মাত্রাতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিলের (Electric Bill) জন্য ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে নাজেহাল পরিস্থিতি। ফলে এই অবস্থায় এসি, ফ্যানের ব্যবহার বেশি পরিমাণে করতেই হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে বিলও আসে। ফলে এবারে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই কেন্দ্রের তরফে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। বিদ্যুৎ (Electricity) পরিষেবার নিয়মে পরিবর্তন আনল শক্তি মন্ত্রক (Power Ministry)।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, দিনে খরচ হওয়া বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কম ট্যারিফ (Tarrif) লাগবে। অর্থাৎ দিনের বেলায় যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার সাপেক্ষে যত টাকা বিল হয়, তার থেকে ২০ শতাংশ কম খরচ লাগবে। তবে রাতের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম। জানানো হয়েছে, রাতের বেলা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, তার ২০ শতাংশ বেশি ট্যারিফ লাগবে।
গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের যে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে এবং তার জেরে বিদ্যুতের গ্রিডগুলির উপরে যে চাপ পড়ছে, তা কমানোর উদ্দেশেই শক্তি মন্ত্রকের তরফে এই বদল আনা হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই নিয়ম চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক গ্রাহক ও শিল্পাঞ্চলগুলির জন্যই এই নিয়ম চালু করা হবে। এর এক বছরের মধ্যে বাকি সমস্ত গ্রাহকদের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে খবর।
বাড়িতে রয়েছে মাত্র দুটি বাল্ব, কিন্তু ইলেকট্রিক বিল (Electric Bill) এসেছে লক্ষাধিক। অবাক হচ্ছেন তো! তবে এটাই সত্যি। ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka) কোপ্পালের (Koppal)। জানা গিয়েছে, সেই ছোট্ট বাড়িটিতে থাকেন এক নব্বই বছরের বৃদ্ধা গিরিজাম্মা। তিনিই জানিয়েছেন যে, তাঁর বাড়িতে রয়েছেই মাত্র দুটি বাল্ব, কিন্তু তাঁর ইলেকট্রিক বিল এসেছে ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকা। এই বিল দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কোপ্পালের ভাগ্যনগরের বাসিন্দা গিরিজাম্মা। সেরাজ্যের সরকারের ভাগ্য জ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমেই বাড়িতে ইলেকট্রিক পেয়েছেন তিনি। আর এই প্রকল্পের অধীনেই ১৮ ইউনিট পর্যন্ত বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক পাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু এর একেবারেই বিপরীতটা ঘটেছে। বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক পাওয়া তো দূর, গিরিজাম্মার এমন বিল এসেছে, যার জন্য বড় সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
গিরিজাম্মা জানিয়েছেন, প্রত্যেকমাসে ৭০-৮০ টাকা তাঁর ইলেকট্রিক বিল আসে। কিন্তু মে মাসের বিল দেখে তাঁর চক্ষু চড়াকগাছ। তাঁর বাড়িতে রয়েছেই মাত্র দুটি বাল্ব, একটি ঘরের ভিতরে ও একটি বাইরে। ফলে কীভাবে এত বিল আসে, তাই নিয়ে দিশাহারা বৃদ্ধা। এরপর এই খবর স্থানীয়েরা জানতে পেরে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে জানালে, দফতর থেকে প্রতিনিধিরা এসে দেখেন যে, তাঁর মিটারটি অনেকদিনের পুরনো ও ত্রুটিপূর্ণ। ফলে এমনটা ঘটেছে। বিদ্যুৎ দফতরের থেকে এও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে তারা এটা বদলে দেবে ও ইলেকট্রিক বিলও ঠিক করে নতুন করে পাঠানো হবে।
অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিলের প্রতিবাদে অবরোধ করতে গিয়ে পুলিসের হাতে আক্রান্ত সুন্দরবনের মানুষ । পুলিশের লাঠিচার্জে (lathicharge) গুরুতর জখম মহিলা ও বৃদ্ধরা।
বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিলের(abnormal electricity bill) প্রতিবাদে(protest) অবরোধ চলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। আর সেই অবরোধ না তোলায় পুলিসের হাতে মার খেতে হল সুন্দরবনের খেটে খাওয়া সাধারণ অবরোধকারীদের। দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসার ফলে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়ছিলেন সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েকশো পরিবার। তারই প্রতিবাদে বসিরহাটের (Basirhat)সুন্দরবনের ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়ায় বাসন্তী হাইওয়ে (রাজ্য সড়ক ৩এ) তে শান্তিপূর্ণ অবরোধ করছিলেন সন্দেশখালি দুটি ব্লকের কয়েকশো পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ। সকাল থেকেই সেই অবরোধ চলছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তোলার জন্য পৌঁছয় ন্যাজাট থানার পুলিস। সেখানে গিয়ে হঠাৎই অবরোধ করা মহিলা ও পুরুষের উপরে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে উর্দিধারীদের বিরুদ্ধে। বেধড়ক মারধর করা হয় অবরোধকারীদের। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। সাধারণ মানুষজনের অভিযোগ তারা শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে অবরোধ করছিলেন। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও মেটেনি সমস্যা। এরপরই কোনও সুরাহা না মেলায় তারা অবরোধ করেন। অবরোধ হঠাতে পুলিসের এই লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুলিসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনওরকম বক্তব্য পাওয়া যায়নি।