Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

EdenGardens

Virat: ইডেনে বিরাট-নারাইনের টক্কর, কোন পথে বিরাটকে আটকাবে কেকেআর!

এ মরশুমে আরসিবি অর্থাৎ ব্যাঙ্গালোরের (RCB) প্রথম ম্যাচেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে কিং কোহলি (Virat Kohli)। দীর্ঘ ৮৩ দিন পর আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইডেনে (Eden Gardens) নামছেন কোহলি, কেকেআরের (KKR) বিরুদ্ধে ভালো ট্রাক রেকর্ড নিয়ে নামছেন তিনি। কোহলির ফর্ম নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় থাকবে কেকেআর। কেকেআরের বোলিং নিয়েও একই চিন্তায় আছে কেকেআর। সাকিবের অনুপস্থিতি যে ভাবাচ্ছে কেকেআরকে সেটা স্পষ্ট।

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আরসিবিআর হয়ে বিরাট কোহলি, নট আউট থেকে ৪৯ বলে ৮২ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি।   বৃহস্পতিবার ইডেনের ম্যাচে বিরাটকে আটকানোর সুপরিকল্পনা করবে কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে বিরাটকে ম্যাচের প্রথম দিকেই আউট করতে, প্রথম থেকেই টিম সাউদির বলে সুইং দরকার। এছাড়া ব্যবহার করা যেতে পারে সুনীল নারিনকে। নারিনের বিরুদ্ধে বিরাট আইপিএলে বিরাট ৩ বার আউট হয়েছেন। এবং ৯৮ বল খেলে ১০১ রান করেন।  ফলে স্বাভাবিক ভাবেই নারাইনকে দিয়ে বিরাট কে আউট করার অস্ত্র হিসেবে লাগাতে পারে। এ ছাড়া বরুন চক্রবর্তীকে কাজে লাগাতে পারে কেকেআর।

ইডেনে আরসিবির রেকর্ড যেমন ভালো তেমনিই মোলায়েম। এখানে বিরাটের দলের সর্বনিন্ম ৪৯ রানের টোটাল আছে। সূত্রের খবর, ইডেনে বিরাট ১১ টি ম্যাচ খেলে ৩৩২ রান করেছে, একটি করে সেঞ্চুরি ও একটি করে অর্ধসেঞ্চুরির রেকর্ড আছে, এবং আইপিএলে ইডেনে বিরাটের স্ট্রাইকরেট ৪১,৫০। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডেনে আইপিএলের সর্বোচ্চ রান ২৩২। এছাড়া ইডেনে দ্বিতীয় ব্যাটিং অর্থাৎ রান তাড়া করে জেতার সংখ্যা ৭৮টি ম্যাচের মধ্যে ৪৭ টি। কেকেআর আইপিএলে ৭৪টি ম্যাচের মধ্যে ৪৫টি ম্যাচ জয়লাভ করেছে, এবং ২৯ টি ম্যাচ হেরে গিয়েছে।

বিরাট ম্যাচের আগে যে কার্যত উন্মাদনা রয়েছে শহর জুড়ে সেটা স্পষ্ট। বুধবার সন্ধ্যাতেই আইপিএলে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলতে কলকাতায় এসেছেন কিং কোহলি। বৃহস্পতিবার ইডেনে ৭.৩০ থেকে এই খেলা শুরু হবে।

one year ago
ODI: ইডেনে দিলীপ ঘোষ, ভারত জিততেই আনন্দে আত্মহারা

প্রসূন গুপ্ত: বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এক বর্ণময় চরিত্র।  একদিকে রাজনীতির দৌড়ঝাঁপ যেমন থাকে আবার এই মানুষটি সকালে একেবারেই অন্য মুডে। প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে দলমত নির্বিশেষে চায়ের আড্ডায় বসে পড়েন এবং সেখানে শুনেছি রাজনীতির বিষয় থাকে কম, আড্ডাই বেশি। দিলীপ ঘোষ খুব সিনেমা প্রেমী নয় কিন্তু কখনও হয়তো দেখেও ফেলতে পারেন কোনও ছবি। দিলীপবাবুর রাজনীতির বাইরে প্রিয় বিষয় খেলাধুলা। এক সময়ে যখন তিনি সংঘ প্রচারক ছিলেন তখন শরীরচর্চা করেছেন, লাঠি খেলা থেকে অন্য খেলাতেও যোগ দিয়েছেন। ফুটবল ক্রিকেট তার প্রিয় খেলা হলেও ভারত অলিম্পিকে গেলে টেনশন নিয়ে সেই খেলাও দেখেন, যদি হাতে সময় থাকে। কিন্তু খেলা দেখাটা তাঁর কাছে অবসর যাপনের অন্যতম বিষয়। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফুটবল গেলো। রাতের খেলাগুলিতো দেখেছেন সময়ে পেলে বিকেলের খেলাও দেখতে কসুর করেননি দিলীপ ঘোষ।

এই প্রতিবেদককে একবার বলেছিলেন, আরে সকলেই তো দেখছি কোনও না কোনও দেশের সমর্থক। আমার ভালো লেগেছে এশিয়ার দলগুলিকে। গোড়া হিন্দুত্ববাদী কি তিনি? দিলীপের কথায় তা বিতর্ক ছড়ালেও খেলার বিষয় নিয়ে একেবারে নিরপেক্ষ। জানিয়েছিলেন, দেখবেন আগামী দিনে ইরান জাপান সৌদি আরবরা ফাইনাল রাউন্ডে খেলবে। এদের খেলাতেই নাকি মুগ্ধ ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

ক্রিকেটেও দিলীপ ঘোষকে ভারতের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায়। তিনি কপিল দেবের ভক্ত। কথায় কথায় বলেন আমি আর কপিল, যখন তখন দুধ খেয়ে হজম করতে পারি।কপিলের মূল শক্তি যে দুধে তা বলতে কসুর করেন না দিলীপ ঘোষ।

এহেন দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার ইডেনে গিয়ছিলেন ভারত আর শ্রীলংকার দ্বিতীয় একদিবসীয় ম্যাচ দেখতে। না মোটেই ক্লাব হাউসের ভিভিআইপি গ্যালারিতে নয় বরং একেবারে আম জনতার মাঝে বসে খেলা উপভোগ করলেন তিনি। ভারতীয় স্পিনার কুলদীপের বোলিংয়ে উচ্ছ্বসিত দিলীপ। কিন্তু পরে ভারত ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারানোতে ভয়ানক নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাহুল আর হার্দিকের খেলায় যেন স্বস্তি পেলেন তিনি। জয়ের স্ট্রোক নিতেই উচ্ছ্বাসে লাফালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাশে বসে থাকা সবাই হয়তো বিজেপি সমর্থক নয়, কেউ বা তৃণমূলের কিংবা বাম সমর্থক। তারাও দিলীপকে প্রায় জড়িয়ে ধরলেন। মাঠে কি আর রাজনীতি থাকে? এখানে সকলেই ভারতকে ভোট দেবে।

one year ago