এমনিই কি তাঁকে মাটির মানুষ বলা হয়! ফের এমনই এক কাজ করলেন সবার প্রিয় অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), যা দেখে বেজায় খুশি অনুরাগীরা। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল দেখতে এবারে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুটিতে চেপেই বেড়িয়ে পড়লেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। এর আগেও তাঁকে নিজের গ্রামে স্কুটি নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারে ঠাকুর দর্শন করতে গিয়ে স্ত্রী কোয়েলকে নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁদের স্কুটিতে চড়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। ফলে বলাই বাহুল্য, তাঁর মধ্যে সেলেবদের মত হাবভাবের লেশমাত্র নেই! আর অরিজিতের এমন ব্যবহারেই মুগ্ধ নেটিজেনরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অরিজিতের পরনে হলুদ পাঞ্জাবি। স্ত্রী কোয়েলকে নিয়ে স্কুটিতে চেপেই মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরছেন অরিজিৎ সিং। প্রথমে দেখে বিশ্বাসই হবে না, ইনি আদৌ অরিজিৎ কিনা, কিন্তু ভালো করে ভিডিও দেখতেই বোঝা যাবে, ইনিই অরিজিৎ সিং ও তাঁর স্কুটির পিছনে বসে স্ত্রী কোয়েল। তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন প্যান্ডেল হপিং করতে। এই ভিডিও বর্তমানে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। তাঁর অনুরাগীরা ভিডিও-র কমেন্ট সেকশনে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপুজো। স্বাভাবিকভাবেই এবারের দুর্গাপুজো বিশেষ ছিল অভিনেত্রী শ্রুতি দাস ও পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের। ফলে তেমনটাই দেখা গেল। দশমীর দিন দেবীবরণের সময় 'রাঙা বউ'-কে এক অন্য রূপেই দেখা গেল। আবার তাঁকে সিঁদুর খেলতেও দেখা গেল। তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্বামী স্বর্ণেন্দু ও পরিবার। মা দুর্গার সঙ্গে একগুচ্ছ ছবিও শেয়ার করলেন শ্রুতি।
টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। বিজয়া দশমীর দিন স্বামী-পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দেবীবরণ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লাল শাড়ি। সঙ্গে মাননসই গয়না। এখানেই শেষ নয়। হাতে শাঁখা-পলা, মাথায় চওড়া সিঁদুর ও হাসিমুখে দেবীবরণ করতে দেখা গেল 'রাঙা বউ' ধারাবাহিকের পাখিকে। শ্রুতির এই সিঁদুর খেলার ছবিতে লাইকের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
আবার তিনি দশমীর দিন দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলা সেরে একাদশীতে পৌঁছে গিয়েছেন নিজের দেশের বাড়ি কাটোয়াতে। সেখানে গিয়ে নাগরদোলায় চড়ে ভিডিও শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। ভিডিও পোস্ট করে লিখলেন, ‘যখন তুমি একাদশীতে দেশের বাড়ি পৌঁছও এবং বুঝতে পারো পুজো এখনও শেষ হয়নি’। তবে শ্রুতির পাশে এবারে স্বর্ণেন্দুর দেখা পাওয়া যায়নি।
পঞ্চমী থেকে রোজই সারা রাত মেট্রো চলেছে কলকাতায়। এবার রেড রোড কার্নিভালের দিনও বিশেষ পরিষেবা দেবে কলকাতা মেট্রো।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, কার্নিভ্যালের দিন ২৩৪টির পরিবর্তে ২৫২ মেট্রো চলবে। রাতের শেষ মেট্রোর সময়ও বাড়ানো হয়েছে।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে ১০টা ৫৮ মিনিটে। আবার কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশে মেট্রো মিলবে রাত ১১টায়। দমদম এবং সুভাষ থেকে দুদিকের শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ১০ মিনিটে।
আজ মহা অষ্টমী। সকাল থেকে অষ্টমী পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। অঞ্জলি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সকাল সকাল স্নান করে নতুন হলুদ রঙা জামদানি কিংবা লাল রঙের হ্যান্ডলুম শাড়িতে সাজছে মেয়ে-বউরা। আর ছেলেরা পাঞ্জাবিতে। অষ্টমীর সকালের এই সাজ তো চিরাচরিত। আবার অষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়ার মাঝেই এক হবে কত মন, শুরু হবে নতুন প্রেম, নতুন সম্পর্ক। দুর্গাপুজোর এই অঞ্জলির সঙ্গে আলাদাই একটা আবেগ জড়িয়ে বাঙালির।
অষ্টমীর দিন সকালে হয় কুমারী পুজো। ১ থেকে ১৬ বছরের যাঁরা ঋতুমতী হয়নি, এরকম বালিকাদের মাতৃজ্ঞানে পুজো করা হয়। বেলুড় মঠে ধুমধাম করে কুমারী পুজো পালন করা হয়। বহু ভক্তের সমাগম হয় এদিন। অষ্টমীর দিন বিকেলে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট। মোট ৪৮ মিনিট ধরে সন্ধিপুজো অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে যেহেতু এই পুজো হয়, তাই এই পুজোর নাম সন্ধিপুজো।
সন্ধিপুজোরও নিয়ম রয়েছে। এই সময় দেবীর পায়ে ১০৮টি লাল পদ্ম উৎসর্গ করা হয়। পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপও জ্বালানো হয়। অনেকে অষ্টমী পরিবারের সঙ্গে, প্রিয়জন, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে ভালবাসেন। তবে, তার মধ্যেও রাত জেগে পুজো পরিক্রমাও চলে। সিএন-ডিজিটালের তরফে সকলকে অষ্টমীর শুভেচ্ছা।
মহাসপ্তমীর দিন বাঙালি সাজে বঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। হাওড়া থেকে পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাংলা থেকে অশুভ শক্তি বিনাশের ডাক দিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে সুর বেঁধে দিলেন বিজেপির সভাপতি তা বলাই বাহুল্য।
ধুতি পাঞ্জাবি পরে একেবারে বাঙালিয়ানায় ভরপুর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। মহা সপ্তমীর পবিত্র লগ্নে শারোদৎসবে সামিল হলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। পরিদর্শন করলেন একাধিক পুজো মণ্ডপ। এদিন সকালে বিমানবন্দরে পদ্মফুল আর উত্তরীয় পরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে স্বাগত জানালেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা সহ একাধিক বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রামমন্দিরের অনুকরণে তৈরি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের অভিনব পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেই সপ্তমী সকালে ঐতিহ্যবাহী শোভাবাজার রাজবাড়িও ঘুরে দেখলেন জেপি নাড্ডা। পরিদর্শন করলেন হাওড়া বেলিলিয়াস রোডে জুগনু এ্যাসোসিয়েশনের পুজো। তাদের ৫৩ বছরের পুজো ভাবনা এবার জি ২০। মণ্ডপ সজ্জা ঘুরে দেখলেন নাড্ডাসহ একঝাঁক বিজেপি মহারথী। তবে রাজনীতির খোলস থেকে বেড়িয়ে একেবারে অন্যরূপে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির বঙ্গসফরের পিছনেও নির্বাচনী কর্মসূচিরই আঁচ পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই শহরের মানুষকে উপহার দিয়ে এই পুজো মণ্ডপ মন কেড়েছেন প্রত্যেক বাঙালির। যার উদ্বোধনে এসেছিলেন স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার পরিদর্শনে জেপি নাড্ডা। বাঙালি সাজেই এদিন তিনি মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হন। কথা বলেন দর্শনার্থীদের সঙ্গে। এদিন তিনি হাওড়া পুজো মণ্ডপ থেকে চ্যালেঞ্জ ঝুড়ে দেন। বলেন 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই শব্দকে সঙ্গ করেই সব অশুভ শক্তির বিনাশ হবে।
সপ্তমীর সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ। তবে আবহাওয়া বড়সড় পরিবর্তন হতে পারে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। যা শুক্রবার থেকে ১ ডিগ্রি কম। সপ্তমীর দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের আকাশে সামান্য মেঘ থাকতে পারে।
যদিও পুজোর মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। নবমী ও দশমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে ওই দু দিন উত্তরবঙ্গের আকাশ থাকবে পরিষ্কার। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। সেকারণেই বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মায়ের বোধন আজ। মহালয়ার দিন থেকে প্যান্ডেল হপিং শুরু হলেও, আসল পুজোর শুরু কিন্তু ষষ্ঠীর দিন থেকেই। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করতে শুরু করেছে মানুষ। সন্ধেবেলায় যে সেই ভিড় আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু, এরই মধ্যে বৃষ্টি নিয়ে আপডেট দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কেমন থাকবে ষষ্ঠীর আবহাওয়া ?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন রোদঝলমলে আবহাওয়া থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। নির্বিঘ্নেই ঠাকুর দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। অষ্টমী পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকবে। নতুন করে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তবে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত চিন্তা বাড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তারপর পুজোর শেষ দুই দিনে ওই নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে পারে। নবমীর দিন আকাশ মেঘলা আর দশমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই উত্তরবঙ্গও আপাতত শুষ্ক। বৃষ্টির সম্ভাবনা সেভাবে নেই বললেই চলে। তবে, শুধু দার্জিলিং ও কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি। রাতের দিকে শহরের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমবে । পশ্চিমের জেলাগুলিতে রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হবে।
মহাপঞ্চমীর উৎসবের মধ্যেই বেঙ্গল এসটিএফ-র মাদক বিরোধী অভিযানে মিলল ব্যাপক সাফল্য। বনগাঁর গাইঘাটাতে হেরোইন তৈরীর কারখানায় বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালিয়ে মিলল প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক। গ্রেফতার দুই মহিলাসহ মোট চারজন। কোটি কোটি টাকার ক্রুড হেরোইন এনে এই কারখানায় চলতো মিশ্রণ ও পরিশোধন। কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো এখানকার মাদক।
গোপন খবরের ভিত্তিতে বেঙ্গল এসটিএফ-এর একটি টিম বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে থানাগামী পাকা রাস্তার থেকে বাঁদিকে দেড় মিনিট পায়ে হেঁটে গেলে একটি ছোটখাটো খামারবাড়ি। মালকিন চল্লিশোর্ধ্বা কাকলি রায়। ছয়ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা দোতলা বাড়ির মধ্যে পোলট্রি, ছাগল ও গরুর থাকার ছাউনি।
বাড়িতে মালকিন কাকলি ছাড়াও অভিজিৎ বিশ্বাস, তপন মণ্ডল ও ডলি সর্দার নামের এক মহিলা ছিল। যাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একতলায় মাদক-সংক্রান্ত কিছু না পেয়ে এসটিএফ টিমের সদস্যরা মার্বেল বাঁধানো সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায় দোতলায় এবং সেখানেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। দোতলার বেডরুম, বাথরুম এবং রান্নাঘরকে রীতিমতো একটি হেরোইন তৈরী করার কারখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। থরে থরে সাজানো রয়েছে হেরোইনের প্যাকেট, কোনও ঘরে হাই-ভোল্টেজ আলোর নীচেই আলাদা আলাদা পাত্রে রাখা আছে বিশেষ প্রকার লিকুইড মিশ্রিত হেরোইন, শুষ্ক করার জন্য। কোনো ঘরে চলছে ফিল্টারিং, কোনো ঘরে প্যাকেজিং।
তল্লাশিতে উদ্ধারকৃত দ্রব্যের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, প্রায় আট কিলোগ্রাম হেরোইন, পাঁচ কিলোগ্রাম মোট ওজনের একপ্রকার বিশেষ গুঁড়ো যা মিশিয়ে নেশার মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়,দশ কিলোগ্রাম ওজনের এসিটিক এনহাইড্রেট তরল যার সাহায্যে ক্রুড হেরোইন পরিশোধন করা হয়, চল্লিশ কিলোগ্রাম সোডিয়াম কারবোনেট, দুইটি ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র, একটি মিক্সার গ্রাইন্ডার, প্রচুর সংখ্যক প্লাস্টিক প্যাকেট, একটি সিলিং মেশিন, দুইটি আই-ফোন, তিনটি স্মার্টফোন ইত্যাদি।
এরপরই গ্রেফতার করা হয় দুই মহিলা ও দুই ব্যক্তিকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রায় বছরখানেক ধরে চলছে এই কারখানা। মালকিন কাকলি তাঁর ব্যবসায়ী-পার্টনারদের থেকে ক্রুড হেরোইন এনে এই কারখানাতে পরিশোধন ইত্যাদি করে বিভিন্ন পাচারকারীদের মাধ্যমে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাছে দিত পৌঁছে। বিনিময়ে পেত বিপুল পরিমাণ মুনাফা। এই ঘটনায় গাইঘাটা থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। অভিযোগের উপর মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই নিষিদ্ধ মাদকচক্রে অন্যান্য জড়িতদের বিরুদ্ধেও চলবে তদন্ত।
পুজোয় বৃষ্টি ! ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। ভাসতে পারে নবমী ও দশমী । তবে, অষ্টমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন থাকবে একেবার শুষ্ক। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, কড়া রোদের জন্য দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। রাতের দিকে হালকা ঠান্ডার আমেজ থাকলেও ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম পরিস্থিতিই হচ্ছে শহরবাসীর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। যার জেরে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। নবমী ও দশমীতে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে ভারী বৃষ্টি হবে না। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কমতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার আবহাওয়া থাকবে রোদ ঝলমলে। এদিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি।
ইতিমধ্যে রাতের দিকে কিংবা ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে। এবার বর্ষা শেষে শীতের অপেক্ষায় বাঙালি।
প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বছরের এই একটি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিরা একত্রিত হয়ে পূজায় অংশ নেন। আজকে আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই প্রতিটি দেশে এমনকি পাকিস্তানেও শারদ উৎসব হয়ে থাকে। দুর্গাপুজো বা দীপাবলি। দুর্গাপুজো কিন্তু একান্তই বাঙালির পুজো। যদিও বিহার বা আসামেও পুজো হয়ে থাকে। এবারে আসি কলকাতা শহরে। কলকাতার প্রতিটি অঞ্চল সেজে ওঠে পুজো উৎসবে। বাঙালিরা এমনিতেই ধর্ম নিরপেক্ষ কাজেই সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রবেশ ও আনন্দ করার অধিকার আছে। কলকাতা একেবারেই সেই পথ ধরেই চলে। তবে এটা আধুনিক যুগ, আজকের পুজো শুধুমাত্র দেবী আরাধনা নয়, একটা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগে পুজো বলতে উত্তর কলকাতায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, সিমলা ইত্যাদি থাকলেও ভিড় হতো প্রধানত দক্ষিণ কলকাতাতে। সঙ্ঘশ্রী, সংঘমিত্রা থেকে বালিগঞ্জ, একডালিয়া ইত্যাদি থেকে বেহালা। কিন্তু এটা থিমের যুগ। কে কাকে থিম দিয়ে টপকে যাবে তারই প্রতিযোগিতা থাকে। উত্তর কলকাতাতে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ আকর্ষণ মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং। সারা বাংলার দর্শনার্থীদের কাছে রোনাল্ডিনহো দেখার থেকেও শ্রীভূমির পুজো দেখা অনেক বেশি গর্বের।
সুজিতের পুজোয় কিন্তু মাতৃমূর্তি সাবেকি। কিন্তু তাঁর থিম মণ্ডপে এবং আলোকে। কখনও বুর্জ খলিফা থেকে এবারের ডিজনিল্যান্ড। নিখুঁত নিপাত কাজ। স্বাভাবিক ভিড় প্রবল একেবারে প্রথমা থেকে দশমী অবধি। এবারে বিতর্ক উঠেছে যে, এতো ভিড় এতো গাড়ি যে রাস্তা জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘন্টার ঘন্টা আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু বড় পুজো ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ কুমার থেকে প্রতি প্যান্ডেলে প্রবল ভিড় হয়। কিন্তু কলকাতার দক্ষিণ প্রান্ত যতটা প্ল্যান করে তৈরি উত্তরে তা মোটেই নয়। লেকটাউন অঞ্চলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার অসংখ্য রাস্তা নেই, সেরকম ভিআইপি রোডও। কাজেই ভিড় হবেই। এতো প্রচার থাকলে সকলেরই দেখার ইচ্ছা তো থাকবেই। সমস্ত বিষয়টি একেবারে পুলিশ প্রশাসনের হাতে কাজেই দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। ভিড় হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যানবাহনের দিকে তাকিয়ে সুজিতকে দায়িত্ব নিতে বলেছেন। সুজিতের কাছে ভিড় আটকানোর কোনও মন্ত্র আছে বলে তো মনে হয় না।
বাঙালি মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। মহালয়ার দিন থেকেই পুজো মণ্ডপে ভিড়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বৃষ্টির সেরকম কোনও পূর্বাভাস নেই।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের তিন জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি পাঁচ জেলা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। হালকা কিংবা ভারী, কোথাও বৃষ্টির তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সোমবারেও এই একই তাপমাত্রা ছিল। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি।
মহালয়ার দিন থেকেই পুজো পরিক্রমা শুরু করে দিয়েছেন আপামর বাঙালি। কিন্তু তৃতীয়ার ভোরে সামনে এল দুর্ঘটনার খবর। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ দমদমের (DumDum) এক পুজোমণ্ডপে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। নেতাজি সংঘ ক্লাবের সদস্যদের প্রথমে নজরে আসে মণ্ডপে আগুন (Fire) লাগার বিষয়টি। খবর পাঠানো হয় দমকলে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলবাহিনী সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে মণ্ডপের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে। কার্যত উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত। কীভাবে পুনর্নির্মাণ করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা। কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটল, সে বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত নেই বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। তদন্তে নেমেছে দমদম থানার পুলিস।
পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তাহলে কী থেকে আগুন লাগলো, তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। দমদম থানার পুলিসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তিনি কলকাতায় এসেছেন শুধুমাত্র দুর্গার আশীর্বাদ নিতে। ঝটিকা কলকাতা সফরে এসে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধনে কলকাতায় আসেন তিনি।
এবার রামমন্দিরের আদোলে প্যান্ডেল তৈরি করছে লেবুতলা পার্ক। এই পুজোর উদ্যোক্তা সজল ঘোষ কলকাতা পুরসভার বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। কলকাতার বাকি পুজোগুলি সরকারি অনুদান নিলেও, এই পুজো সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে।
ছত্তীশগড় যাওয়ার পথে কলকাতায় পুজো উদ্বোধন করে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে দীপাবলির থেকেও বড় উৎসব দুর্গাপুজো।
গত বছরের মতো এবারও পুজোর ডিউটি করার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না পুলিশ কর্মীরা। এমনকি, কাঁধে ব্যাগও রাখতে পারবেন না। লালবাজারের তরফে এমনই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে খবর। তবে জরুরি কোনো কাজ থাকলে সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। তারজন্যও আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে।
পুজোর ডিউটিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারে রাস টানতে উদ্যোগী হয়েছিলেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার। এনিয়ে সোমবার একটি বৈঠকও করারও কথা রয়েছে। সেখানেই যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। এই বছর প্রায় ১০হাজার পুলিশ কর্মী পুজোর ডিউটি করবেন। তার সঙ্গে থাকবে অন্তত ১০ হাজার পুজো ভলান্টিয়ার। এছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ড ও রাখা হবে।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি বড়ো পুজোর ক্ষেত্রে একজন করে ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকদের রাখা হবে। এছাড়াও যেখানে যেখানে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদের কর্তা থাকবেন।
দ্বিতীয়ায় পুজো উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ঘণ্টার ঝটিতি সফর করবেন। শুধুমাত্র সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন অমিত শাহ। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রেসকোর্সে নামবেন তিনি। তারপর গাড়িতে করে শিয়ালদহের দিকে রওনা দেবেন । তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতারা।
এবারে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের থিম রাম মন্দির। সেই আদলেই গড়ে তোলা হয়েছে প্যান্ডেল। তারসঙ্গে বিশেষ আলোকসজ্জাও রাখা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিনের আলো থাকতে থাকতেই উদ্বোধন সারবেন সেকারণে তিনি আলোকসজ্জা নাও দেখতে পারেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে সল্টলেকে বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। এরপর ষষ্ঠীর দিন ফের রাজ্যে আসবেন জে পি নাড্ডা। তিনিও একাধিক মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন।