানতে রাজি নয়।
পাশাপাশি তাঁরা আরও জানিয়েছে, তাদের কোনও দাবি এবং প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি মুখ্য সচিব। প্রসঙ্গত তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই আন্দোলন আরও দীর্ঘতর হবে। এবং লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএ (DA) জট কাটাতে এবার আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের (Goverment Employee) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার (State)। একটি নির্দেশিকা দিয়ে তাঁদের এ কথা জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় তাঁদের দু'জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে নবান্নের ১৩ তলায়। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ঠিক ওখানেই অর্থ সচিব এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভালো দীর্ঘ ২ মাসের উপর এই আন্দোলন চলছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলনের পথ বেছে নেন। সূত্রের খবর, ওই সরকারি কর্মচারীদের আরও বেশ কিছু দাবি নিয়ে শুক্রবার আলোচনা হতে পারে। সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক কর্তা বলেন, ডিএ ধর্মঘট পালন করায়, চার জন সরকারি কর্মচারীকে নবান্ন থেকে বদলি করা হয়। এদিন তাঁদের পুনরায় নবান্নে ফেরানো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সূত্রে আরও খবর, ডিএ ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয় যেখানে বলা হয়, ১৭ ই এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকারকে, ডিএ জট কাটাতে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সেই নির্দেশ মানা না হলে ফের আদালতে যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তারপরে আদালত নির্দেশ দেয় ১০ দিনের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সেইমতো শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের পর, নবান্নের ১৩ তলায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে ওই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দুজন কর্তাকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
যদি কাজ না করেই টাকা পাওয়া যেত, এমনটা ভাবলেও কতটা ভালো লাগে, তাই তো! তবে কাজ না করেই টাকা পাবেন, এমনটা কল্পনাতেও আসে না। কারণ এমনটা হতেই পারে না। তবে চিনে এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চিনের এক সংস্থার কর্মী 'পেইড লিভ' পেয়েছেন তাও আবার এক-দু'মাসের জন্য নয়, এক বছরের জন্য। পেইড লিভ অর্থাৎ আপনি ছুটিতে থাকবেন, তবু আপনি আপনার বেতন পাবেন মাসের শেষে।
জানা গিয়েছে, এমনটা ঘটেছে এক লটারির জন্য। চিনের ওই সংস্থায় কর্মীদের নিয়ে একটা লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। কাজের জন্য একঘেয়েমি জীবন, আর থেকেই মুক্তি দিতে এক গেম বা লাকি ড্র-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সেই কর্মী এই পুরস্কারটি জিতেছেন। সমাজমাধ্যমে এক ছবি ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক কর্মী লাকি ড্র জিতেছেন ও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এক বড় চেক।
তবে এই কর্মীর ভাগ্য ভালো তাই লাকি ড্র-তে এই পুরস্কারটি পেয়েছেন, তবে যাঁদের ভাগ্য তাঁদের সেদিন সঙ্গে ছিল না, তাঁরা পেনাল্টিও পেয়েছেন। যেখানে কোনও কর্মীকে একজন ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে কিছুদিনের জন্য, অনেকে আবার দু-দিনের পেইড লিভ পেয়েছেন।
'জুতো মেরে গরু দান, চাই না।' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নববর্ষের শুভেচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান (Rejection) করে দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নববর্ষের শুভেচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করল সরকারি কর্মচারীরা (Goverment Employee)। তারপর এমনটাই বললেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে শহীদ মিনারের নিচে আন্দোলন চলছে সরকারি কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের।
এই ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলন যেমন গড়িয়েছে অনেক দূর, ঠিক তেমনই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখে তাদের নিয়ে তীর্যক আক্রমণ বেড়েছে। সম্প্রতি রেড রোডের ধরণা মঞ্চ থেকে ওই কর্মচারীদের 'চোর-ডাকাত' বলে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার এই বক্তব্যের পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়ায় কলকাতা-সহ শহরতলি এলাকাগুলিতেও। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। এই শুভেচ্ছা গ্রহণ করেননি ওই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কেউই। এবিষয়ে শনিবার অর্থাৎ নববর্ষের দিন ওই সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষে কিঙ্কর অধিকারী বলেন, 'অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ক্ষমা চাওয়া, উনি ক্ষমা না চেয়ে, জুতো মেরে গরু দান করছেন। এই শুভেচ্ছা বার্তা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।' এছাড়া শনিবার তিনি জানিয়ে দেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
কর্মচারীদের জন্য সুখবর! বাড়ানো হল ইপিএফ-এর সুদের হার। চলতি অর্থবর্ষে ৮.১৫ হারে সুদ পাবেন আমানতকারীরা। ০.৫ শতাংশ হারে সুদ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা মঙ্গলবার ঘোষণা করল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। মন্দার বাজারে যেখানে নিত্যদিনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে, সেই আবহে ইপিএফ-এ সুদের হার বাড়ানোর জন্য বেজায় খুশি ৫ কোটি বেতনভুক সাধারণ মানুষ। প্রায় কয়েক বছর ধরেই সুদের হার বাড়ানোর জন্য দাবি করা হচ্ছিল। অবশেষে সামান্য হলেও বেড়েছে সুদের হার।
আজ একটি বৈঠকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টটির তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮.১৫ শতাংশ হারে ইপিএফ-এ সুদ দেওয়া হবে। তবে এই প্রস্তাব প্রথমে অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে। এরপর এই প্রস্তাব সম্মতি পাওয়া গেলেই এই সুদের হারে বৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রকের থেকে সম্মতি পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চে ইপিএফে সুদের হার ৮.৫ শতাংশ করে দিয়েছিল ইপিএফও। যা গত সাত বছরে সর্বনিম্ন স্তরে গিয়ে ঠেকেছিল। আবার ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সুদের হার ছিল ৮.১ শতাংশ, যা গত চার দশকের সবথেকে কম ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেও সুদের হার ৮.৬৫ শতাংশ ছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ছিল ৮.৮ শতাংশ।