রাজ্যের প্রায় ৪১ হাজার পুজো কমিটিকে (Durga Puja 2022) ৬০ হাজার করে অনুদান দিয়েছে সরকার (Mamata Government)। এবার সেই টাকা কী খাতে, কীভাবে খরচ হয়েছে? সেই হিসেব চেয়ে পাঠাল নবান্ন (Nabanna)। ৩ দিনের মধ্যে উপযুক্ত বিল, ভাউচার ও শংসাপত্র-সহ অডিট রিপোর্ট জমা দিতে পুজো কমিটিগুলোকে নির্দেশ। এ বছর কলকাতা পুলিসের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ৩,০০০ পুজো এবং রাজ্য পুলিসের নিয়ন্ত্রণাধীন মোট ৩৫টি জেলা ও কমিশনারেট এলাকায় ৩৭ হাজার ২৮টি পুজোর জন্য মোট ২৪০ কোটি ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অনুদান (Puja Donation) বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আদালতে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা, নিরাপত্তা প্রচার, মহিলাদের ক্ষমতায়নের মতোন সামাজিক কাজে টাকা খরচ করতে এই অনুদান। তাই ঠিক কোন কোন খাতে সেই অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যের অনুদানের টাকা যদি ক্লাব বা পুজো কমিটিগুলি স্থানীয় কোনও উন্নয়নের কাজে ব্যাবহার করে থাকে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। বারবার দরবার সেই অর্থ না মেলায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি দরবার করেন মুখ্যমন্ত্রীও। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আবার রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে এ বিষয়ে দেখা করতে সময় দেয়নি। তাই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ পেতে লাগাতার দিল্লিকে তাগাদা দিচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর।
ফের ডেঙ্গির (dengue) বলি শহরে। এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দমদমের (Dum Dum) এক কিশোরের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আমবাগান এলাকার কিশোর দশম শ্রেণীর পড়ুয়া বছর ১৬-এর সায়ন হালদার। গত তিনদিন ধরে জ্বরে (fever) আক্রান্ত ছিল সে। এরপর বৃহস্পতিবার তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে দমদম পুুর হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নাগের বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে।
সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার চলার পর কিশোরের মৃত্যু হয়। কিশোরের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। গত সপ্তমীর দিনও পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখে এসেছিল সে। এরপর থেকেই জ্বরে আক্রান্ত ছিল ওই কিশোর। তারপর বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শেষমেষ আরজি করে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু শংসাপত্রে কারণ হিসেবে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পুজোর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৩৯ সপ্তাহ পর্যন্ত সব মিলিয়ে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৩৩ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে গত সপ্তাহ অর্থাৎ পুজোর মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৭৮ জন, অর্থাৎ এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রায় ২৪ হাজার ৭১১ জন।
বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Rainfall) পুজোর (Durga Puja 2022) সময় ভুগিয়েছে উৎসবপ্রিয় বাঙালিকে। লক্ষ্মীপুজোতে (Laxmi Puja) রয়েছে হালকা-মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিন্তু আগামী সপ্তাহের আগে বাংলা ছাড়ছে না বর্ষা। বৃহস্পতিবার এই ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্তত সোমবার অর্থাৎ ১০ অক্টোবরের আগে রাজ্য থেকে বর্ষা (Monsoon Update) বিদায়ের সম্ভাবনা নেই। আবহবিদদের দাবি, পয়লা জুন দেশে বর্ষা ঢোকে আর বাংলায় মধ্যজুনে বরশার প্রবেশ। আবার ১০ অক্টোবর বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়ের নির্ঘণ্ট। সেই সূচি মেনেই লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বঙ্গে।
এদিকে, অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণাবর্ত এবং উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখার জোড়া ফলায় এখনই বাংলা থেকে বিদায় নেবে না বর্ষা। মনে করা হয়েছিল, উমা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়। কিন্তু এখনই সেই সম্ভাবনা নেই। এদিন জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস। তাদের পূর্বাভাস, রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পাঁচ জেলায়। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, 'বঙ্গোপসাগরের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত। আগামী ১০ তারিখের মধ্যে বর্ষা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে।'
পুজোর ছয় দিন ৩৯ লক্ষের বেশি যাত্রী বহন করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। রীতিমতো প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানালো কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। পঞ্চমী-দশমী (Durga Puja 2022) পর্যন্ত ৩৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭৮৯ জন যাত্রী মেট্রো ব্যবহার করেছেন। কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ শাখা (দক্ষিণেশ্বর-নিউ গড়িয়া) ব্যবহার করেছে ৩৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৬১ জন। আর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বহন করেছে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী। কলকাতা পরিবহণের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত পাতাল রেলের এই ছয় দিনে আয় হয়েছে ৬ কোটি ০৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ০৫৬ টাকা।
জানা গিয়েছে, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো আয় করেছে ৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৭১৬ টাকা। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আয় ২৭ লক্ষ ০৩ হাজার ৩৪০ টাকা। স্মার্ট কার্ড, টোকেন, কার্ড রিচার্জ পরিষেবার মাধ্যমে এই আয়ের অঙ্ক ঝুলিতে ভরেছে কলকাতা মেট্রো।
এদিকে, দুবছর পর অতিমারী বিধিনিষেধ না থাকায় পুজোর তিন দিন ভোররাত পর্যন্ত মেট্রো চলেছে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী দুপুর একটা থেকে পরের দিন ভোর ৪টে পর্যন্ত চলেছে মেট্রো। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চলছে মধ্যরাত পর্যন্ত। পুজোর ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট এবং রাতভর বাঙালির ঠাকুর দেখার আনন্দে উৎসাহ দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা মেট্রো। এমনটাই মেট্রো রেল ভবন সূত্রে খবর।
সুজিত সাহা: "তোমায় নতুন করে পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ..." আসা যাওয়ার খেলা চিরন্তন। বিষাদে আনন্দে জগৎজননী মায়ের বিদায়ের পালা। আবার সামনের বছরের জন্য অপেক্ষা। পুজোর পাঁচ দিন এত আনন্দ, জৌলুষ, আলোর রোশনাই, ভিড় সবই যেন আপাতত শেষ। ঢাকিদের ঘরে ফেরার পালা। ক্লান্ত পথঘাট, ঢাকের বাদ্য নেই, নিদ্রাগত শহর, কচিকাঁচার ছুটোছুটি নেই। সদ্য গজিয়ে ওঠা দোকানগুলোর ঝাঁপ বন্ধ। ক্লান্তির রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে বাঙালির হয়তো একটু সময় লাগবে।
আমি ক্লান্ত পথে আনমনে যতই এগোই, দেখি যারা গড়বার খেলায় মত্ত ছিল এতদিন, তাঁরাই এখন ভাঙতে ব্যস্ত। কঙ্কালসার মণ্ডপে নৈশব্দ আর মহাশূন্যতা। এই মহাপুজোর ঝড়ে সব যেন লণ্ডভণ্ড। চতুর্দিকে অবিন্যস্ত পুজোর ফুল, মালা, উপকরণ, নোংরা আবর্জনা, মাঠঘাট পথেপ্রান্তরে ছড়ানো ছেটানো। এবার সবকিছু স্বাভাবিক এবং শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার পালা। অফিস বাজার হাট, স্কুল সবই খোলার অপেক্ষায়। যাওয়ার কালে মা জগৎজননীর সঙ্গে ঘরের জননীর সিঁদূরখেলা, মাকে রাঙিয়ে বিদায় জানানো। মা এবার কৈলাসের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। গঙ্গার ঘাটগুলো প্রবল ব্যস্ত। কারণ মর্ত্য ছেড়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে পাড়ি দেবেন মা।
'আসছে বছর আবার হবে ধ্বনি' ধীরে ধীরে মিলিয়েছে আকাশে-বাতাসে। সব শেষ, পথঘাট, নদী, দূষণমুক্ত হয়ে আবার তার নিজের ছন্দে সুন্দরের দিকে এগিয়ে চলুক। সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক মানবকূল।
বিসর্জনের ((Idol Immersion) সময় মালবাজারের (Malbazar Incident) হড়পা বানে মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata)। নরেন্দ্র মোদীর দফতর পিএমও থেকে ট্যুইট করে লেখা, 'দুর্গাপুজোর আনন্দোৎসবের মধ্যেই জলপাইগুড়ির দুর্ঘটনায় মর্মাহত । যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাঁদের জানাই সমবেদনা।' পাশাপাশি মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।'
একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে বলা, 'মাল নদীর দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে জানাই সমবেদনা। এই সংকটের সময় তাঁরা লড়াইয়ের শক্তি পাক। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন মাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এককালীন অনুদান এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।'
এদিকে দশমীর রাতের এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রশাসনিক উদাসীনতাকে। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও কেন সতর্ক হয়নি প্রশাসন? ভাসানের জন্য কেন একসঙ্গে এত মানুষকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল? হড়পা বান প্রবণ এই মাল নদী, জেনেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন? কেন প্রস্তুত ছিল না রিভার ট্রাফিক কন্ট্রোল? এই প্রশ্নগুলো এখন ঘুরেফিরে আসছে।
দু'বছর বন্ধ থাকার পর ফের সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিল বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো। উত্তর কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক জায়গার মহিলারা ভিড় করেছিলেন মণ্ডপে। মাকে বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের মধ্যে সিঁদুর খেলতেও দেখা গিয়েছে। মণ্ডপে উপস্থিত এক বধূ বলেন, 'দু'বছর সিঁদুর খেলা বন্ধ ছিল, খুব মন খারাপ ছিল। এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সিঁদুর খেলা। দু'বছর বাদে বাধাহীন ভাবে সিঁদুর খেলতে পেরে ভালো লাগছে। সবাই একজায়গায় মিলিত হয়ে সিঁদুর খেলেছি।'
এদিকে, বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ফাঁকা হয়েছে শহর-শহরতলির একের পর এক মণ্ডপ। দশমী পুজো, ঘট নাড়ানো এবং দর্পণে বিসর্জনের পালা চুকিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে মাকে বরণের পালা। তারপরেই চেনাপরিচিতদের সিঁদুর খেলে রাঙা মুখে মাকে বিদায় জানানোর পালা।
এদিন বালিগঞ্জ কালচারালের পুজোয় সিঁদুর খেলতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। বুধবার সকাল থেকেই এই দৃশ্য পুজো মণ্ডপে মণ্ডপে। গঙ্গার ঘাটগুলোয় ভিড় বাড়ার সঙ্গেই বেড়েছে পুলিসি নিরাপত্তা। জলে রিভার গার্ড এবং স্থলে কলকাতা পুলিসের বিশেষ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন।
বাবুঘাটে দশমীর (Bijaya Dashami) বেলায় বিসর্জন (Immersion) চলাকালীন বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা। ঘাট চত্বরে থাকা একটি জেসিবি (JCB Accident) হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়িয়ে গঙ্গাপাড়ে চলে আসে। তাঁর ধাক্কায় অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন। এমনটাই বেসরকারি সূত্রে খবর। যদিও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার দাবি করেছেন, এই দুর্ঘটনায় আহত এক।
কিন্তু ছোট হলেও এই দুর্ঘটনার অভিঘাতে পুজো উদ্যোক্তা ও জেসিবি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং বচসা শুরু হয়ে যায়। দু'পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিস। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে দেবাশিষ কুমার জানান, অনভিপ্রেত ঘটনা। দুর্ঘটনা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের একটা হাইড্রা গাড়ি চাকা পিছলে যায়। সে সময় বিসর্জনস্থলে জমায়েত বেশি থাকায় ছোট দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। একজনের খুব সামান্য আঘাত লেগেছে। দু'পক্ষের হাতাহাতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, দুর্ঘটনার অভিঘাতে এই বচসা এবং হাতাহাতি।
বিসর্জনস্থলের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পুলিস সব ঠিক করেছে। প্রতি প্রতিমার সঙ্গে ৩-৪ জনকে গঙ্গাবক্ষ পর্যন্ত আসার অনুমতি দিচ্ছে পুলিস। বিসর্জনের সময় বেশি জমায়েত হলে বড় অঘটনের সম্ভাবনা থাকে।'
মর্ত্যে চার দিনের উৎসব (Durga Puja 2022) শেষে মায়ের এবার শ্বশুরভিটে ফেরার পালা। নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে ইতিমধ্যে কৈলাসে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সন্তান-সন্ততি নিয়ে ফিরছেন ঘরের মেয়ে উমা। তাই রীতি মেনে দশমী পুজোর পর ঘট নাড়িয়ে, দর্পণে বিসর্জন (Idol Immersion)। মাকে শেষ বিদায় জানানোর আগে ধুনুচি নাচ এবং সিঁদুর খেলায় মেতেছে একাধিক বারোয়ারি ও বনেদি বাড়ির মহিলারা। মণ্ডপে মণ্ডপে একটাই প্রার্থনা 'আবার এসো মা'। বুধবার বেলা বাড়তেই বাড়তেই একটার পর একটা প্রতিমাকে কলকাতার একাধিক গঙ্গার (Ganga Ghat) ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরেছে পুলিস। তাই বিসর্জনের কোনও প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তৎপর প্রশাসন। শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে বাগবাজার সর্বজনীনের মতো একাধিক বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন আজকেই। শুধু কলকাতা নয় জেলার একাধিক পুজোয় এদিন বিসর্জন। এদিকে, বুধবার সকাল থেকেই টাকিতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে মানুষের ভিড়। ইচ্ছামতী নদীতে দুই বাংলার ভাসান দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ। এপারে এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল। বসিরহাট জেলা পুলিস এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র যৌথ নজরদারিতে সকাল থেকেই চলছে নিরঞ্জন। নদীবক্ষে হোভারক্র্যাফটে চেপে চলেছে নজরদারি। পুলিস সূত্রে খবর, টাকি পুরসভা যে পুজোর তালিকা পাঠিয়েছে, সেই পুজোগুলোকে ভাসানের অনুমতি দেওয়া হবে। তার বাইরে কেউ অনুমতি পাবে না।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোর সময় এবং বিজয়া করতে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের আনাগোনা বাড়িতে লেগেই থাকে। একসঙ্গে আড্ডা, গান-বাজনার সঙ্গে চলবে রকমারি খাওয়া দাওয়া। উৎসবের আবহে সবাই একসঙ্গে মধ্যহ্নভোজে সাদা ভাতের সঙ্গে গাদা পেটিওয়ালা ইলিশ মাছের ভাপা খাওয়ার মজাই আলাদা। খেয়ে ও খাইয়ে সমান তৃপ্তি। তাই চাইলে দশমীর পরেও বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন ভাপা ইলিশ।
ভাপা ইলিশ তৈরির পদ্ধতি: একশো গ্রাম ওজনের ছ'টা গাদা পেটিওয়ালা ইলিশ মাছের খণ্ড জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে পাঁচ টেবিল চামচ সাদা সর্ষে বাটা, দুই টেবিল চামচ পোস্ত বাটা, দুই টেবিল চামচ টক দই, হাফ চা চামচ হলুদ গুড়, এক টেবিল চামচ, কাচা লঙ্কা বাটা, হাফ চা চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা, আন্দাজ মতো নুন, পাঁচ টেবিল চামচ সর্ষের তেল নিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার ইলিশের খণ্ডগুলো মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে ইলিশের গায়ে মিশ্রণ মাখিয়ে নিন। এবার প্রতিটি ইলিশের খণ্ডের উপর দু'টো করে চেরা কাচা লঙ্কা রেখে আধঘণ্টা আলাদা করে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে অর্ধেক জল দিন। কড়ার জল ফুটে উঠলে মিশ্রণ মাখানো ইলিশ মাছ-সহ পাত্রটা জলের উপর ভাসিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে ভাপে বসান। পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে দেখুন, মাছের পাঁক ধরলে আচ থেকে নামিয়ে নিন। গরম ভাত সহযোগে ভাপা ইলিশ পরিবেশন করুন।
শেষ ল্যাপে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। মনে মনে একটাই প্রার্থনা নবমীনিশি যেও না চলে। কিন্তু পাঁজি মেনে আসছে বছর আবার হবে বলতেই হয়। তাই মা-কে শেষবার সন্তান-সন্তন্তি-সহ দেখতে নবমীর (Maha Nabami) সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়। চলছে আরতি এবং কুমারী পুজা। রীতি মেনে একাধিক বনেদি এবং রাজ বাড়ির পুজোয় হয়েছে কুমড়ো বলি এবং কামান দাগা।
অষ্টমীর রাতের বৃষ্টির ভ্রূকুটি সরে এখন ঝকঝকে শরতের আকাশ। তাই এই আবহাওয়াকে অনুকূল বানিয়েই সকাল থেকে ঠাকুর দেখা আট-আশির। কারণ হাতে সময় বড় কম। বনেদি বাড়ি থেকে সর্বজনীন; ঘরের মেয়ে উমাকে শেষবার চোখে দেখা। তাই সূর্যকে মাথায় রেখেই চলছে প্যান্ডেল হপিং। দক্ষিণ-উত্তর শহরের সেরার সেরা পুজোকে চর্মচোখে দেখতে মানুষ নেমেছে পথে। এদিকে, বেলুড় মঠ, মুদিয়ালি ক্লাবের মতো পুজোয় নিষ্ঠাভরে হয়েছে কুমারী পুজো। নবমীর অঞ্জলি কিংবা আরতি, সব রীতিই প্যান্ডেলে উপস্থিত থেকে চাক্ষুষ করেন দর্শনার্থীরা।
বাগবাজারের পুজো দেখতে আসা এক দর্শনার্থীরা বলেছেন, 'প্রতিবছর এই পুজোয় তাঁরা আসবেন এমনটাই প্রথা। এমনকি দশমীর সিঁদুর খেলায় তাঁরা অংশ নিয়ে থাকেন।'
ষষ্ঠীর (Durga Puja 2022) দিন দেবীর বোধনের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। রাস্তায় মানুষের ঢল, শারদ উৎসবে পুরোদমে মেতে উঠতে প্রস্তুত বাঙালি। কিন্তু চোখে জল নিয়ে এ শহরের রাজপথেই নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভের অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি (SSC) গ্রুপ-ডি হোক বা ২০১৪ প্রাইমারি টেট অথবা এসএলএসটি (SLST) প্রত্যেকের একটাই দাবি, 'অবিলম্বে নিয়োগ চাই।' ষষ্ঠীতে ধর্মতলায় দেখা গিয়েছে আনন্দের মধ্যেও বিষাদের ছবি। এসএসি গ্রুপ সি এবং ডি-তে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা (job aspirants)।
তাঁদের দাবি, 'মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্বেও নিয়োগ মেলেনি। তাই ষষ্ঠীর দিনেও আমরা যারা শিক্ষিত এবং যোগ্য এভাবে ধর্না দিতে হচ্ছে। এটা রাজ্যের জন্য লজ্জা, আমাদের জন্য লজ্জা। সাম্প্রতিক কালে ৬২০০ বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু আমরা যোগ্য হয়েও চাকরি পাচ্ছি না। ধর্মতলা এখন ধর্নাতলায় পরিণত হয়েছে।' একই দৃশ্য প্রাথমিক টেটের চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের মন্তব্য, 'আমাদের এটাই ভাগ্য। মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখে ঘোষণা করলেও আমরা যন্ত্রণা, বঞ্চনার শিকার। ইতিমধ্যে আমরা ইন্টারভিউ দিয়ে নিয়োগ পাইনি। নতুন বিজ্ঞপ্তি নয়, চাকরি দিন। যতদিন না নিয়োগ পাব এই ধর্না চলবে। যেখানেই যাচ্ছি শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।'
বঞ্চিত হিসেবে ৫৬৬ দিন রাস্তায় অবস্থানরত এসএলএসটি নবম-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মন্তব্য, 'আমাদের চাকরি চুরি হয়েছে। আজকে আমাদের স্কুলে থাকার কথা। তা না করে রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছি। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী জানে না কবে স্কুলে যেতে পারব।'
আজ মহাষষ্ঠী। শহর ও শহরতলির রাস্তায় ইতিমধ্যেই জমজমাটি ভাব। তবে এরই মধ্যে ঘটে গেল দুঃসাহসিক চুরির (theft) ঘটনা। দুর্গা প্রতিমার গা থেকে গয়না চুরি হয়ে যায় পুজোর আগেই। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় নদিয়া (Nadia) শান্তিপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দত্তপাড়ায়।
জানা যায়, দত্তপাড়ার রায় বাড়ির এই পুজো বহু প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী। আজ মহাষষ্ঠীর দিনই বাড়ির প্রতিমার গায়ের থেকে গয়না চুরি ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। খবর পেয়ে পুলিস (police) ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় প্রতিমার গায়ে কোনও সোনা বা রূপোর গহনা নেই। সোনার টিপ, ত্রিনয়ন, নথ সহ একাধিক জিনিস খোয়া গিয়েছে। তবে আজ সকালে এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না পরিবারের কেউ।
সৌমেন সুর: মা গো আমায় ছুটি দিতে বল...। ছোটবেলার এই কবিতা এখন একধাক্কায় আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। কারণ ছুটি শব্দের মধ্যে রয়েছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। ছুটির অর্থ জীবনের ছন্দ, চলার গতি। ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না।ছুটি মানুষের মধ্যে নতুন করে কাজের উৎসাহ দেয়। প্রতিদিন কাজের একঘেয়েমি থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। মনে উদ্দীপনা, নতুন করে শুরুর উৎসাহ। একটানা কাজে মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে, ক্লান্ত হয়, গভীর অবসাদ তাঁকে ঘিরে ধরে।
ছুটি এসে মানুষের সেই গতানুগতিকতার অবসান ঘটায়। ছুটি মানে পুজোয় কলকাতায় মায়ের কোলে ফেরা, বন্ধুদের সঙ্গে ঠেকবাজি। চলতি বছর শারদ উৎসবে আজ মহাষষ্ঠী। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস কমবেশি রবিবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত ছুটির মুডে থাকবে। ব্যতিক্রম কিছু আছে। কিন্তু সেই কর্মক্ষেত্রে কাজের সেই চাপ বাকি ৩৬১ দিনের মতো নয়। এই ক'দিন ছুটি মানেই পরিবারের সঙ্গে প্ল্যান, প্যান্ডেল হপিং, পাড়ার পুজোয় আড্ডা, লং ট্যুর কিংবা শুধু শুয়ে বসে কাটানো। এই জাতীয় অনেক কর্মকাণ্ড এই পুজোর ছুটি ঘিরে।
কারণ ছুটি শেষে গতে বাঁধা জীবনে ফেরা। নতুন উদ্দীপনায় কাজের জগতে প্রবেশ। কাজের ঠাসবুনোটে মানুষের জীবন যখন রুদ্ধশ্বাস, তখন সামান্য ছুটির হাতছানি তাঁকে আনন্দের জোয়ারে, প্রেমের দোহারে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
এ এক দুর্লভ মুহূর্ত। ছুটি মানুষের কাজের প্রেরণা, তাঁর একঘেয়ে জীবনে সান্ত্বনা, শান্তি। ছুটি জীবনকে সুন্দর করে প্রাণবন্ত করে তোলে। নতুন নতুন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, মন ছুটি চায় বলেই তো, কাজের পৃথিবী তাঁকে বেঁধে রাখতে পারে না।
পুজো (Durga Puja 2022) উদ্বোধনের মঞ্চ, লাইট, কাঁচি হাতে সাংসদ সকলে রেডি, শুধু অ্যাকশন বলার অপেক্ষা। কিন্তু তার আগেই তাল কাটলেন উত্তর কলকাতার দুই তৃণমূল নেতা (TMC Leaders)। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MP Sudip Banerjee) ঠিক পাশে কে দাঁড়াবেন এই নিয়ে তরজা এবং ধাক্কাধাকিতে জড়ালেন উত্তর কলকাতা তৃণমূলের দুই পরিচিত মুখ সঞ্জয় বক্সি এবং বিবেক গুপ্ত। উল্লেখ্য, বিবেক গুপ্ত জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক। দুই নেতাকে বচসায় জড়াতে দেখা গিয়েছে, আর গোটা এই ঘটনা ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যম এবং মোবাইল ক্যামেরায়। চতুর্থীর সন্ধ্যায় দুই তৃণমূল নেতার এই তু-তু, মে-মে ভাইরাল করতেও পিছুপা হয়নি নেট দুনিয়া।
ঠিক কী হয়েছিল? ভাইরাল এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাথুরিয়াঘাটার পুজো উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর একপাশে দাঁড়িয়ে স্মিতা বক্সি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা অন্য এক পাশে সঞ্জয় বক্সি এবং একটু পিছনে বিবেক গুপ্ত। কাঁচি দিয়ে যখনই ফিতে কাটতে যাবেন সুদীপবাবু, তখন বাঁধে বিপত্তি। কার্যত সাংসদের গায়ের উপর দিয়ে উঠে এসে সঞ্জয় বক্সিকে সরিয়ে দেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক। সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ সঞ্জয় বক্সিও! তিনি শুরু করেন ঠেলাঠেলি। আর উত্তর কলকাতা তৃণমূলের এই পরিচিত দুই মুখকে এভাবে বচসায় জড়াতে দেখে স্পষ্টতই বিব্রত দেখিয়েছে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
উপস্থিত পুজো কমিটির অন্য সদস্য এবং নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চতুর্থীর সন্ধ্যায় ফিতে কেটে পাথুরিয়াঘাটার এই পুজোর উদ্বোধন করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা সিএন ডিজিটাল।