ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।
উল্লেখ্য, ৩০ শে মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সরাসরি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তিনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের।
এই ঘটনার পর টুইটে পাল্টা খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
— Bratya Basu (@basu_bratya) April 4, 2024
শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) সঙ্গে আলোচনা না করে নিযুক্ত হওয়া ১৪ জন উপাচার্যের (Vice Chancellor) বেতন-ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে ১৪ জন 'অবৈধ' উপাচার্যের বেতন বন্ধের নির্দেশ পৌঁছেছে।
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে নির্দেশ পৌঁছেছে, ওই সব অস্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। তাই তাঁরা বেতন ও ভাতা পাবেন না। দু’দফায় এ ভাবে ১৪ জন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল যাঁদের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের এ ভাবে সরাসরি উপাচার্য নিয়োগের কোনও এক্তিয়ার নেই। তাঁদের জন্য বরাদ্দ বেতন এবং ভাতাও মঞ্জুর করছে না রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলাও হয়েছে।
মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার (Exam) ফল নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসুর। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জল্পনার অবসান! আর ৯ দিনের মধ্যেই জানা যাবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন-ক্ষণ টুইট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এই মে মাসটা এ রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, এই মাসেই মাধ্যমিক স্কুল বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গত বছর ২৩শে জুলাই নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রতিবারই ইডির তরফে আদালতে পেশের সময় তার মুখে বিভিন্ন বিষয় শোনা গিয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তিনি এলেন, ২৫ বৈশাখ, রবীন্দ্রজয়ন্তী আগে রবীন্দ্রনাথ আওড়ালেন। অবশ্য এর প্রতিদানে দিনশেষে জুটল 'চোর চোর' স্লোগান।
'মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা।' সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরার আগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায় রবীন্দ্রনাথের এই দুই লাইন শুনে সবাই অবাক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই দুটি লাইনের মধ্যেই তাঁর গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহকেই বোঝাতে চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিনের তুলনায় এদিন ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু রবীন্দ্রনাথের কবিতা নয়, এদিন অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার প্রশংসা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার রাজ্যে পালিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। তারআগে, এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগে নিজেই সোনারতরী কাব্যগ্রন্থ থেকে এই দুটি লাইন শোনান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন তা তারিফ যোগ্য। পার্থর দাবি, ১০০ শতাংশ সফল হবে এই কর্মসূচি।
গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই স্থান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। এদিন রবীন্দ্রনাথের কবিতা বলে জনসমাজে ফের বার্তা দিতে চাইলেন তিনি। যেখান কলঙ্ক সরিয়ে নিজেকে সোনার সঙ্গে তুলনা করলেন।
বাংলায় চলা শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ব্যবস্থা নিতে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata) চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এখনও সেই চিঠির কোনও জবাব পেলাম না। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Education Minister)। খড়গপুর আইআইটির অনুষ্ঠানে যোগদানের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন সকাল শহরে পা রেখেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী।
তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বাংলায় এতকিছু হয়ে গেল। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে, বড় কর্তা, মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার এখনও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে। আর কত সময় লাগবে তরুণদের ন্যায় পেতে? এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম গত অগাস্ট মাসে। কিন্তু এখনও জবাব পাইনি।
তাঁর মন্তব্য, 'এই দুর্নীতি-কাণ্ডে মন্ত্রী, উপাছারজ-সহ সবাই জড়িত। এই দুর্নীতি-কাণ্ড মানুষের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারকে সরানোই লক্ষ্য।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'বাংলায় নানা খাতে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়েও দুর্নীতি হয়, সরকার আর পার্টি এক হয়ে যায়। এমনকি, সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকাতেও নয়ছয় লক্ষ্য করা গিয়েছে।'
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা এই দাবি করে কুণাল ঘোষের প্রস্তাব, 'ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে বিদ্ধ মধ্যপ্রদেশ কিংবা সরকারি সিদ্ধান্তে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া ত্রিপুরায় গিয়ে এসব বলুন। ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে যেখানে ইন্যম করেছে সেখানে যান। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনেক উন্নতি করেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান সত্যের অপলাপ করেছেন।' কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'অযোগ্য বঙ্গ বিজেপির নেতারা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য দিয়ে ভুল বলান। ধর্মেন্দ্র প্রধানজি ভালো করে খোঁজ নিক।