
মর্মান্তিক! বিয়ের (Wedding) রাতে বাসর ঘরেই মৃত্যু নব বর-বধূর। পরে একই চিতায় দাহ করা হল তাঁদের মৃতদেহের। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বারাইচ জেলার। জানা গিয়েছে, বিয়ে বেশ ধুমধাম করেই বিভিন্ন রীতি-নীতি মেনেই করা হয়েছে। এরপর বিয়ের পরের দিন তাঁদের বাসর ঘর থেকে বের করা হয় মৃতদেহ। তবে তাঁদের মৃত্যুর কারণ কী, তা পরে ময়নাতদন্তের (Post-mortem) পর বেরিয়ে আসে।
সূত্রের খবর, ২২ বছর বয়সী বরের নাম প্রতাপ যাদব ও ২০ বছর বয়সী বউয়ের নাম পুষ্পা। ৩০ মে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর তাঁদের বিয়ে শেষে বর-বউকে এক ঘরে পাঠানো হয়। এরপর দিনই সেই ঘর থেকেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিস। তাঁরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁদের দু'জনেরই মৃত্যুর কারণ হল হার্ট অ্যাটাক।
বারাইচ জেলার এসপি প্রশান্ত বর্মা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসেছে যে, পুষ্পা ও প্রতাপের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকের ফলেই হয়েছে। এরপর পুরো গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে তাঁদের দেহ একসঙ্গে একই চিতায় দাহ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
একদিকে যখন কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করেছে ইডি (ED)। ৮ই জুন কলকাতার ইডির দফতরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘটককে তলব ইডির। ১৯শে জুন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছে ইডি। পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল হাতে সময় রেখে তাকে তলব করতে হবে। সেজন্যই উনিশে জুন রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এর পূর্বেও ২ বার আইন মন্ত্রীকে কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। যদিও তিনি হাজির হন নি।
৮ই জুন রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব ইডির (ED)। আজ অর্থাৎ সোমবার সকালেই কলকাতা বিমানবন্দর মারফত দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অভিবাসন দফতর তাঁকে আটকে দেয়। কারণ হিসেবে জানা যায় একটি পুরনো মামলায় লুকআউট নোটিশ ছিল অভিষেক পত্নীর নামে। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়য়ের স্ত্রীকে তলব ইডির। সোমবারই এ বিষয়ে অভিষেক পত্নী রুজিরাকে নোটিশ করে ইডি।
এরপর কলকাতা বিমানবন্দরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইডির তরফে রুজিরাকে হাজিরা নির্দেশ।
ফের বিনোদন জগতে শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা গুফি পেন্টাল (Gufi Paintal)। তাঁকে মূলত 'শকুনি মামা' (Shakuni Mama) হিসাবেই সবাই চেনেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বেশ কয়েকদিন থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এরপর ৩১ মে তাঁকে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। সেখানেই আজ, ৫ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'মহাভারত'-এ (Mahabharat) শকুনি মামা-র চরিত্রে অভিয় করেছিলেন তিনি। আর সেই চরিত্রের জন্যই তিনি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
গুফি পেন্টালের পুত্র হ্যারি পেন্টাল তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ৫ জুন সকাল ৯ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, 'অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবা শ্রী গুফি পেন্টাল আর এই দুনিয়ায় নেই। পরিবারের মাঝে শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।'
বর্ষীয়ান অভিনেতা গুফি পেন্টাল ছোট পর্দায় কাজ করা ছাড়াও একাধিক সিনেমাতেও কাজ করেছেন। ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী অভিনীত 'দিল্লগি'-ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। 'রাফু চক্কর', 'ময়দান-ই-জং', 'দেশ পরদেশ', 'সুহাগ' এবং 'সম্রাট অ্যান্ড কোং'-র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন গুফি। তবে ছোটপর্দায় অনেক বেশি উজ্জ্বল অভিনেতা। বিআর চোপড়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'মহাভারত'-এর 'শকুনি মামা'-র চরিত্র দাগ কেটেছিল প্রত্যেকের মনে। তাঁকে শেষবারের মতো টিভি ধারাবাহিক 'জয় কানহাইয়া লাল কি'-তে দেখা গিয়েছিল।
একদিকে বলিউডের(Bollywood) বাদশা অমিতাভ বচ্চনের নাতনী নব্যা (Navya Naveli Nanda) অন্যদিকে বলিউড অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী (Siddhant Chaturvedi)। দু'জনেই বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন তাঁরা নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে বেশ সক্রিয় তাঁরা। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনেও যে তাঁদের রসায়ন কিছুটা এগিয়েছে, সেই প্রমাণ পাওয়া গেল এবার। যুগলকে একসঙ্গে দেখা গেল বিমানবন্দরে।
রবিবার অভিনেতা সিদ্ধান্ত এবং বিজনেসওমেন নভ্যাকে দেখা গেল একসঙ্গে। সম্ভবত ছুটি কাটিয়ে ফিরছিলেন নিজের শহরে। দু'জনকেই চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছে। সাদা টিশার্টে টুইনিং করেছিলেন দু'জনে। অন্দরের জল্পনা প্রায় এক মাস হল তাঁদের সম্পর্কের। কেবল সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রেমের ঘোষণা করেননি। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
এক পার্টিতে সিদ্ধান্তের অভিভাবকের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল নভ্যাকে। অন্যদিকে নভ্যার মা শ্বেতা বচ্চনের আয়োজিত পার্টিতে দেখা গিয়েছিল সিদ্ধান্তকে। নেট দুনিয়ায় কৌতূহল, তাহলে কী তাঁদের সম্পর্ক এবার পরিবার পর্যন্ত গিয়েছে! খোদ অমিতাভ বচ্চনের নাতনী হয়েও নভ্যার অভিনয়ে আগ্রহ নেই। বরং তিনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে চান। অন্যদিকে সিদ্ধান্ত অভিনয় জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইতে সামিল হয়েছেন।
পেঁপে (Papaya) এমন একটি ফল যা শুধু সুস্বাদুই নয়, খুব স্বাস্থ্যকরও বটে। আপনারা প্রায় প্রত্যেকেই জানেন যে, পেঁপে খাওয়া শুধু আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, আপনার ত্বকের জন্যও উপকারী। কিন্তু আপনাদের ভুল এটাই যে, পেঁপে কাটার পরে পেঁপের বীজ (Papaya Seeds) ফেলে দেন আপনারা। আর এর কারণ হল, আপনাদের কাছে পেঁপের বীজের উপকারিতার কথা অজানা। তবে এবারে এর গুণাগুণ জানতে পেরে আপনারা চমকে যাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপের বীজ খুব সহজে হজম হয় এবং এর অনেক গুণ আছে, যা একাধিক রোগ নিরাময়ে কার্যকরী।
ওজন কমাতে উপকারী: পেঁপের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আপনার শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে বাধা দেয়। এটি স্থূলতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি: পেঁপের বীজে কার্পাইন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা আপনার অন্ত্রের কৃমি এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে, কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ায় এবং আপনার পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: ফাইবার সারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে পেঁপের বীজ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। এগুলিতে ওলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: পেঁপের বীজে রয়েছে পলিফেনল, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমায়: যাঁরা প্রতি মাসে পিরিয়ডসের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁদের জন্যও পেঁপের বীজ খুব উপকারী।
প্রদাহ কমায়: সাধারণত পেঁপের বীজ প্রদাহ কমাতে কার্যকর। পেঁপের বীজ ভিটামিন সি এবং অন্যান্য যৌগ যেমন অ্যালকালয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ। এগুলো সবই আর্থ্রাইটিস বা প্রদাহের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বিয়ের কার্ডে এবার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই কার্ড সামনে আসতেই ভাইরাল। দেশের প্রতিটি কোণেই মাহি ভক্তের শেষ নেই। তেমনই এক ধোনি ভক্ত ছত্তিশগড়ের দীপক। যাঁর বিয়ে এই মাসের সাত তারিখ। নিজের বিয়ের কার্ডে ধোনির ছবি দিয়ে থালা বলে সম্বোধনও করেছেন। পাত্রী গরিমাও এই কাছে সাহায্য করেছেন দীপককে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই বিয়ের কার্ড। রায়গড় জেলার বাসিন্দা এই দীপক।
সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলেই দেখা গিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভক্তদের ঢল। কলকাতা থেকে আমেদাবাদ, সব মাঠই ভরে গিয়েছিল সরষে ফুলের মতো। ফাইনালের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েও আরও একটি বছর মাঠে থাকার কথাই জানিয়েছিলেন মাহি। তবে সবটাই তাঁর শরীর উপর নির্ভর করছে বলেও দাবি করেছিলেন।
এরমধ্যেই মুম্বইয়ে তাঁর হাঁটুতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। ভাল আছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তারমধ্যেই ভাইরাল হল তাঁর ছবি দিয়ে ছাপানো বিয়ের কার্ড।
অন্নপ্রাশন বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৮০ জন। ইতিমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের ঘনশ্যাম বাটি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে গ্রামে পৌঁছয় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ মহাকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পানীয় জল বা ফুচকা থেকেই কোনও বিষক্রিয়ার হতে পারে। যার কারণেই এমন ঘটনা। যার ফলে আতঙ্কে গ্রামবাসী।
জানা গিয়েছে, ঘনশ্যাম বাটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ ঘোড়ই-এর নাতির অন্নপ্রাশন ছিল শুক্রবার। তাই শুক্রবার দুপুর ও রাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান বাড়িতে। আমন্ত্রিত ছিল প্রায় শতাধিক। সেই অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পরেই শুক্রবার রাত থেকে বমি পায়খানা নিয়ে একে একে অসুস্থ হতে থাকে। ইতিমধ্যেই যার সংখ্যা প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই। শনিবারও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শনিবার রাত পর্যন্ত সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় প্রায় ১২ জনকে। গ্রামেও চিকিৎসারত রয়েছে প্রায় ৮০ জন।
পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের গলায় ধারাল অস্ত্র (weapon) দিয়ে আঘাত (Attack)। আঘাতের জেরে গুরুতর জখম (Injured) হল ওই ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুর থানার পুরাতন পল্লী এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় ইসলামপুর থানার পুলিস (Police)। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই ব্যক্তির নাম নির্মল সাহা (৫০)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আহত ওই ব্যক্তির পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রতিদিনই মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি করত। এমনকি বাড়ির সবাইকে মারধরও করত বলে অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতেও মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরে অশান্তি শুরু করে সে। এরপরেই এক ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করে বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনার পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ট্রাক্টর এবং লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মৃত (Death) এক এবং গুরুতর আহত (Injured) ২৬ জন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতুলপুর থানার পুলিস (Police)। আহত সকল ব্যক্তিদের স্থানীয় কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাঁকুড়া রাজ্য বালেশ্বরের ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে বহমান। ঠিক সেই ঘটনা চলাকালীনই ভয়াবহ এক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত ছাতিনা গ্রামের ২৭ জন ব্যক্তি একলোকি গ্রামে একটি ট্রাক্টারে করে বিয়ের দেখা শোনার জন্য গিয়েছিলেন। দেখাশোনা সেরে আসার পথেই বিপত্তি।
সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুরমুখী একটি লরি সজরে ধাক্কা মারে সেই ট্র্যাক্টরটিকে। সেই ট্র্যাক্টরে থাকা ২৭ জন ব্যাক্তির মধ্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি, এবং গুরুতর আহত হয় বাকিরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃত ওই মহিলার নাম চম্পা মুর্মু (৬০)।
বি-টাউনে কানাঘুষো, বলি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (Swara Bhaskar) নাকি মা হতে চলেছেন। আর এই খবরে সম্মতি জানিয়েছেন তাঁর স্বামী ফাহাদ আহমেদ (Fahad Ahmed)। বিয়ের পর থেকেই তাঁর অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এবারে এই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন এক টুইটার ব্যবহারকারী। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, স্বরা কিনা মা হতে চলেছেন। বিয়ের চারমাসের মাথায় তাঁর অন্তঃসত্ত্বার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বরাকে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন স্বরা। প্রথমে কোর্ট ম্যারেজ করেই সবার তাক লাগিয়ে দেন তাঁরা। প্রথমে তাঁরা ছিমছাম বিয়ের অনুষ্ঠানেরই আয়োজন করে আইনি পদ্ধতিতে বিয়ে সারেন। পরে তাঁরা ধুমধাম আয়োজন করে নিজেদের ধর্ম অনুসারে বিয়ে করেন। আর সেই বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাঁর অন্তঃসত্ত্বার খবর ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে। ফলে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। তবে এই খবরের বিশেষ কোনও সত্যতা নেই বলেই জানা যাচ্ছে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে। আবার এই খবর নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি স্বরা ও তাঁর স্বামী ফাহাদ।
সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির (ED)। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন। সেই টাকার পরিমাণ ছিল ৭০ লক্ষ টাকা। সুজয় শুধু একাই টাকা নেননি, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও টাকা দিতে বলেছিলেন।
আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারি আর্থিক তছরুপ নিয়ন্ত্রক আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুসারে কুন্তলের যে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়, তাতে তিনি জানান, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করাতে চেয়েছিলেন কুন্তল। সুজয় তখন কুন্তলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, পার্থের সঙ্গে কথা বললেই তাঁর কাজ হয়ে যাবে। এই সময়ে কুন্তল ৭০ লক্ষ টাকা দেন সুজয়কে। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে দেন আরও ১০ লক্ষ টাকা। যদিও ইডি জানিয়েছে, ৩০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’ তাদের প্রশ্নের মুখে এই লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অপর ধৃত তাপস মণ্ডলও ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যোগাযোগের কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন। গত বছর নভেম্বরে তাপসের বয়ান অনুযায়ী, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। ইডি আদালতে এ-ও জানিয়েছে যে, সুজয় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তিনি মানিককে ২০২১ সালের আগে চিনতেন না। মানিকের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম যোগাযোগ আগে ছিল না। কিন্তু তদন্তে ইডির হাতে আসা তথ্য অন্য কথা বলছে। মানিকের হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়ের যোগাযোগ রয়েছে অন্তত ২০১৮ সাল থেকে। ওই সময় থেকেই মানিককে বহু টেট প্রার্থীর নথি সুজয় পাঠিয়েছিলেন। পাঠানো হয়েছিল মার্কশিট এবং অ্যাডমিট কার্ডও। অর্থাৎ, সুজয় তথ্য গোপন করতে চাইছেন, সত্যি কথা বলছেন না, দাবি ইডির।
ইডির বিরুদ্ধে অসত্য বলা ও তদন্তকে ভুলপথে চালিত করার অভিযোগ তুললেন কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। কালীঘাটের কাকু-র গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কুন্তল জানান, "ইডি মিথ্যা কথা বলছে।" ইডিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কুন্তল জানান, ইডির ক্ষমতা থাকলে তাঁর বক্তব্য নিয়ে আদালতে পেশ করা হোক।
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মামলায় আলিপুরের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে কুন্তল ও তাপসদের। শুক্রবার আদালতে ঢোকার আগে তাপস মণ্ডল বলেন, "যা বলার কুন্তল বলবে।" তাপস মণ্ডলই প্রথম কালীঘাটের কাকুর কথা সামনে আনেন। নাম উঠে আসে গোপাল দলপতিরও।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস 'কালীঘাটের কাকু' সঙ্গে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যোগাযোগের কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন।
ফের বেপরোয়া লরির ধাক্কায় (Accident) মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। গুরুতর আহত (Injured) আরও এক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ (Bangaon) থানার অন্তর্গত বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক এলাকায়। এদিন রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিস (Police)। পুলিস দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে অপর জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সুমন বসাক এবং আহত যুবকের নাম দেবব্রত চৌধুরী। তাঁরা দু'জনেই শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুজন বাইক আরোহী বনগাঁ টাউন হল মোড় এলাকা থেকে বনগাঁ মতিগঞ্জ মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি হঠাৎ বাইকের মুখোমুখি এসে ধাক্কা মারে। তারপরেই রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই দুই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তারপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে ওই দুই আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। তিনি বলেন, 'যে মারা গিয়েছে তাঁর পরিবারের যাতে আগামীতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আর্থিক সহায়তা করার ব্যবস্থা করছি। এমনকি যে গুরুতর আহত তাঁকেও আমরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'পুলিস প্রশাসনকে বলব রাতের বেলা একটু কড়া নজরদারি চালাতে। অতিরিক্ত গতিতে যে গাড়িগুলি রাতের বেলা চলছে তাদেরকে ধরার ব্যবস্থা করতে।'
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ফোন ঘেঁটেই 'কালীঘাটের কাকু'-কে পেয়েছিল ইডি (ED)। সেই থেকেই ইডির নজরে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujoy Krishna Bhadra)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর এমনই। মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে। সেইসময় মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে 'কালীঘাটের কাকু'-র সন্ধান পান ইডি আধিকারিককরা। তারপর থেকেই সুজয়ের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি। উল্লেখ্য, বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালত সুজয়কৃষ্ণকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সুজয় ইডিকে জানিয়েছেন, মানিকের সঙ্গে ২০২১ সাল থেকে তাঁর যোগাযোগ। কিন্তু, ইডি তদন্ত বলছে, ২০১৮ সাল থেকে তাঁদের একে অপরকে চিনতেন। মানিকের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে এমন দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৮ সাল থেকেই মানিককে বহু টেট প্রার্থীর নথি সুজয় পাঠিয়েছিলেন। মার্কশিট এবং অ্যাডমিট কার্ডও পাঠানো হয়। বুধবার ইডি আদালতে আরও দাবি করেছে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। কুন্তল বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও।
এদিকে শোনা গিয়েছে, খাবার মুখে তুলছেন না সুজয়। সূত্রের খবর, অনশন শুরু করেছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনি নিজে বুধবার আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, "আমি হাঙ্গার স্ট্রাইক (অনশন) করব।" তবে ইডি আইনজীবীর দাবি, ইডির প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই না খাওয়ার কৌশল নিচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি।