বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। গুরুতর ভাবে আহত আরও ১ ছাত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে খণ্ডঘোষ থানার মেটেডাঙ্গা এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম সেখ সামিম আক্তার (১৪) ও আহত ছাত্রীর নাম নাজিরা পারভীন। তারা খন্ডঘোষের মেটেডাঙ্গা জুনিয়ার হাইস্কুলের পড়ুয়া। দু'জন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই বোন বলে জানা গিয়েছে। সামিম আক্তার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও নাজিরা পারভিন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের বাড়ি খণ্ডঘোষের মেটেডাঙ্গা এলাকায়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হেঁটে স্কুল যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সামিম আক্তার ও নাজিরা পারভিন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মেটেডাঙ্গা এলাকায় একটি বেপরোয়া চারচাকা গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরে পালানোর সময় কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। আহত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। হাসপাতালে নিয়ে এলে সামিম আক্তারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন নাজিরা পারভিন।
দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত এলাকাবাসীরা স্পিড ব্রেকার ও সিভিক ভলান্টিয়ার পোস্টিং-এর দাবিতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বর্ধমান-বাঁকুড়া রোড অবরোধ করে। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা।
বীরভূমের সাঁইথিয়ার (Saithia Incident) গ্রামে যখন তৃণমূলে 'গোষ্ঠী কোন্দলে' এলাকা ছাড়া পুরুষেরা। বোমাবাজির জেরে গুরুতর জখম দুই। তখন পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) আউসগ্রামের দক্ষিণ মাঠপাড়া থেকে উদ্ধার ১২টি তাজা বোমা (Bomb Recover)। জারকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার, বম্ব স্কোয়াড এসে নিষ্ক্রিয় করে বোমাগুলো। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে একটি বোমা ফাটার আওয়াজ হয়। পুলিস সেই বোমাবাজির তদন্তে নেমে সৌমিত্র বাগদি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সেচ খালের ধারে জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছে।
সোমবার থেকে পুলিস পাহারায় বোমাগুলো থাকার পর মঙ্গলবার সিআইডি-র বোম ডিসপোজাল টিম এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম জঙ্গল লাগোয়া দক্ষিণ মাঠপাড়া গ্রাম হঠাৎই বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। আউসগ্রাম থানায় খবর গেলে এলাকায় আসে পুলিস। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিস ওই গ্রাম থেকে আটক করে সৌমিত্র বাগদী নামে এক ব্যক্তিকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জারিকেন ভর্তি বোমার সন্ধান পায় পুলিস।
এরপরেই বোমা মজুত রাখার অভিযোগে সৌমিত্র বাগদীকে গ্রেপ্তার করেছে আউসগ্রাম থানার পুলিস। এরপর খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুরে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। সোমবার সকাল থেকেই আউসগ্রাম থানার পুলিশ ঘিরে রেখেছিল এলাকা, পাহারায় ছিল পুলিসও। স্বাভাবিকভাবেই বোমাবাজি এবং বোমা উদ্ধারকে ঘিরে আতঙ্কে এলাকাবাসী।
জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার ঘিরে যখন আউসগ্রামে আতঙ্ক, তখন জগদ্দল আটচালা বাগান রোডে নাকা চেকিং চলাকালীন পুলিসের হাতে উদ্ধার দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং তিনটি কার্তুজ। সোমবার রাতে পুলিসি তল্লাশি চলাকালীন একটি লাল স্কুটিতে পাকড়াও করে জগদ্দল থানা। ওই দু'চাকার দুই সওয়ারি ঋত্বিক রবি দাস এবং প্রেম মাহাতো নামে দু'জন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশিতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং তিনটি কার্তুজ জগদ্দল থানার পুলিস বাজেয়াপ্ত করে। পুলিস সূত্রে খবর, এই আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ কাউকে সরবারহ করতে যাচ্ছিল ধৃতরা। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন এবং আইপিসির ১২০-বি ধারায় মামলা রাজু করে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছিল।
অপরদিকে, বর্ধমানে পুলিসের জালে এক আগ্নেয়াস্ত্র কারবারী। গুলি-সহ উদ্ধার একটি পাইপগান। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে পুলিসের জালে অস্ত্র কারবারী। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অসমের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। উদ্ধার ১টি পাইপ গান-সহ একটি কার্তুজ। ধৃত ব্যক্তির অসমের বাসিন্দা, নাম আলী হোসেন।
মঙ্গলবার পুলিসি হেফাজত চেয়ে ধৃত আলী হোসেনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিস। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গুডসেড রোড এলাকায় পুলিস হানা দিয়েছিল। সেই সময় বর্ধমান স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে গুডসেড রোড ধরে আলী হোসেন আসছিলেন, এরপরই পুলিসি তল্লাশিতে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পাইপ গান সহ একটি কার্তুজ।
কুমিরের (crocodile) আতঙ্কে এখন পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলা প্রশাসন। দেবীপক্ষের সূচনা মহালয়ার (mahalaya) তর্পণে মানুষের ঢল নামে পূর্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) ধাত্রীগ্রামের মালতিপুর ঘাটে। কিন্তু সেখানে জল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে সতর্ক করছে বনদফতরের কর্মীরা। সঙ্গেই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের (Swapan Debnath) হাতজোড় করে অনুরোধ, জলে যাতে কেউ না নামেন।
মাস কয়েক হল ভাগীরথীর মালতীপুর ঘাটে মানুষ দুটি কুমিরের দেখা পেয়েছিল। এরপর বনদফতরকে জানানো হলে কয়েক মাস ধরে পাহারার ব্যবস্থা করে বনদফতর। এখনও পর্যন্ত কুমির দুটিকে ধরা যায়নি বলে চিন্তার ভাঁজ বনদফতরের। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে মালতিপুর ঘাটে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাইকিং করে সচেতন করা। তর্পন করতে জলে কেউ যাতে না নামেন।
তবে রবিবার সকাল থেকে এত মানুষ তাঁদেরকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বনদফতর ও নাদন ঘাট থানার পুলিস। সেই কারণেই জল বোমা ফাটানো হয় জলে, যাতে কুমির দূরে সরে যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদফতরের প্রধান নিশা গোস্বামী দাঁড়িয়ে থেকে গোটা ঘটনার তদারকি যেমন করছেন, তেমনই রাজ্যের মন্ত্রী ও এলাকার বিধায়ক স্বপন দেবনাথ হাত জোড় করে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে অনুরোধ জানান, "জলে নামবেন না। জলে কুমির আছে।"
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও ভাগীরথীদের তর্পনের জন্য তাঁরা জলে নামাতে চিন্তায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বনদফতর ও প্রশাসন।