
ইউক্রেন (Ukraine Conflict) ফেরত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM writes to PM)। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের অনুমোদন পেতে প্রধানমন্ত্রীর (narendra modi) হস্তক্ষেপের আর্জি জানান মমতা। সর্বভারতীয় এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেভাবে অন্য রাজ্যে পদক্ষেপ করেছে, একইভাবে বাংলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি চিঠিতে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee।
তিনি লিখেছেন, 'এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩৯১ জন মেডিক্যাল পড়ুয়া ফিরে এসেছেন। তাঁরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রচণ্ড মানসিক উদ্বেগে রয়েছেন।' এর আগে যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেনে যখন আটকে ছিল দেশের পড়ুয়ারা, তখনও চিঠি লিখে দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য সওয়াল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'ইউক্রেন ফেরত রাজ্যের পড়ুয়াদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে চায় তাঁর সরকার। দিতে চায় নিয়মমাফিক ভাতাও। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের অনুমোদন।' ঠিক সেই অনুমোদন পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে।
এদিকে, ইউক্রেন ফেরত ৩৯১ জন পড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এই বিশেষ বৈঠক হয়েছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে ৩৯১ জন পড়ুয়া রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের পাশে রাজ্য সরকার। বুধবার এই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দফতরের বিশেষ সচিব পিবি সেলিমকে পড়ুয়াদের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সব ব্যবস্থা করতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু পড়ুয়াদের এখানে পড়ার ব্যবস্থা করা হবে।'
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী:
পড়ুয়াদের মিলবে ভাতা
কম খরচে পড়ার ব্যবস্থা
মেডিক্যাল ইন্টার্নদের জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা
স্কলারশিপের অর্ধেক টাকা দেবে রাজ্য
চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বছরের পড়ুয়াদের এখানে ইন্টার্ন হিসাবে
কাজ করার জন্য মেডিকেল কাউন্সিলকে চিঠি
যারা প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তাদের
অনলাইন পড়াশোনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে
ফার্স্ট ইয়ার পড়ুয়াদের জন্য নতুন করে ভর্তির ব্যবস্থা
দ্বিতীয়-তৃতীয় বছরের পড়ুয়াদের মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া অনুমতি
দিলে প্রাইভেট কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা
প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ গুলিকে অনুরোধ রাজ্যের কোটার এক তৃতীয়াংশ আসনে সরকারি রেটে ভর্তি নিতে হবে পড়ুয়াদের।
এটাকে যুদ্ধকালীন স্পেশাল কেস হিসেবে দেখতে হবে
সরকার থেকে স্কলারশিপ করে দেওয়া হবে। আপনারা সিএসআরএ দেখুন
তাহলে টাকা লাগবে না
ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে পারেন। এছাড়াও একাধিক সুযোগ-সুবিধার কথাও ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ছয় বছর ধরে মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছেন না বলে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন দেখা করতে চেয়ে বিধানসভার বাইরে ইডেন গার্ডেনের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। সময় গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পরিস্থিতি। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শুরু হয় পুলিসের ধস্তাধস্তি। ধরপাকড় শুরু করে পুলিস। মহিলা থেকে পুলিস সকলকেই আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অনশন মঞ্চে কথা দিয়েছিলেন মেধা তালিকায় থাকা সকলকে চাকরি দেবেন। কেউ বঞ্চিত হবেন না। এমনকি আইন পরিবর্তনের কথাও বলেছিলেন। এদিকে প্রতিশ্রুতি তা প্রতিশ্রুতি হয়েই রয়ে গিয়েছে।
পুলিসের বাধার মুখে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগ করারও দাবি জানান।
ইউক্রেন (Ukraine) ফেরত ৩৯১ জন পড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এই বিশেষ বৈঠক হয়েছে। অনেক বাধা অতিক্রম করে ৩৯১ জন পড়ুয়া রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের পাশে রাজ্য সরকার। বুধবার এই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দফতরের বিশেষ সচিব পিবি সেলিমকে পড়ুয়াদের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সব ব্যবস্থা করতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু পড়ুয়াদের এখানে পড়ার ব্যবস্থা করা হবে।'
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী:
ছররা গুলিতে এক ব্যক্তি জখম হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরে।; ইসলামপুর থানার বদিরামগঞ্জ এলাকার এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে আহত ব্যাক্তির নাম শুক্রু মহম্মদ। তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি চলেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই ঘটনার তদন্তে ইসলামপুর থানার পুলিশ (Islampur firing)।
জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ শুক্র মহম্মদ তৃণমূল কর্মী। তাই ঝালদা এবং পানিহাটির পর ইসলামপুরের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।
শুক্র মহম্মদ জানিয়েছেন, রাতে খাওয়ার পর এক আত্মীয়কে এগিয়ে দিতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন বাড়ির সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে ছড়রা গুলি চালায় দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার করে শুক্রকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
তবে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে ধন্ধ। শুক্রের পরিবার দাবি করেন, আহত ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়। কিন্তু শুক্রু মহম্মদের দাবি, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। যদিও এই গুলি চালনার ঘটনার খবর পেয়ে আহতকে দেখতে ইসলামপুর হাসপাতালে আসেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁরাও শুক্রুকে তাঁদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছেন। পরে আহতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
কী বলেছেন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি:
কী বলেছে পরিবার:
জেলা বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, 'নির্বাচনের পর থেকেই ইসলামপুরে এই ধরনের ঘটনা লাগাতার ঘটে আসছে। এটা তৃণমুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।' তবে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার মন্তব্য, 'যিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি আমাদের কর্মী, যারা গুলি চালিয়েছে, তাঁরা কারা এখন জানি না।'
শুনুন তৃণমূলের বক্তব্য:
ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia invades Ukraine) যুদ্ধের ২০ দিনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ১,১৪৩ জন জখম হয়ে ইউক্রেনের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৪৮ জন শিশুও রয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের (United Nation) সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
যদিও রাষ্ট্র সংঘের দাবি, এখনও অনেক জায়গা অবরুদ্ধ। তাই মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খারকিভের ইজিয়াম থেকে মারিউপোল কিংবা ভলনোভাখার মতো শহরে এখনও উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারেনি রাষ্ট্র সংঘ এবং স্বীকৃত সংস্থাগুলো।
এদিকে, রুশ ফৌজের মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ এবং মিসাইল হানায় কিয়েভে জারি কার্ফু। মঙ্গলবার বিকেলে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকোর অভিযোগ, 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হাসপাতাল, স্কুল, দোকান-বাজারে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে রুশ যুদ্ধবিমান। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ নিরীহদের উপর। এই পরিস্থিতিতে প্রাণহানি এড়াতেই আগামী ৩৬ ঘণ্টার জন্য কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ইউক্রেনীয় উদ্বাস্তু হয়েছেন। প্রায় ৬০% মানুষ আশ্রয় নিয়েছে পোল্যান্ডে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা (Law and Order) পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক (Nabanna Meeting) করলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা। ছিলেন সিআইডি এবং আইবির আধিকারিকরা। দুই কাউন্সিলর খুনের (Councillors murder) পর রাজ্যেব্যাপী শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখাই বৈঠকের আলোচ্যসূচি ছিল। পানিহাটি ও ঝালদার দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর।
প্রসঙ্গত,আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম জড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিং দিয়ে তাঁদের পুরোদমে পুলিসের কাজে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। মঙ্গলবার নবান্নে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই নির্দেশিকা দেন এইচ কে দ্বিবেদি।
এমনকি রাজ্যের ১০৮টি পুরবোর্ড গঠনে যাতে কোনওপ্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। ত্রিশঙ্কু থাকা পুরবোর্ডগুলো নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার হোলির দিলও প্রশাসন যাতে সজাগ থাকে, তার জন্য নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
হোলি উৎসবকে ঘিরে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসনকে সজাগ এবং সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সোমবারও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে একপ্রস্থ বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব।
১৬.০৩.২২
রাশি- সিংহ
নক্ষত্র- মঘা অধিপতি কেতু
গণ- দেবারী
শুভসংখ্যা-৭
---------
মেষ-
সম্পত্তি নিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে ঝামেলা বাড়বে। পদোন্নতি হতে গিয়েও আটকে যাবে। সাংসারিক অস্থিরতা।
বৃষ-
সম্পত্তি ঝামেলায় আইন-আদালত নয়। কর্মক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হন। পুলিসি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
মিথুন-
দাম্পত্য কলহ চরম আকার নিতে পারে। মাথা গরম করলে পদোন্নতি আটকে যাবে।
কর্কট-
স্বামী-স্ত্রী যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিন। নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে গেলে বিপদ বাড়বে।
সিংহ-
জমি-বাড়ি নিয়ে কারবারীদের শুভ সময়। কৃষিকরা ফসলের গ্রহণ যোগ্য মূল্য পাবেন।
কন্যা-
সন্তানের বেয়াড়াপনায় উদ্বিগ্নতা বাড়বে। ভ্রাতৃবিরোধে গৃহস্থান বদলের পরিকল্পনা
তুলা-
গৃহ পরিবেশ আপনার মনের মতো হবে না। ঝুট ঝামেলা, কুটকাচালী থেকে বিরত থাকুন।
বৃশ্চিক-
নতুন কর্মের সন্ধান বা বিকল্প কর্ম সংস্থানে প্রসন্নতা লাভ। আইনি দিক দেখে যোগদান করুন।
ধুন-
কর্কশ ভাষা পরিহার করুন। আর্থিকভাবে শুভ। একাধিক উপায়ে আয় বাড়বে।
মকর-
আপনার ভাবনা, অন্যের ভাবনার সঙ্গে অমিল হবে। সব দায়িত্বভার নিতে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা।
কুম্ভ-
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হবে। অহংকার পরিত্যাগ না করলে একাকীত্বে ভুগবেন।
মীন-
দীর্ঘদিনের আটকে থাকা জমি সংক্রান্ত মামলার ফল আপনার পক্ষে যাবে। বাসস্থান ক্রয়ে অর্থ সংস্থান।
ক্ষেপণাস্ত্র-কাণ্ডে(Missile Fired) সংসদে বিবৃতি দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সম্প্রতি ভুল করে ভারতের এক মিসাইল পাকিস্তানে (Pakistan) আছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। যদিও পাকিস্তানের দাবি, পড়শি দেশের ১২৪ কিমি অভ্যন্তরে গিয়ে পড়েছিল সেই ক্ষেপণাস্ত্র। এবার সংসদকে সেবিষয়ে অবগত করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে বিবৃতিতে জানিয়েছিল ভারত সরকার। পাশাপাশি রাজনাথ সিং বলেছেন, 'এই দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত গুরত্ব দিয়ে বিচার করছে কেন্দ্র। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি মন্ত্রকের তরফে দুর্ঘটনার পর পর্যালোচনা করতে ক্ষেপণাস্ত্রের অপারেশন, ইনস্পেকশন খতিয়ে দেখা হয়েছে।'
এদিকে, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব। মঙ্গলবার রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এই বাজেটে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ১.১২ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, জনস্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বাজেট।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল। সোমবার সন্ধ্য়ায় স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫। এর আগে আক্রান্তের সংখ্যা একদিন ৫০ এর ঘরে নেমে এসেছিল। কিন্তু তারপরই তা বাড়তে থাকে। চলতে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ওঠানামা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ এর নিচে এতটা কমে আসা নিঃসন্দেহে স্বস্তির বিষয়।
যদিও একটি বিষয় এখনও স্থিতাবস্থায় আসছে না, তা হল, মৃত্য়ু। আক্রান্তের সংখ্যা এতখানি কমে এলেও এদিনও মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ১৮৮ জনের। এদিন পজিটিভিটি রেট অবশ্য কমে হয়েছে ০.২৯ শতাংশ।
সোমবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৬৫ জন। এর মধ্যে ১২৭৫ জন আছেন হোম আইসোলেশনে, হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯০ জন। সোমবারের হিসাবে একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৮৮ শতাংশ।
সব মিলিয়ে পরিসংখ্যান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, রাজ্য স্বাভাবিকতার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এই সময়েই দরকার একটু সচেতনতা।
শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বড়ফাটামাড়ি এলাকায় ৩৮৪ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে নিম্নমানের মিড-ডে-মিল দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিদিন ছোট ছোট শিশুদের পোকা ধরা চালের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। এর আগে বহুবার সেন্টারের দিদিমণিকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ ফের যখন নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছিল, সেই সময় অভিভাবকরা আইসিডিএস সেন্টারের দিদিমণিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান।
অভিভাবকরা জানান, শুধু পোকা ধরা চাল নয়, করোনার কারণে স্কুল যখন বন্ধ ছিল, সেই সময় মিড-ডে-মিল নিতে এলে অনেক অভিভাবককে খালি হাতে ফিরে যেতে হত।
অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করেন, আইসিডিএস সেন্টারের দিদিমণি ঠিকমতো না আসার ফলে ছোট ছোট শিশুদের পড়াশোনা করানো হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরা আইসিডিএস সেন্টারে এসে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর দিদিমণি না আসায় পুনরায় তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এইভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? তাঁদের এখন দাবি, শিশুদের ভালো খাবার দিতে হবে এবং আইসিডিএস সেন্টারে সময়মতো এসে পঠন-পাঠনের সুব্যবস্থা করতে হবে। যদি এই ব্যবস্থা না হয়, তাহলে তাঁরা পুনরায় বিক্ষোভ দেখাবেন এবং আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন।
আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা প্রমিলা রায় বলেন, সুপারভাইজারের নির্দেশ অনুসারে আমি খাবার দিয়ে থাকি। অফিস থেকে ডিমের খরচ বাবদ ৫ টাকা দিয়ে থাকে, কিন্তু ডিম কিনতে গেলে ৭ টাকা করে দিতে হয়। তাই প্রত্যেক দিন বাচ্চাদের ডিম খাওয়ানো সম্ভব নয়।
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার জানান, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি আইসিডিএস সেন্টারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে থাকে, তাহলে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকায় ভালো ছেলে বলে পরিচিত। এরকম যে করবে, তা ভাবনারও অতীত ছিল। কিন্ত কেন? প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে কাছ থেকে শুটআউটের ঘটনার মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিত ওরফে শম্ভু। তার বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটার মোল্লাবেলিয়ায়।
বাড়িতে দুই দিদি থাকে। দিদিরা জানান, ভালো গানবাজনা করত ভাই। ভাই কী করে এরকম হয়ে গেল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। সব সময় বাড়িতে না থাকলেও দু-তিন মাস অন্তর বাড়িতে আসত বলে জানান অমিতের এক দিদি। জানা গেছে, অমিত পেশায় গাড়িচালক। পিতা প্রয়াত গৌড় পণ্ডিত। মা তরুলতা পণ্ডিত। আপাতত দোচালা টিনের ঘরে দুই বোন বাস করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস তিনেক আগে অমিত পণ্ডিতের বন্ধু বৈকারার বাসিন্দা জিয়ারুল মণ্ডলকে সামান্য বচসার জেরেই গুলি করেছিল অমিত, এমনটাই অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অমিত ভালো ছেলে বলেই এলাকাবাসী জানত। কিন্তু পরপর এরকম দুটি ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁরা জানিয়েছেন, অমিতকে এই এলাকায় আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। অমিতের শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী। আগের অমিত ও এখনকার অমিতের মধ্যে কোনও মিল নেই, বলছেন এলাকাবাসী।
এখন পানিহাটির কাউন্সলর খুনের ঘটনায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা বলবে সময়।
বেজিকাণ্ডে জেরার মুখে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ( Actor Srabanti Chaterjee)। সোমবার ফের অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তলব করে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। সেখানেই সকালে হাজিরা দিতে আসেন তিনি।
উল্লেখ্য, শ্রাবন্তীকে জেরা থেকে উঠে এসেছিল, ছবিতে যে বেজিটি দেখা গিয়েছে, তা প্রোডাকশনের একজন গাড়ি চালকের। বয়ান অনুযায়ী, সেই চালককে গ্রেফতার করেছিল ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেজিটিকেও। গাড়ির চালকের নাম ভরত হাতি। বাড়ি নেপালগঞ্জে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বেজি।
জানা গিয়েছে, এই চালকই বেজিটি শুটিং স্পটে নিয়ে যায়। সেখানেই শ্রাবন্তী সেলফি তোলেন শিকল বাঁধা বেজির সাথে এবং ১৫ই জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, গোলাপি রঙের চুড়িদার, সিঁথিতে সিঁদুর আর দুই হাতে ধরে রয়েছেন একটি ছোট্ট বেজি। সেই বেজি ছানার গলায় পরানো রয়েছে শিকল। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল 'ছোট্ট বন্ধু'। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছিলেন,'পশুপ্রেম' ও কিউটিপাই'। ছবি পোস্ট করতেই বিপাকে পড়েন শ্রাবন্তী।
পশুপ্রেমীরা অনেকেই 'ভুয়ো পশুপ্রেম' বলে উল্লেখ করেন। আবার কেউ কেউ প্রাণীটির উপর অত্যাচার করছেন বলে কমেন্ট করেন। এরপরই অভিযোগ করতে শুরু করেন অনেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নোটিস পাঠানো হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, হাজিরার দিন ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোলের দফতরে না গিয়ে প্রথমে অরণ্য ভবনে উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কাছে আসেন। তবে পরে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল-এর অফিসেও যান।
সোমবার ফের অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেজি মামলার তদন্তে অগ্রগতি আনতে চায় ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল, এমনটাই সূত্রের খবর। সেই কারণেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।
পানিহাটি পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শুটার শম্ভু পণ্ডিতকে গ্রেফতার করল পুলিস। আগরপাড়া রোডের জঙ্গল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তাকে ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তুলে দেওয়া হয় খড়দহ থানার পুলিসের হাতে। এই ঘটনায় টুইটে শোকপ্রকাশ করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি লেখেন, পানিহাটি পুরসভার পুর-প্রতিনিধি তৃণমূল পরিবারের অনুপম দত্তের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। এইভাবে খুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তৃণমূল শক্তিকে ক্ষয় করা যায় না, যাবে না। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, এই শম্ভু পণ্ডিতকেই কাউন্সিলরের খুনে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত শুটার দুষ্কৃতী শম্ভু পন্ডিতের বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটা এলাকায়। শম্ভু পণ্ডিতকে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সঙ্গে থাকা আরও অন্যান্য সঙ্গীদের খোঁজ চালাচ্ছে। গতকাল রাতে ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পাশের হোগলা বনে লুকিয়ে ছিল দুষ্কৃতী মূল অভিযুক্ত শম্ভু পণ্ডিত। এরপরই এলাকার মানুষজন দুষ্কৃতীকে ধরার জন্য হোগলা বনে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে ভয়ে আতঙ্কে হোগলা বন থেকে বেরিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে মূল অভিযুক্ত শুটারকে। তারপর ঘটনাস্থলে তাকে মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, ভর সন্ধ্যায় ওষুধের দোকান থেকে বেরিয়েছিলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। স্থানীয়দের দাবি, অটো থেকে নেমেছিল দুই দুষ্কৃতী। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে তারা মাথায় গুলি চালায়। গুলি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি বলেই দাবি। ভর সন্ধ্যায় তাঁর খুন হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন ঘটনার কথা জানাজানি হতেই একাধিক তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আগরপাড়ায় রাস্তা অবরোধও করা হয়।
ওষুধ কিনতে বেরিয়ে পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত গুলিবিদ্ধ। বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাইকে করে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই গুলি করা হয়। আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডে ঘটনাটি ঘটে। মাথার পিছনে একটি গুলি লাগে। দোষীদের শাস্তির দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়, শুরু হয় পথ অবরোধ।
অন্যদিকে ঝালদা পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার সান্ধ্য়ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপরই দুজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গুলি তাঁর মাথায় লাগে। তড়িঘড়ি তাঁকে ঝালদা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখনেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঝালদা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সালদহ নদীর কাছে প্রতিদিনই সান্ধ্যভ্রমণে যান তিনি। এদিনও সেই সময়ই দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটে।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাত জানিয়েছেন, তাঁরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন, কারা এই ঘটনা ঘটাল।
অন্যদিকে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।
কে বা কারা তাঁকে গুলি করেছে, কেনইবা গুলি করেছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সাড়ে চার বছরের শিশুসন্তানের গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগর নিরঞ্জন সেন পল্লিতে। আক্রান্ত শিশুটি ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তবে এই ধরনের দুঃসাহসিক ঘটনা এর আগেও অভিযুক্ত ঘটিয়েছে বলেই অভিযোগ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার ১ টা নাগাদ বাড়ির কুয়োতলায় খেলা করছিল শিশুটি। অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক বিপ্লব দত্ত ওরফে মনকা দোতলার ছাদ থেকে গরম জল কিংবা অ্যাসিড জাতীয় কিছু ছুঁড়ে মারে ওই শিশুটিকে। পাশাপাশি শিশুর মা টুম্পা সরকারকেও বাঁশ দিয়ে হাতে মারে বিপ্লবের মা অনিমা দেবী। তবে এই ঘটনা এই প্রথম নয়, মাস তিনেক আগে টুম্পাদেবীর গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেয় বিপ্লব। এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন জেলেও ছিল অভিযুক্ত। কিন্তু ফের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত জনতা বিপ্লবকে স্থানীয় ক্লাবে আটকে রাখে। অভিযুক্ত যুবক ও তার মায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবার সহ স্থানীয়রা।