সিঙ্গেল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও (Calcutta High Court) ধাক্কা নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি (Justice Ganguly) ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের উপর কোন স্থগিতাদেশ নয়। বুধবার জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। দুই সিঙ্গল বেঞ্চের দুটি অন্তর্বর্তী নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছে। এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন মনে করছে না ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন জানায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে এই মামলা (Education Scam Case) ফেরত পাঠানো হলো সিঙ্গল বেঞ্চে।
জানা গিয়েছে, এই মামলায় ৯৫২টি OMR শিট বিকৃত হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্যে সিলমোহর দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। এই ৯৫২ জনের একাংশ মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান। সেই আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৮-ই ফেব্রুয়ারি নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে একসপ্তাহের মধ্যে OMR বিকৃত করে চাকরি পাওয়াদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।
এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আসেন ৯৫২ জনের একাংশ।
সেই মামলায় এদিন কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Education Case) এবার গ্রেফতার হলেন শতরূপা ভট্টাচার্য এবং শৌভিক ভট্টাচার্য। এই দু'জন সম্পর্কে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) স্ত্রী এবং পুত্র। আগামি ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshal Court)। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল (TMC MLA) বিধায়ক মানিকের গ্রেফতারির পর ইডি একটা সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেই চার্জশিটে শতরূপা এবং শৌভিক ভট্টাচার্যর নাম আছে। সেই চার্জশিটের সূত্র ধরে বুধবার ইডির (ED) বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন শতরূপা-শৌভিক। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান দু’জনই। সেই আবেদন এদিন খারিজ করেছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
মানিকের স্ত্রী-পুত্রর তরফে আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, 'সমনের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলরা নিজে থেকেই হাজিরা দিয়েছেন। গ্রেফতার করে তাঁদের আনতে হয়নি। ইডির তদন্তেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন। জামিনের জন্য যেকোনও শর্ত তাঁরা মানতে রাজি।'
কিন্তু শতরূপা ও শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, 'মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী। দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা থাকতে পারে। তাছাড়া, মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, তাতে দুর্নীতির টাকা থাকতে পারে।' এই সম্ভাবনা উসকে মানিকের স্ত্রী-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি এদিন আদালতে দাবি করেছে, শৌভিক পড়াশোনার সূত্রে ইংল্যান্ডে দীর্ঘ দিন ছিলেন। রেসিডেন্সিয়াল ভিসায় তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েই এই ভ্রমণ বলে অনুমান তদন্তকারীদের।