দমদম জংশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ব্যালাস্টিন ট্র্যাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লকের ঘোষণা পূর্ব রেলের। মাঝেরহাট-বারাসত, হাসনাবাদ-বিবাদি বাগ, বারাসাত-হাসনাবাদ, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, দমদম-ব্যারাকপুর, গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ, ব্যারাকপুর-বিবাদি বাগ সেকশনের কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে। মূলত, পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে যে ট্রেন চলে, সেগুলো বাতিল ঘোষণা পূর্ব রেলের। এছাড়া একটি বনগা-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত যাত্রা করবে, জানালেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।
তিন সপ্তাহের এই ট্রাফিক ব্লকে অসুবিধার মুখে পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা সিপিআরও-র। তবে, বৈশাখের দাবদাহে দীর্ঘ ২১ দিনের এই পাওয়ার ব্লকে অফিস যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
সপ্তাহের শেষে যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হতে পারে শিয়ালদহ শাখার যাত্রীরা। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ শাখায় একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল। ফলে সপ্তাহের শেষে দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন যাত্রীরা। সূত্রের খবর, দমদম স্টেশনে মেন আপ লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সে জন্যই বাতিল থাকবে বেশ কিছু ট্রেন।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাজ চলবে। তাই শনি ও রবিবার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার শিয়ালদহ থেকে তিনটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে। বনগাঁ থেকে বাতিল থাকছে একটি ট্রেন। অন্যদিকে, ডানকুনি থেকেও লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। আবার কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রবিবার শিয়ালদহ থেকে ১২টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, বাতিলের তালিকায় রয়েছে বনগাঁ, দত্তপুকুর, হাবড়া, হাসনাবাদ থেকে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন।
দক্ষিণ-পূর্ব (South Eastern Railway) রেলে যেন ফাঁড়া চলছে। করমণ্ডল (Coromondel Express) দুর্ঘটনার পর এদিকে-ওদিক অনেক ট্রেনই বেলাইন হয়েছে, বা কামরা থেকে ধোঁয়া বেরিয়েছে। এবার বেলাইন হয়ে গেল মেদিনীপুর-হাওড়া (Medinipur Howrah Local) লোকাল। শনিবার রাতের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। গিরি ময়দান ও খড়গপুর স্টেশনের মাঝে কাটিং খোলি এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়। ঘটনার সময় ট্রেনটি মেদিনীপুর থেকে হাওড়া আসছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে বেলাইন হয় লোকাল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত নটার কিছু পরে তাঁরা একটা আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন বেলাইন হয়ে গিয়েছে মেদিনীপুর থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে লোকাল ট্রেন। ভেঙে গিয়েছে পাশের বিদ্যুতের খুঁটি। আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে লাফাতে শুরু করেন। তাতেই অনেকে চোট পান বলে দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে ট্রেন বেলাইন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন খড়গপুরের যাত্রীরা। অভিযোগ, দুর্ঘটনা সম্পর্কে খুব বেশি খবর দেয়নি রেল। করমণ্ডলের দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল, ওই একই শাখায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ২৮৮ জনের। তাঁর ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি রেল কতৃপক্ষ। তাঁর মধ্যে ফের এমন দুর্ঘটনায় রেল কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। শনিবার রাতে কেন এমন দুর্ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখছে রেল আধিকারিকরা।
সপ্তাহের শুরুতে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) শিয়ালদহ ডিভিশনের বারাসত-হাসনাবাদ (Barasat-Hasnabad) শাখায় ট্রেন বন্ধে চরম দুর্ভোগ নিত্য যাত্রীদের। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছিল লেবুতলা স্টেশনে ডাবলিংয়ের কাজ হওয়ার জন্য সোমবার এবং মঙ্গলবার, দুই দিন টানা ৪৭ ঘন্টা ট্রেন বন্ধ থাকবে ওই শাখায়। এবং এই দুর্ভোগের জন্য পূর্বেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায়, স্কুল পড়ুয়াদের চাপ না হলেও নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশ সমস্যার সম্মুখীন হয়। ওই এলাকার এক নিত্যযাত্রী তুহিন মল্লিক জানান, বরাবরই এই শাখার ট্রেনে ভীষণ ভিড় হয়। যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। ডাবলিংয়ের কাজ হওয়াতে ট্রেন সংখ্যা বাড়াতে পারবে রেল, ফলে হয়তো একটু ভিড় কমবে। কিন্তু সোমবার প্রচন্ড দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে অফিস যেতে হচ্ছে।
যেহেতু ওই লাইনে একটিও ট্রেন চলাচল করবে না ফলে, ওই এলাকার যে একমাত্র সড়ক পথ অর্থাৎ টাকি রোড, সেখানেও ভিড় লক্ষ্য করার মতো। অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় রয়েছে টাকি রোডের বিভিন্ন যানবাহন অর্থাৎ বাস অটোতেও, যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বয়স্ক ও মহিলাদেরও।
আজ অর্থাৎ রবিবার রাত বারোটার পর থেকেই, দু'দিন অর্থাৎ ৪৭ ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে শিয়ালদহর (Sealdah) বারাসাত (Barasat)-হাসনাবাদ (Hasnabad) শাখায়। এ ঘোষণা কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। সেইমতো রবিবার রাত বারোটার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ওই শাখায় সমস্ত ট্রেন চলাচল। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল ওই লাইনে ডাবলিংয়ের কাজ হওয়ার জন্য, পরপর দুদিন অর্থাৎ ১৭ই এপ্রিল ও ১৮ই এপ্রিল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। যার জেরে বছরের শুরুতে ওই শাখার নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই দুর্ভোগের জন্য আগেভাগে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'বছরের শুরুতে অর্থাৎ সোমবার, ১৭ এপ্রিল থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে সণ্ডালিয়া এবং লেবুতলা স্টেশনের মাঝে ডাবলিংয়ের কাজ শুরু করবে পূর্ব রেল। ১৭ এপ্রিল, রবিবার রাত ১২টা থেকে শুরু হবে এই ডাবলিংয়ের কাজ। দু’দিন চলবে এই কাজ। অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল রাত থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ এপ্রিল রাত ১২টায়। এই দু’দিন বারাসত-হাসনাবাদ শাখায় কোনও ট্রেন চলাচল করবে না। ১৯ এপ্রিল থেকে ফের ওই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে।'
অবশেষে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ও আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হল। দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে ওই লাইনে কুড়মি সমাজের অবরোধের জেরে প্রায় ৪৫০টি ট্রেন বাতিল করতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অম্বর বোস বলেন, 'অবরোধের জেরে আমাদের ডিভিশনে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। অবরোধ উঠে যাওয়ায় আমরা খুব শীঘ্রই ওই দুই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করেছি।'
রবিবার সকাল থেকে টালবাহানা শুরু হলে, প্রথমে পুরুলিয়া অঞ্চলের অবরোধ তোলে কুড়মিরা। তারপর কুস্তাউর ও খেমাশুলি অঞ্চলে অবরোধ উঠলে রবিবার প্রথম ট্রেন চালানো শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল ১১:৪৫ নাগাদ কুস্তাউর স্টেশনের অবরোধ উঠলেও খেমাশুলি অঞ্চলে অবরোধ চালিয়ে যান কুড়মিরা। বিশাল পুলিস বাহিনী তাদের বোঝালেও তারা অবরোধ তুলতে চান না। এরপর তাঁদের উচ্চ নেতৃত্বের মারফত অবরোধ তোলার নির্দেশ পেলে, ওই দিন অর্থাৎ রবিবারই রাত ৮ টা ১৯ নাগাদ, খেমাশুলিতে অবরোধ উঠে যায়। পাশাপাশি রবিবারই কোটশিলা স্টেশনে বেলা ১২টা ২৫ নাগাদ সময় অবরোধ শুরু করে কুড়মিরা। রাত আটটার সময় কোটশিলা স্টেশনের অবরোধও তুলে নেওয়া হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ৯ এপ্রিল এবং ১০ই এপ্রিল যেসব ট্রেনগুলো বাতিল ছিল, তাদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ও ট্রেন ১০ তারিখ অর্থাৎ সোমবারই চালানো হবে। সোমবার সকাল নটা অবধি রেল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০ তারিখ অর্থাৎ সোমবার পূর্বে বাতিল হওয়া ৪৭ টি ট্রেন চালাবে দক্ষিণ পূর্ব রেল। তাদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে, ওই তালিকায় রয়েছে হাওড়া-পুনে এক্সপ্রেস, আজাদহিন্দ এক্সপ্রেস, হাওড়া-জগদলপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-আমেদাবাদ এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বাই এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া স্পেশাল, টাটানগর-খড়গপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-বোকারো স্টিল এক্সপ্রেস।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) সঙ্গে এবার পূর্ব রেল (Eastern Raiway)। ভোগান্তি হতে পারে সপ্তাহের শেষেই। তাই যাত্রী ভোগান্তি এড়াতে, রেলের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে পরিষ্কার বলা রয়েছে, কোন কোন দিন, কোন কোন ট্রেন বাতিল (Cancel)। এছাড়া কিছু কিছু ট্রেনের রুট ম্যাপ পরিবর্তন করে সেগুলো চালানো হবে।
ফের শিয়ালদহ ডিভিশনে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিলের খবর শোনাল পূর্ব রেল। শনি ও রবিবার শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ ও মেন লাইনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। রেলের ঘোষণা অনুযায়ী, শিয়ালদহ স্টেশন পরিসরে ডাউন মেন লাইনে পয়েন্ট ৬২বি/ ৬৩বি-এর রূপান্তরণের জন্য শনিবার রাত ১০টা বেজে ২০ মিনিট থেকে রবিবার সকাল ৮টা বেজে ২০ মিনিট পর্যন্ত টানা ১০ঘণ্টা ট্রাফিক পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন হবে। এর ফলে ৮ ও ৯ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার রাতের একাধিক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেখে নিন শিয়ালদহ ডিভিশনে কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকবে এবং কোন কোন ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে চালানো হবে:
পাশাপাশি কুড়মি আন্দোলনের জন্য ভোগান্তি জারি আছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ একটি ঘোষণা করে। সেই ঘোষণাতে লেখা আছে, চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে এখনও ২৪৪ ট্রেন বাতিল হয়েছে। আজ, শনিবারও এই লাইনে বন্ধ থাকবে বেশ কিছু ট্রেন। সেগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেন, কিছু মেমু ট্রেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৮ তারিখ মোট প্রায় ৬৯ টি ট্রেন বাতিল আছে। পাশাপাশি ৯ তারিখেরও কিছু ট্রেন বাতিল আছে। ৮ তারিখ কিছু ট্রেনকে আদ্রা থেকে তাদের রূট পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির বাতিলের তালিকায় মুম্বই মেল, ভুবনেশ্বর-পুরী এক্সপ্রেস, দুরন্ত এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
দেখে নিন হাওড়া ডিভিশনে কোন কোন ট্রেন বাতিল থাকবে এবং কোন কোন ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে চালানো হবে:
জোরালো হচ্ছে কুড়মী (Kurmi) আন্দোলন, তার জেরেই শুক্রবারও বাতিল বহু ট্রেন (Train)। পাশাপাশি বাতিল (Cancel) শনিবার ও রবিবারের কিছু ট্রেন ফলে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ও আদ্রা শাখার হাজার হাজার যাত্রীকে। সঙ্গে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে বহু এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রীদের। বুধবার ও বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ৬৬ টি ও ৮৫টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। সেই মত আজ অর্থাৎ শুক্রবারও বাতিল করা হয়েছে ৫৯টি ট্রেন। যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও আছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে এখনও অবধি ২২৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া এখনও ৮ তারিখের ৪ টি ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কতৃপক্ষ। এছাড়া বৃহস্পতিবারের মতো ৮টি ট্রেনের যাত্রাপথ আদ্রা থেকে ঘুরিয়ে সংক্ষিপ্ত করে চালানো হচ্ছে। শুক্রবার বাতিলের তালিকায় রয়েছে, হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর ধানবাদ এক্সপ্রেস, রাচি-বোকারো-স্টিল সিটি হাওড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া বৃহস্পতিবারের মতো, নিউদিল্লি-পুরি, হাওড়া-আজাদহিন্দ, দুরন্ত-মুম্বাই এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। বাতিল কিছু মেমু ট্রেনও।
কুড়মি আন্দোলনের জেরে ব্যাপক ভোগান্তি রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায়। বুধবারের মত বৃহস্পতিবারও কুড়মি সমাজের আন্দোলনে অবরুদ্ধ (Agitation) রাজপথ (National Highway) ও ট্রেন (Train) লাইন। তার জেরেই বৃহস্পতিবার ৮৫ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ওই শাখায়। সূত্রের খবর, বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মোট ৬৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল।
রেল সূত্রে খবর, আদ্রা-চন্ডিল শাখায় কুস্তাউড় স্টেশনে, খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনে কুড়মিদের অবরোধের জেরে, সংশ্লিষ্ট দুই শাখায় বৃহস্পতিবার ট্রেন বাতিলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫টি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি ট্রেনের রুট আদ্রা থেকে পতিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ তারিখ ও ৯ তারিখ অগ্রীম দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ।
যার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও রয়েছে। রয়েছে কিছু মেমু স্পেশাল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের পিআরও অম্বর বসু বলেন, ' বুধবার বাতিল হওয়া সব ট্রেনই বাতিল হয়েছে। বাতিলের তালিকায় আরও কিছু ট্রেন বেড়েছে। ওই বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে ৪৮টি এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। যাদের মধ্যে দুরন্ত এক্সপ্রেস ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেসও রয়েছে।' বুধবার তিনি আরও জানান, 'গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির মধ্যে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস-সহ ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস ও রুট পরিবর্তন করে চালানো হবে।' এছাড়াও বাতিলের তালিকায় রয়েছে বোকারো স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুনে আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুনে দুরন্ত এক্সপ্রেস, ভুগনেশ্বর-নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই মেল। এছাড়া চলতি মাসের ৭ তারিখ আনন্দ বিহার-ভুবনেশ্বর এক্সপ্রেস বাতিল ও ৯ তারিখ যোগ নাগরী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।
বেলানগর স্টেশনে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ২৬ মার্চ অর্থাৎ রবিবার হাওড়া-বর্ধমান (কর্ড শাখায়) সব ট্রেন বাতিল। এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে পূর্ব রেলওয়ে। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও কর্ড শাখায় সব ট্রেন বাতিল, ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। ওই দিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল। জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। অন্যটি ছাড়বে ৯টা ১৫ মিনিটে। তবে সাধারণ লোকাল ট্রেন পরিষেবা শনিবার রাত ১২টার পরেই বন্ধ, পরিষেবা আবার চালু হবে রবিবার রাত ১২টার পর।
জানা গিয়েছে, এই কাজ চলার জন্য রবিবার ধানবাদ কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেস, দুন এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনকে মেন লাইন দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার জন্য হাওড়া-বালি, ডানকুনি-বর্ধমানের মধ্যে মেন লাইনে বেশ কিছু ট্রেন চলবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হলেও অন্য যাত্রীরাও এই ট্রেনগুলিতে চাপতে পারবেন।
ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন উত্তর ভারতের একটা অংশ। প্রবল শৈত্য়প্রবাহ দিল্লি সহ এনসিআর-এ। এই আবহাওয়ার কারণে হাওড়া-শিয়ালদহে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন দেরিতে ঢুকছে। একইভাবে ব্য়াহত বিমান চলাচল। তাই যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক ট্রেনের সময় সারণি বদলেছে পূর্ব রেল। দেখুন কোন কোন ট্রেনের টাইম টেবিলে বদল এসেছে-
ছয়টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির টাইম টেবিল বদলেছে:
• 13005 হাওড়া-অমৃতসর মেল ১৯:১৫টার পরিবর্তে ২১:৫৫ তে হাওড়া ছাড়বে আজ মঙ্গলবার (১০.০১.২০২৩)
• 12321 হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস মুম্বই মেল ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২৩:৩৫টার পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ০০:৩০ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12987 শিয়ালদহ–আজমীর এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২২:৫৫-র পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ০২:৩০টায় শিয়ালদহ ছাড়বে।
• 13009 হাওড়া-যোগ নগরী ঋষিকেশ দুন এক্সপ্রেস ১১.০১.২০২৩(বুধবার) তারিখে ২০:২৫ টায় নির্ধারিত প্রস্থানের পরিবর্তে ২৩:০০ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12311 হাওড়া–কালকা নেতাজি এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩(মঙ্গলবার) তারিখে ২১:৫৫ টায় নির্ধারিত প্রস্থানের পরিবর্তে ২৩:৫৫ টায় হাওড়া ছাড়বে৷
• 12331 হাওড়া-জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস ১০.০১.২০২৩ (মঙ্গলবার) তারিখে ২৩:৫৫টার পরিবর্তে ১১.০১.২০২৩ (বুধবার) তারিখে ০৫:৩০ টায় হাওড়া ছাড়বে।
নোটিশ দিয়ে এমনটাই জানান পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী।
৩ জানুয়ারি হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনায় চিহ্নিত অভিযুক্তরা। ট্রেনের সিসিটিভিতে ধরা ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে এই দাবি করেছে পূর্ব রেল। জানা গিয়েছে, পাথর ছুঁড়বে (Stone Pelting) বলেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্তরা। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে আরপিএফ। বৃহস্পতিবার জানান পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী (CPRO)। এমনকি তাৎপর্যপূর্ণভাবে পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ৩ জানুয়ারি বন্দে ভারতে পাথর বাংলা নয়, বরং বিহার থেকে ছোড়া হয়েছে। আলুয়াবাড়ি পেরিয়ে কাটিহার ডিভিশনের মানগুরজান এলাকা দিয়ে ট্রেনটি যাওয়ার সময় এই পাথর ছোড়ার ঘটনা।
এদিন প্রেস রিলিজের মাধ্যমে পূর্ব রেল জানিয়েছে, রেল যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সদা প্রস্তুত। যাত্রাপথে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে আরপিএফ। তাঁদের সাহায্য করছে রাজ্য পুলিস এবং জিআরপি। ইতিমধ্যে বন্দে ভারত ট্রেনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাথর কারা ছুড়েছিল চিহ্নিত করতে পেরেছে আরপিএফ। তাঁদের পরচিয় জানতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে রাজ্য পুলিস এবং রেল পুলিসকেও আবেদন জানানো হয়েছে।
ভারতীয় রেল এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং নিরীহ যাত্রীদের শারীরিক নিগ্রহের নিন্দা জানায়। এই ধরনে কুকর্ম রুখতে আরপিএফ তৎপর হয়েছে।